জেনারেল রাইটিং: বিবাহ বিচ্ছেদ || দ্বিতীয় পর্ব

in hive-129948 •  7 months ago 


আসসালামু আলাইকুম


হাই
বন্ধুরা!

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। প্রথমে বলে রাখি,
মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়, ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আজকে আমি আবারো আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি সমাজের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য, আশা করি আমার এই আলোচনা আপনাদের ভালো লাগবে এবং এই বিষয়ে যথেষ্ট সজাগ হবেন।


Picsart_24-06-08_23-20-41-930.jpg


আলোচনার বিষয়:
বিবাহ বিচ্ছেদ



প্রত্যেকটা স্বামী বিবাহের পর স্ত্রীকে অনেক সুন্দর করে বোঝানোর চেষ্টা করেন তার পারিবারিক বিষয়ে। কিভাবে এই বাড়িতে মেনে চলতে হবে,কোন আচরণ কোন ব্যবহারগুলো পরিবারের মানুষ পছন্দ করবে সেগুলো বলার চেষ্টা করে। তার মানে এই নয় যে স্বামী তার কাছে মাথা নত করছে। বিষয়টা হচ্ছে, সুন্দর সংসার গড়ার জন্য অনেক কিছু বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এই জায়গায় অনেক স্ত্রীরা স্বামীর দুর্বলতা খোঁজে পরিবারের দুর্বলতা খোঁজে। যারা সবার সাথে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রেখে সংসার করতে আসে তারা কখনো দোষ ছুতনো খোজেনা। আর যাদের মনোভাব খারাপ তারা সবসময় চেষ্টা করে নতুন পরিবেশের দোষগুলো খুঁজি এবং বাবার বাড়ি পার করে। আর এখানে শুরু হয় মেয়ের মায়ের কুটনামি। মেয়ের মা যদি সুন্দর করে বুঝিয়ে বলে তোমার নতুন পরিবেশ তোমাকে মানিয়ে নিতে হবে তাহলে আলহামদুলিল্লাহ, সেই মেয়ের পরিবার টা টিকে যাবে এবং ভালো হবে। আর যদি মেয়ের মা মেয়েকে কুচিন্তার শিক্ষা দেয়, সেই মেয়ের সংসার ভাঙবে ১০০ ভাগের ৯৯ ভাগ গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। আর সমাজে এমনটাই প্রতিনিয়ত হচ্ছে।

মেয়ের মা তো আর সে নতুন পরিবেশে এসে সংসার করছে না। নতুন পরিবেশের খাপ তার মেয়েকে খেতে হবে, তাই তার উচিত মেয়েকে ভালো শিক্ষা দেওয়া,যেন তার সংসার টা টিকে। কিন্তু অধিকাংশ মেয়ের বাবা-মা মেয়েকে বিবাহ দেয়ার পর মেয়েকে পূর্বে যেভাবে পরিচালনা করত তার চেয়ে চিন্তা ভাবনা করে জামাই কেউ নিজেরা পরিচালনা করবে। তাদের এমন সিদ্ধান্ত মেয়ের সংসারের জন্য বড় ক্ষতিকর । কিন্তু কখনো কোন জামাই বা হাজবেন্ড এগুলা মানতে পারে না। আর এখানেই সৃষ্টি হয় মনের দ্বন্দ্ব। প্রথমত সেই ভিকটিম জামাইরা মুখ ফুটে কিছুই বলে না, শুধু সহ্য করে। মনে মনে ভাবতে থাকে, হয়তো একদিন শ্বশুর বাড়ির লোকজন বুঝবে। আর কখনো আমাকে পরিচালনা করতে চাইবে না। তারা চাইবে মেয়ের জামাই তাদের নিজ জ্ঞানে নিজের বুদ্ধিতে সুন্দর সংসার গড়ে। কিন্তু দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনেক শ্বশুর শাশুড়ি শুধরায় না বরঞ্চ মেয়ে জামাইকে পরিচালনা করার চেষ্টা চালিয়ে যায়।

বিয়ের পর একজন পুরুষের মাথায় অনেক টেনশন আসে। একদিকে নিজের চলার মত স্বচ্ছলতা চিন্তাভাবনা, নিজের পরিবারকে সামলিয়ে রাখা প্রয়োজনীয় জিনিস দেওয়া হাসিখুশি রাখার চিন্তা। পারিবারিক বিভিন্ন চাহিদা পূরণ, নতুন আত্মীয়দের সাথে আত্মীয়তার বন্ধন বজায় রেখে চলতে হলে আর্থিকভাবে সচ্ছল থাকতে হবে। আর এর সমস্ত বিষয়ের পেছনে বড় চিন্তা নিজের অর্থ। যারা অধিক পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারে দৈনিক, সে সমস্ত মানুষগুলো অনেক সময় হিমশিম খেয়ে যায়। আর যেখানে একজন শিক্ষিত বেকার মানুষ, তার জন্য জীবনটা বেশ কঠিন। তবুও অনেক বিষয় সে হজম করে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে চলার চেষ্টা করে। তবে এই সমস্ত বেকার মানুষের মনের একটা আশা থাকে নিজের বউ সবসময় যেন তাকে উৎসাহ দেয় এবং পাশে থেকে সাপোর্ট করে মানসিকভাবে। তাহলে একজন বিবাহিত পুরুষ মানসিক প্রশান্তি নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।

বিস্তারিত থাকছে তৃতীয় পর্বে। পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ

qjrE4yyfw5pEPvDbJDzhdNXM7mjt1tbr2kM3X28F6SraZgB7TZjdex8Jfeum4QdvWrYyVKf1TVdkBn3Afz5h9WN46gBh4J5bjeVSUjgbCkhDF2MvcDktfM1Q.jpeg


পোস্ট বিবরণ


বিষয়বিবাহ বিচ্ছেদ
ফটোগ্রাফি ডিভাইসInfinix Hot 11s
Photo editing apppicsart app
লোকেশনঢাকা সাভার, জাহাঙ্গীরনগর
ব্লগার@sumon09
দেশবাংলাদেশ


পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

received_434859771523295.gif


পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সবাই। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkLbdtHEKTgRBCYd7pi9pJd6nDf4ZPaJpEx3WAqvFVny2ozAtrhFXaDMnAMUAqtLhNESRQveVFZ7XHcED6WEQD48QkCkVTAvNg6.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

ভাইজান আপনার কথাগুলোর সঙ্গে আমি একমত কারণ আমিও একটি বিবাহিত ছেলে সব বিবাহিত ছেলেরাই স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করে সংসারটি গড়ে তোলার জন্য। কিন্তু তারা সব সময় উল্টা বোঝার চেষ্টা করে ভালো বোঝাতে গেলেই মনে হয় যেন ঝামেলা বেধেই গেল। আসলে কথায় আছে সংসার সুখের হয় রমণীর গুনে। বর্তমান যুগে রমনীরা বেশি খারাপ হয়ে যায় তার মা এবং বড় ভাবি থাকলে তারা সব সময় উল্টা বুঝানোর চেষ্টা করে। এ থেকেই বেশিরভাগ মেয়ের সংসার নষ্ট হয়ে যায়। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আপনি আজ পোস্ট লিখেছেন।

এজন্য তো অনেকে বলে থাকে কিছু কিছু মেয়েদের বুদ্ধি হাঁটুতে থাকে