❤️আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসি.......
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি।প্রতি সপ্তাহের মতো এই সপ্তাহেও নতুন একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছে আমি আপনাদের মাঝে। আমি সপ্তাহে সাতটি ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট শেয়ার করার চেষ্টা করি। সেই ধারাবাহিকতায় আজ আমি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করব। আশা করি আমার লেখা লাইফ স্টাইল পোস্ট আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। চলুন তাহলে দেখে আসা যাক।
কাল ১৪ নভেম্বর আমার ছেলে আয়ান বাবুর জন্মদিন ছিল।বাবুর জন্মদিন উপলক্ষে আমরা ছোটখাটো একটা আয়োজন করেছিলাম। প্রথমে আয়োজন করার কোন রকম ইচ্ছে আমাদের ছিল না। যা কিছু করেছি একদম হঠাৎ করে অ্যারেঞ্জমেন্ট করা হয়েছে। কাল সকালে তার বাবা ও আমি যখন তাকে উইশ করেছিলাম, তখন সে বলে বাবা আমি কেক কাটবো আগুন ধরাবো। ছেলে যখন বায়না করলো তখন আবদার তো মেটাতেই হয়। তাই আরকি যেমন ভাবনা তেমন কাজ। আমরা সাথে সাথে ফ্যাক্টরিতে যায় এবং সেখানে গিয়ে কেকের অর্ডার দিয়ে আসি। আমরা যে ভাইয়ের কাছে অর্ডার দিয়েছিলাম ভাই বলল সন্ধ্যাবেলা আপনারা সন্ধ্যাবেলা কেক হাতে পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।এ কথা শুনে আমরা খুশি মনে বাসায় চলে আসলাম এবং টুকিটাকি কিছু অ্যারেঞ্জমেন্ট করলাম।আইয়ানের বাবা বিকাল চারটার দিকে অফিসের সবাইকে বলল। সবাই ছেলের জন্মদিনের কথা শুনে খুবই খুশি হল।
এরপর খুশি মনে চলে গেলাম কিচেনে আজ যেহেতু ছেলের জন্মদিন সেহেতু সবকিছু নিজের হাতেই করব। আর যা করতে হবে আমাকেই তো করতে হবে। এরপর প্রথমে আমি পায়েস রান্না করার জন্য সব কিছু রেডি করলাম এবং তারপরে পায়েস রান্না করলাম। পায়েস রান্না শেষ হলে দুই পদের মাংস রান্না করেছিলাম। সাথে অবশ্য ছোলার ডাউল রান্না করেছিলাম। একা হাতে এত কিছু করতে যে আমি অবশ্য ক্লান্ত হয়ে গেছিলাম। তারপরেও এটা মনে হচ্ছিল আজ আমার ছেলের জন্মদিন আমাকে তো একটু কষ্ট করতেই হবে। তারপর আমি নিজে হাতে একটা কেক তৈরি করি এবং সাথে পাকান পিঠা, পাটিসাপটা পিঠ ও বিস্কিট তৈরি করি ছেলের জন্য। মিষ্টিটা অবশ্য আমরা বাজার থেকে এনেছিলাম। আমি যেগুলো রেসিপি তৈরি করেছি আমার বাবু খেতে অনেক পছন্দ করে।
সারাদিন ধকলের পর নিজেকে অনেক ক্লান্ত লাগছিল। কিন্তু যখন ছেলের হাসি মাখা মুখটা দেখছিলাম তখন সব ক্লান্ত দূর হয়ে যাচ্ছিল।আমার ছেলে দুপুরে ঘুমাই ছিল এবং ঘুমের ঘরে আমার ছেলে একটা খারাপ স্বপ্ন দেখে। স্বপ্নটা দেখে আমার ছেলের গায়ে অনেক জ্বর চলে আসে। ছেলেটা এত আনন্দের মাঝে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ায় সত্যি অনেক খারাপ লাগছিল।এরপর সন্ধ্যাবেলা কেকের ফ্যাক্টরি থেকে ফোন আসে এবং আপনাদের ভাই সাথে সাথে কেক আনতে যায়।আপনাদের ভাই যখন কেক নিয়ে বাসায় আসলো তখন আইয়ান কেক দেখে বলছে বাবা আগুন ধরাও আমি কেক কাটবো।তারপর আইয়ান তার বাবাকে বলছে সেলফি তোলো। যেহেতু আপনাদের ভাইয়ের অফিস আমার বাসায় একসাথে, অফিসের অনেক কলিগরা বাসা নিয়ে থাকে তারাও এসেছিল। এরপর অফিসের সবাই চলে আসলো আমাদের বাসায়। সবাই চলে আসার পরে আমরা কেক কাটার কাজটি সম্পন্ন করে অনেক সুন্দর ভাবে। সবাই মিলে অনেক আনন্দ করেছিলাম। এরপর সবাই একে একে আইয়ান বাবুকে কেক খাইয়ে দিল। বাবুর কেক খাওয়ানোর পর্ব শেষ হলে এবার আমরা বাকি সবার খাওয়ানোর এরেজমেন্ট শুরু করি। প্রথম সবাই কেক খায় এরপর আমি নিজের হাতে যেগুলো তৈরি করেছিলাম সেই রেসিপিগুলা নাস্তা হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। নাস্তা করা হয়ে গেলে আমরা বেশ অনেকক্ষণ সবাই মিলে আড্ডা দিয়েছিলাম। কাল আমরা সবাই মিলে সত্যি অনেক আনন্দ করেছিলাম যেটা বলে বোঝানোর মত না। এরপর আমরা খাওয়া-দাওয়ার পর্বটা শেষ করি। হঠাৎ করে যেহেতু এরেজমেন্ট করা হলো আমি ভেবেছিলাম আমি একা একা সবটা করে উঠতে পারবো না। কাল অবশ্য আপনাদের ভাইয়াও আমাকে একটুও হেল্প করতে পারিনি। কারণ কাল সে প্রথমে মহড়া করতে গেয়েছিল, এরপর ডিউটি করেছে তারপরে বড় রকমের একটা ফায়ার হয়েছিল সেখানে গিয়েছিল এজন্য সে কাল সারাদিনই অনেক ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটিয়েছে। আমি নিজে হাতে এত কিছু করেছি তারপরে বাবু দুপুর থেকে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েছিল এজন্য অনেক টেনশনে ছিলাম হয়তো সবকিছু একা একা সামাল দিতে পারব না। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ আমি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবকিছু খুব সুন্দর ভাবেই করতে পেরেছি।
এরপর বাবুর জন্য তার আঙ্কেলরা একটা রিমোট কন্ট্রোল কার নিয়ে আসে এবং সাথে তিনটা চকলেটের বক্স নিয়ে আসে। দিকে যেহেতু আইয়ানের নানু ভাই এবং তার নানী আসতে পারেনি তাই তার জন্মদিনের গিফট হিসাবে ২০০০ টাকা পাঠিয়ে দেই, অফিসের আরো অনেকেই বাবুকে গিফট কেনার জন্য টাকা দিয়েছিলো।মোট মিলে বাবুর দেখলাম ৪০০০ টাকা হয়েছে। কিন্তু আমি টাকা নেওয়ার মোটেই পক্ষবাদি ছিলাম না। শুধুমাত্র আনন্দ উপভোগ করার জন্য সবাই একসাথে হওয়া।মোটামুটি বাবু ভালোই উপহার পেয়েছে সবার থেকে। আর উপহার পেয়ে সে তো মহা খুশি। আমি চাই সবাই আমার বাবুর জন্য মন থেকে দোয়া করুক এটাই আমার কাছে অনেক। সবাই আমার বাবুর জন্য দোয়া করবেন যাতে আমার বাবু সব সময় সুস্থ সবল থাকে। আজকের এই দিনটাতে সে আমার ঘর আলো করে দুনিয়াতে এসেছিল, এটা যে কি আনন্দের সেটা বলে বোঝানো যাবে না। আপনাদের সবার কাছে একটাই চাওয়া আমার বাবুর জন্য সবাই দোয়া করবেন।
পোস্টের বিষয় | লাইফ স্টাইল |
---|---|
পোস্টকারী | তানহা তানজিল তরসা |
ডিভাইস | রেডমি নোট ১১ |
লোকেশন | পাবনা |
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একা একা বেশ ভালোই আয়োজন করেছেন আপনি।আসলে বাচ্চারা বায়না ধরলে তা পূরন না করে পারা যায় না।আপনার ছেলের জন্য শুভ কামনা রইলো।ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চেষ্টা করেছি আপু যতটুকু পারি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রথমে আপনার বাবুর জন্য অনেক অনেক দোয়া করি। আমাদের সবার মনের মধ্যে ভালোলাগা থাকে যদি সন্তান সুস্থ থাকে এবং হাসিখুশি ভাবে দিন যাপন করে। আর সেই জায়গায় যদি হয় জন্মদিন তাহলে তো হাসি আনন্দ উল্লাস মেতে থাকবেই। ঠিক তেমনি একটা আনন্দঘন মুহূর্ত ছিল এটা। বারবার ফিরে আসুক হাসি মাখা মুখ নিয়ে এই দিনটা। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। অনেক সুন্দর ভাবে আইয়ান বাবুর জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আইয়ান বাবুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপু আপনার ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে দারুন আয়োজন করেছেন। আর জন্মদিনের সুন্দর আয়োজন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ আয়ান বাবুর জন্মদিনে উপলক্ষে খুব সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করলেন। জন্মদিন উপলক্ষে খাওয়া-দাওয়া ভালোই আয়োজন হয়েছে। আইয়ান বাবু অনেকগুলো গিফট পেয়েছে। আইয়ান বাবুকে অনেক খুশি লাগছে। আয়ান বাবুর সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
স্বল্প সময়ের মধ্যে যতদূর সম্ভব খুব সুন্দর ভাবে চেষ্টা করেছি সবকিছু আয়োজন করার। ধন্যবাদ ভাইয়া আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক অনেক ভালো লাগলো ছেলের জন্মদিন সম্পর্কে আমাদের মাঝে বিস্তারিত উপস্থাপন করতে দেখে। জন্মদিনের আনন্দ সত্যি স্মৃতি হয়ে থাকে। এমন হাসি খুশি মুহূর্ত যেন বারবার ফিরে আসে সেই দোয়া রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দেখতে দেখতে আপনার ছেলে অনেক টা বড় হয়ে গেল। এবং আপনার জন্মদিন উপলক্ষে বেশ ভালোই আয়োজন করেছিলেন।আর এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে আপনার ছেলের জন্মদিন পালন করা হয়েছে, বেশ ভালো লাগলো। আশা করছি আপনার ছেলে একদিন আপনার পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করবে। আপনার ছেলের জন্য দোয়া রইল আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাইয়া ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে ছোটখাটো একটা আয়োজন করেছিলাম। ধন্যবাদ ছেলের জন্য দোয়া করবেন ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ছেলে মেয়েদের জন্মদিনে মা বাবার কাছে অন্যরকম একটা অনুভূতি আসে। তবে আপনার ছেলে আইয়ান বাবুর জন্য দোয়া রইল তার জন্মদিন উপলক্ষে। দেখতেছি নানা নানুর কাছ থেকেও টাকা হয়ে গেছে জন্মদিন উপলক্ষে। যদিও আপনার ছেলে অসুস্থ । আপনার ছেলের জন্য দোয়া রইল সামনের দিন যেন তার ভালো যায়। এবং সব সময় যেন সুস্থ থাকে এই কামনা করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন, জন্মদিনের দিন ও দুপুর বেলা ঘুমের মধ্যে খারাপ স্বপ্ন দেখে এবং অনেক ভয় পেয়ে যাই।তাই বলে হঠাৎ করে বাবুর গায়ে অনেক জ্বর চলে আসে। দোয়া করবেন আমার বাবুর জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit