হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। এটার পূর্বে আপনারা দেখেছেন কুষ্টিয়ার রোটারী ক্লাবে আব্বার চোখ অপারেশন করতে নিয়ে যার প্রথম পর্ব, আজ আমি দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে উপস্থিত হয়েছি যেখানে কুষ্টিয়া রোটারি ক্লাবের কার্যক্রমের বিশেষ কিছু জানতে পারবেন। তাই চলুন দেরি না করে এখনই বিস্তারিত জানা যাক
কুষ্টিয়া রোটারী ক্লাবে কেবিন নেওয়ার পর কিছুটা সময় ধরে কেবিনের মধ্যে রেস্ট নিয়েছিলাম, কারণ দীর্ঘ পথ জার্নি করে এসে যেন ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম এবং কিছুটা সময় রেস্ট নিয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে সেই চিন্তায় অপেক্ষা করছিলাম বটে। যেহেতু এই কেবিলটাতে একবার থেকেছি, গত বছর আব্বার বাম চোখ অপারেশন করার জন্য এসেছিলাম। তাই এই কেবিনের মধ্যে একটু স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছিলাম যেহেতু নতুন রুম নয়। নতুন কোন রুমে অবস্থান করলে একটু আন ইজি লাগে। তবে সেই দিকটা থেকে যথেষ্ট মুক্ত ছিলাম। কেবিনের মধ্যে দুইটা বেড দেওয়া ছিল। একটাই আমার আব্বু আর আরেকটা আমি শুয়েছিলাম। আমরা কেবিনে প্রবেশ করার পূর্বে নিজ থেকে আমাদের বলে দেয়া হয়েছিল কিছুক্ষণ পর আপনাদেরকে ডাকার জন্য লোক যাবে, ওই মুহূর্তে আপনারা একটু রেডি থাইকেন তৃতীয় তলায় ডাক্তারের কাছে আসার জন্য। যাইহোক এভাবে কিছুক্ষণ পর আমাদেরকে ডাকতে আসলো যেহেতু আব্বার চোখের সমস্যা তাই লিফটের মাধ্যমে তৃতীয় তলায় নেমে নিয়ে গেলাম। সেখানে অনেক রুগীর ভিড়ে আব্বাকে সাথে নিয়ে লাইনে দাঁড়ালাম। এমন একটি মুহূর্তে ডাক্তার আমাদের সকলকে বের করে দিলেন, কোন রুগীর সদস্য ডাক্তারের রুমে প্রবেশ করে থাকতে পারবে না। তাই আমরা সকলে বাইরে চলে এলাম আর যারা চক্ষু রোগী ছিলেন তারা ডাক্তারের রুমে থাকলেন।
Photography device: Infinix hot 11s
location
কিছুটা সময় পার হওয়ার পর আব্বাকে ডাক্তার দেখলেন এদিকে আমি ডাক্তারের আলাদা চেম্বারে কিছুটা সময় বসে থাকলাম এবং ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করলাম। এমন একটা মুহূর্তে দেখলাম যে রুমে ডাক্তারের পরীক্ষা করে সেই রুমের পরীক্ষা করছে আব্বাকে তাই আমি একটু মনোযোগ সহকারে কিছু কথা শোনার চেষ্টা করলাম ডাক্তারের পরামর্শ । সেখানে ডাক্তারের বলেছিল কিছুক্ষণ পরপর যেয়ে নার্স চোখের ড্রপ দিয়ে আসবে এবং ঔষধ দিয়ে আসবে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। সন্ধ্যা সময়ে অপারেশন থিয়েটারে অপারেশন হবে। ডাক্তারের কিছু পরামর্শ শুনলাম এবং ডাক্তার দেখানোর শেষে আবার কেবিনে চলে গেলাম
Photography device: Infinix hot 11s
location
এরপর কিছুটা সময়ে ধরে একটি নার্স বারবার রুমের মধ্যে আসতে থাকলো এবং আব্বা চোখের ড্রপ দিতে থাকবো ও কয়েকটি করে ঔষধ এনে আমার হাতে দিতে থাকলে বলল ভাইয়া আপনার আব্বাকে এই ওষুধগুলো খাওয়ায়ে দিন। অনেক সুন্দর ব্যবহার এবং ভালোভাবে বুঝিয়ে বলছিল যে কয়বার উনি এসেছিলেন। ওনাদের পরামর্শ মত আমিও আব্বার সেবা দিতে থাকলাম। নার্স আপু আমাদের রুমে তিনবার এসেছিল লাস্টের সময় আমাদের বলেছিল ৫টার পরে আমরা যেন অপারেশন থিয়েটারের পাশে চলে যায়। আমি আব্বাকে প্রস্তুত করে সেখানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
location
শুনেছিলাম অপারেশনের রোগী মোট ২৯ জন তার মধ্যে আমার আব্বার সিরিয়াল ১৮ নম্বর। তবে ওই নার্স আপারটি বলেছিল আঙ্কেলকে আমি ১৮ থেকে আরও নিচে অপারেশন করে দেয়ার চেষ্টা করব যেহেতু আমিও অপারেশন থিয়েটারে থাকবো। আমার আব্বুর গত বছর চোখ অপারেশনে ওই নার্স আপার সাথে পরিচয় তাই উনি চেয়েছিলেন দেরি না করে আগেই অপারেশন করে কেবিনে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য। তবুও অপারেশন থিয়েটার এর আশেপাশে অন্যান্য মানুষদের মতো ওয়েট করতে হয়েছিল আমার এক থেকে দেড় ঘন্টা।
Photography device: Infinix hot 11s
location
মোটামুটি সাত আট নম্বর সিরিয়ালের দিকে আমার আব্বুর চোখ অপারেশন হয়ে গেছিল। তাই অপারেশন হোম থিয়েটারের নিকটে অবস্থান করছিলাম যখন দেখলাম আমার আব্বুকে উনারা হাত ধরে বাইরের দিকে আনছেন তখন আমি আব্বু হাত ধরে বাইরে নিয়ে এসে পায়ের স্যান্ডেল পরিয়ে দিলাম এবং লিফটে করে আবার চলে গেলাম তিন তলা থেকে পাঁচতলার কেবিনে। কুষ্টিয়া রোটারি ক্লাবে নার্সদের কথাবার্তা এবং কার্যকলাপ খুবই সন্তোষজনক ওরা খুবই সচেতন ভাবে দেখাশোনা করে থাকে। অপারেশন শেষে উনার আমাকে কিছু নিয়ম বলে দিয়েছিলেন যেন বেডে নিয়ে কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে, যে চোখ অপারেশন করা হয়েছে সেই চোখ উপরপানে রেখে ঘুমাতে দেওয়া হয়। শক্ত জাতীয় কোন কিছু খেতে দিতে হবে না। যাইহোক আব্বাকে নিয়ে কেবিনে ফিরে আমি তাদের পরামর্শ মত খেদমত করার চেষ্টা করলাম। আর এভাবে অপারেশনের কার্যক্রম সম্পন্ন হল।
Photography device: Infinix hot 11s
location
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |