হাই বন্ধুরা!
কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি মায়ের অপারেশনের জন্য ঢাকা সাভার জাহাঙ্গীরনগর এরিয়া থেকে প্রথম বারের মত ঢাকা পান্থপথের হেল্থ এন্ড হোপ হসপিটাল এ যাওয়ার দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে। আশা করব এই পোস্ট করার মধ্য দিয়ে আপনারা অনেক কিছু জানতে পারবেন। আর আমি বাস্তবতার সম্মুখীন বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করবো প্রত্যেকটা পর্বে। ইনশাল্লাহ এ থেকে আপনারা অনেকে অনেক বিষয় জানবেন এবং উপকৃত হবেন। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করে দ্বিতীয় পর্ব।
Infinix Hot 11s
গাড়িটা আমাদের নিয়ে পান ধোয়া বাজার অতিক্রম করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এরিয়ার দিকে প্রবেশ করল। যেতে পথে বাম সাইডে রয়েছে ক্যান্টনমেন্ট ডান সাইডে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় বিল্ডিংগুলো। প্রতিনিয়ত এখানে শত শত মানুষ আসা-যাওয়া করে। বিভিন্ন স্থান থেকে অনেকেই চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার হোক অথবা কোন মেস বা বাসা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। অনেকে চাকরিজীবীরা রয়েছেন পরিবারসহ এই গ্রামের এই প্রান্তে বাসা ভাড়া নেওয়ার চেষ্টা করে বেশি। পুলিশ আর্মি থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণীর পেশাজীবী মানুষের আবির্ভাব, বাসা ভাড়া নিয়ে থাকা সকাল বিকাল এ রাস্তায় ব্যায়াম করতে বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোজা রাস্তায় হাটাহাটি ব্যায়াম করা এ সমস্ত কাজে লিপ্ত থাকেন। আর এই সমস্ত বিষয়গুলোই আমরা কম বেশি আলোচনা করলাম এবং গাড়ি আমাদের বহন করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকলো। যেখানে সামনে রয়েছে ঙ্গামাটি প্লেগ্রাউন্ড, বিশমাইল স্তম্ভ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর প্রান্তের গেট।
Infinix Hot 11s
আমি প্রায় দিন সন্ধ্যার সময় এই মাঠে এসে বসেছি। এদিকে সেদিকে ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে সন্ধ্যাবে মাগরিব হয়ে গেলে অন্যান্য মানুষের সাথে মিশে গেছি এই মাঠের যে কোন স্থানে। বেশ আমার কাছে প্রিয় একটি স্থান হয়ে গেছিল এই রাঙ্গামাটি প্লেগ্রাউন্ড। দীর্ঘ এক মাস ৩৫ দিন মতো অবস্থান করাই যথেষ্ট চলাচল হয়ে উঠেছিল এখানে। যার জন্য এই ফটোগুলো চোখের সামনে আসলে মনে হয় যেন এখনো সেখানেই অবস্থান করছি আমি। চলতি পথে এ সমস্ত স্থানগুলো যখন দেখছিলাম তখন যেন কিছুটা ভালোলাগা মনের মধ্যে অবস্থান করেছিল। এসব স্থান নিয়ে গল্প করায় মায়ের অপারেশনের বিষয়টা মন থেকে একটু দূরে থাকছিল এবং ভয়-ভীতিটা টেনশন টা জেনো মন থেকে চাপা পড়ছিল। লাস্টের ফটোতে যে অটো গাড়ি গুলো যাচ্ছে গিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ অর্থাৎ এটা সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের এরিয়া। সব সময় দুইজন গার্ড থাকেন। অচেনা অটো গাড়ি এর ভেতর প্রবেশ করতে দেয় না। আমরা একদিন ছোট মামার প্রাইভেট কার নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করছিলাম কিন্তু ওই মুহূর্তে প্রবেশ করতে দেয়নি। পায়ে হেঁটে চলতে হবে অথবা একান্তর স্থানীয় রিক্সা এর অটো গাড়িগুলো প্রবেশ করতে পারবে। তবে নির্দিষ্ট কোন একটা লাইসেন্স রয়েছে যাদের তারাই প্রবেশ করতে পারে এই সোজা।
Infinix Hot 11s
আমার নানা বীর মুক্তিযুদ্ধ আর্মি ওয়ারেন্ট অফিসার ছিলেন। বিভিন্ন সেনানিবাসে চাকরি করেছেন এবং সেই সমস্ত এলাকায় জমি কিনেছেন। খালাম্মারা এখানে যে বাসাটা তৈরি করেছেন সেই জমিটা আমার নানা কিনেছিলেন। অনেক দীর্ঘদিন সাভারের ক্যান্টনমেন্টে চাকরি করেছিলেন। তাই আমার খালাম্মা এবং আম্মা এই সমস্ত এরিয়া গুলো খুব ভালো করে চিনেন। দীর্ঘদিন পর সেখানে উপস্থিত হতে পেরে পুরনো দিনের কথা স্মরণ করছিলেন। ভাগ্যক্রমে খালাম্মা নানার আটকাটা জায়গার থেকে পাঁচ কাটা জায়গা দখলে রাখতে পেরেছেন। আমার নানা জমিটা প্রায় হারিয়ে ফেলেছিলেন। যাই হোক এই সমস্ত কথাগুলোই গাড়িতে বসে চলছিল এবং পুরাতন দিনের সে সমস্ত স্মৃতি নিয়ে তারা বলাবলি করছিল এবং আমি তা শুনছিলাম। যতদিন যাচ্ছে তত ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এবং পথঘাটের। আমার আম্মা যখন ছোট ছিলেন তখন এখানে অনেক খারাপ অবস্থা ছিল কবে ঘাটের। কিন্তু এখন কত সুন্দর ভাবে এসব পরিপাটি করে চলাচলের উপযুক্ত হয়ে গেছে গ্রাম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এরিয়া গুলো। এদিকে স্টাফদের জন্য মসজিদ নির্মাণ হয়েছে। বিশমাইল বাজার টা অনেক উন্নত হয়ে গেছে। যাইহোক এভাবে একটা মুহূর্তে আমরা পৌঁছে গেলাম বিশমাইল গেটে। সেখানে গাড়ি ভাড়া পরিশোধ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল গেট অতিক্রম করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম।
Infinix Hot 11s
যেহেতু আমাদের ঢাকা সাভার হয়ে ধানমন্ডি ৩২ পর্যন্ত বাসে যেতে হবে। তাই এখান থেকে ফ্লাইওভারে রাস্তা ক্রস করতে হবে। খালাম্মাকে বললাম আমার হাত ধরে যেন ফ্লাইওভারের উঠে পড়েন। আর বাকি প্রয়োজনীয় কাগজপাতির ব্যাগটা আমার কাছে। কিন্তু আমি লক্ষ্য করে দেখলাম অপারেশন করার পূর্বে আমার আম্মার যথেষ্ট সুস্থ ছিলেন। তিনি আমার খালাম্মার আগেই ফ্লাইওভারে দ্রুত উঠে চলে গেলেন ধরা লাগলো না। এদিকে আমি এদিকে সেদিকে দু-একটা করে ফটো ধারণ করতে থাকলাম। আর চারিদিকে মানুষের চলাচল, গাড়ি চলাচল লক্ষ্য করতে করতে এগিয়ে গেলাম ধানমন্ডি ৩২ গামী বাসের উদ্দেশ্যে। বিস্তারিত আগামী পর্বে শেয়ার করব।
Infinix Hot 11s
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্ট বিবরণ
ব্লগার | sumon09 |
---|---|
ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন গাংনী | What3words |
ক্যামেরা | 50mp |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া প্রথমে আপনার মায়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো। মহান সৃষ্টি কর্তার অশেষ রহমতে যেন তিনি আবার খুব সুস্থভাবেই আপনাদের মাঝে ফিরে আসেন সেই কামনা করি। আপনাদের আগের পর্ব আমি দেখেছি। তাই আজকে দ্বিতীয় পর্বটি দেখেও আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। তবে আপনার মায়ের জন্য অনেক দোয়া রইল। ধন্যবাদ ভাই শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit