হাই বন্ধুরা!
কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি দুই বন্ধু মিলে বামুন্দী বাজারে একদিন কেনাকাটার অনুভূতি।
Infinix Hot 11s
আমরা দুই বন্ধু বামুন্দি বাজারে উপস্থিত হলে নির্দিষ্ট একটি স্থানে মোটরসাইকেল রাখি। এজন্য এখানকার বেশ কিছু দোকানদার আমাদের সাথে পরিচয় লাভ করেছে দিনকে দিন। তাই মোটরসাইকেল নিয়ে আর কোন চিন্তা করতে হয়। আমার বামুন্দি বাজারে উপস্থিত হলে এখানে মোটরসাইকেল রাখি এবং বলে যায় ভাই সাইকেল রাখলাম। এরপর দুইজন বাজারের এপ্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত ইচ্ছা মত ঘুরে বেড়ায় কেনাকাটা করেই নিশ্চিন্তে। তবে সেখানে প্রথমেই রয়েছে চালের আড়ত। আমার বন্ধু মারুফ এখান থেকে চাল নিয়ে যায়। তবে বাজারে সবকিছু কেনাকাটা শেষ করে বাড়ি যাওয়ার সময় এক বস্তা কিনে মোটরসাইকেলে নিয়ে চলে যায়। আর বাজারে ঢোকার মুহূর্তে প্রথমেই বিভিন্ন রকমের চাল গুলোর দাম শুনতে শুনতে যাই।
যাইহোক বামুন্দি বাজারের দুই স্থানে কাঁচা সবজি বিক্রয় হয়। আর দুই স্থানে আমরা প্রথমেই ঘুরে ঘুরে দাম জানার চেষ্টা করি। এই কেনাকাটার মুহূর্তটা ছিল ২০২৩ সালের। আজকে শাকসবজি কেনার জন্য যখন বাজারে গেছিলাম। তখন বাজারে দেখলাম আলুর দাম ৬০ টাকা থেকে ৭০ দূরে চলে গেছে। ঠিক তখনই মনে পড়ল বামুন্দি বাজার থেকে কেনাকাটার মুহূর্তের কথা গুলো। গতবছর মার্চ এপ্রিল মাসের দিকে আমরা বেশি কেনাকাটা করেছি বামুন্দি বাজার থেকে। আর এই সমস্ত সবজির দাম গুলো তখন এত বেশি ছিল না। ১০০ টাকায় ৩ কেজি ৪ কেজি করে আলু হয়ে যেত। তারপর থেকে দেশের অবস্থা এমন একটা বিপর্যয় চলে গেল। এখন বাজারে গেলে যেন হাজার টাকা কিছুই নয়। ১০০০ টাকা খুব সহজে খরচ হয়ে যায় কিন্তু ব্যাগের তলা পোরে না। যাইহোক এই দিন বেশি কেনাকাটা করেছিল আমার বন্ধু মারুফ। তাদের বাড়িতে আত্মীয় এসেছিল। এইজন্য সে খুব তাড়াহুড়ো করে বিভিন্ন জিনিস কেনাকাটা করছিল। আর আমি মূলত গিয়েছিলাম মাছের খাবার হিসেবে খোল কেনার উদ্দেশ্যে। তাই বন্ধুর সাথে শাকসবজি কেনাকাটার মুহূর্তে আমি শুধু দাঁড়িয়ে ছিলাম ফটো ধারণ করেছিলাম। আর এদিকে শাক সবজির কিছু বীজ কেনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম বন্ধু কখন আমার সাথে বীজ ভান্ডারে যাবে।
দিনটা মনে হয় যেন এই তো সেদিন কিন্তু দেখতে দেখতে এক বছর পার হয়ে চলে গেছে। আলু বিক্রেতার কাছে থাকা বড় বড় ঝাল গুলো দেখে মারুফ আমাকে বলেছিল তোর বাগানে অনেক ঝালগাছ রয়েছে ঝাল ধরে কিন্তু এত মোটা মোটা ঝাল দেখি না কেন। ইয়ার্কি করে বলেছিলাম পাকা চাষি হব যেদিন, সেদিন এত বড় বড় ঝাল হবে। সে সময় ঝাল ছিল 80 টাকা কেজি আর এখন 400/500 টাকা কেজি। দিনের সাথে সাথে যেন দামের তফাৎ সৃষ্টি হয়ে গেছে। তবে ঐদিন আমি একটা বিষয় খুব লক্ষ্য করে দেখেছিলাম বাজারে লোক সংখ্যা খুবই কম ছিল। কিন্তু এখন শাকসবজির দাম প্রচুর তারপরেও মানুষের জন্য পা ফেলার জায়গা নেই। শুধু যে আমাদের এখানে তাই নয় সারাদেশে যেন এক হাহাকার চলছে সবজি বাজারে। আগে কত আনন্দের সাথে এই সমস্ত ফটো ধারণ করেছি সবজি বাজার থেকে। আর এখন যেন সবজি বাজারে উপস্থিত হলে মন বলে না ফটো ধারণ করে বিভিন্ন জিনিসের অধিক দাম দেখে। যেখানে আজ শুক্রবার বামুন্দি বাজারের দিন, হাটের দিন কিন্তু একটা ফটো ধারণ করি নাই। গতবছরের মতো মনে আনন্দ উল্লাস আসে না অতিরিক্ত দাম দেখে।
২০০৬ সালের দিক থেকে বাবার হাত ধরে মাছ চাষে অংশগ্রহণ করে। আর সেই থেকে বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে সরিষার খৈল সংরক্ষণ করেছি মাছের খাবার তৈরি করার জন্য। তবে সেই সময় খৈলের দাম ছিল ১৮/২০ টাকা কেজি কিন্তু এখন তা বেড়ে ৫০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। তবে একটা বিষয় বেশি দুঃখজনক সে সময় পাঙ্গাস মাছের দাম ছিল ১১০ টাকা কেজি পুকুর থেকে আর এখন ১৪০ টাকা কেজি পুকুর থেকে। মাছের খাবারের তুলনায় মাছের দাম আমরা পায়না। ছোট মাছের খাবার যেখানে হাজার 50 টাকা বস্তা ছিল এখন সেই ছোট মাছের খাবার 25 কেজি বস্তা সাড়ে ১৯০০ টাকা। যাইহোক বামুন্দিবাজারে একটি সরিষা ভাঙ্গানোর মেশিন রয়েছে সেখান থেকে টাটকা খৈল সংরক্ষণ করা যায় একটু বেশি দামে। আমি আর আমার বন্ধু উপস্থিত হয়েছিলাম কেনার জন্য। আমার বন্ধু মাত্র পাঁচ কেজি নিয়েছিল। কারণ তার একটাই পুকুর খুবই ছোট। আর এদিকে আমাদের সংরক্ষণ করতে হয় ৫-১০ বস্তা করে। যেখানে ৫০ বা ৭০ কেজির বাস্তা। তবে দামটা কেজিতে দুই তিন টাকা বেশি থাকায় নেওয়া হয়েছিল না আমার। আর আর এখন এর দাম বেড়ে গেছে অনেক যার জন্য আবারও কুষ্টিয়া অথবা চুয়াডাঙ্গার দিকে যেতে হবে সংরক্ষণ করার জন্য। সত্যিই জীবনটা কতই না অদ্ভুত। হয়তো ফটোগুলো সংরক্ষণ করে রেখেছিলাম বলেই গতবছরের স্মৃতি আর আজকের বর্তমান বাজারের অবস্থা অনুভব করতে পারলাম। যাইহোক এরপর কেনাকাটা শেষ করে বন্ধু ২৫ কেজির এক বস্তা চাল নিয়ে, একই মোটরসাইকেলে চড়ে বাড়ি ফিরে এসেছিলাম।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্ট বিবরণ
ব্লগার | sumon09 |
---|---|
ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন | বামুন্দি বাজার |
ক্যামেরা | 50mp |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনারা দুই বন্ধু সবসময় একসাথে চলাচল করেন সেটা আমি জানি। আর আপনারা বামুন্দি বাজারে কেনাকাটা করেন সেটাও আমি জানি। আসলে বামুন্দি বাজারটা অনেক বড় আর ছোট থেকেই আব্বুর সাথে সেখানে আমিও কেনাকাটা করতে যেতাম। তবে এখন ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। আর শাক সবজির কথা কি বলবো, সবকিছুর দাম অনেক বেড়ে গেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক কিছু জানতে পারলাম
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জিনিসের যে উচ্চ দাম মানুষ এত টাকা কোথায় পাবে তাছাড়া খাবে কিভাবে। সত্যি বলতে দাম বাড়ার সাথে সাথে সব জায়গায় হাহাকার বেড়ে গেছে। বিশেষ করে মানুষ দিন শেষে একটু ডাল ভাত খাওয়ার চেষ্টা করতেন। সেই জায়গায় এখন সবজির বাজারের অনেক দাম। তাছাড়াও ডিমের ডালের যা দাম অনেক বেড়ে গেছে। আর বাজারে ঘোরাঘুরি মজাই আলাদা। সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন অনেক ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ গত বছর আর এই বছর বাজারের ব্যাপক পরিবর্তন
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার দুই বন্ধু মিলে বামুন্দি বাজারে কিছু কেনাকাটার মুহূর্ত। আপনার কেনাকাটা মুহূর্তের পোস্ট পড়ে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। অবশেষে আপনার বন্ধু ২৫ কেজি এক বস্তা চাল কিনেছিল জানতে পারলাম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে। তারপরে আপনারা বাইকে চড়ে আবারো বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ মামা গতকালকেও গিয়েছিলাম
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া গত বছরে যে কোন জিনিসের দাম কম ছিল এখন সেগুলোর দাম অনেক বেড়ে গেল। গত বছর ৭০ থেকে ৮০ টাকা মরিচের দাম ছিল এখন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। আর এখন বাজার করতে গেলে এমনিতে মাথা ঘুরে। ২০২৩ সালের বাজার আর এখনকার বাজার সবকিছুর দাম অনেক তফাৎ। আর বর্তমানে সব জায়গাতে সবজির দাম হত এত বেশি বলে বোঝানো যাবে না। আর বাজারে গেলে ভালো এমনিতে অভিজ্ঞতা হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন আপনি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit