আজ - সোমবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি চিড়িয়াখানা থেকে পশুপাখির কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে। যে পশু পাখির ফটোগ্রাফি গুলো আমি করেছিলাম 'মোজাফফর গার্ডেন এন্ড পিকনিক স্পট' থেকে। তাই চলুন আর দেরি না করে, এখনই মূল বিষয়ে যাওয়া যাক।
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
আমাদের জানা ছিল না মোজাফফর গার্ডেন এন্ড পিকনিক স্পট দেখতে অনেক সুন্দর। তাই হোটেল থেকে বের হওয়ার সময় একটু অলসতার মধ্য থেকে বের হয়েছিলাম, যার জন্য দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেল। আমরা তিন বন্ধু সেখানে পৌছালাম এমন একটি মুহূর্তে আমরা লক্ষ্য করলাম দারুন একটি গেট মোজাফফর গার্ডেন এর মধ্যে। যেখানে খুব সুন্দর ভাবে লেখা রয়েছে চিড়িয়াখানা। আমরা কয়েকজন মানুষের কাছে জানতে চাইলাম এই চিড়িয়াখানার মধ্যে কি রয়েছে। তারা বলল মোটামুটি দেখার মতো অনেক কিছুই রয়েছে যেতে পারেন। তাই আমরা তিন বন্ধু আর দেরি না করে ফটোগ্রাফি করার সাথে সাথে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করলাম। আর সেখানে প্রবেশ করার মুহূর্তে আমরা লক্ষ্য করলাম চিড়িয়াখানার গেটটা সত্যিই অনেক সুন্দরভাবে সাজানো। আমরা যাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়েছিলাম তারা বলল ভেতরের পরিবেশটা দারুন সুন্দর এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। কারণ এখানে পরিচ্ছন্ন কমিটি রয়েছে সব সময় পরিষ্কার করে রাখার চেষ্টা করে জানো যারা ঘুরতে আসে তারা যেন স্বনাম করতে পারে। যাইহোক তিন বন্ধু গেট ক্রস করে ভেতরে প্রবেশ করলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
গেটে প্রবেশ করার পরে আমরা লক্ষ্য করলাম এর মধ্যে অনেক সুন্দর সুন্দর বিভিন্ন প্রজাতির কুকুর রয়েছে। আমাদের দেখার পরে এগুলো খুবই ছটফট করছিল মনে করছিল যেন আমরা তাদের জন্য কোন কিছু খাবার নিয়ে এসেছি। তবে আমাদের কাছে কোন প্রকার খাবার ছিল না। আমরা জানতাম না যে খাবার নিয়ে যেতে হবে কিংবা খাবার দিতে হবে যার জন্য নিজেদের কাছে একটু আফসোস হয়েছিল যেহেতু প্রাণী গুলো আমাদের পানে বারবার তাকাচ্ছিল এবং ছটফট করছিল। তবে আমরা ওখানকার পরিচ্ছন্ন কমিটির কাছে জানতে চাইলাম যে খাবার দেওয়াতে কোন অনীহা রয়েছে কিনা। ওনারো জানালেন যে না সঠিক সময়ে এদের খাবার দেওয়া হয় এবং বাইরে থেকে মানুষ আসলে এরা এমনটাই করে থাকে যেহেতু অনেকে এদের খাবার দেয়। যাইহোক আমরা চেষ্টা করলাম তাদের পাশে কিছুক্ষন অবস্থান করার জন্য এবং ফটোগ্রাফি করার জন্য। আমরা তিন বন্ধু যে যার মত ফটোগ্রাফি আর ভিডিও করায় ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। আর এরপরে লক্ষ্য করলাম আরো অনেক প্রকার প্রাণি তার মধ্যে রয়েছে।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
এরপর আমি হঠাত করে লক্ষ্য করে দেখলাম আমার বন্ধু জুলহাস কিছু বিদেশী মুরগির ফটোগ্রাফি করে বেড়াচ্ছে। তখন আমি উৎসাহিত হয়ে তার পানে ছুটে গেলাম আমিও তার ফটোগ্রাফি এবং ভিডিও করার জন্য। যেয়ে দেখলাম সত্যিই অনেক বড় বড় অনেক প্রজাতির মুরগি সেখানে রয়েছে। আমিও ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লাম ভিডিও ফটোগ্রাফি করার জন্য আর বন্ধুর সাথে যেন একটু অন্যরকম আনন্দঘন মুহূর্ত সৃষ্টি হলো যেহেতু একসাথে দুজন একই কাজে ব্যস্ত হয়েছিলাম। তবে মুরগি গুলো দেখে আমার খুব ভালো লাগছিল। অচেনা অনেক প্রকার প্রজাতির মুরগি সেখানে লক্ষ্য করেছিলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
এরপর আমরা লক্ষ্য করলাম একটা টিয়া পাখির মত কি যেন একটা বড় পাখি একটি খাচার মধ্যে এদিক থেকে ওদিকে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে। ভিতরে লক্ষ্য করলাম খুবই সুন্দর ক্যানভাস চিত্র। যার জন্য ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে বেশ দারুন হয়েছিল। তাই আমরা এখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করার চেষ্টা করলাম এবং ফটোগ্রাফি করলাম। আমার বন্ধুরা বলল এটা কাকাতুয়া পাখি। তবে পাখিটার সঠিক নাম আমার জানা নেই। আপনারা যদি এ পাখির নাম জেনে থাকেন অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। পাখির নামটা জানবো এই মুহূর্তে গার্ডেনের লোকজন তেমন ছিল না। তাই সঠিক নামটি জানা হয়েছিল না। যাইহোক এ পাখিটার কথা আমার যেকোনো মুহূর্তে স্মরণ হয়। এই চিড়িয়াখানার মধ্যে সবচেয়ে ভালো লাগা একটা পাখি ছিল এটা। যাইহোক আমরা আরো সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম নতুন কিছু দেখার জন্য, যেহেতু এখানে তিনটা স্তান জুড়ে চিড়িয়াখানা।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
এরপর আমরা চলে এলাম অন্য একটি রুমের দিকে যেখানে দেখলাম কিছু হরিণ ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে হরিণগুলো আমাদের দেখে দৌড়ে দুরে পালানোর চেষ্টা করছিল। তাই তার মধ্য থেকে চেষ্টা করলাম হরিণের ফটোগ্রাফি করার জন্য। একটি মুহূর্ত লক্ষ্য করছিলাম একটা হরেন স্বেচ্ছায় আমাদের নিকটে আসার চেষ্টা করছিল কিন্তু যে মুহূর্তে আমি মোবাইল বের করছিলাম ফটোগ্রাফি করার জন্য সে মুহূর্তে আমার থেকে দূরে চলে গেল পরবর্তীতে অনেক চেষ্টা করলাম যেন নিকটে আসে কিন্তু কোনোভাবেই আর সেই হরিণটা আমাদের নিকটে আসলো না। আমার বন্ধু বললো অতি নিকট থেকে হরিণের ফটোগ্রাফি করেছে সে। তবে যাই হোক আমার ক্যামেরায় সেভাবে ধরা পড়ে নাই। এতক্ষন যে সমস্ত প্রাণীগুলোর ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি তার মধ্য থেকে সবচেয়ে ভীতু আর সজাগ প্রাণী এই হরিন। তাই তাদেরকে পোষ মানিয়ে নিকটে নিয়ে আসা বড়ই কঠিন। যার জন্য নিকট থেকে ফটোগ্রাফি করা সম্ভব হয়নি। তবে বেশ ভালো লেগেছিল মোজাফফর গার্ডেন এর চিড়িয়াখানাটি। যেত অনেক সুন্দর এবং অনেক বড় একটি চিড়িয়াখানা এটা। চারিপাশে পুকুর বেষ্টিত এবং মাঝখানে এমন সুন্দর দৃশ্য।
Photography device: Infinix hot 11s
সোর্স
💌আমার পরিচয়💌
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সহকারি শিক্ষক । ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি। |
---|
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৬ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্ট, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
সাতক্ষীরা চিড়িয়াখানায় আপনারা খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন ।এমন সুন্দর খোলামেলা পরিবেশ আমার ভীষণ পছন্দ। হরিণের ঘুরে বেড়ানোর ছবিটি খুবই সুন্দর লাগছে। আমারও চিড়িয়াখানায় ঘোরাঘুরি করতে খুবই ভালো লাগে। কারণ বিভিন্ন রকম নতুন নতুন প্রানীর সাথে পরিচিত হওয়া যায়। আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আরো অনেক কিছু আপনাদের মাঝে তুলে ধরব।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সাতক্ষীরার চিড়িয়াখানার সুন্দর কিছু মুহূর্ত উপভোগ করার পাশাপাশি সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি ও শেয়ার করেছেন।
আমি যখন গাজীপুরের সাফারি পার্কে গিয়েছিলাম তখন এই পাখিটি দেখেছি। সেখানে পাখিটির নাম লেখা ছিল ম্যাকাও পাখি। এই পাখিটি দেখতে আসলেই খুব সুন্দর। মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সঠিক নামটি জানতে পেরে খুশি হলাম আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সাতক্ষীরার চিড়িয়াখানায় আপনারা আশা করি দারুণ সময় পার করেছেন।জায়গাটি বেশ নিরিবিলি বলে মনে হলো।তবে খুবই কম প্রাণী দেখলাম।গেটের দুইপাশে হাতি দুটির মূর্তি ও হরিণগুলি ভালো লাগলো দেখে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিস্তারিত আরো দেখতে পারবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit