আমাদের ঈদের দিনটি || পর্ব -১

in hive-129948 •  7 months ago 
আসসালামুআলাইকুম

বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।

IMG_0397.jpeg

৩০ টি দিন রোজা পালনের পর আজ উদযাপিত হল আমাদের মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল ফিতর। হ্যাঁ বন্ধুরা আপনাদের একদিন আগেই ঈদ শেষ করে ফেললাম। আগামীকাল আবার আপনাদের সাথে ঈদ উদযাপন করবো।এই ঈদের দিনটিকে কেন্দ্র করে আমাদের চলে কত রকমের পরিকল্পনা, আর কেনাকাটা শুরু হয়ে যায় সেই প্রথম রোজা থেকে। অবশেষে সকলের সেই কাঙ্ক্ষিত দিনটি চলে আসে।

ঈদের ঘোরাফেরা নিয়ে অনেক পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু দুপুরের খাওয়া দাওয়ার পর বৃষ্টি এসে সকল পরিকল্পনা ধুলিস্যাৎ করে দেয়। খাওয়া-দাওয়া শেষে আমাদের পার্কে যাওয়ার কথা ছিল। কারণ বাচ্চারা পার্ক খুব পছন্দ করে। আর বাসায় ঈদের দিন বসে থাকতে তাদের মোটেও ভালো লাগেনা।শুধু তাদের কেন? আমারও ভালো লাগেনা ঘরে বসে থাকতে।তাই তাদের ইনজয় এর জন্য প্ল্যান করেছিলাম পার্কে যাওয়ার। যদিও প্রতিবছর আমরা লন্ডনে বড় ভাসুরের বাসায় গিয়ে ঈদ পালন করে থাকি, কিন্তু এবছর আর যাওয়া হয়নি। হাজব্যান্ডের শরীর বেশ খারাপ। দু’দিন ধরে ফ্লু এর আক্রমণে বেশ সাফার করছে।আজকে মোটামুটি ভালো ছিল,গতকাল বেশি খারাপ অবস্থা ছিল।এ কারণে এবার আর লন্ডনে যাওয়া হয়নি।ছোট ভাসুরের বাসায় তার ফ্যামিলির সাথে ঈদ কাটিয়ে ফেললাম।যেহেতু বৃষ্টির কারণে আর পার্কে যেতে পারিনি তাই বোলিং সেন্টারে বাচ্চাদেরকে নিয়ে কিছুক্ষণ উপভোগ করে এলাম। তাই আমার এই ঈদ উদযাপনকে দুটি ভাগে ভাগ করেছি, যেহেতু বোলিং সেন্টারে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করেছি। আগামী পর্বে বোলিং সেন্টারের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আজকের পর্বে থাকছে বেশির ভাগই খাবারের ফটোগ্রাফি।চলুন তাহলে ফটোগ্রাফি গুলো উপভোগ করা যাক।

IMG_0175.jpeg

IMG_0173.jpeg

IMG_0164.jpeg

উপরের খাবারগুলো তৈরি করেছিলাম সকালের নাস্তার জন্য।সিলেটের লোকজন ঈদের দিন নানান রকমের পিঠার আয়োজন করে থাকে। কিন্তু আমার পক্ষে এত কিছু তৈরি করা সম্ভব নয়। আমি যতটুকু পেরেছি ততোটুকু চেষ্টা করেছি। পিঠা আর সোমোসা গুলো ঈদের ২/৩ দিন আগে বানিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলাম। আর ঈদের আগের দিন আমার যাবতীয় রান্না শেষ করে ফেলেছি। কারণ এ দেশের সকলেই ঈদের আগের দিন রান্না শেষ করে ফেলে। ঈদের দিন শুধু ঘোরাফেরা। বাংলাদেশের মহিলারা ঈদের দিন রান্না করতে করতে দিন শেষ করে ফেলে। পরে আর ঘোরাফেরার সময় থাকে না। যাইহোক নাস্তা শেষ করে সকলেই রেডি হয়ে চলে যাই ছোট ভাসুরের বাসায়।

IMG_0241.jpeg

এগুলো ভাবীর বাসার নাস্তা।

IMG_0274.jpeg

IMG_0398.jpeg

এরপর নাস্তা শেষ করে দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষ হলো ভাবীর বাসায়।

IMG_0290.jpeg

IMG_0195.jpeg

আমার ছোট মেয়ের ঈদ খুব ভালো কেটেছে কারণ সে তার বান্ধবীকে পেয়েছিল ঈদের দিনটিতে। সকাল ৯ টার সময় তার বান্ধবী চলে আসে তার সাথে ঈদ করতে। সারাদিন অনেক আনন্দ করে রাত নটার সময় তার ঘরে ফিরে যায়।

IMG_0258.jpeg

আমার বড় মেয়েকে আজ প্রথম হিজাব পরিয়ে দিলাম।

IMG_0262.jpeg

IMG_0395.jpeg

আমি আর ভাবী দুজনে একই ড্রেস পরা।আমরা সবসময় ঈদে একই রকমের ড্রেস কিনে থাকি।

37FE4129-5CE4-4CFE-B80C-CF9E56A2A7CC.jpeg

আজ তাহলে এতটুকুই, আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে।আগামী পর্বে এর শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হবো।

Photographer@tangera
DeviceI phone 15 Pro Max

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


[witness_vote.png](https://steemitwallet.com/~witnesses

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ঈদের জন্য খাওয়া-দাওয়ার বেশ সুন্দর আইটেম করেছেন। তবে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে পার্কে ঘুরতে যাবেন এমন মুহূর্তে বৃষ্টি এসে আপনার যা আর হয়নি এটা জেনে খুব খারাপ লাগলো। কারণ বছরে এমনই একটা দিন যেদিন সবাই চাই পরিবার-পরিজন নিয়ে একটু বাইরে ঘোরাফেরা করতে। যাই হোক বিস্তারিত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন পরে ভালো লাগলো আশা করি আজকে ঘুরাঘুরি করতে পেরেছেন।

ঈদের দিন বৃষ্টি হলে মেজাজ খারাপ হয়,কারণ সব প্ল্যান বাতিল হয়ে যায়। ঈদের আগের দিন রান্না শেষ করে, ঈদের দিন ঘুরাঘুরি করার আইডিয়াটা দারুণ। যাইহোক খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো লোভ সামলাতে পারছি না আপু। বিশেষ করে আপনার ভাবীর বাসার খাবারগুলো দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। আপনার বড় মেয়েকে হিজাব পড়া অবস্থায় খুবই কিউট লাগছে মাশাল্লাহ। তাছাড়া আপনার ছোট মেয়ে ইংলিশ বান্ধবীকে পেয়ে তো ভীষণ খুশি হয়েছে দেখা যাচ্ছে। আসলে বাচ্চাদের আনন্দ দেখলে মনটা একেবারে ভরে যায়। যাইহোক বোলিং সেন্টারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখার অপেক্ষায় রইলাম আপু।

Posted using SteemPro Mobile