আশা করি সবাই ভাল আছেন।সুস্থ আছেন।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে ইকোপার্কের ভাস্কর্যের বাংলার ইতিহাস উদ্যানের কিছু সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ভাস্কর্য শিল্পের ছবি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম।
কখনো কখনো ব্যস্ততম জীবনে কিছুটা সময় নিজের জন্য বার করে নিলে খুবই ভালো লাগে। আমাদের এই শহর কলকাতা এতটাই সুন্দর যে এই শহরকে উপেক্ষা করা এত সহজ নয় ।কলকাতাকে সিটি অফ জয় বা আনন্দনগরী বলা হয়ে থাকে । তেমনভাবেই ইকোপার্ক সিটি অফ জয়ের আনন্দ তালিকার বাইরে নয় বরঞ্চ এটি একটি মূল আকর্ষণ। ইকো পার্কের কথা হয়ত আপনারা অনেকেই শুনে থাকবেন ।ইকো পার্ক কলকাতা রাজারহাট অবস্থিত । যেটি ভারতের বৃহত্তম উদ্যান। এর মোট আয়তন ৪৮০একর।
তাছাড়াও আমার এটা ভাবতেই খুব ভালো লাগে যে আমাদের বাড়ি ইকো পার্ক থেকে খুব কাছেই ।জায়গাটা এতটাই সুন্দর যে মাঝে মাঝে মন চাইলেই ঘুরে আসা যায়। যতবারই যাই না কেন প্রত্যেকবারই একটা নতুন অনুভূতি আর নতুন আকর্ষণ কাজ করে ।আর জায়গাটা এতটাই বড় যে প্রত্যেকবারই নতুন কিছু আকর্ষণীয় জিনিস দেখতে পাই ।সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে এখানে যেমন প্রকৃতির সৌন্দর্য রয়েছে তেমন ভাবেই নানান ধরনের শিক্ষামূলক জায়গাও দেখার মত রয়েছে।
কিছুদিন আগেই আমি ইকো পার্কে গিয়েছিলাম ।একই রকম ভাবেই আরও একটি নতুন জিনিস দেখতে পেলাম যেটি ইকোপার্কের ভাস্কর্যে বাংলার ইতিহাস উদ্যান নামে একটি উদ্যান তৈরী করা হয়েছে। যেখানে নানান রকম ভাস্কর্যের নিদর্শন রয়েছে ।বাংলার নবজাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ শ্রীচৈতন্যদেব থেকে শুরু করে ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক আধ্যাত্মবাদ ঋষি অরবিন্দ সত্যজিৎ রায় সবই এখানে প্রদর্শিত হয়েছে। ইকো পার্কের এই উদ্যানে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর সময় থেকে শুরু করে বাংলার নানা সময়েও পর্যায়ের ইতিহাসকে ছবির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে ।রাজা রামমোহন রায়, বঙ্কিমচন্দ্র ,স্বামী বিবেকানন্দ, শ্রী অরবিন্দ ,নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ,লালন ফকির ,কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ইসলামের মতো অনেক মনীষীর অবদানকে এই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে।
ষোড়শ শতাব্দীর বিশিষ্ট বাঙালি ধর্ম ও সমাজ সংস্কারক এবং গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক শ্রীচৈতন্য নিমাই ,গৌরাঙ্গ , মহাপ্রভু প্রভৃতি নামে উল্লেখিত হন। তিনি জাতি-ধর্ম-বর্ণ পুরুষ স্ত্রী নির্বিশেষে প্রেম ও মানবতা আদর্শ প্রচার করেছিলেন। শ্রীচৈতন্য তার ধর্মীয় ও সামাজিক আদর্শের মাধ্যমে যে নৈতিক উদবর্তন ঘটিয়েছিলেন তাঁর সমকালীন বাংলাকে এক নতুন জীবন দান করেছিল ।তার সময়কালে সূচিত হয়েছিল মধ্যযুগীয় বাংলার নবজাগরণ।
এখানে রবীন্দ্রনাথ ও বিশ্বভারতী সম্পর্কে কিছু চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আজীবন ভাবনা ছিল এই যে দেশের মঙ্গল উন্নতি সাধন সম্ভব দেশের অভ্যন্তর থেকেই। আর এক দেশের মানুষ যেহেতু অপর দেশের মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন নয় তাই পরস্পর চেনা-জানা ,জ্ঞান -বিদ্যার আদান-প্রদান জরুরি। একমাত্র এই পথে গড়ে উঠতে পারে বিশ্বজনীন ভাতৃত্ববোধ। সেই লক্ষ্যেই ১৯১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর শান্তিনিকেতনের স্থাপিত করেছিলেন ভারতীয় সংস্কৃতি চর্চার একটি কেন্দ্র বিদ্যালয় এবং প্রতিচীর মিলনস্থল ।
সিপাহী বিদ্রোহত্তর কালে সংঘটিত গুরুত্বপূর্ণ কৃষক আন্দোলন গুলির মধ্যে নীল বিদ্রোহ অন্যতম ।নীল চাষ ব্যবস্থায় যে নিপীড়ন নিহিত ছিল তার বিরুদ্ধে মধ্য ও পূর্ব বাংলায় এই আন্দোলন সূচিত হয়েছিল । নীলকর অনুগামীরা নীল চাষের জন্য ১৮৬০সালের মার্চ মাসে সাময়িক আইন পাস করে করিয়েছিলেন ,যাতে নীল চাষিরা নীলের বীজ বপন করতে বাধ্য হয় । তারই কিছু কিছু ছবি চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
এছাড়াও এই উদ্যানে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো'র মাধ্যমে ইতিহাসের নানা কথা তুলে ধরা হয় সন্ধ্যার দিকে ।বাংলার ইতিহাসকে এই ভাবেই সর্ব সাধারণের কাছে খুলে দেওয়া হয়েছে যাতে সকলে অনেক কিছু এখান থেকে জানতে পারে ।এছাড়াও নানান ধরনের ভাস্কর্য চিত্ররয়েছে যা আজ আর দেখালাম না ।পরের পর্বে আপনাদের সাথে সেই চিত্র গুলি ভাগ করে নেব।
পার্কে ভ্রমণের সময় টুকু আপনার অনেক সুন্দর ছিল । তাছাড়া ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অনেক অনেক সুন্দর লাগতেছে । আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল,,
পার্কে ভ্রমণের সময় টুকু আপনার অনেক সুন্দর ছিল । তাছাড়া ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে অনেক অনেক সুন্দর লাগতেছে । আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল,,
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক ধন্যবাদ দাদা আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit