জেনারেল রাইটিং || হিংসা

in hive-129948 •  6 months ago 


আসসালামু আলাইকুম


হাই
বন্ধুরা!

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। প্রথমে বলে রাখি,
মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়, ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি সুন্দর একটি জেনারেল রাইটিং নিয়ে। যেখানে হিংসা বা প্রতি হিংসা নিয়ে কিছুটা আলোচনা করব।


Picsart_24-07-07_19-53-34-397.jpg


আলোচনার বিষয়:
হিংসা


আমি মনে করি হিংসা একটি মানসিক ব্যাধি রোগ। যে রোগ মনের মধ্যে মানুষ পুষে রাখে। আর এই হিংসার জন্য একজন মানুষ আরেকজনের কাজকর্মে ব্যাহত করে, স্বাভাবিক জীবনযাপনে ব্যাহত রাখে। এমনকি নিজেও সেই রোগের ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরা সমাজে বাস করি। সমাজে বাস করতে হলে আমাদের সবার কম বেশি মিল মহব্বত থাকা প্রয়োজন, একে অপরের সহনশীল মনোভাব নিয়ে সহায় রাখা প্রয়োজন। কারণ কে কখন কোন বিপদের পড়ে না পড়ে সমাজের একজন আরেকজনের সহায়তা প্রয়োজন হয়ে থাকে। মানুষ যখন বুঝতে শিখেছে একে অপরের সহায়তা প্রয়োজন তখন থেকে সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস শুরু করেছে। কিন্তু দেখা যায় এই সমাজবদ্ধ মানুষের মধ্যে প্রতিহিংসা মনোভাব নিয়ে অনেকে বাস করে থাকে আর এ প্রতিহিংসার মাধ্যমে একে ওপরে ক্ষতি করে বসে।

সমাজ জীবনে ছোট থেকে বড় হতে অনেক প্রতিহিংসা লক্ষ্য করেছি। এর প্রতিহিংসা মানুষের জীবনকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। তবে প্রতি হিংসা করা মানুষদের কখনো উন্নতি করতে দেখি নাই বরঞ্চ তাদের অবনতি বেশি লক্ষ্য করেছি। ঠিক এমনই একজন প্রতি হিংসা মূলক ঘটনা আপনাদের মাঝে কিছুটা শেয়ার করব। একটা বাড়িতে দুইটা মেয়ে ছিল তারা দুজনেই বিয়ের উপযুক্ত। তাদের বাড়িতে বেশ অনেক পাত্রপক্ষ দেখা করতে কিন্তু তারই বাড়ির নিকটের একজন ব্যক্তির সব সময় তাদের বিবাহ ভেঙে দেয়। যখনই বিয়ে ভেঙ্গে যায় তখনই সে আনন্দ পায় এবং মাঝেমধ্যে নিকটস্থ মানুষদের কাছে বলে অমুকের বিয়ে এতটা ভেঙে দিলাম। তার এই আচরণগুলো অনেকে শুনে হাসাহাসি করে আবার অনেকেই খারাপ দৃষ্টিতে দেখে থাকে। এই যে প্রতিবেশী হিসেবে একটা হিংসা মনোভাব সত্যিই বড় বেদনাদায়। ঠিক সমাজে এভাবে অনেক প্রতিহিংসা হিংসা কার্যক্রম লুকিয়ে রয়েছে সমাজ জীবনের অন্তরালে।

তবে আমরা যারা এই মনোভবে ব্যতিব্যস্ত রয়েছে, অবশ্যই মন থেকে হিংসা মনোভাব দূর করতে হবে। কারণ দুনিয়াটা খুব সীমিত সময়ের। আর এই সীমিত সময়ের মধ্যে কে কখন দুনিয়া ছেড়ে চলে যায় তার নেই ঠিক। আমরা জানি একজন আরেকজনের মনে কষ্ট দিয়ে মরার আগে যদি মাফ না চেয়ে যেতে পারে, তার জন্য কঠিন শাস্তি গ্রহণ করতে হবে আখিরাত জীবনে। এছাড়াও প্রতিহিংসার খুব খারাপ প্রভাব ও ফল লক্ষ্য করা যায় বিভিন্ন মাধ্যমে। যার জন্য অনেকের সংসার ভাঙ্গা বা কেস কাছারি পর্যায়ে চলে যায়। তাই সর্বদা আমাদের এই হিংসা বিষয় থেকে নিজেদেরকে হেফাজতে রাখতে হবে,একে অন্যের প্রতি দয়ালু মনোভাব পোষণ করতে হবে। কোন ব্যক্তি যদি কখনো কারোর প্রতিহিংসামূলক কাজ করে ক্ষতি করে হাসাহাসি করে, অবশ্যই তাকে বোঝাতে হবে যেন সে এই খারাপ কাজ থেকে নিজেকে এড়িয়ে চলতে পারে।

এছাড়াও হিংসা বিষয়ে বেশ গবেষকের মুখের কথা আমি শুনেছি মিডিয়ার মাধ্যমে এবং সরাসরি। এই হিংসা মনোভাব নাকি স্ট্রোকের অন্যতম কারণ। যারা মনের মধ্যে হিংসা পুষে রাখে তারা নিজেরাই মানসিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায় এমনকি শারীরিক যে কোন অসুখে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কারণ যাদের মন মানসিকতা ফ্রেশ মনের মধ্যে কোন দুশ্চিন্তা এবং খারাপ চিন্তা পুষে রাখে না তারা অনেকটা মানসিক দিক থেকে সুস্থ থাকে। তাই এই সমস্ত বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রেখে পাপ পুণ্যের বিষয় মাথায় রেখে অবশ্যই সঠিক পথে চলার প্রয়োজন। কারণ আপনার আমার মাধ্যমে সুন্দর সুস্থ সবল একটা সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হবে, সৃষ্টি হবে সমাজ ব্যবস্থা।

পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ

qjrE4yyfw5pEPvDbJDzhdNXM7mjt1tbr2kM3X28F6SraZgB7TZjdex8Jfeum4QdvWrYyVKf1TVdkBn3Afz5h9WN46gBh4J5bjeVSUjgbCkhDF2MvcDktfM1Q.jpeg


পোস্ট বিবরণ


বিষয়হিংসা
ফটোগ্রাফি ডিভাইসInfinix Hot 11s
Photo editing apppicsart app
লোকেশনগাংনী-মেহেরপুর
ব্লগার@sumon09
দেশবাংলাদেশ


পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলে ভাইয়া হিংসা মোটে ও ভালো দিক নয়। সত্যিই তো দুদিনের দুনিয়ায় আমরা কতো হিংসা করে থাকি।আসলে হিংসা তুল্য পাপ নেই। তাই আমাদের সবার উচিত হিংসা থেকে দূরে থাকা। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর লিখেছেন।

হ্যাঁ এই বিষয়টা আমাদের বুঝে চলতে হবে।

ভাইয়া হিংসা এমন একটি জিনিস মানুষকে ক্ষতবিক্ষত করে। হিংসে করে কখনো কেউ উন্নতি করতে পারে নাই। এমন এমন হিংসা আছে মানুষ ছোটকাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হিংসে করে থাকে। তবে এটি একদম ঠিক হিংসা মনের ভিতর পুষি রাখলে অনেক সময় মানুষ স্টক করে ফেলে। আর হিংসা হচ্ছে এক ধরনের ক্যান্সারের মত। সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন