"সীমান্ত পেরিয়ে ভ্রাতৃত্বের গল্প" ❤️

in hive-129948 •  2 months ago 
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু /আদাব

🌿আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001


আজ ০৩ ডিসেম্বর রোজ মঙ্গলবার ২০২৪ ইং:।

বাংলায় ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।


হ্যালো বন্ধুরা........

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি পরিবার পরিজনদেরকে নিয়ে। আপনারাও নিশ্চয়ই অনেক ভালো আছেন পরিবার পরিজনদেরকে নিয়ে।আবহাওয়া চেঞ্জের কারণে ছোট থেকে বড় কমবেশি সবাই অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকের নতুন ব্লগ শুরু করছি। আমার আজকের নতুন ব্লগে সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি। আজ আমি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। এখন বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে ঢুকলেই দেখা যায় পতাকার অবমাননা ও দেশ নিয়ে নানা কটুক্তি। পতাকা অবমাননা নয়, সম্প্রীতির বন্ধন চাই আমরা। পতাকা হল একটি দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতীক।আমরা পরস্পর দেশগুলো একত্রিত হলে দুটি দেশের জন্যই অনেক ভালো এবং মঙ্গলময় । আমাদের মধ্যে ধনী-দরিদ্র কিংবা জাত-পাত বড় কথা নয়, সবচাইতে বড় কথা হলো আমরা সকলেই মানুষ।ভারতের ত্রিবর্ণের পতাকা ও বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা একে অপরকে শ্রদ্ধা জানায়। আজ আমি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব আপনারা ঠিক বুঝতেই পারছেন। আশাকরি আমার লেখা জেনারেল রাইটিং আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।

istockphoto-1387795969-612x612.jpg

Source


ভারত এবং বাংলাদেশ দুটি দেশ, দুটি সংস্কৃতি, দুটি পতাকা, অথচ হৃদয়ের এক অভিন্ন স্পন্দন। ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে এই দুই দেশের ভ্রাতৃত্ব, ভালোবাসা ও বিশ্বাসের এক অনন্য বন্ধন গড়ে উঠেছে।১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ছিল দুই দেশের ভ্রাতৃত্বের অমলিন প্রতীক। সেই সময় বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ভারত যে মানবিকতা ও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে, তা ইতিহাসের পাতায় সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে। সময়ের পরিক্রমায় সেই সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে, যেখানে দুই দেশের মানুষ একে অপরের সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে।দুই দেশের মধ্যে শুধু ভৌগোলিক সীমানাই নয়, রয়েছে সংস্কৃতি, ভাষা, খাদ্যাভ্যাস, এবং ঐতিহ্যের মিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম এই দুই দেশের গর্ব, যাঁরা দুই জাতির বিশ্বাসকে একসূত্রে বেঁধেছেন। ব্যবসা বাণিজ্য থেকে শুরু করে কূটনৈতিক সম্পর্ক, দুই দেশের মাঝে রয়েছে গভীর বিশ্বাস ও সহযোগিতা।

ভারতের ত্রিবর্ণ পতাকা এবং বাংলাদেশের সবুজ-লাল পতাকা শুধু কাপড়ের টুকরো নয়, এগুলো হলো আত্মত্যাগ, গৌরব ও স্বাধীনতার প্রতীক। ভারতের পতাকা শান্তি, শক্তি এবং আত্মত্যাগের কথা বলে, আর বাংলাদেশের পতাকা স্মরণ করায় মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রক্তাক্ত ইতিহাস ও সবুজ সমৃদ্ধির স্বপ্ন। এই দুটি পতাকা একে অপরকে সম্মান করে, শ্রদ্ধা করে।ভারত আর বাংলাদেশের এই ভ্রাতৃত্ব শুধুই অতীতের নয় বরং ভবিষ্যতের পথে একসঙ্গে চলার প্রতিশ্রুতি। ভাষা সংস্কৃতি ও ভালোবাসার মেলবন্ধনে এই দুই দেশ যেন মানবিকতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকে।ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক কেবল প্রতিবেশী হিসেবে সীমাবদ্ধ নয়,এটি দুই জাতির হৃদয়ের গভীর সংযোগের প্রতিফলন। ভৌগোলিক সীমানা ভাগ করে নেওয়া সত্ত্বেও দুই দেশের মানুষ একে অপরের সংস্কৃতিকে আপন করে নিয়েছে। এই বন্ধনের মূল ভিত্তি হলো সম্মান, সহমর্মিতা এবং সহযোগিতা।

বাংলাদেশে মাতৃভাষা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ অন্যান্য রাজ্যেও সমানভাবে প্রিয়। রবীন্দ্রসঙ্গীত থেকে শুরু করে নজরুলগীতি, দুই দেশের মানুষ একই সুরে গেয়ে ওঠে। দুই দেশের মেলবন্ধন ফুটে ওঠে বসন্ত উৎসব, পয়লা বৈশাখ, দুর্গাপূজা কিংবা পিঠাপুলির ঐতিহ্যে। এই সাংস্কৃতিক সম্প্রীতি দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করে তোলে।প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সহযোগিতা বাংলাদেশের জন্য ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময় অপরিসীম। শুধু শরণার্থী আশ্রয় নয় অস্ত্র ও রণনীতি দিয়ে সাহায্যের যে দৃষ্টান্ত ভারত স্থাপন করেছে, তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। স্বাধীনতার পর থেকে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য শিক্ষাক্ষেত্র এবং প্রযুক্তিতে একে অপরকে সহযোগিতা করে আসছে।

ভারতের ত্রিবর্ণের পতাকা ও বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা একে অপরকে শ্রদ্ধা জানায়। এই দুটি পতাকা শুধু দেশপ্রেমের প্রতীক নয়, বরং ঐক্য, শান্তি এবং সমৃদ্ধির এক যুগল প্রতিচ্ছবি।দুই দেশের যুবসমাজ, যারা নতুন দিনের পথিক, তারা এই ভ্রাতৃত্বকে আরও শক্তিশালী করবে। ভারত ও বাংলাদেশ একসঙ্গে দাঁড়িয়ে বিশ্বকে দেখাতে পারে কিভাবে প্রতিবেশী দেশগুলো পারস্পরিক বিশ্বাস ও ভালোবাসার মাধ্যমে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারে।ভারত আর বাংলাদেশ একে অপরের কাছে কেবল প্রতিবেশী নয় বরং চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের উদাহরণ। তাদের এই বন্ধন যুগ যুগ ধরে একটি বার্তা দিয়ে যায় যেখানে ভালোবাসা, বিশ্বাস আর সম্মান থাকে, সেখানে সীমান্তের দেয়াল কখনো বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।


পোস্টের বিষয়জেনারেল রাইটিং
পোস্টকারীতানহা তানজিল তরসা
ডিভাইসরেডমি নোট ১১
লোকেশনপাবনা
আজ এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আর লেখার অমিল ও ভূল ত্রুটি হলে ক্ষমা ও সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেবেন।


১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়

আমি তানহা তানজিল তরসা। আমার স্টিম আইডির নাম @tanha001। আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। আমি বিবাহিতা। আমার একটা ছেলে সন্তান আছে। আমি ফটোগ্রাফি, গান গাইতে,রান্না করতে ও বাইকে ঘুরতে অনেক পছন্দ করি। আমার জন্ম স্থান কালিগঞ্জ থানা ঝিনাইদহ জেলায়। আমি পেশায় এক গৃহিনী। পাশাপাশি আমি আমার পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। আমি আমার হাসবেন্ড এর চাকরির সূত্রে পাবনা চাটমোহর এ বসবাস করছি।


সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। স্পেশালি ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, এডমিন ও মডারেটরদের যারা আমাকে এত সুন্দর একটা কমিউনিটিতে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে এবং আমাকে প্রতিনিয়ত সাপোর্ট করছেন।


Logo.png

Banner.png

HNWT6DgoBc14riaEeLCzGYopkqYBKxpGKqfNWfgr368M9VQjn5XvcWiqDgAzazqqBxpoCzAQ3f8ZzKvEh8Ri249tYMtx3GCiTjN5sy7eKHEedamwVVfvyVu2mX4.jpeg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Screenshot_2024-12-03-12-21-20-472_com.twitter.android.jpg

Screenshot_2024-12-03-12-23-27-430_com.android.chrome.jpg

Screenshot_2024-12-03-12-22-43-786_com.android.chrome.jpg

সম্পর্ক না ভেঙে সম্পর্ককে আরো বেশি মজবুত করা সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এখন সবাই তো জাতীয় পতাকার অবমাননা করছে। যেটা একেবারেই উচিত হচ্ছে না। এত বছর ধরে যে বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক রয়েছে দুই দেশের মধ্যে, ওরকমই সুন্দর সম্পর্ক থাকা দরকার সারা জীবন। অনেক সুন্দর ভাবে লিখেছেন পুরো পোস্ট।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।