জেনারেল রাইটিংঃ মা-বাবা তোমাদের ভালোবাসার ঋণ কোনদিন শোধ হবে না ❤️

in hive-129948 •  18 days ago  (edited)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু /আদাব

🌿আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001


আজ ০৪ ফেব্রুয়ারি রোজ মঙ্গলবার ২০২৫ ইং:।

বাংলায় ২১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবসী.........

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আমি বরাবরই লেখালেখি করতে এবং পড়তে অনেক পছন্দ করি। আমার বাংলা ব্লগে অনেক সদস্যরা এই জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করে থাকেন তাদের লেখাগুলো পড়ে আমি নিজে অনেক উৎসাহিত পাই। আশা করি আমার লেখার জেনারেল রাইটিং পোস্ট আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।

beach-4455433_1280.jpg

Source

মা-বাবা এই দুটি শব্দের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এক অদ্ভুত মায়া, সীমাহীন ভালোবাসা আর অকৃত্রিম স্নেহের ছোঁয়া। এই পৃথিবীতে আমাদের অস্তিত্ব তাঁদের হাত ধরেই। জন্মের পর থেকে প্রথম নিঃশ্বাস নেওয়া, প্রথম হাঁটতে শেখা, কথা বলা আর সবকিছুর পেছনে তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম আর ভালোবাসা জড়িয়ে আছে। মা-বাবা শুধু আমাদের জন্মদাতাই নন, তাঁরা আমাদের পথপ্রদর্শক, আমাদের শক্তি, আমাদের আশ্রয়।একটি শিশু যখন পৃথিবীতে আসে তখন সে সম্পূর্ণ নির্ভরশীল তার মা-বাবার ওপর। মায়ের বুকের উষ্ণতা, বাবার শক্তিশালী হাতের সুরক্ষা এসবের মধ্যেই গড়ে ওঠে শিশুর জীবনের প্রথম অধ্যায়। মা নিরবচ্ছিন্ন স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে সন্তানকে আগলে রাখেন, আর বাবা দিনরাত পরিশ্রম করে পরিবারের প্রয়োজন মেটান। আমাদের প্রথম হাঁটতে শেখার সময় মা-বাবার হাত ধরেই সেই পথচলা শুরু হয়। তাঁদের কষ্টের বিনিময়ে আমরা ধীরে ধীরে বড় হই, জগতের রঙ-রূপ চিনতে শিখি।

শিক্ষা ও মূল্যবোধ গঠনে মা-বাবার ভূমিকা অপরিসীম। শুধু শারীরিক লালন-পালন নয় আমাদের মানসিক ও নৈতিক বিকাশেও মা-বাবার অবদান অসীম। ছোটবেলা থেকেই তাঁরা আমাদের শেখান কীভাবে ভালো-মন্দের পার্থক্য করতে হয়, কীভাবে অন্যদের প্রতি সম্মান দেখাতে হয়। মা-বাবার সঠিক দিকনির্দেশনা আমাদের জীবনের মূল ভিত গড়ে তোলে। একজন সৎ ও আদর্শবান মানুষ হয়ে ওঠার জন্য তাঁদের শেখানো নীতি ও মূল্যবোধই আমাদের পথ দেখায়।কঠিন সময়ে মা-বাবা আত্মত্যাগ করে সন্তানের জন্য। আমাদের জীবনে যখনই কোনো বিপদ আসে, তখন মা-বাবা সবকিছু ভুলে আমাদের পাশে দাঁড়ান। নিজের কষ্ট লুকিয়ে আমাদের হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেন। কত রাত তাঁরা আমাদের অসুস্থতার কারণে নির্ঘুম কাটিয়েছেন, কত স্বপ্ন তাঁরা আমাদের জন্য বিসর্জন দিয়েছেন, তার কোনো হিসাব নেই। অনেক সময় দেখা যায় মা-বাবা নিজেদের স্বপ্নকে ত্যাগ করে আমাদের ভবিষ্যৎ গড়তে নিরলস পরিশ্রম করেন। তাঁরা চান না তাঁদের সন্তান কোনো কষ্ট পাক, কোনো বাধার সম্মুখীন হোক। এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া সম্ভব নয়।

মা-বাবার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব বলে হয়তো শেষ করা যাবে না। মা বাবা একজন সন্তানের অমূল্য সম্পদ। আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন তাঁরা আমাদের জন্য রাতের ঘুম হারাম করেছেন, আমাদের প্রতিটি চাহিদা পূরণ করেছেন। কিন্তু বড় হয়ে আমরা কি তাঁদের সেই ভালোবাসার যথাযথ মূল্য দিচ্ছি? আমাদের সমাজে এমন অনেক সন্তান আছে, যারা বড় হয়ে মা-বাবাকে ভুলে যায়, তাঁদের প্রতি অবহেলা দেখায়। অথচ মা-বাবার প্রতি ভালোবাসা ও যত্ন দেখানো আমাদের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব। শুধু অর্থ-সম্পদ দিলেই তাঁদের প্রতি দায়িত্ব পালন করা হয় না, বরং তাঁদের সঙ্গে সময় কাটানো, তাঁদের অনুভূতিগুলো বোঝা, তাঁদের ভালো-মন্দের খোঁজ রাখা এসবই আসল ভালোবাসার প্রমাণ।মা-বাবার ভালোবাসার তুলনা হয় না। তাদের ভালোবাসার কোনো বিকল্প নেই। তাঁদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত প্রতিদিন, শুধু বিশেষ কোনো দিনে নয়। আমাদের উচিত তাঁদের হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করা, তাঁদের স্বপ্ন পূরণে সাহায্য করা। কারণ তাঁরা শুধু আমাদের জন্মদাতা নন, তাঁরা আমাদের পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। মা-বাবাকে ভালোবাসার জন্য কোনো কারণ লাগে না, ভালোবাসার জন্য শুধু হৃদয়ের টানটাই যথেষ্ট। তাই যতদিন তাঁরা আমাদের পাশে আছেন, ততদিন তাঁদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে তাঁদের প্রতি দায়িত্ব পালন করা আমাদের সবার কর্তব্য।মা-বাবা, তোমাদের জন্য হাজারো ভালোবাসা।সবশেষে একটা কথাই বলতে চাই অনেক ভালোবাসি তোমাদেরকে।

পোস্টের বিষয়জেনারেল রাইটিং
পোস্টকারীতানহা তানজিল তরসা
ডিভাইসরেডমি নোট ১১
লোকেশনপাবনা
আজ এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।


১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়

আমি তানহা তানজিল তরসা। আমার স্টিম আইডির নাম @tanha001। আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। আমি বিবাহিতা। আমার একটা ছেলে সন্তান আছে। আমি ফটোগ্রাফি, গান গাইতে,রান্না করতে ও বাইকে ঘুরতে অনেক পছন্দ করি। আমার জন্ম স্থান কালিগঞ্জ থানা ঝিনাইদহ জেলায়। আমি পেশায় এক গৃহিনী। পাশাপাশি আমি আমার পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। আমি আমার হাসবেন্ড এর চাকরির সূত্রে পাবনা চাটমোহর এ বসবাস করছি।


সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। স্পেশালি ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, এডমিন ও মডারেটরদের যারা আমাকে এত সুন্দর একটা কমিউনিটিতে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে এবং আমাকে প্রতিনিয়ত সাপোর্ট করছেন।


১০%প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।


Logo.png

Banner.png

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iPThZ2Nm31XYf1kVtdo4j1v1Ah8DgbX95pDmZrAykR916ZYwyf7VtbaYT5BaJKG4tj3C4iFFXdQ.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

1738683443318.png

এক জীবনে একটি সন্তানের কাছে কখনো মা বাবার ঋণ শোধ করা সম্ভব হয় না। একটি সন্তানের জন্য মা-বাবা তার সমস্ত জীবনের ইনকাম সুখ ভালোবাসা সবকিছু বিসর্জন দিয়ে থাকে। সন্তানের দিকে চেয়ে দেখে মানুষ অনেক কষ্ট সহ্য করে থাকেন। মা-বাবা একটি সন্তানের জন্য বট গাছের ছায়া স্বরূপ। অনেক ভালো লেগেছে আপু আপনার লেখা অনুভূতিগুলো পড়ে।

আপনার মূল্যবান অভিমত ব্যাক্ত করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আসলে সত্যিই মা-বাবার ঋণ কখনো শোধ করা যায় না। এই মা বাবা যতদিন বেঁচে থাকে ততদিন আমাদের জীবনের সকল বাঁধা বিপত্তি গুলো তারা নিজেরা আগে থেকে সামলে নেয়। আসলে মানব জীবনে মা-বাবার গুরুত্ব কিন্তু অপরিসীম। এত সুন্দর একটা জেনারেল রাইটিং পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

জি ভাই আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন মা বাবা যতদিন বেঁচে আছে ততদিন আমাদের জীবনের সকল বাধা বিপত্তি গুলা তারা সামলে নেই। ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।

বাবা- মা এর ঋণ আসলেই কোন সন্তানের শোধ করা সম্ভব নয়। সন্তানের জন্য বাবা- মা ই পৃথিবীতে যেন সাক্ষাৎ ঈশ্বরের ই রূপ। এ পৃথিবীতে যাদের মাথার উপর তাদের বাবা- মা এর আশির্বাদ রয়েছে, যাদের বাবা-মা বেঁচে আছেন, সেই সন্তান ভীষণ ভীষণ লাকি। ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবা-মা।

অনেক মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

অনেক সুন্দর একটা পোস্ট লিখেছেন যেটা আমার কাছে পড়তে খুব ভালো লেগেছে। আসলে বাবা মায়ের ভালবাসার ঋণ কখনো পরিশোধ করা যাবে না এটা একদম ঠিক। তাদের ভালোবাসা হয়ে থাকে অমূল্য। যে ভালবাসার কখনো শেষ হয় না। তারা মন প্রাণ উজাড় করে সন্তানকে ভালোবাসে। তবে বাবা মায়ের প্রতি ও সন্তানের দায়িত্ব থাকে। যে দায়িত্ব আমাদের পালন করা দরকার।

আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।

একদম ঠিক বলেছেন আপু, মা বাবার ঋণ কখনোই শোধ করা যাবে না। তারা আমাদের জন্য প্রচুর কষ্ট করেছেন। তাই বৃদ্ধ বয়সে তাদের পাশে অবশ্যই দাঁড়ানো উচিত আমাদের। এতে করে তারা একাকী বোধ করবে না। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য।

আপনি আজকে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন আপনার পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আসলে মা বাবার ঋণ কখনো পরিশোধ করা সম্ভব নয়।মা বাবা একজন সন্তানের জন্য ছায়া স্বরুপ। অনেক ভালো লেগেছে আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

মা-বাবাকে নিয়ে লেখা জেনারেল রাইটিং পোস্ট আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে।

পৃথিবীতে অনেক মানুষ অনেক ধরনের ঋণ নিয়ে থাকে এবং এই ঋণ গুলো তারা শোধ করতে পারে৷ তবে পিতা মাতার যে ঋণ রয়েছে সেটি তারা কেউ কোনদিন শোধ করতে পারবে না৷ এই ঋণ কোনদিন শোধ হওয়ার মত নয়৷ আমরা যত যা কিছু করে ফেলি না কেন পিতা-মাতার কাছে আমরা সবসময় ছোট থেকে যাই৷ তাদের ঋণ আমরা কোনভাবেই শোধ করে দিতে পারব না৷ আর আজকে আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার এই পোস্টের মধ্য দিয়ে অনেক কিছুই শেয়ার করেছেন৷ অনেক ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর পোস্ট পড়ে৷

আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন।

সবসময় এরকম পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।