বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
পাসপোর্ট, যা পরিচয় বহন করে এবং তার গুরুত্ব আমরা সকলেই বেশ ভালোভাবেই জানি।পাসপোর্ট শুধু বাইরের দেশগুলোতে ভ্রমণের জন্যই নয়।অফিস-আদালত, চাকরির ক্ষেত্রে, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে, এমনকি আমরা ক্রিপ্টো কারেন্সির লেনদেনগুলো যে বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ গুলোতে করে থাকি সেখানেও আইডি ভেরিফিকেশন এর জন্য পাসপোর্ট দরকার হয়।যাইহোক ১০ বছর আগে পাসপোর্ট করেছিলাম।মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে তাই আবার রিনিউ করে ফেললাম।সাধারণত বড়দের ক্ষেত্রে ১০ বছর পর পর পাসপোর্ট রিনিউ করতে হয়, আর ছোটদের চার বছর পর পর রিনিউ করতে হয়।প্রায় ৪-৫ মাস আগে মেয়াদ শেষ হয়েছে। করবো করবো করে আর করা হয়নি।হাজব্যান্ড অস্থির হয়ে গিয়েছিল পাসপোর্ট তৈরির জন্য।কারণ বলা যায় না কখন কোন জরুরী কাজে বাংলাদেশে যেতে হয়, তখন এই পাসপোর্ট এর কারনে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।হাজব্যান্ডের পাসপোর্টও ২-৩ মাস আগে রিনিউ করেছে।তার পাসপোর্ট এর জন্য পাসপোর্ট সাইজের ফটো আমি তুলে দিয়েছিলাম মোবাইল থেকে।এরপর অনলাইনে এপ্লাই করে ফেলেছিলাম। আর আমার তোলা ফটো একসেপ্ট করেছিল।
পাসপোর্ট এর জন্য ফটো তোলা আসলে একটি ঝামেলার কাজ। ঘরে তোলা ফটো সব সময় একসেপ্ট হয় না।এ কারণে অনেক অভিজ্ঞ হতে হয়।অবশ্য আমার ছোট মেয়ের পাসপোর্টের জন্য ফটো আমি তুলেছিলাম বাসা থেকে। এটি ছিল আমার তোলা প্রথম ফটো পাসপোর্ট এর জন্য।টেনশনে ছিলাম হবে কি, হবে না।এরপর অনলাইনে যখন এপ্লাই করতে ফটোটি ব্যবহার করেছিলাম তখন তারা একসেপ্ট করে নিয়েছিল।এখন প্রবলেম হচ্ছে আমার ফটো কে তুলে দিবে? যদিও হাজব্যান্ড তুলে দিলে হতো, কিন্তু প্রবলেম হচ্ছে বাসায় ফটো তুললে ততটা সুন্দর হয় না। আর পাসপোর্ট এর ফটো সুন্দর না হলে আমার ভালো লাগে না।তাই চলে গিয়েছিলাম স্টুডিওতে ফটো তোলার জন্য।এরপর তারা ফটো তুলে দিল, আর কোড নাম্বার দিল।যখন অনলাইনে এপ্লাই করবো তখন কোড নাম্বার দিলেই ফটো চলে আসবে।কিন্তু ওই ফটোটিও আমার কাছে তেমন ভালো লাগেনি।কেমন যেন একটু ডার্ক ডার্ক ছিল।মোটামুটি সন্তুষ্ট হতে পারিনি।এরপর অনলাইনে এপ্লাই এর জন্য কোড নাম্বার দিলাম। তখন আমার ফটো চলে এলো।সেখানে ওই ফটোটি না দিয়ে ডাউনলোড করে ফেললাম।এরপর এডিট করে একটু ব্রাইটনেস বাড়িয়ে দিলাম।তখন ফটোটি বেশ ভালই লাগছিল, কিন্তু টেনশনে ছিলাম এই ফটো তারা একসেপ্ট করবে কিনা? কিন্তু না, দেওয়ার সাথেই তারা একসেপ্ট করে নিল।
পাসপোর্ট রিনিউ করতে হলে অবশ্যই পুরনো পাসপোর্টের ডিটেলস লাগবে।সব ডিটেলস দিয়ে ফি দিলাম, ডেলিভারি সহ ওয়ান হান্ড্রেড পাউন্ড যা বাংলাদেশী টাকার প্রায় ১৫ হাজার টাকা।চার্জ একটু বেশিই নিয়েছে।অবশ্য অনলাইনে না করলে ফি আরো বেশি হতো।যাই হোক এ দেশে পাসপোর্ট তৈরি করতে খুব বেশি ঝামেলা হয় না, মাত্র পাঁচ থেকে ৬ দিনে পাসপোর্ট তৈরি হয়ে বাসায় চলে আসে।অবশ্য এক্ষেত্রে পুরনো পাসপোর্ট ও তাদেরকে দিতে হয়। পুরনো পাসপোর্টের ডিটেলস দেখে তারা নতুন পাসপোর্ট তৈরি করে আবার নতুন পাসপোর্ট এর সাথে পুরনো পাসপোর্ট ফেরত দিয়ে দেয়।যাইহোক অবশেষে আমার পাসপোর্ট আজ হাতে পেয়ে গেলাম। এখন টেনশনমুক্ত।আগে পাসপোর্টের কালার লাল রং এর ছিল, দেখতে বেশ ভালো লাগতো।কিন্তু এখন চেঞ্জ হয়ে ডার্ক ব্লু করেছে।যাইহোক বড় মেয়ের পাসপোর্ট করা এখনও বাকী রয়েছে।দ্রুত তার পাসপোর্টও রিনিউ করে ফেলব।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[](https://steemitwallet.com/~witnesses
দীর্ঘ কয়েক মাস আপনাদের পাসপোর্ট এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আসলে পাসপোর্ট সবসময় রেডি রাখার প্রয়োজন। যে কোন মুহূর্তে যে কোন প্রয়োজনে বেশি আসার প্রয়োজনও হতে পারে তাই সে চিন্তা মাথায় রেখে পাসপোর্ট রিনিউ করা জরুরী। আর এই বিষয়টা দুলাভাই ভালো জানতেন বুঝতেন তাই তিনি অস্থির ছিলেন। যাইহোক রিনিউ করা হয়ে গেছে দেখে ভালো লাগলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি আসলেই ফটোগ্রাফিতে বেশ দক্ষ। যাইহোক অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই দেখছি পাসপোর্ট রিনিউ করে ফেললেন। পাসপোর্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। পাসপোর্টের কালার ডার্ক ব্লু হলেও, দেখতে কিন্তু ভালোই লাগছে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit