জেনারেল রাইটিং || ডিপ্রেশন || চতুর্থ পোস্ট

in hive-129948 •  2 months ago 


আসসালামু আলাইকুম


হাই
বন্ধুরা!

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। প্রথমে বলে রাখি,
মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়, ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আজকে আমি আবারো আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি ডিপ্রেশন নিয়ে কথা বলতে। ইতোমধ্যে তিনটা পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আশা করি এই পোস্ট পড়ে আরো কিছু জানতে পারবেন এবং এই বিষয়ে সজাগ হবেন।


Picsart_24-10-17_23-43-44-620.jpg




আলোচনার বিষয়:
ডিপ্রেশন


তখন আমার প্রিয় ব্যক্তি টা বিশ্বাস করতে পারছিল না। জানালা খুলে বারান্দায় এসে দাঁড়িয়ে দেখে সত্যি তো তার প্রিয় বান্ধবী। এরপর সে তাড়াহুড়া করে সকল জানালা খুলে দেয় ফ্যান থেকে ওড়না খুলে ফেলে এরপর প্রবেশ করার কোয়াটারে দরজা খুলে বান্ধবীকে ঘরের মধ্যে রিসিভ করে। তারপর ঘর আটকে দিয়ে বান্ধবীর সাথে কথা শুরু হয়। সে কি করছিল বান্ধবী জানতে চাইলে কান্নায় ফেটে পড়ে এবং বিস্তারিত বলে। ডাক্তার তার কথা শুনলো এবং অবাক হল। ডাক্তার একটা কথা বললেন, অনেক মানুষ রয়েছে শহর জীবনের চার দেয়ালে বন্দি থাকে, অনেক মেয়ে হতাশায় ভুগ। যারা স্বাধীনভাবে বাইরে চলাচল করতে পারে তারা ডিপ্রেশনে ভুগেনা। তবে বাইরে চলাচল করা বেশিরভাগ মেয়েরা বেহায়া হয়ে যায়, ধর্মের গণ্ডি অতিক্রম করে ফেলে। আমার সেই প্রিয় ব্যক্তি টা অনেক ধর্ম মান্য করতো তার এই ধর্মর বেড়াজাল ডিপ্রেশনে ভোগার জন্য আরো বড় কারণ। কিন্তু তার মনটা ছিল ধর্মভিরু। সে একা চলাচল করতে জানেনা। এমনকি কলেজ লাইফেও বান্ধবীরা হাত ধরে রাস্তা ক্রস করেছে অথবা বাবা রেখে এসেছে। আর এভাবেই অনার্স মাস্টার্স পর্যন্ত কমপ্লিট করেছিল বাবার হাত ধরে।

IMG_20240917_182835.jpg


সে বয়ফ্রেন্ড শব্দটা কখনোই পছন্দ করত না,কারণ জানে প্রেম করলে ছেলেরা বিয়ের আগেই খারাপ প্রস্তাব রাখবে। ঠিক এমনটা তার বান্ধবীদের জীবনের লক্ষ্য করেছেন। তার প্রিয় বান্ধবীর জীবনে লক্ষ্য করেছে, একটা বয় ফ্রেন্ড ছিল। কত ভালো মানুষ সেজে জীবনে এসেছিল। এরপর অনেকটা মেলামেশার সুযোগ নিতো, একটা সময় তার ছেড়ে চলে গেছে। বান্ধবীটার মধ্যে হালকা ডিপ্রেশন রয়েছে তবে বেশি না। সে বেঁচে থাকার তাগিতে এই মুহূর্তে মনের মত মানুষের আশা শুরু করল, কারণ বান্ধবী সবসময় তো পাশে থাকে না, বাসা দূরে এমনকি তার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। একদিন যে বয়ফ্রেন্ড শব্দটা; প্রেম শব্দটা ঘৃণার চোখে দেখতো সে এখন ভাবতে থাকলো হঠাৎ করে ভালো মানুষ প্রিয় ব্যক্তি কোথায় পায়। মনের দিক থেকে সে অনেক পাক পবিত্র একটা মেয়ে ছিল। চার দেওয়ালে বন্দী জীবনটা তাকে আরো হতাশার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

তাই এভাবেই ডাক্তার তাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন দুই তিন বছর বিয়ে না করে এমন একজন প্রিয় মানুষের সাথে মিলবন্ধন রেখে চলতে এবং ভালো মানুষের মাঝে বেশি সময় পার করতে, বাইরের পরিবেশে ঘোরাঘুরি করতে। এছাড়াও ঔষধ হিসেবে ঘুমের বড়ি দিয়েছিলেন। আর বলেছিলেন অতিরিক্ত ব্যস্ত থাকতে। ঠিক তেমনি তার আর একটা বান্ধবীর সমস্যায় বলেছিলেন সে যেন সবসময় তার হাসবেন্ডের সাথে থাকেন। হাজবেন্ড যখন যা বলবে সে মোতাবেক চলবেন, তবে মনমালীন্য হলে ঠান্ডা মাথায় কথা বলে দ্রুত সমস্যা দূর করে এক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া এক বেড থেকে স্বামী-স্ত্রী যেন দুই থেকে তিন দিনের বেশি দূরে না থাকেন। আর পরবর্তীতে তার হাজবেন্ড যেন ডাক্তারের সাথে এসে দেখা করে যাই কিছু বিষয়ে পরামর্শ দিবেন। এদিকে আমার প্রিয় ব্যক্তির পিতাকেও ডাক্তার অনেক পরামর্শ দিলেন। বললেন তারা অনেক দেরি করে ফেলেছেন। যখন এসএসসি পাস করেছিল তখন থেকে মেয়েকে বুঝতে পারত তো। কারণ প্রত্যেক পিতা-মাতার বোঝা উচিত তার সন্তানের মন মানসিকতা এবং তার অনুভূতি। যাইহোক এমন পরিস্থিতির মধ্যে এসে পিতা কে সান্ত্বনা দিলেন ডাক্তার। এবং মেয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে বললেন। যত দ্রুত সম্ভব ডিপ্রেশন থেকে মুক্ত করে ভালো কোন ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন।

IMG_20240924_002351.jpg


তাই এ থেকে বুঝতে পারা যায় একজন ডিপ্রেশনে ভোগা মানুষের জন্য প্রিয়জন কত গুরুত্বপূর্ণ এবং সে তার পাশে থাকা কতটা জরুরী। কিন্তু এই সমস্ত বিষয়গুলো যদি পাশের মানুষ প্রিয় ব্যক্তি না বুঝে তাহলে কে বুঝবে। যখন একজন হতাশাগ্রস্থ মানুষ হতাশায় পরিণত হয় সে পৃথিবীতে বেঁচে থেকেও যেন অসহায়। আর এই অসহায় ব্যক্তিটা সব সময় বেঁচে থাকার চিন্তা করে। কোন লোভ লালসা অহংকার তার মধ্যে কাজ করে না। শুধু তার মধ্যে হতাশা আর অভিমান কাজ করতে থাকে। তবে এমন অবস্থায় ডাস্টবিনে পড়ে থাকা মানুষটাকে সেই পারে বাঁচিয়ে রাখতে বা বাঁচার ভরসা দিতে, সে আর কেউ নাই একমাত্র তার প্রিয় কোন ব্যক্তি হয় বান্ধবী অথবা বন্ধু অথবা হাজব্যান্ড অথবা ওয়াইফ অথবা সাথে চলা প্রিয় কোন ব্যক্তি।

পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ

qjrE4yyfw5pEPvDbJDzhdNXM7mjt1tbr2kM3X28F6SraZgB7TZjdex8Jfeum4QdvWrYyVKf1TVdkBn3Afz5h9WN46gBh4J5bjeVSUjgbCkhDF2MvcDktfM1Q.jpeg


পোস্ট বিবরণ


বিষয়ডিপ্রেশন
ফটোগ্রাফি ডিভাইসInfinix Hot 11s
Photo editing apppicsart app
লোকেশনগাংনী-মেহেরপুর
ব্লগার@sumon09
দেশবাংলাদেশ


পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png


6VvuHGsoU2QBt9MXeXNdDuyd4Bmd63j7zJymDTWgdcJjnzpQii6mQVp5A4gDGCDR68W9RxwfgYXDkuSdrT6M7Y7xaaSUX484gjnbdCNf4usUnqiHpgSG4y2v9nUyHY.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

নানান ধরনের রোগ হয় তেমনি মনের রোগ হয়। ডিপ্রেশন এক ধরনের অসুখ। ডাক্তারবাবু একদম ঠিকঠাক চিকিৎসা দিয়েছেন। আমরা প্রত্যেকেই ডিপ্রেশনে ভুগি তাই আমাদের যখন অত্যন্ত ডিপ্রেশন হয় তখন আমাদের যারা প্রিয়জন আছেন তাদের খুব শান্তভাবে বিষয়টা দেখভাল করতে হয়। একজন ডিপ্রেশনে থাকা মানুষকে যদি আমরা অবহেলা করি তাহলে সে আরো অনেকটা অন্ধকারের দিকে চলে যায়। তবে যারা অতিরিক্ত ডিপ্রেশনে ভোগে এবং আনন্দের মুহূর্ত তাদের ডিপ্রেশন হয় তাদের প্রত্যেকের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। মনের ডাক্তারের কাছে যাওয়া মানেই যে পাগলের চিকিৎসা তা কিন্তু নয়। ডিপ্রেশনে থাকা মানুষগুলো ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠুক এবং ভালো থাকুক এই কামনাই করি। আপনার লেখাটা মনে জায়গা করলো।

হ্যাঁ ডাক্তারের পরামর্শ না নিলে ডিপ্রেশন কমে না।