বাড়ির করল্লা গাছ থেকে করল্লা তোলার অনুভূতি

in hive-129948 •  last year 
আসসালামু আলাইকুম

IMG_20230803_083322_132.jpg




আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আপনাকে স্বাগতম



হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি নিজের বাসার আঙ্গিনায় হয়ে থাকা একটি করল্লা গাছের করলা তোলার অনুভূতি নিয়ে। হয়তো এই পোষ্টের মধ্যে বেশ সুন্দর কিছু তথ্য বহন করবো যা আপনাদের উৎসব প্রদান করবে নতুন কিছু করার। আর তাই দেরি না করে চলুন এখন ই আসল কাজ শুরু করা যাক।


'আমার বাংলা ব্লগ'
কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট



ফটোগ্রাফি সমূহ:


১ নং ফটোগ্রাফি

বেশ কিছুদিন আগে আমার ঘরের পাশে নতুন মাটি দিয়েছিলাম। কারণ এখানটায় কাজ করা হয়েছিল তাই মাটি অনেকখানি কমে গেছিল। নতুন করে লাল মাটি দেওয়ায় জায়গাটা বেশ সুন্দর দেখা যাচ্ছিল। হয়তো কেউ এই সুন্দর জায়গায় করলার বীজ ফেলেছে অথবা কোন ভাবেই এই জায়গায় করলার বীজ এসেছে। আমরা সকলে জানি বেশ কিছুদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছিল না, তাই আমরা বৃষ্টি পানি পাওয়ার জন্য বেশ আর্তনাদ করছিলাম। হঠাৎ বৃষ্টির পানি আমাদের মাঝে পড়তে শুরু করেছিল আর ঠিক তার পরেই আমি লক্ষ্য করেছিলাম ঘরের পাশে দেওয়া এই লাল মাটির বুকে বেশ কিছু করলার চারা জন্মাতে থাকলো। আমি বেশ কিছুদিন ধরে এই করলার চারাগুলো লক্ষ্য করতে থাকলাম। যখন দেখলাম একটু বড় হতে শুরু করেছে তখন বাশঝাড় থেকে কিছু বাঁশের কঞ্চি এনে গাছগুলোর পাশে পুতে দিলাম আরো বৃদ্ধি পাই যেন, বৃদ্ধি পেতে সহজ হয় সেই আশায়। যাইহোক চারা গুলোর পাশে কুঞ্চি পুতে দেওয়ার পরে গাছগুলো এই কুঞ্চি বেয়ে উপরে ওঠা শুরু করলো এবং বৃদ্ধি পেতে থাকলো। এমন দৃশ্য দেখে বেশ ভালো লাগছিল আমার যাইহোক গাছগুলো বৃত্তি পাওয়ার সুযোগ করে দিলাম কিছু করলা ধরবে সেই আশায়। সৌন্দর্য দেখে যখন মুগ্ধ হয়ে ছিলাম ঠিক তখনই চেষ্টা করেছিলাম কিছু ফটোগ্রাফি করে রাখার।

IMG_20230803_082956_019.jpg

IMG_20230803_082948_384.jpg

IMG_20230803_082944_817.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন


received_305654148004402.webp


২ নং ফটোগ্রাফি

মানুষের একটা কথা বলে 'বাড়ির পাশের জিনিসে গুরুত্ব কম কিন্তু দূরের জিনিসের প্রতি আকর্ষণ বেশি' ঠিক তেমনটাই হয়েছিল আমার। যেই করলা গাছের পাশ দিয়ে দিনে দশবার চলাচল কিন্তু গাছ পানে তাকিয়েই দেখা হয় না আর ঠিক এভাবে আরো বেশ কিছুদিন কেটে গেল হঠাৎ একদিন ফটোগ্রাফি করবো এমন চিন্তা ভাবনা নিয়ে মোবাইলটা হাতে নিলাম তখনই মাথায় আসলো করল্লা গাছে করল্লা ধরেছে কি? গাছ পানে চেয়ে দেখি সর্বনাশ! গাছে তো অনেক করলা ধরেছে। আর আমি এদিকে তাকিয়ে দেখি না। সেই করোলা গাছের ছোট্ট চারা গুলো বড় হয়ে আজ কুঞ্চি বেয়ে পাশের কমলালেবু মালটা ডালিম গাছগুলোতে উঠে পড়েছে এবং সেখানে ফল ধরা শুরু হয়েছে। অবশ্য ছোট ছোট করল্লা অনেকগুলো ধরেছে আর এই করলা ধরা দেখে আমি তো অবাক। ফটোগ্রাফি করতে বের হওয়ার শুরুতেই আমি শুরু করলাম এই করলার ফটোগ্রাফি দিয়ে। কিছুটা রোদের আলো ছিল তাই ফটোগ্রাফি করতে আমার বেশ ভালো লাগছিল খুব সুন্দরভাবে ফটোগ্রাফি হচ্ছিল প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি হচ্ছিল বেশ চমৎকার।

IMG_20230803_082841_466.jpg

IMG_20230803_082846_241.jpg

Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন


received_305654148004402.webp


৩ নং ফটোগ্রাফি

করলা গাছের ডগায় ডগায় চেয়ে দেখলাম বেশ সুন্দর সুন্দর ফুল ধরেছে এবং কিছু জায়গায় করলা ধরে পেকে গেছে। এমন দৃশ্য দেখে আমি মন স্থির করলাম কিছু করলা তুললেই ভালো হয়। ঠিক এমন মুহূর্তে আমার আম্মা বলল কিছু করলা তুলে দাও রান্না করে দেবো। তখন আমি চেয়ে দেখলাম অনেকগুলো রয়েছে তুললে ভালো হয়। এমন স্থির করলাম খাওয়ার মত করলা গুলো তুলবো এবং তা আপনাদের মাঝে ফটোগ্রাফি করেও দেখিয়ে দিব।

IMG_20230803_082904_489.jpg

IMG_20230803_083004_330.jpg
Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন


received_305654148004402.webp


৪ নং ফটোগ্রাফি

করল্লা তুললেই যে হবে তা তো নয় একটি পাত্র প্রয়োজন। যার মধ্যে করোলা গুলো ছড়িয়ে ছড়িয়ে রাখতে পারবো। তাই আম্মুকে বললাম একটি পাত্র এনে দাও যার মধ্যে করলা গুলো রাখতে পারব। আম্মু ঘরের মধ্য থেকে করলা তোলার জন্য একটি পাত্র আনতে গেল আর এরই ফাকে আমি সামনে থাকা পাকা করলার ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করলাম। বেশ ভালো লাগছিল সেই দিনের কথা স্মরণ করতে,যেদিন এই গাছের জন্য অনেক কিছুটা হলেই যত্ন নিয়েছিলাম তাই তো আজকে বৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগ পেয়ে গেছে এবং ফল ধরেছে এমনকি ফল ধরে গাছের মাথায় পেকে রয়েছে।

IMG_20230803_082928_287.jpg

IMG_20230803_082936_171.jpg

Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন


received_305654148004402.webp


৫ নং ফটোগ্রাফি

করল্লা তোলার জন্য আমি প্রস্তুত হলাম আম্মু একটি পাত্র এনে আমার পাশে রেখে দিল। এরপর আমি গাছের মধ্য থেকে বেছে বেছে খাওয়া যাবে এমন করল্লা তুলতে শুরু করলাম। এই সুন্দর মুহূর্তটা আমার বেশ ভালো লাগে কারণ প্রকৃতির মাঝে নিজেকে বিলিয়ে রাখতে একটা অন্যরকম ভালোলাগা যেখানে নেই কোন প্রকারে হিংসা-বিদ্বেষ খারাপ চিন্তা ভাবনা। এখানে রয়েছে অফুরন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভালোলাগা ঠান্ডা ঝিরিঝিরি বাতাস, এই সমস্ত প্রাকৃতিক অনুভূতিগুলো যেন প্রাণবন্ত করে তোলে মনের মধ্যে, যারা মন-মানসিকতা অনেকটা ফ্রেশ হয়ে থাকে আর নতুন কিছু উৎপাদন করতে বা ফালাতে ইচ্ছে জাগে। যাই হোক এভাবেই কিছুটা সময় ধরে রান্না করার জন্য করল্লা তুলে দিলাম এবং তার মধ্য থেকে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করলাম আপনাদের উৎসাহ প্রদান করার জন্য আশা করি আপনারা চেষ্টা করবেন নিজ দায়িত্বে কিছু শাক-সবজি ফলাতে যা পরিবারের আত্মিক যোগান দিবে এমন কি নিজের মন সচ্ছল ও প্রফুল্ল রাখবে।

