ভাপা পিঠার রেসিপি

in hive-129948 •  24 days ago 

আসসালামুআলাইকুম,

বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।


polish_save.jpeg

আজকে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আমার পছন্দের ভাপা পিঠার রেসিপি নিয়ে।শীতের সময় এই পিঠাটি না খেলে মনেই হয় না শীত এসেছে। আগে বাংলাদেশে থাকতে খুব বেশি খাওয়া হত শীতের সিজনে।শীত এলেই নানু বাড়ি চলে যেতাম এই পিঠা খেতে। ছোটবেলার অনেক স্মৃতি রয়েছে এই পিঠাকে কেন্দ্র করে। খুব বেশি মনে পড়ে সেই স্মৃতিগুলো।ইংল্যান্ডে আসার পর আর খাওয়া হয়নি। তবে ফ্রোজেন পিঠা পাওয়া যায় কিন্তু সেগুলো এত মজা হয় না। অবশ্য গত বছর আমি প্রথম এই ভাপা পিঠা বানিয়ে ছিলাম।বেশ কিছুদিন আগে হাসবেন্ড বাজার থেকে গুড় ও নারিকেল এনেছিল পিঠা বানানোর জন্য।কিন্তু সময়ও পাচ্ছিলাম না, আর শরীরও বেশি ভালো ছিল না। তাই আজকে সময় পেয়ে গেলাম, আর শরীরও বেশ ভালোই আছে তাই বানিয়ে ফেললাম।এবার দিয়ে মোট দুইবার ভাপা পিঠা বানিয়ে ফেললাম।খেতে অনেক মজা হয়েছিল।আশা করি আমার এই পিঠা আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন চলে যাওয়া যাক তাহলে মূল পর্বে।

চলুন দেখে নেয়া যাক রেসিপিটি তৈরি করতে আমাদের কি কি উপকরণ এবং কতটুকু পরিমান লাগবেঃ

উপকরণপরিমাণ
চালের গুঁড়া৩ কাপ
খেজুরের গুড়স্বাদমতো
নারিকেল কুচি২ কাপ
লবন১ চা চামচ

কার্যপদ্ধতিঃ

IMG_5667.jpegIMG_5670.jpeg

প্রথমেই গুড় গুলো কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি। এরপর নারিকেল গুলো রেডি করে নিয়েছি। আমি এখানে ফ্রোজেন নারিকেল কুচি ব্যবহার করেছি।এক ঘন্টা আগে বের করে রেখেছিলাম।ফ্রোজেন হলেও নারিকেলের স্বাদ কিন্তু একেবারেই অটুট ছিল।যদিও আমাদের এখানে ফ্রেশ নারিকেল পাওয়া যায় কিন্তু প্রবলেম হলো কেটে নারিকেল কুড়ানো অনেক সময় সাপেক্ষ এবং কষ্টের ব্যাপার। তাই রেডিমেড পাওয়া গেলে আর দরকার কি এত কিছুর।

IMG_5664.jpegIMG_5666.jpeg

এরপর একটি বোল এ চালের গুড়া ও লবণ নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।এরপর পরিমাণমতো পানি নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।

IMG_5668.jpegIMG_5669.jpeg

এরপর চাল গুলো ভালোভাবে চেলে নিয়েছি।

IMG_5671.jpegIMG_5672.jpeg

এরপর একটি বাটিতে একটু চালের গুড়া ও তার উপরে সামান্য নারিকেল নিয়ে নিয়েছি।

IMG_5674.jpegIMG_5676.jpeg

এরপর নারিকেলের উপরে গুড়, এরপর আবারও গুড়ের উপরে চাল ও নারিকেল নিয়ে নিয়েছি।

IMG_5677.jpegIMG_5678.jpeg

এরপর আবারও গুড় ও গুড়ের উপর চালের গুড়ো নিয়ে নিয়েছি। মোট দুই লিয়ারে গুড় ও নারিকেল দিয়েছি।এরপর হাতের সাহায্যে একটু চেপে দিয়েছি।

IMG_5679.jpegIMG_5680.jpeg

এরপর একটি সুতি কাপড়ের সাহায্যে একটি ছিদ্রযুক্ত পাতিলে বসিয়ে দিয়েছি ভাপ দেয়ার জন্য।

IMG_5681.jpegIMG_5683.jpeg

এর আগে অন্য একটি পাতিলে পানি বলক দিয়ে তার উপরে ছিদ্রযুক্ত পাতিলটি বসিয়ে নিয়েছি।তারপর ফুল আঁচে ৪-৫ মিনিট রেখে দিয়েছি পিঠাটি তৈরি করার জন্য।

IMG_5688.jpegIMG_5689.jpeg

ব্যাস হয়ে গেল আমার মজাদার ভাপা পিঠার রেসিপি। এভাবে মোট নয়টি পিঠা বানিয়ে ফেলেছি।

IMG_5691.jpeg

IMG_5699.jpeg

পরিবেশন এর জন্য রেডি

Photographer@tangera
DeviceI phone 15 Pro Max

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে।

পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভাপা পিঠার অনেক মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। যেটা দেখে তো আমার খুবই লোভ লেগে গিয়েছে। ওখানে খুব মজাদার ভাবে এই ভাপা পিঠাগুলো তৈরি করলেন। শীতের সময় ভাপা পিঠা তৈরি করা না হলে শীত ভালোভাবে জমে উঠে না। দেখে তো মনে হচ্ছে সবার অনেক পছন্দ হয়েছিল এই ভাপা পিঠা, আর অনেক মজা করে খেয়েছিলেন।

শীতকাল মানেই মজাদার সব পিঠার রেসিপি। আমি যদি আমার ব্যক্তিগত পছন্দের পিঠা রেসিপির কথা বলি সে ক্ষেত্রে ভাপা পিঠা আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ। মজাদার এই ভাপা পিঠা রেসিপি কিভাবে তৈরি করতে হয় তার প্রস্তুত প্রণালী সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

আমার সেজ পিসি এই ধরণের পিঠা বানিয়ে খাওয়ান৷ আমি কখনও করিনি। কিন্তু আপনাদের দেখে মনে হয় করার কথা। আচ্ছা আপু এই যে সাদা কাপড়টা নিয়েছেন এটা যে কোন সুতির পাতলা নরম কাপড় নিলেই হবে? বাজারের কেনা চালের গুঁড়োতে ভালো হয়? আমি পুলি পিঠে করতাম কেনা গুঁড়িতে খুব তাড়াতাড়ি শুকনো হয়ে যেত৷ তাই দেশে থাকার সুবিধে নিই মানে বাড়ি থেকে আনাই৷ 😀 দেখি কোন একদিন চেষ্টা করব।

সাদা কাপড় নিলে ভালো হয়, তবে অন্য কালারের কাপড় নিলে যদি রং উঠে যায় তাহলে দেখতে খুবই খারাপ হবে। হ্যাঁ আপু বাজারের চালের গুঁড়া দিয়েই পিঠা বানিয়ে থাকি, কোন প্রবলেম হয় না।

শীতকাল অনুভব করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ভাপা পিঠা। আসলেই আপু ভাপাপিটা না খেলে মনে হয় যেন শীতকালে কিছু একটা অসম্পূর্ণ থেকে গেল। তবে দেখে মনে হচ্ছে আপনি ভাপা পিঠা বানাতে বেশ এক্সপার্ট। খুবই সুন্দর এবং রুচিশীল ভাবে তৈরি করেছেন ভাপা পিঠা। আশা করি টেস্ট ও হয়েছিল খেতে। ধন্যবাদ আপু ভাপা পিটা রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ভাপা পিঠা শীতকালের অন্যতম একটি পিঠা রেসিপি। তবে, বিশেষ করে শীতকালে এই ভাপা পিঠা গুলো একটু বেশি চলে।গ্ৰাম এলাকার মধ্যে এই ভাপা পিঠার বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে ভাপা পিঠার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল কিন্তু।

ভাপা পিঠা আমার পছন্দের প্রিয় একটি পিঠা। শীতকালের অন্যতম কয়েকটি পিঠার মধ্যে এই ভাপা পিঠা একটি। শীতকাল আসলে পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে খেতে ও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল ধন্যবাদ।

দারুন লোভনীয় ভাবা পিঠা। শীত আসলেই চারিদিকের সাথে সাথে আমাদের বাসায়ও ধুম পড়ে যেত ভাবা পিঠা খাওয়ার। সে অনেক আগে মা শীতআসলেই সবার আগে এভাবে ভাপা পিঠা আমাদের বানিয়ে খাওয়াতো। এখন আমাদের বাসায় পিঠা বানানোর চেয়ে কেনা পিঠা বেশি খাওয়া হয়। তবে ঘরে বানানো পিঠা যেমন খেতে মজা লাগে। বাইরের পিঠাগুলোতে তেমন স্বাদ পাওয়া যায় না। আজ আপনার ভাবা পিঠা রেসিপিটি দেখে বুঝা যাচ্ছে। শীতের আমেজে অনেক মজা করে খেয়েছিলেন পিঠাগুলো।

শীতকালীন জনপ্রিয় পিঠার মধ্যে সবথেকে মজাদার পিঠা হলো ভাপা পিঠা
ভাপা পিঠা খেতে আমারও অনেক ভালো লাগে ।আপনার হাসবেন্ড দেখছি বাজার থেকে অনেক নারকেল ওগুর কিনে এনেছে । সেই নারকেল এবং গুর দিয়ে আপনি অনেক মজাদার ভাপা পিঠা তৈরি করেছেন । পিঠাটা দেখেই মনে হচ্ছে অনেক মজার হয়েছে খেতে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে লবণী ও পিঠা শেয়ার করার জন্য। বাড়ির পাশে হলে আপনাদের বাসায় গিয়ে খেয়ে আসতাম আপু। ধন্যবাদ আপু শুভকামনা রইল।

আসলেই তাই আপু, শীতের সময় ভাপা পিঠা না খেলে মনে হয় যে শীত অসম্পূর্ণ। বেশ ভালো লাগলো আজকে আপনার ভাপা পিঠার রেসিপি দেখে। একদম পারফেক্টলি পিঠাটা তৈরি করেছেন। খেতেও নিশ্চয়ই সুস্বাদু ছিল। এবার এখনো বাসায় ভাপা পিঠা তৈরি করা হয়নি। আপনার রেসিপিটা দেখে খেতে ইচ্ছা করছে আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

শীত আসলে যদি পিঠা না খাওয়া হয়, তাহলে তো শীতকাল টাই উপভোগ করা যায় না। আমিও ভাপা পিঠার রেসিপি তৈরি করেছি, আর শেয়ার করেছি আজকে। কত সুন্দর মিলে গেল। আপনার তৈরি করা ভাপা পিঠা দেখতে তো অনেক লোভনীয় লাগছে। এইবার সহ মোট দুইবার তাহলে পিঠা তৈরি করলেন। মজা করে খাওয়া হয়েছিল নিশ্চয়ই।

এখন শীতের সময়। একদম সময় উপযোগী রেসিপি এইটা। খেজুরের পাটালি দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে ভাপা পিঠা তৈরি হয়। আমি তো বানাতে পারি না তবে বাজার থেকে কিনে খাই। এগুলো বানাতে পারলে নিজের মতো করে তৈরি করে খাওয়া যায় এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের খাওয়ানো যায়। বেশ সুন্দরভাবে আপনি নারিকেল খেজুরের গুড় বা পাটালি দিয়ে ভাপা পিঠা তৈরি করেছেন। অনেক ভালো লাগলো এত সুন্দর পিঠা তৈরি করতে দেখে।

