সাতক্ষীরা লেক ভিউ পার্কের সুন্দর দৃশ্য আমরা তিন বন্ধু মিলে ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। এতটাই মনোমুগ্ধকর ভাবে মিউজিক বাল্ব লাগিয়ে সাজানো ছিল কিন্তু এই বিষয়ে আমাদের ধারণায় ছিল না। শুধু তার চারিপাশের সৌন্দর্য আমরা দেখেই মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম। আর যখনই সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলো তারপর চারিপাশের মিউজিক বাল্ব গুলো যখন জ্বালিয়ে দিয়েছে এতে করে যেন সৌন্দর্য আরো ফুটে উঠলো আমাদের মাঝে। মন হচ্ছিল আর হোটেলের দিকে ঘুরে না যায়। সারা রাতটা এখানেই কাটাতে থাকি। আমরা যেই হোটেলে উঠেছিলাম সেই হোটেলটা কিন্তু এখান থেকে পাঁচ ছয় কিলো দূরে। তারপরেও জনাকীর্ণ পরিবেশ, মানুষের আগমন বাড়তে থাকলো সন্ধ্যার পর থেকে। এইজন্য আমাদের ভালো লাগাটা আরও বেশি বাড়তে থাকলো।
Photography device: Infinix hot 11s
Lake-View
আমরা তিন বন্ধু সিদ্ধান্ত নিলাম যেহেতু এখানে এসেই পড়েছি আবার কবে আসবো কিনা তার নেই ঠিক। কিছু না হলে অত্যন্ত কফি তো খেয়ে যাই। সুন্দর একটি গোলপুকুর তার মাঝখানে রয়েছে দোতলা একটি দারুণ রেস্টুরেন্ট। যেখানে নিম্ন থেকে হাই লেভেলের সকল পর্যায়ের খাবার পাওয়া যায়। যাইহোক আমরা তিন বন্ধু আর সাথে থাকা দুই বান্ধবী পাঁচজন চলে গেলাম রেস্টুরেন্টের নিচের তলার মনোমুগ্ধকর সেই পরিবেশের মধ্যে। দুই বান্ধবী বলতে আমাদের সাথে অনার্স মাস্টার্স করেছে একজন বিবাহিত বোন আর অন্যজন ঢাকা থেকে আসা আমাদের ওই বান্ধবীর রুমমেট। অবশ্য সুন্দর ভাবে সিঁড়ি দিয়ে যাওয়ার জন্য দারুন ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে যেখানে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকলো সন্ধ্যার পর থেকে।
Photography device: Infinix hot 11s
Lake-View
দেখলাম এখানে অনেক মানুষ অবশ্য এসে উপস্থিত হয়ে গেছে এবং সিট আস্তে আস্তে পূরণ হয়ে যাচ্ছে না জানি কিছুক্ষণ পর দাঁড়িয়ে থাকা লাগে। তাই আমরা পাঁচজন সবকিছু চারিপাশে ঘুরে দেখতে দেখতে ফটোগ্রাফি করতে করতে সুন্দর একটি চেয়ার টেবিল দেখে বসে পড়লো আমার বন্ধু সকল। এরপর একে অপরে বলতে থাকলো কি খাবা অর্ডার করো আমি বললাম তোমাদের যা ইচ্ছে অর্ডার করে ফেলো আমি আরেকটু ফটো উঠিয়ে নি। কিন্তু তারা হা করে বসেই থাকল আর কি কোন গল্প নিয়ে ব্যস্ত হল আমি যতক্ষণ না বসলাম ততক্ষণ কোন কিছু অর্ডার করা হয়ে উঠল না তাদের।
Photography device: Infinix hot 11s
Lake-View
দারুন এক আনন্দঘন পরিবেশে আমরা বিভিন্ন পর্যায়ের গল্পে মেতে উঠলাম এরপর পাঁচজনের পাঁচটা কফি অর্ডার করে দিলাম। কিছুক্ষণ পর আমাদের মাঝে কফি নিয়ে বয় উপস্থিত হলো। বেশ কিছুক্ষণ আমরা গল্পে মেতে থাকলাম। যেহেতু আমাদের এখানে আমরা চারজন ফ্রেন্ড, একজন মেয়ে বন্ধু ছিল আমাদের। অবশ্য সে খুবই ভালো একজন হাসিখুশি মনের। আরেকজন মেয়ে সে ঢাকা থেকে আগত যেহেতু পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম সবাই। তখন হুট করে ঢাকার মেয়েটা আমাদের বান্ধবীকে বলে বসলো 'এরা তিনজন আপনার ফ্রেন্ড?এরা এমন কেন?। তাদের মাঝে কি কথা হয়েছিল সেটা অবশ্য আমার জানা ছিল না তবে আমার বান্ধবী এক কথায় বুঝিয়ে দিল 'আমার হাজব্যান্ড আমার চেয়ে এদেরকে বেশি বিশ্বাস করে, তাই এদের হাতে আমাকে তুলে দিয়েছে। যেন ভালই ভালই পরীক্ষা দিয়ে বাসায় পৌঁছে দেয়। আমরা চারজন বাংলায় অনার্স মাস্টার্স করেছি তো তাই আমরা হাসি আড্ডা একটু পছন্দ করি তবে লিমিটের মধ্যে। তখন সেই মেয়েটা বুঝতে পারলো আমাদের বিষয়ে।
Photography device: Infinix hot 11s
Lake-View
হঠাৎ করে ঢাকা থেকে আসা মেয়েটা বলে বসলো ওই ভাইয়াটাকে মনে হচ্ছে একটু অহংকারী। এরা দুইজন কখন থেকে আমার সাথে কথা বলার চান্স নেয়ার তালেই রয়েছে। যে কয়টা দিন এসেছি মিলন ভাইয়া জুলহাস ভাইয়া আমার সাথে কথা বলছে কিন্তু উনি কখনো কথা বলেনি। তখন আমাদের বান্ধবীর তার রুমমেটকে বুঝিয়ে দিল। এখানে তিনটা বন্ধুর মধ্যে আমার ওই বন্ধুটা সবচেয়ে বেশি ভালো আমার কাছে। সে কথাবার্তা কম বললেও আমার হাজব্যান্ড তাকে বেশি বিশ্বাস করে তিনজন বন্ধুর মধ্যে। সুমন কিন্তু কথা বলা শুরু করলে বেশ সুন্দর ফানি ভাবে কথা বলে,তবে তার সাথে যে বেশি পরিচিত ঠিক সেই জায়গায়। অপরিচিত মানুষের কাছে না, অপরিচিত মানুষের সাথে তার খাপ করতেও দেরি হয়। তখন আমি আর কোন কথা সহ্য করতে না পেরে বললাম আমাকে নিয়ে বেশি বিশ্লেষণ না করলেই ভালো, আমি ভালো মানুষও নয় খারাপ মানুষও নয়। যার দৃষ্টিতে যেমন লাগবে ঠিক তেমন। তারপর মেয়েটা আমার কাছে একটু মাফ চেয়ে নিলে। বললো ভাই আমি আপনাকে কিছুটা ভুল বুঝেছিলাম,কিছু মনে করবেন না। হিসেব করে দেখলাম আপনার দুই বন্ধু আমার সাথে বেশি কথা বলছে কিন্তু আপনি কখনো কথা বলছেন না, তাই একটু কেমন মনে হয়েছিল। যাই হোক বেশি আর কথা না বাড়িয়ে এরপর আমি সকলের টাকা পরিশোধ করে দিলাম। এরপর ভালই ভালই পাঁচজন হোটেলে চলে আসলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
Lake-View
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
💌আমার পরিচয়💌
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। ইলেকট্রনিক্সের যন্ত্রপাতি মেরামত ও সৌর প্যানেল নিয়ে রিসার্চ করতে পছন্দ করি। প্রাকৃতিক দৃশ্য ফটোগ্রাফি করা আমার সবচেয়ে বড় ভালোলাগা। দীর্ঘদিনের আমি পাঙ্গাস মাছ চাষী এবং বিরহের কবিতা লেখতে খুবই ভালোবাসি। |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সাতক্ষীরা কপি শপের কিছু মুহূর্ত। আপনার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে খুবই দুর্দান্ত একটা মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। ধন্যবাদ ভাই আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ দারুন এক মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম সবাই মিলে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে জায়গাটা অনেক সুন্দর। যেহেতু পাঁচজন ছিলেন তাই তাদেরকে বসিয়ে রেখে আপনি জায়গাটার বিভিন্ন অংশের ছবি তুলে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাই এই জায়গাটা খুবই সুন্দর
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit