হাই বন্ধুরা!
কেমন আছেন সবাই? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাই-বোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি বামুন্দি বাজার থেকে শাকসবজি গাছের চারা কিনে এনে সন্ধ্যা রাতে লাগানোর অনুভূতি নিয়ে। আশা করব আমার এই পোস্ট করার মধ্য দিয়ে বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ পাবেন এবং ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে এখন শুরু করি বিস্তারিত।
Infinix Hot 11s
চলে এসেছে শীতের সময়। শীতের সময় মানে বাংলাদেশের বিভিন্ন রকমের শাকসবজি উৎপাদনের উপযুক্ত একটা মৌসুম। আমরা জানি এই শীতকাল আসার পূর্ব থেকে বাংলাদেশের কৃষকেরা বিভিন্ন রকমের শাকসবজি উৎপাদন করে থাকে। আর সেই সমস্ত শাকসবজির মধ্যে টমেটো অন্যতম। পাশাপাশি ঝাল বেগুন সারা বছরের যে কোন সময়ে লাগানো হয়। তাই বেশ কিছুদিন আগে আমার সবজি বাগানের মধ্যে আরও একটি স্থান সুন্দরভাবে প্রস্তুত করলাম। বিভিন্ন ব্যস্ততার মাঝখানে জায়গা প্রস্তুত করতেও দুপুর গড়িয়ে গেল। তাই বিকেল মুহুর্তে বাড়িতে এসে গোসল ও খাওয়া দাওয়া করে যেন একদম বিকেল জায়গায় অবস্থা। দ্রুত মোটরসাইকেলটা ঘর থেকে বের করে রওনা দিলাম বামুন্দি বাজারের উদ্দেশ্যে। বামুন্দিবাজারে উপস্থিত হয়ে মোটরসাইকেলটা নিরাপদ একটি স্থানে রেখে চলে গেলাম বাজারের মধ্যে। লক্ষ্য করে দেখলাম সবজি বাজারের বড় বটগাছটার পূর্ব-পশ্চিম সাইডে বিভিন্ন গাছের চারা বিক্রেতা তাদের সবজি গাছ বিক্রয় ব্যতিব্যস্ত।
বামুন্দি বাজারে শুক্রবার এবং সোমবার শাকসবজির হাট বসে। এই দুইটা দিন সবকিছু বেচাকেনা হয় এই বাজারে। তাই শুরুর দিকে শাকসবজি গাছের চারার দাম একটু বেশি হয়ে থাকে। কারণ সারা এলাকার মানুষ এই বাজারে এসে উপস্থিত হয় তার প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য। প্রথম দিকে টমেটোর চারা দাম হয় চার থেকে পাঁচ টাকা পিস। অতঃপর সন্ধ্যা কালীন মুহূর্তে দাম কমে এসে দাঁড়ায় এক দুই টাকায়। তাই ওই মুহূর্তটা আমার জন্য পারফেক্ট ছিল। তবে সমস্যা, সন্ধ্যার সময় চারা কিনে এনে লাগানোটা ঝামেলা। তবে যাই হোক 100 টাকা দিয়ে ৮০ পিস বেগুনের চারা। আরো ১০০ টাকা দিয়ে ৭০ পিস টমেটো ছাড়া কিনে নিলাম। হিসাবে লস নেই। আগে থেকে আসলে ৩ টাকার নিচে কখনোই পেতাম না।
তারাগুলো কিনে এরপর একটু বীজ ভান্ডারের দিকে যাই। সেখান থেকে মুলা পালনের বীজ নিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল বের করে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম এবং বাড়িতে পৌঁছে গেলাম ১৫ মিনিটের মধ্যে। এরপর চা গুলো নিয়ে চলে গেলাম মাঠের পুকুরে। ততক্ষণে পুকুর পাড়ে আমি বড় ভাই অপেক্ষা করছিল। আমার সাবমারসিবল পাম্প আর ১২ ভোল্টের ব্যাটারি রেখে এসেছিলাম। যেহেতু গাছের চারা এনে লাগিয়ে তারপর পানি দিতে হবে। ততক্ষণে বেশ সন্ধ্যা হয়ে গেছে। আর মাগরিবের আজান তো বামুন্দি বাজার থেকে হয়ে গেছিল। এখন সাড়ে পাঁচটার সময় মাগরিবের আজান হয়ে যায়। সন্ধ্যা বেশি না হলে অন্ধকার। তবুও ভাইয়ের সহযোগিতায় দুজনায় গাছগুলো লাগিয়ে ফেললাম। বুঝতে পারছেন দেড়শ টা গাছের চারা। রাতে লাইন করে লাগাতেও বেশ এক ঘন্টা সময় লেগে গেল। এরপর সাবমারসিবল পাম্প এর পাইপ রেডি করলাম সেচ দেওয়ার জন্য।
এরপর কিছুটা সময় ধরে খুব সুন্দর ভাবে সাবমারসিবল পাম্প দিয়ে জায়গাটা সম্পূর্ণ ভিজিয়ে দিলাম,যেন রাতের মধ্যে গাছগুলোর শিকড় মাটির মধ্যে সাড়া দিতে পারে। তবে দিনের বেলায় লাগালে গাছ অনেক সময় বেশিভাগ নষ্ট হয়ে যায়। তাই দিনের আশা করলাম না রাতে লাগিয়ে দিলাম যেন আগামী দিন আসতে আসতেই গাছগুলোর সতেজ হয়ে ওঠে। প্রথম অবস্থায় পাইপটা ধরে হাতের ইশারায় জায়গাটা সুন্দরভাবে ভিজিয়ে নিলাম। এরপর কিছুটা সময় অপেক্ষা করলাম। তারপর আবারো পানি দিতে থাকলাম। পাইপের পানি যেন সব গাছের গোড়ায় না লেগে ফোয়ারা মত পড়তে থাকে, সেভাবে দিতে থাকলাম। এজন্য আরো কিছুটা সময় দেরি হল। এদিকে রাত হয়ে যাওয়ায় প্রচন্ড মশার আক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু কি আর করার, কাজ বলে কথা। গাছগুলো যত্ন নেওয়া ও রক্ষণাবেক্ষণ অব্যাহত রয়েছে। আশা করব খুব শীঘ্রই গাছগুলো বড় হবে এবং ফল ধরবে।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্ট বিবরণ
ব্লগার | sumon09 |
---|---|
ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন | গাংনী মেহেরপুর |
ক্যামেরা | 50mp |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ। |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে শীতকালের শুরুতে আমারও কিন্তু বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা এবং সবজি গাছের চারা কিন্তু অনেক বেশি ভালো লাগে। যখন গ্রামে থাকতাম তখন আপনার মত আমিও বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা কিনে লাগাতাম। কিন্তু এখন শহরে জায়গা কম থাকার জন্য আর সেই গাছ কেনা হয় না। আপনার এই এত সুন্দর অনুভূতিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গ্রামে থাকতে পারলে অনেক কিছু গাছ লাগানো যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
X-promotion
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
28-11-24
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit