🌿আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001।
হ্যালো বন্ধুরা........
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি ও আমার পরিবার কিছুদিন অসুস্থ থাকার কারণে আমি কাজ করতে পারিনি। এখন একটু মোটামুটি সুস্থ তাই আস্তে আস্তে কাজে ফেরার চেষ্টা করছি।আগে সপ্তাহে যেমন সাতটি পোস্ট শেয়ার করতাম সেই ধারাবাহিকতায় আবার পোস্ট শেয়ার করব। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি ক্রিয়েটিভ রাইটিং পোস্ট শেয়ার করব। লেখালেখি করতে বরাবরই আমি অনেক পছন্দ করি।আশা করি আমার লেখা ক্রেয়েটিভ রাইটিং আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
রাত তখন তিনটে বাজে। পুরো শহর ঘুমিয়ে কিন্তু অরণ্য ঘোষের চোখে ঘুম নেই। তার ঘরের ভেতর যেন একটা অদ্ভুত অনুভূতি ছড়িয়ে আছে। এতদিন ধরে সে এই বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে একাই থাকে, অথচ আজ মনে হচ্ছে কেউ তার পাশে দাঁড়িয়ে নিঃশ্বাস ফেলছে।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে সে চমকে উঠল। সময় থেমে আছে ঠিক ৩:০০ AM।"আবার?"এটা নতুন কিছু নয়। গত কয়েকদিন ধরে অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটছে তার সঙ্গে। রাত তিনটা বাজলেই অদ্ভুত আওয়াজ হয়, আয়নার সামনে দাঁড়ালে নিজের প্রতিবিম্ব যেন অন্যভাবে তাকিয়ে থাকে, কখনো কখনো ফিসফিস করা শব্দ শোনা যায়।আজও তেমন কিছুই ঘটল।আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে অরণ্য নিজের প্রতিচ্ছবির দিকে তাকাল। সাধারণত যা দেখে অভ্যস্ত, তাই দেখার কথা কিন্তু আজকের আয়নাটা স্বাভাবিক ছিল না।
ওর চেহারাটা ঠিক ওর মতোই অথচ কেমন যেন অস্বাভাবিক! চোখ দুটো গভীর, অসীম অন্ধকারের মতো, ঠোঁটের কোণে একটা অদ্ভুত হাসি।তখন সে প্রশ্ন করে কে তুমি?প্রতিবিম্বটা হেসে উঠল।"আমি?" তারপর সেই কণ্ঠ ফিসফিস করে বলল, "আমি তোমার অপরাধ।"অরণ্যের শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল।তুমি কি চুরি করোনি? প্রতারণা করোনি? ক্ষমতার লোভে কতজনকে বিপদে ফেলোনি? এ কথা বলার পর অরণ্য মাথা নাড়ল, কিন্তু জানে সবই সত্যি।সে একসময় ছোটখাট চাকরি করত, কিন্তু ধীরে ধীরে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে প্রতারণার পথ বেছে নেয়। নকল কাগজপত্র বানিয়ে মানুষের সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়া, বিশ্বাস ভেঙে দেওয়ার মতো কাজ তাকে প্রচুর টাকা আর ক্ষমতা এনে দিয়েছিল।কিন্তু এসব কথা আয়না জানল কীভাবে?প্রতিবিম্বটা ধীরে ধীরে বদলাতে লাগল। অরণ্য দেখল সেখানে এখন শুধু সে নেই তার প্রতিটি প্রতারণার শিকার মানুষের অবয়ব ফুটে উঠছে। কেউ কাঁদছে, কেউ তার দিকে রাগে তাকিয়ে আছে, কেউ যেন দুঃখে হতবাক।
আয়নার প্রতিবিম্বটা হঠাৎ বলে উঠল, "সব কিছুরই মূল্য দিতে হয়, জানো তো?"অরণ্য আতঙ্কে পেছাতে লাগল।আচমকা আয়নার ভেতর থেকে একটা কালো হাত বেরিয়ে এলো।সে চিৎকার করতে চাইল কিন্তু গলা দিয়ে শব্দ বের হলো না। ঠান্ডা একটা স্পর্শ তার হাত চেপে ধরল, ধীরে ধীরে টেনে নিচ্ছে আয়নার ভেতরে।শেষবারের মতো সে নিজের ছায়া দেখতে পেল আয়নায় চোখজোড়া ফাঁকা, মুখে ভয়ের ছাপ।পরদিন সকালে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পাওয়া গেল।অরণ্যের নিথর দেহ পড়ে ছিল মেঝেতে, মুখ তার বিকৃত, চোখ বিস্ফারিত।আর আয়নায়?সেখানে তার প্রতিচ্ছবি তখনো ছিল কিন্তু সেটা হাসছিল। সেই বিকৃত ভয়ঙ্কর হাসি যেন সত্যিকার।
পোস্টের বিষয় | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
---|---|
পোস্টকারী | তানহা তানজিল তরসা |
ডিভাইস | রেডমি নোট ১১ |
লোকেশন | পাবনা |

Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit