জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পড়ছে সারা বিশ্বে

in hive-129948 •  5 months ago 
আসসালামুআলাইকুম

বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভালো আছি।

image.jpeg

বেশ কিছুদিন ধরেই গরমের তীব্রতা পরিলক্ষিত হচ্ছে বাংলাদেশ ও কলকাতা সহ বিভিন্ন স্থানে। আমার কাছে মনে হচ্ছে এই বছরই সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে, এর আগে এত বৃদ্ধি পায়নি। গরমের তীব্র দাবানলে জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। “আমার বাংলা ব্লগে” ঢুকে অনেকেরই পোষ্ট গুলো পড়লে মানুষ যে গরমে কততা ভোগান্তি পোহাচ্ছে তা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। এছাড়াও টিভিতে নিউজগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে কতটা ভয়াবহ অবস্থা ধারণ করেছে বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়াতে। আর বাংলাদেশে কল দিলে তো তাদের মুখে ও একটি কথা গরম ছাড়া আর কোন কথা নেই। আর নিউজ দেখে যে জিনিসটা আমাকে সবচেয়ে বেশি অবাক করেছে তা হচ্ছে রাস্তার পিচ গুলো তীব্র গরমে গলে যাচ্ছে। একবার চিন্তা করা যায় কতটা গরম পড়লে এমন হয়? এর আগে আমি কখনোই এ ধরনের ঘটনা দেখিনি বা শুনিনি। মানুষজন রাস্তায় হাঁটতে পারছে না। তাদের স্যান্ডেলগুলো পিচে আটকিয়ে যাচ্ছে, অনেক স্যান্ডেল রাস্তায় পড়ে রয়েছে। আমার জানামতে বাংলাদেশে বেশি গরম শুরু হয় জুন জুলাই থেকে। কিন্তু এবার দেখা যাচ্ছে খুব আগে থেকেই শুরু হয়েছে গরমের তীব্রতা। এখনই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে জুন জুলাইতে অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? অবশ্যই এটি জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাব।

একদিকে যেমন বাংলাদেশে ভয়াবহ গরম পড়ছে ঠিক তেমনি ইংল্যান্ডের আবহাওয়াও খুবই খারাপ। এখন এপ্রিল শেষের দিক, এ সময়ে তাপমাত্রা ২০ থেকে ২১ ডিগ্রির মধ্যে থাকার কথা। কিন্তু তাপমাত্রা ক্রমাগত কমেই চলছে। আজকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪ ডিগ্রি। যখন বাচ্চাদেরকে স্কুলে দিতে গিয়েছিলাম তখন রাস্তায় বের হলে মনে হচ্ছিল শূন্য ডিগ্রি। তবে এপ্রিলের শুরুতে মাঝে দুই তিন দিন তাপমাত্রায় বেশ ভালোই ছিল, ২০ থেকে ২১ ডিগ্রির মধ্যে ছিল। আগে এদেশে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাঝামাঝিতে খুব বেশি স্নো পরতো। আর এখন স্নো খুবই সামান্য পরে।এ সব কিছুই হচ্ছে জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে। এখন চলে যাচ্ছি আরব আমিরাত ও সৌদি আরবে। দুবাইতে গত কয়দিন আগে প্রবল ঝড়, বৃষ্টিপাত ও বর্ণনা দেখা গিয়েছিল।এর আগে কখনো এত বৃষ্টিপাত সেখানে হয়নি। এরপর আবার বৃষ্টিপাত, ঝড় ও বন্যা দেখা গিয়েছে সৌদি আরবে। সেখানে আগে এমনটি ঘটেনি। ইদানিং ২/৩ বছর নতুন করে সৌদি আরবে এ ধরনের পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলেই এগুলো ঘটে যাচ্ছে।

যাইহোক টিভিতে নিউজ এ যখন ভয়াবহ এই গরমের কথা শুনতে পাই ও ভিডিওগুলো দেখতে পাই তখন খুবই খারাপ লাগে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া দিনমজুরদের কথা চিন্তা করলে, যাঁদের একদিন কাজ না করলে এক বেলা পেটে ভাত জোটেনা।এই গরমে যেভাবেই হোক তাঁদেরকে কাজে বের হতে হবে। অবশ্য কষ্ট শুধু ওই খেটে খাওয়া মানুষগুলোরই নয়, প্রতিটি মানুষই ভোগান্তি পোহাচ্ছে। দোয়া করি খুব শীঘ্রই গরমের তীব্রতা চলে গিয়ে জনজীবন যেন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে এটিই আল্লাহর কাছে একমাত্র পার্থনা।

