আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আমাদের প্রি ক্যাডেট বিদ্যালয় থেকে ২০২৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি উদযাপনের বিশেষ মুহূর্ত আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে এসেছি। ঐদিন আমরা কিভাবে আমাদের প্রোগ্রাম করেছিলাম তার কিছু অংশ আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো আজকের এই পোস্টে। তাই চলনা দেরি না করে বিস্তারিত শুরু করি।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপনে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের সকলকে আগে থেকেই অবগত করা হয়েছিল একুশে ফেব্রুয়ারি দিন সবাই যেন সকাল সকাল স্কুলে এসে উপস্থিত হয়ে যায়। যে যার মত সুন্দর করে বেণার তৈরি করে আনবে এমনকি বাজার থেকে যদি পারে ২১ শে ফেব্রুয়ারির ফিতা কিনে কপালে বাঁধবে। ছাত্র-ছাত্রীরা এ বিষয়ে যথেষ্ট অবগত ছিল এবং তারা নিজেদের মতো করে সেজেগুজে আসলো এবং তাদের বলা ছিল যেন স্কুল ড্রেস সবাই পরে আসে ঠিক সেভাবে তারা স্কুল ড্রেস পরে এসেছিল। এসেম্বলি ক্লাস শেষে যখন আমারা রেলি শুরু করব ঠিক তখন আমরা ছাত্রছাত্রীদের রাস্তার উপর দুইটা সারিবদ্ধ করলাম। আমাদের টার্গেট ছিল স্কুল থেকে পার্শ্ববর্তি গ্রাম শিমুলতলা গ্রামের মধ্যে একটি রেলি করে আসবো। অবশ্য এই বিষয়টা অনেক শিক্ষকেরা মেনে নিতে চাইছিলনা, পাশাপাশি অনেক অভিভাবকেরা বলছিল ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীদের যদি এভাবে দীর্ঘ পথে র্যালি করা হয় তাহলে তো সমস্যা কিন্তু লক্ষ্য করে দেখেছিলাম সকল ছাত্র-ছাত্রীরা এ বিষয়ে কিন্তু খুবই আনন্দিত ছিল। তারা শিমুলতলা গ্রামের মধ্যে র্যালি করার জন্য প্রস্তুত ছিল।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গানে মুখরিত হতে থাকলো হাইরোড। কারন আমাদের স্কুলের সাউন্ড বক্সে আমরা এই গান বাজাচ্ছিলাম এবং তার তালে তালে ছাত্র-ছাত্রী চলছিল। সাউন্ড বক্সের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীরা জোরে জোরে এই গানটা বলা শুরু করেছিল। যথেষ্ট নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে তারা দ্রুত বজায় রেখে রেলি করছিল। আর এই দৃশ্য তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিল হাইরোডের চলতি গামি মানুষেরা। অবশ্য এই মুহূর্তটা নিজের মধ্যে বেশ উৎসাহ এবং উৎফুল্ল লাগ ছিল। কারণ মহান একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আমার আছে প্রোগ্রাম করেছি এই থেকে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক কিছু জানতে এবং শিখতে পারবে অতীতের ইতিহাস সম্পর্কে। যেহেতু পূর্বেদিনে তাদেরকে বলা হয়েছিল স্কুলে উপস্থিত হয়ে প্রথমে অ্যাসেমলি ক্লাস এরপর সুন্দর একটি শোভাযাত্রা এবং বক্তব্য হবে। তারা বক্তব্য প্রদানের জন্য জানো রেডি হতে পারে তাই তাদের মাঝে ১৯৫২ সালের সেই ইতিহাস শোনানো হয়েছিল।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
আমাদের শোভাযাত্রা যখন মড়কা বাজার অতিক্রম করছিল, তখন বাজারে থাকা লোকজন আমাদের দেখে বেশি আনন্দ করছিল এবং পথে চলা গাড়ি গুলো সাইড করছিল আমাদের পথযাত্রা যেন ভঙ্গ না হয় তাই। আমাদের ছাত্রছাত্রীরা তাদের বজ্র কণ্ঠে বারবার গাইতে থাকলো আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি গান পাশাপাশি স্লোগান। ছোট্ট ছোট্ট ছেলেমেয়েরা যে এত সুন্দর স্লোগান দিতে পারবে সেটা কিন্তু কখনো বাজারের মানুষ চিন্তা করেনি। আর এভাবেই আমাদের পথযাত্রা অগ্রসর হতে থাকলো। জীবনে প্রথম ছাত্রছাত্রী নিয়ে এমন একটি শোভাযাত্রা করছি তাই প্রথম অনুভূতিটা বেশ আনন্দ ঘন মনে হচ্ছিল আমার কাছে। আমিও বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম এবং স্লোগান দিয়েছিলাম। আমার সাথে সাথে ছাত্রছাত্রীরা জোরে জোরে স্লোগান দিতে থাকলো। আর এই ধনীতে যেন মড়কা বাজার কেঁপে উঠছিল।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
এরপর আমরা মড়কা বাজার দিয়ে শিমুলতলা গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করলাম। যখনই আমরা শিমুলতলা গ্রামের পথে নামা শুরু করলাম তখন দেখলাম প্রথম যে সমস্ত বাড়ি ঘর রয়েছে সে সমস্ত বাড়িঘর থেকে মানুষ বের হয়ে আসছে আমাদের দেখার জন্য। আর এমন দৃশ্যতে আমাদের ছাত্র-ছাত্রী যেন আরো উৎসাহিত হয়ে জোরে জোরে স্লোগান দিতে থাকলো। সকলেই বুঝতে পারল নতুন এই স্কুলটা একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন করছে অন্যান্য স্কুলের নেয়। আমরা আমাদের র্যালি যখন সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেলাম তখন দেখলাম শিমুলতলা প্রাথমিক বিদ্যালয় এর ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের র্যালি বের করেছে। তবে তাদের ছাত্র-ছাত্রী খুব কম উপস্থিত হয়েছিল। আমাদের রেলি রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে থাকল তারা আমাদের মাঝখান দিয়ে বের হয়ে চলে গেল। বিস্তারিত আরো সামনের দিন আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। আজকে এ পর্যন্ত।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
আশা করি,আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে বুঝতে ও শিখতে পেরেছেন, সেই সাথে নতুন জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছেন। পোস্টটি উপস্থাপনা কেমন ছিল এবং এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি কেমন, অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইলো। |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
Posted using SteemPro Mobile
ভাষা শহীদদের স্মরণে এই একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন করা হয়। ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখে এই দিনটি আমরা যথাযথভাবে পালন করি। শহীদের স্মরণ আমরা খালি পায়ে একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করি। কিন্তু এখানে আমি ভিন্ন কিছু দেখতে পারছি জানি না এর কি কারণ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিভিন্ন জায়গায় এমন ভিন্নতা এসে গেছে তাই এখানেও সেই ভিন্নতা দেখানো হয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মামা আপনি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে দারুণ একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করেছেন। আসলে একুশে ফেব্রুয়ারির দিন এভাবে কত যে গ্রাম হেঁটে বেড়িয়েছি বলে বোঝানো যাবে না। মোস্তাফিজুর মামার গালে জাতীয় পতাকার ছবি দেখে বেশ ভালোই লাগলো। আসলে শহীদদের স্মরণে এই দিনটি প্রতিবছর পালন করা হয়। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ মামা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যদিও অন্যান্য শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মতামত ছিল না তারপরও আমরা দুইজন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বলে আমাদের ফেব্রুয়ারীর র্যালি অনেক সুন্দর হয়েছিল। একই সাথে গানের সুরে যেন অন্য রকমের একটা ভালো লাগা কাজ করছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ একদম ঠিক বলেছ বাজারের লোকজন খুবই আশ্চর্য বোধ করেছিল
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit