নাটক রিভিউ || হাড় কিপটে || ৪৩ তম পর্ব

in hive-129948 •  5 months ago 


আজ - সোমবার

২৭ শ্রাবণ,১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১২ আগস্ট, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ


আসসালামু আলাইকুম



হাই! বন্ধুরা

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম হাড় কিপটি নাটকের ১০৫ পর্বের মধ্য থেকে ৪৩ তম পর্ব রিভিউ করে শেয়ার করার জন্য। আশা করি আমার এই রিভিউ পোস্ট আপনাদের অনেক অনেক ভালো লাগবে।


Screenshot_20240812-115923.jpg

স্ক্রিনশট: ইউটিউব


নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ


নামহাড় কিপটে
রচনাবৃন্দাবন দাস
পরিচালকসালাউদ্দিন লাভলু
অভিনয়েআমিরুল হক চৌধুরী, চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, মোশাররফ করিম, আ খ ম হাসান, শামীম জামান, শাহনাজ খুশি সহ আরো অনেকে।
দেশবাংলাদেশ
ভাষাআঞ্চলিক বাংলা
ধরণকমেডি,ড্রামা
পর্বের সংখ্যা১০৫
রিভিউ৪৩ তম পর্ব
দৈর্ঘ্য১৮ মিনিট
প্ল্যাটফর্মইউটিউব @banglavisiondrama চ্যানেল


চরিত্রেঃ

  • মোশাররফ করিম
  • আমিরুল হক চৌধুরীর
  • চঞ্চল চৌধুরী
  • বৃন্দাবন দাস সহ আরো অনেকে


কাহিনীর সারসংক্ষেপ

বেশ কিছুদিন ধরে হারাধন দত্তক কৃপণের দুই কুটুম তাকে গৃহবন্দী করে রেখেছে। অনেক কষ্টের পর প্রিয় বন্ধু নজর আলী কৃপণ তাকে দেখা করতে গিয়েছিল বাড়িতে। দুইজন বন্ধুর মাঝে বেশ ঝগড়া-বিবাদ হয় আবার একসাথে গল্প করে। ঠিক সেভাবে বন্ধু নজর আলী তাকে গল্পে গল্পে ডেকে আনলো তাদের বসে থাকা পুকুর পাড়ের সেই জায়গায়। কিন্তু সেখানেও তাদের মনের মিল হলো না বেশ গল্পের মাঝামাঝি একজন আরেকজনের প্রতিপক্ষের মতো তর্ক বিতর্ক লেগেই থাকলো। অতঃপর দেখা গেল বিভিন্ন কথায় কথা কাটাকাটি করে শেষ পর্যন্ত হারাধন দত্ত উপরে গোসল করার চেষ্টা করল কিন্তু নজর আলী কৃপণ তার পুকুরে বন্ধুকে গোসল করতে দিল না। তার বক্তব্য ছিল আমার পুকুরের পানি তোমার গায়ের ময়লায় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে, আমার পুকুরের পানির কি দাম নাই। এভাবেই যেন দুই বন্ধুর মাঝে বিরোধিতা লেগেই থাকে। প্রায় পড়বে আমরা একইভাবে লক্ষ্য করেছি দুই বন্ধু একে অপরকে না দেখলে থাকতে পারে না কিন্তু একসাথে হলে তাদের এভাবেই ঝগড়া-বিবাদ হতে থাকে। এটা যেন অন্যরকম এক ভালোলাগার অভিনয় ও আনন্দদায়ক বেশ কিছু কথা প্রকাশিত হয়।

Screenshot_20240812-115715.jpg

স্ক্রিনশট: ইউটিউব


এদিকে নজর আলী কৃপণের ছোট ছেলে বিয়ে করার জন্য বেশ পাগল হয়ে রয়েছে। নজর আলীর স্ত্রী জাব্বার আলীর সাথে কথা কারণ করেছে কিন্তু সেখানে কোন সমাধান হয়নি। বরঞ্চ মনের কষ্ট নিয়ে ফিরে এসেছে নজর আলী কৃপনের স্ত্রী। কিন্তু তার ছেলে তো আর জানে না মায়ের সাথে লাস্টে কি কথা হয়েছে। তাই সে তার মায়ের কাছে বলতে থাকলো মা সিজন বুঝে বিয়ে করলে ভালোলাগা থাকে। কোন সিজনে বিয়ে করলে বেশি ভালো হয় এমনই বিষয় নিয়ে মায়ের কাছে সে আলোচনা করছে কিন্তু তার মা তাকে এক কথায় বুঝিয়ে দিল তার বিয়ের বলে কোন কথা সেখানে হয়নি, বিয়ের কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। মায়ের মুখের এমন কথা শুনে বেশ মন ভেঙে গেল এবং কষ্ট পেল নজর আলীর ছোট ছেলে।

Screenshot_20240812-115742.jpg

স্ক্রিনশট: ইউটিউব


এদিকে নজর আলী কৃপণ এবং তার মেজ ছেলের মধ্যে সব সময় পরামর্শ চলতেই থাকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। গোল্লা তাদের বাড়িতে আসার পর বেশ ঝামেলা সৃষ্টি করেছে। কিন্তু তার আগে থেকেই তার দুইটা কুলাঙ্গার ভাই সবসময় তার বাবার প্রতিপক্ষ মত কাজ করে চলে। তাই মেজো ছেলে সব সময় দোষ সাব্যস্ত করে তার মাকে। মায়ের আস্পাধ্যায় তার দুইটা ভাই এমন হয়েছে। তাই সে কথায় কথায় বলে বসলো তার বাবা যদি তার মাকে বিয়ে না করত তাহলে তো আর এত কষ্ট পোহাতে হতো না। কিন্তু তার বাবা তাকে বলে বসলো আমি যদি তোর মাকে বিয়ে না করতাম তাহলে তুই হোতি কোথা থেকে। এখানে বেশ চমৎকার হাস্যকর কথাবার্তা ফুটে উঠেছে। নজর আলী কৃপণের ছেলে কৃপণ বহরালী তার বাবাকে সান্তনা মূলক এভাবেই বলে বসলো হয়তো আমি নাই হতাম কিন্তু আপনার তো এত কষ্ট পোহাতে হতো না। তাহলে বোঝা যাচ্ছে তার বাবার প্রতি কত মায়া মহাব্বত ও টান। কিন্তু তার বাবা এ সমস্ত কথাগুলো মোটেও সহ্য করতে পারল না সে চাচ্ছিল একটা সমাধান আসুক যেখানে তার শান্তি থাকবে। তার মা কেন তার প্রতিপক্ষের মত ব্যবহার করছে এটাই সে বুঝছে না। নাকি তার মা তার জন্য নতুন ষড়যন্ত্র জাল বুনাচ্ছে।

Screenshot_20240812-115837.jpg

স্ক্রিনশট: ইউটিউব


হারাধন দত্তের মেয়ে শিবানী মনে করছে নজর আলী চাচা বাড়িতে আশায় তার বাবার মনে আনন্দ ফুটেছে। মামারা তাকে গৃহবন্দী করে রেখেছিল। এজন্য তার বাবার মনে খুব কষ্ট লেগেছিল। তার বাবার বন্ধু আশাতে মামারা পালিয়েছে। শিবানী আরো মনে পড়ছে দুই বন্ধু বাইরে ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে বেশ আনন্দ করেছে এবং বেশ যুক্তি পরামর্শ দিয়েছেন নজর আলী। কিন্তু তাদের মধ্যে যে কথা কাটাকাটি হয়ে রাগারাগি হয়ে বাড়ি ফিরেছে এই বিষয়টা ভুলেও শিবানী বুঝতে পারছে না। শিবানির বাবা বারবার বন্ধুর সাথে কি হয়েছে না হয়েছে এবং কোন বিষয় মুখ থেকে বলতে চাচ্ছে না বারবার এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। একটি পর্যায়ে শিবানীর মুখ দেখার সেই ৩০০ টাকার কথা উঠালে শিবানী মনে হচ্ছে যেন মনে করতে পারছে না টাকাগুলো কোন মামার হাতে দিয়েছে। তাই তার বাবা এটা নিশ্চিত যে শিবানীর কাছে টাকাগুলো রয়েছে। দেখা গেল শিবানী এড়িয়ে গেল তার বাবার কথা।

Screenshot_20240812-205529.jpg

স্ক্রিনশট: ইউটিউব


এদিকে বহর মেজ ভাই হয়েও কিভাবে বড় ভাইয়ের হাত থেকে লুঙ্গি সিনিয়র এটাই গোল্লার মাথায় আসছে না। আর সে লুঙ্গিটা তো দিয়েছিল বড় ভাইয়ের প্রেমিকা। বহর কেন এত লোভী হল। এই নিয়ে বিভিন্ন কথার মাঝে হঠাৎ বহর এসে বলল লুঙ্গিটা কিন্তু তার হয়ে গেছে। কারণ বড় ভাইয়ের প্রেমিকা চুমকি তাকে ভাবি ডাক ডাকার কারণে লুঙ্গিটা তাকে দিয়ে দিয়েছে। বড় ভাইকে পরবর্তীতে আরেকটা লুঙ্গি সে দিয়ে দিবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যেখানে বড় ভাই লুঙ্গির জন্য আফসোস করছে মিটিং করছে সেখানে সবার মুখের কথা বন্ধ করে দিল সামান্য এই কথার মধ্য দিয়ে। দেখা গেল খুব সহজেই বহরের জয় হল।

Screenshot_20240812-115914.jpg

স্ক্রিনশট: ইউটিউব


ব্যক্তিগত মতামত:

হাড় কিপটে নাটকটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এ নাটকের বিভিন্ন অংশে বেশ আনন্দদায়ক কথাবার্তা এবং অভিনয় মন মুগ্ধ করে তোলে। ঠিক তেমনি ভালোলাগার বেশ কিছু অভিনয় ছিল এই পর্বে। যেখানে ২ কৃপণের মধ্যে বেশ বাকদ্বন্দ্ব লক্ষ্য করা গেছে। আরো লক্ষ করা গেছে খুব সহজে বহর একটি লুঙ্গির নিজের করে নিল। আরেক দিকে বেশি লক্ষ্য করা গেছে এখন পর্যন্ত শিবানীর মুখ দেখার টাকাটা পাওয়ার প্রত্যাশায় তার কৃপণ বাবা। অন্যদিকে নজর আলীর ছোট ছেলে বিয়ের জন্য পাগল প্রায়। সব মিলে বেশ দারুণ অভিনয় ছিল এই পর্বে। সবচেয়ে সুন্দর অভিনয় হয়েছে দুই কৃপণের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ নিয়ে। এ পর্বের শুরুতে যেন অন্যরকম আকর্ষণ সৃষ্টি করেছিল।


ব্যক্তিগত রেটিং:

৮.৭৫/১০

নাটকের লিংক


সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন নাটক রিভিউতে, ততক্ষণ ভালো থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটা নাটক এর রিভিউ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই নাটকটা আমার কাছে কতটা ভালো লাগে তা আপনাকে বলে বোঝানো সম্ভব নয়। যখনই সময় পাই তখনই এই নাটকটা দেখতে শুরু করে দেয়।

মন ফ্রেশ রাখতে এই নাটকের প্রয়োজন

এই নাটকটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমিও মাঝে মাঝে দেখার চেষ্টা করি। অনেক সুন্দর বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় নাটক হাড়কিপটে। এ নাটকের বেশ কিছু পর্ব আমি ইতোমধ্যে দেখেছি। মাঝেমধ্যে সুযোগ পেলে দেখার চেষ্টা করে থাকি। এতে মন খুব ভালো থাকে।

বাকিগুলো দেখার আহ্বান রইল।

মামা আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন হাড় কিপটে নাটকের ৪৩ তম পর্ব রিভিউ করে। আপনার পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আমি প্রথম দিকে এই নাটকের বেশ কয়েকটি পর্ব দেখেছিলাম। আসলে পর্ব আকারে নাটকগুলো দেখতে অনেক সময়ের ব্যাপার তাই আর দেখা হয়নি। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

বাকিগুলো শেয়ার করব ইনশাল্লাহ।

এ নাটকটির বেশ কয়েকটি পর্ব আমি দেখেছিলাম। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। আর এত সুন্দর করে রিভিউ তুলে ধরেছেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করার জন্য।

বাকিগুলো দেখে নেবেন

হাড় কিপটে নাটকটার রিভিউ আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখতে দেখতে এই নাটকটার ৪৩ টা পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছে। আর আপনি একে একে প্রত্যেকটা পর্বের রিভিউ শেয়ার করছেন, এ বিষয়টা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বহর একটা লুঙ্গি নিজের করে নিয়েছে অনেক সহজে, এই বিষয়টা তো দেখছি একেবারে অন্যরকম ছিল। অপেক্ষায় থাকলাম এই নাটকের পরবর্তী পর্বের রিভিউ পড়ার জন্য। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন পরবর্তী পর্বে রিভিউ।

সুন্দর মন্তব্য করেছেন।

আমাদের দেশের নাটক গুলো অনেক জনপ্রিয়। কারন আমাদের দেশে নাটক গুলা দেখলে এমনিতে মন ভালো হয়ে যায়। হাসি তামাশার পাশাপাশি আমাদের দেশের নাটকের মাধ্যমে অনেক ভালো কিছু দেখা যায়। হাড় কিপটে নাটক আমার অনেক পছন্দের একটি নাটক। আপনি অনেক দিন ধরে নাটকের পর্ব গুলা আমাদের মাঝে শেয়ার করে আসছেন। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি নাটক আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ এই নাটকগুলো খুবই ভালো লাগে।

অনেক দিন আগের নাটক কিন্তু এখন পর্যন্ত পুরো দমে মানুষকে বিনোদন দেয়।