হঠাৎ করে বেড়েছে শীতের প্রকোপ

in hive-129948 •  7 days ago 
আসসালামুআলাইকুম

বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।

d9c44ca9-0f26-481a-9c75-756ea1b50ac6.jpeg

কয়েক বছর আগের ফটো

nowrin,.png

তিন চার দিন ধরে হঠাৎ প্রচন্ড ঠান্ডা পরা শুরু হয়েছে আমাদের এখানে। তাপমাত্রা মাইনাস থেকে যেন উপরে উঠছেই না। আজকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল -2 ডিগ্রী।গতকাল নিউজে শুনলাম আজকে রাতে স্নো পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।তাই স্নোর জন্য আগাম প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে রাস্তাঘাট ও অন্যান্য ক্ষেত্রে। আবহাওয়া অফিস দক্ষিণ ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে বরফ এবং তুষারপাতের বিষয়ে সতর্ক করেছে, যা ভ্রমণ ব্যাহত করতে পারে। উত্তর আয়ারল্যান্ডে বরফের জন্য একটি হলুদ সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।আসলে স্নো পরলে রাস্তাঘাট অনেক পিচ্ছিল হয়ে যায়। এ সময় যানবাহন চলাচলে খুবই ব্যঘাত ঘটে।তাই জনগণকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া গাড়ি নিয়ে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।প্রবল তুষারপাত ও বৃষ্টির ফলে কোন কোন এলাকায় বন্যাও দেখা দেয়। প্রায় তিন চার বছর আগে স্নো পরে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয় এদেশের কিছু কিছু স্থানে। তাই আগে থেকেই তারা প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে।আবশ্য লাস্ট কয়েক বছর ধরে স্নো পরার হার খুবই কম।আগে স্নো পরে প্রায় ৬-৭ ইঞ্চির মত জমা হয়ে যেত রাস্তায়।এখন হালকা একটু পরেই বন্ধ হয়ে যায়।তবে গতকাল নিউজ থেকে বুঝতে পারলাম এবার হয়তো বড় রকমের কিছু হতে পারে।

আসলে সাময়িক সময়ের জন্য স্নো পরা দেখতে বেশ ভালই লাগে কিন্তু পরবর্তীতে অবস্থা খুবই খারাপ হয়।কারণ রাস্তাঘাট একেবারে স্লিপারি হয়ে ওঠে, তখন রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করা বিপদজনক হয়ে ওঠে। যাইহোক এমনিতেই বেশ কিছুদিন ধরে অনেক ঠান্ডা পড়ছে, এখন যদি স্নো পরা শুরু হয় তখন তাপমাত্রা আরো কমে যাবে। অবশ্য ঘরের মধ্যে ঠান্ডা অতটা বোঝাই যায় না, কারণ 24 ঘন্টা সেন্ট্রাল হিটার অন থাকে। অটোমেটিক্যালি হিটারগুলো চলতে থাকে, আবার কয়েক ঘন্টা পর বন্ধ হয়ে আবার অটোমেটিক্যালি অন হয়ে যায়।আগে রাতে ঘুমানোর সময় অফ করে রাখতাম।কিন্তু এখন রাতে অফ করার কোন উপায় নেই, কারণ বরফের মত ঠান্ডা হয়ে যাবে ঘর।প্রতিটি রুম, বাথরুম, রান্নাঘর সবখানেই এই হিটার গুলো অন রাখতে হয়।তাই ঘরের মধ্যে অতটা ঠান্ডা অনুভূত হয় না, বাইরে গেলে বোঝা যায় শীতের প্রকোপ।অবশ্য এখন আর আমাকে বাইরে যেতে হচ্ছে না কারণ বাচ্চাদের স্কুল হলিডে চলছে। প্রায় দুই সপ্তাহের উপরে স্কুল বন্ধ ছিল।কিন্তু দুঃখের বিষয় আগামী সোমবার থেকে তাদের স্কুল খুলছে।এত ঠান্ডার মধ্যে ঘর থেকে বের হওয়ার কথা চিন্তা হলেই কান্না পায়। যাইহোক দেখা যাক আজ রাতে কি ঘটে? আবহাওয়া অফিস যে নিউজ দিয়েছে তা কি বাস্তবে পরিণত হয় কি না?

ঠান্ডা যে শুধু আমাদের এখানেই পড়ছে তা নয়, বাংলাদেশসহ ইন্ডিয়াতেও দেখলাম প্রচন্ড ঠান্ডা পড়া শুরু হয়েছে।গতকাল নিউজে দেখলাম দিল্লিতে ও কোলকাতায় তাপমাত্রা প্রায় 6 থেকে 7 ডিগ্রি এর মধ্যে চলছে।ঘন কুয়াশায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না।একদিকে ঘন কুয়াশা, অন্যদিকে দূষিত বায়ু চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে জনসাধারণকে।এছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে কিছু কিছু ফ্লাইটও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেখানে।এ সময়ে খেটে খাওয়া মানুষগুলো যারা দিন আনে দিন খায় তাদের অবস্থা খুবই খারাপ।এই আবহাওয়ায় তারা কোথাও কাজও করতে পারছে না।তাদের উপার্জন এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম।আসলেই এসব মানুষ দেখে খুবই খারাপ লাগে। শুধু ইন্ডিয়াতেই নয়, বাংলাদেশের কোন কোন অঞ্চলে অনেক ঠান্ডা পড়ছে।আগে যেখানে ঢাকায় ঠান্ডাই পড়তো না, সেখানে শুনলাম বেশ ভালই ঠান্ডা পড়া শুরু হয়েছে।বাংলাদেশের ঠান্ডা আমার কাছে বেশ ভালই লাগতো কিন্তু সত্য প্রবাহ শুরু হলে তখন আর কিছুই ভালো লাগতো না। যাইহোক ঠান্ডা নিয়ে অনেক কিছুই আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেললাম, আশা করি আপনাদের ভাল লেগেছে।

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


[witness_vote.png](https://steemitwallet.com/~witnesses

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বর্তমানে শীতের প্রকোপ আমাদের দেশেও কঠিন ভাবে দেখা দিয়েছে। খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে এই শীতে। উত্তরাঞ্চলে এখন প্রায় 8 থেকে 10 এর মধ্যে তাপমাত্রা নেমে আসছে রাতের দিক। এরকম টেম্পারেচারের মধ্যেই আমাদের থাকাটা অতিষ্ঠ হয়ে গেছে সেই প্রেক্ষাপটে ইংল্যান্ডে দেখতেছি কঠিন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তাপমাত্রা মাইনাসে নেমে যাওয়া মানেই কঠিন অবস্থা। সেই সাথে বাচ্চাদের আবার স্কুল খুলে দিয়েছে। যাই হোক সব মিলিয়ে এটাই আশা করব খুব তাড়াতাড়ি যেন ইংল্যান্ডের এই অবস্থা দূরীভূত হয় স্বাভাবিক আবহাওয়া বিরাজমান করে।

জানুয়ারি মাসে, সেই যেন প্রচুর শীত শুরু হয়ে গেছে। আমি লক্ষ্য করে দেখছি জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে প্রচুর বাতাস। আর এখন তো সকালবেলায় প্রচুর ঠান্ডা। যাইহোক এই মুহূর্তে অনেকটা সাবধানতার সাথে চলতে হবে। আপনাদের ওখানকার অবস্থা জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। হয়তো আপনাদের ওখানে তুষার পরে কিন্তু আমাদের এখানে না হলেও ঠান্ডার তীব্রতা অনেক বেশি।

-২ ডিগ্রি! ভাবা যায়! এতো ঠান্ডার মধ্যে কিভাবে থাকা যায়! যারা এমন ওয়েদারে আগে থেকেই বড় হয়েছে তাদের জন্য এটা সহ্য করা সহজ। তবে যারা বাহিরের দেশ থেকে আসে তাদের জন্য ডিফিকাল্ট এমন ওয়েদারে মানিয়ে নেয়া। আশা করছ সব স্বাভাবিক হবে। আমাদের দেশেও অনেক ঠান্ডা কয়েকদিন ধরে। এমন ওয়েদারে আসলে খেটে খাওয়া মানুষদের বেশ কষ্ট হয়।

আসলেই আপু এবার ঢাকাতেও মোটামুটি ভালোই ঠান্ডা পড়েছে। যাইহোক রাস্তায় স্নো জমে থাকলে হাঁটাহাঁটি করতে আসলেই খুব কষ্ট হয়। হাঁটাহাঁটি করার সময় পিছলা খেয়ে পড়ে অনেক মানুষ হসপিটালেও ভর্তি হয়। যাইহোক সাবধানে চলাফেরা করবেন আপু। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।

আমাদের বাংলাদেশও শীতের প্রকোপ একটু বেশিই। তবে আপনাদের ওখানে যেমন তার ধারে কাছেও নেই। স্নো পড়লে তো বাইরে বের হওয়াই যায় না অবস্থা টা এমন। অবস্থা একেবারে খারাপ দেখেই বোঝা যাচ্ছে সেটা। আশাকরি প্রকৃতি দ্রুতই স্বাভাবিক হবে।