বিদেশের মাটিতে এটাই তো সবচেয়ে বেশী খাওয়া হয় মানে ফ্রোজেন জিনিষ। যাইহোক, আপনি ভাপা পিঠা বানাতে পারেন জানতাম না তো, হি হি হি। বেশ সুন্দরই বানিয়েছেন দেখছি। অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

হ্যাঁ, একদম ঠিক পিঠা বানাতে জানতাম না, তবে গত বছর ইউটিউব আপুর কাছ থেকে শিখেছি।😁

আসলেই ঠিক বলেছেন আপু, শীতকালেই মানেই ভাপা পিঠা! আর ভাপা পিঠা না খেলে শীতই মনে হয় না। আপনি এ নিয়ে দুইবার বানিয়েছেন তাহলে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে গরম গরম ভাপা খেতে মনে হয় মজা হয়েছে।

আপু গরম গরম ধোঁয়া উঠানো ভাপা পিঠা খেতে ভীষণ মজার। আপনি খুব সুন্দর ভাবে পিঠার রেসিপিটি শেয়ার করেছেন। ভাপা পিঠা গরম আর ঠান্ডা দুই ভাবেই আমার ভীষণ পছন্দ। এই শীতে এখনও কোন পিঠা বানানো হয়নি আমার।তবে আম্মুর হাতে তিন রকমের পিঠা খাওয়া হয়েছে।ভাপা পিঠা দেখলে খেতে ইচ্ছে করেই আমার।ধন্যবাদ আপু ভাপা পিঠার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।

ঠিক বলেছেন আপু শীতের সময় এই পিঠাগুলো না খেলে শীত একদমই মনে হয় না। তাছাড়া আগেকার দিনে খুব খাওয়া হতো। আমি তো বানাতেও পারিনা। তৌহিদা আপুর বাসায় গিয়ে খেয়েছিলাম। যাইহোক আপনার পিঠা দেখে মনে হচ্ছে একদম পারফেক্ট হয়েছে। দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে এত লোভনীয় লাগছে দেখতে।

আসলেই প্রতি বছর শীতকালে ভাপা পিঠা প্রায় সবারই কমবেশি খাওয়া হয়। ভাপা পিঠা না খেলে মনে হয় না যে শীতকাল আসছে হা হা হা। যাইহোক দারুণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। ভাপা পিঠা গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুবই ইয়াম্মি লেগেছিল। এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

টাটকা গরম গরম পিঠা আর ফ্রোজেন পিঠার মধ্যে আকাশ পাতাল ব্যবধান। তবে কি আর করার না পেলে ফ্রোজেন পিঠাই খেতে হয়। আপু এই নিয়ে আপনি দু'বার ভাপা পিঠা বানিয়েছেন জেনে খুশি হলাম। আপনার পিঠা দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি পারফেক্ট ভাবে ভাপা পিঠা বানাতে পারেন। আপনার পিঠা দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে। শীতের সময়ে গরম গরম ভাপা পিঠা খেতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু মজাদার পিঠা শেয়ার করার জন্য।

ছোটবেলার সেই দিনগুলো এখন আর নেই। ভাপা পিঠা আমার বেশ পছন্দের। প্রতিবছর শীত আসলেই মোটামুটি খাওয়া হয়। ভাপা পিঠা তৈরির পোস্ট টা বেশ দারুণ করেছেন আপু। প্রতিটা ধাপ চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করে নিয়েছেন। সবমিলিয়ে অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।।

ভাপা পিঠার রেসিপি খেতে ইচ্ছা করছে। এত সুস্বাদু শীতের পিঠার রেসিপি তৈরি করেছেন। আমার কাছে দারুন লেগেছে।

শীতকাল মানেই ভাপা পিঠা।শীতকালে বেশ কয়েকবার ভাপা পিঠা খাওয়া হয়েছে তারপরও ভাপা পিঠা দেখলে লোভ লেগে যায়। আপনি অনেক সুন্দর করে পারফেক্টলি ভাপা পিঠা তৈরি করেছেন আপু। আমি তো এত সুন্দর করে পিঠা তৈরি করতেই পারি না। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু ভাপা পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।