IMG_20230803_083202_394.jpg

IMG_20230803_083108_673.jpg

Photography device: Infinix hot 11s
লোকেশন


received_305654148004402.webp

R6TbvATub8MquGoqJZ4SE2UCpaUQzmNnWQxvJGwvYApXWE4KsVzC8vNNXWgtz7hrfoYPSrjupZgj7VtKhrH935ua1PLs4Vr7KiYnVAy3oD...tCNiac63XNuwJJZPbTjHfGPYJH4BJoHgX8HdohSPrSasKvArV8wiiFV7ntYqz66tLZiqG67BKrPAveZFRs3vaqucpJgsaE3qA6Rwasb2fYDx3U5dXGLwwRdyH8.png


আশা করি,আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে বুঝতে ও শিখতে পেরেছেন, সেই সাথে নতুন জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছেন। পোস্টটি উপস্থাপনা কেমন ছিল এবং এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি কেমন, অবশ্যই কমেন্ট বক্সে আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইলো।

💌আমার পরিচয়💌


আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সহকারি শিক্ষক । ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি।




পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif

image.png

image.png

আমার পরিচিতিকিছু বিশেষ তথ্য
আমার নাম@sumon09🇧🇩🇧🇩
ফটোগ্রাফি ডিভাইসমোবাইল
ব্লগিং মোবাইলInfinix hot 11s
ক্যামেরাcamera-50mp
আমার বাসামেহেরপুর
আমার বয়স২৬ বছর
আমার ইচ্ছেলাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা

zr7XQBzuvvkjgjjPxunUtP5k84gxgWc4mR8PqdBj5rx8AtXSSugGPwSy7JKyM3rgX4k3arRVPC2wT66DqiAYg2UuYrHpE94NCJsYEnjKP7Erbg.png


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

নিজের গাছ থেকে পেরে করলা খাওয়ার অনুভূতি অন্যরকম। কোন ফরমালিন নেই,ভেজাল মুক্ত করলা। আমি বাড়িতে থাকতে এভাবে বিভিন্ন সবজির চাষ করতাম। নিজের গাছের সবজি খেতে পারলে অনেক আনন্দ লাগে। একটি করলা পেঁকে হলুদ হয়ে গেছে। ধন্যবাদ।

একদম ঠিক বলেছেন ভাইজান

আপনার লাগানো গাছে দেখছি প্রচুর পরিমাণে করলা ধরতে শুরু করে দিয়েছে। আসলে এই ধরনের সবজিগুলো নিজের চাষ করাই ভালো কেননা বাজারে যেগুলো কিনতে পাওয়া যায় সেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক থাকে। ভালো লাগলো আপনার বাগানের করল্লা গুলো দেখে।

বেশ কিছুদিন ভালোই ধরল।

মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বাড়ির করল্লা গাছ থেকে করল্লা তোলার অনুভূতি। আসলে যে কোন সবজি বাড়িতে যদি চাষ করে খাওয়া যায় তাহলে বেশ ভালো লাগে। আসলে আগের তুলনায় বাজারে যে কোন সবজির দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে এই করল্লা সকাল বেলায় রুটি দিয়ে ভাজি করে খেতে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর ভাবে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

অনেকেই খুব বেশি পছন্দ করে কিন্তু আমার তেমন একটা খাওয়া হয় না।