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


[witness_vote.png](https://steemitwallet.com/~witnesses

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে ও অনেক বেশি পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। আগের দিনে বৈশাখ মাসে এতো রোদের তাপ থাকতো না। বৈশাখ মাস হচ্ছে ঝড় বৃষ্টির মাস। বৈশাখ মাসে দুই এক দিন পর পর ঝড় বৃষ্টি হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে বৈশাখ মাসে ঝড় বৃষ্টির কোন আশংকা নেই। এটি পরিবর্তনের মুল কারন হলো হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে।

হ্যাঁ ভাইয়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এমনটি ঘটছে।

আপু আমরা কিন্তু বেশ অস্থির জীবন যাপন করছি। এ অবস্থায় ভার্চুয়াল অফিস হলে আমাদের জন্য অনেক ভালো হতো। তবে সামনে নাকি আরও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। আবার এখন শুনছি আপনাদের ঐখানে তার উল্টো। এ দেখি চারদিকে কেমন যেন ‍শুরু হয়ে গেল। যাক আশা করি এমন অবস্থা থেকে আমরা বেশ তাড়াতাড়ি পরিত্রান পাবো।

হ্যাঁ আপু দোয়া করি সকলেই যেন খুব শীঘ্রই এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পায়।

সব মানুষ যদিও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে কিন্তু তাদের সবার মধ্যে দিনমজুর তথা যারা দিন আনে দিন খায় তাদের কষ্টটাই বেশি।কেননা তাদের এই প্রচণ্ড গরমেও প্রখর রোদে ও মাঠে কাজ করতে হচ্ছে।রাস্তার পিচ যেখানে গলে যাচ্ছে সেখানে সবারই অবস্থাতো কাহিল হওয়াটাই স্বাভাবিক।এই সময় আপনার ওখানে যে তাপমাত্রা এত নিচে নেমে গেছে শুনে বেশ অবাক হয়ে গেলাম।সেই সাথে আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে আরো কয়েকটি দেশের আবহাওয়ার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারলাম।এই সব কিছুরই পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে কেবল মাত্র জলবায়ুর পরিবর্তন এর ফলে।অবশ্যই আমিও দোয়া করছি আপু এত সব রকমের সমস্যা দূরীভূত হয়ে যেনো সবাই যেনো আবার শান্তিময় পরিবেশে বাস করতে পারে।সেই প্রার্থনায় করছি।

হ্যাঁ ভাইয়া আমাদের সকলেরই এখন একটি মাত্র চাওয়া যেন শান্তিময় পরিবেশ আবার ফিরে আসে।

জলবায়ুর পরিবর্তনে সারা বিশ্বের অবস্থা খুবই নাজুক।আপনার পোস্ট পড়ে আরো কিছু জানা হলো। আপনাদের ওখানেও তাপমাত্রা কমে গেছে।সব জায়গায়ই বিরুপ প্রতিক্রিয়ার খবর শোনা যাচ্ছে।দোয়া করি খুব শীঘ্রই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের পরিবেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে দিবেন,আমিন।ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।

ইনশাআল্লাহ আপু খুব শীঘ্রই পরিবেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। এটিই এখন আমাদের একমাত্র চাওয়া।

বাংলাদেশ এবং ইন্ডিয়ার অবস্থা সত্যি অনেক খারাপ। গরমে সবার অবস্থা নাজেহাল। তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বেড়েই যাচ্ছে। পিচ ঢালা রাস্তায় মানুষের জুতা আটকে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি সত্যিই অনেক কঠিন। দুবাইয়ে ঝড় বৃষ্টি হয়েছে জেনে সত্যিই খারাপ লাগলো আপু।

হ্যাঁ আপু শুনেছি তাপমাত্রা নাকি আরও কয়েকদিন এমন থাকবে বা আরও বাড়তেও পারে।

এতো গরম আসলেই কখনো দেখিনি। এককথায় বলতে গেলে তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ। সামনে গরম আরও বাড়বে। খেটে খাওয়া মানুষদের কথা ভাবলে আসলেই খুব খারাপ লাগে। তীব্র গরমে কোদাল এর মধ্যে ডিম রেখে ভেজে ফেললো, সেই ভিডিও দেখলাম ২ দিন আগে। আসলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমন পরিস্থিতি হচ্ছে সারা বিশ্বে। আপনাদের দিকে যেহেতু শীতের তীব্রতা বাড়ছে, তাহলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করবেন আপু। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া আমিও এর আগে এত গরমের কথা শুনিওনি ও দেখিওনি। দোয়া করি সকলেই যেন এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পায়।