রেনডম ফটোগ্রাফিঃ আমার ধারণ করা এলোমেলো রেনডম ফটোগ্রাফি। 📸

in hive-129948 •  6 days ago 
আসসালামু আলাইকুম/আদাব

🌿🥰👰🥀আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @tanha001

আজ ১৫ জানুয়ারি রোজ বুধবার ২০২৪ ইং:।

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসি........

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি আমার পরিবার পরিজনকে নিয়ে আপনারাও নিশ্চয়ই অনেক ভালো আছেন পরিবারের সকল সদস্যদেরকে নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে কিছু মুখরোচক খাবারের রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করবো। আশা করি আমার ধারণ রেনডম ফটোগ্রাফি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।

প্রথম ফটোগ্রাফি

IMG_20250115_072101.jpg

ফটোগ্রাফার - তানহা

ডিভাইস - রেডমি নোট ১১

Location

ধুপিপিঠা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী একটি পিঠা, যা সাধারণত শীতকালে তৈরি করা হয়। এটি বিশেষ করে গ্রামের মানুষদের কাছে খুব জনপ্রিয়। ধুপিপিঠার মূল উপকরণ হলো চালের গুঁড়ো, নারকেল, গুড়, এবং কখনও কখনও দুধ। আপনাকে এই পিঠাকে ভাপা পিঠা বলে। মাটির পাতিল বা ঢাকনাযুক্ত হাঁড়িতে পানি গরম করে তার মুখে কাপড় বেঁধে নেওয়া হয়।ধুপিপিঠা সাধারণত খেজুরের গুড় বা দুধের সাথে খেতে দারুণ লাগে। এটি নরম, সুমিষ্ট এবং পুষ্টিকর হওয়ায় শিশু থেকে শুরু করে বড়দের কাছে খুবই পছন্দের।

দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি

IMG_20250115_072705.jpg

ফটোগ্রাফার - তানহা

ডিভাইস - রেডমি নোট ১১

Location

মটরভাজা একটি মুখরোচক খাবার। এই খাবারটি খেতে কম বেশি সবাই অনেক পছন্দ করে যা বাঙালির জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। এটি কেবল একটি খাবার নয়, বরং শীতের সকালে কিংবা বৃষ্টি ভেজা বিকেলে আড্ডায় মুখোরোচক খাবার খেতে অনেক ভালো লাগে । মটরের দানা মসলা মেখে তৈরি করা এই খাবারটি ঝাল ও মশলাদার এবং কুড়মুড়ে স্বাদের জন্য সবার পছন্দ। দোকানের চায়ের সাথে মটরভাজা খেতে আমি অনেক পছন্দ করি।পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা দিয়ে মাখিয়ে খেলে মটরভাজা হয়ে ওঠে আরও মুখরোচক। এই খাবারের স্বাদ অতুলনীয় যা সবাইকে একসঙ্গে বসে খাওয়ার আনন্দ দেয়। বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই খাবারটি শুধু স্বাদে নয়, বরং স্মৃতির পটেও গেঁথে আছে। মটরভাজা আমাদের জীবনের ছোটখাটো সুখ আর আনন্দের এক নির্ভেজাল উৎস। মটরভাজা খেতে আমি নিজেও অনেক পছন্দ করি।

তৃতীয় ফটোগ্রাফি

IMG_20250115_073423.jpg

ফটোগ্রাফার - তানহা

ডিভাইস - রেডমি নোট ১১

Location

ঝাল মুড়ি একটি মুখোরোচক খাবার যা বাঙালির হৃদয়ের গভীরে স্থান করে নিয়েছে। এই সাধারণ অথচ অপূর্ব স্বাদের স্ন্যাক্স যেন আড্ডার টেবিলের অপরিহার্য সঙ্গী। মুড়ি, সরিষার তেল, কাঁচা লঙ্কা, পেঁয়াজ, টমেটো, ধনেপাতা, লেবুর রস, আর কখনো কখনো চিনাবাদাম বা চানাচুর দিয়ে তৈরি ঝাল মুড়ি খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। ঝাল মুড়ি খেতে আমি অনেক পছন্দ করি আমার অনেক প্রিয় একটি খাবার।শীতের সন্ধ্যায়, রাস্তার ধারে কিংবা গ্রামবাংলার মেলার মাঠে ঝাল মুড়ির একটি টুকরোই যেন মুহূর্তের মধ্যেই মনকে প্রফুল্ল করে তোলে। এই খাবারটি যেমন সহজে তৈরি করা যায়, তেমনই এটি এক স্বাদে ভরপুর। সরিষার তেলের গন্ধ, লেবুর টক, আর লঙ্কার ঝালের সমন্বয়ে ঝাল মুড়ি এক অনন্য স্বাদ এনে দেয়। ঝাল মুড়ি শুধুমাত্র একটি খাবার নয়, স্কুলের পড়ার ফাঁকে, অফিসের ক্লান্ত দুপুরে, কিংবা ট্রেনে ভ্রমণের সময় ঝাল মুড়ি সব জায়গাতেই আপনাকে আনন্দ দিতে প্রস্তুত। এটি কেবল পেট ভরায় না বরং হৃদয় ভরিয়ে তোলে। ঝাল মুড়ি তাই শুধুই খাবার নয় এটি বাঙালির সংস্কৃতি ও সুখের স্মৃতির এক মিশ্রণ।

চতুর্থ ফটোগ্রাফি

IMG_20250115_072159.jpg

ফটোগ্রাফার - তানহা

ডিভাইস - রেডমি নোট ১১

Location

গজা একটি লোভনীয় মিষ্টি যা সবাই খেতে অনেক পছন্দ করে।এই মিষ্টির সাদা চিনির প্রলেপে ঢাকা এবং বাইরের দিকটা কুড়মুড়ে হলেও ভেতরে নরম। ময়দা, ঘি, চিনি আর সামান্য পানি দিয়ে তৈরি এই মিষ্টিটি দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি স্বাদেও অনন্য।গজা তৈরির পদ্ধতিটিও বেশ দৃষ্টিনন্দন। ময়দার মণ্ডকে ভালো করে মেখে লম্বাটে আকারে কেটে ভাজা হয়, তারপর সেটি চিনির সিরায় ডুবিয়ে তোলা হয়। এই প্রক্রিয়া শেষে গজার উপর তৈরি হয় এক ঝকঝকে সাদা প্রলেপ যা শুধু দেখতে নয় স্বাদেও অতুলনীয়।গ্রামাঞ্চলের হাট থেকে শুরু করে শহরের বিখ্যাত মিষ্টির দোকানে এই গজার মিষ্টি পাওয়া যায়। গজা খেতে অনেক ভালো লাগে আমার কাছে। আমার পরিবারের সবাই এই মিষ্টিটি খেতে অনেক পছন্দ করে। অনেক এলাকায় এই মিষ্টিটাকে খুরমা বলে চেনে। এর প্রতিটি কামড়ে লুকিয়ে থাকে শৈশবের স্মৃতি, উৎসবের রঙ এবং পরিবারের ভালোবাসার মিষ্টতা। গজা তাই কেবল পেট ভরায় না, মনকেও ভরিয়ে দেয় সুখের অনুভূতিতে।

পঞ্চম ফটোগ্রাফি

IMG_20241216_173216.jpg

ফটোগ্রাফার - তানহা

ডিভাইস - রেডমি নোট ১১

Location

চালতার আচার একটি মুখরোচক এবং স্মৃতিমাখা খাবার, যা বাঙালির রসনাতৃপ্তির এক অমূল্য অংশ। চালতা যা একধরনের টক ফল, তার বিশেষ স্বাদ ও গুণে এটি আচার তৈরির জন্য আদর্শ। টক মিষ্টি ঝালের সমন্বয়ে তৈরি এই আচার শুধুমাত্র খেতে নয়, মনকেও সতেজ করে তোলে।চালতার আচার খেতে সবাই অনেক পছন্দ করে। টক ঝাল মিষ্টির কারণে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। চালতার আচার তৈরির প্রক্রিয়া বেশ যত্নের। প্রথমে চালতা কেটে নরম করা হয়, তারপর লবণ, হলুদ চিনি শুকনো মরিচ, সরিষার তেল এবং কিছু মশলার মিশ্রণে এটি মাখিয়ে তৈরি করা হয়। রোদে শুকানোর পর এই আচার আরও সুগন্ধি এবং স্বাদে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে।চালতার আচার ভাতের সঙ্গে, রুটি বা পরোটার সঙ্গে, এমনকি খিচুড়ির সঙ্গেও সমানভাবে মানিয়ে যায়। এটি কেবল স্বাদের জন্য নয়, হজমের জন্যও উপকারী বলে বাঙালি পরিবারে এর বিশেষ কদর রয়েছে।গ্রাম বাংলার প্রতিটি বাড়িতে, বিশেষত শীতকাল বা ফলের মৌসুমে, চালতার আচার বানানোর ব্যস্ততা দেখা যায়। এর প্রতিটি বয়ামে মিশে থাকে মায়ের যত্ন আর পরিবারের হাসিমুখের গল্প। চালতার আচার তাই কেবল একটি খাবার নয়, বরং বাঙালির ঐতিহ্যের একটি স্নিগ্ধ অধ্যায়।

পোস্টের ধরনফটোগ্রাফি পোস্ট
ফটোগ্রাফারতানহা তানজিল তরসা
ডিভাইসরেডমি নোট ১১
লোকেশনপাবনা
আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়


আমি তানহা তানজিল তরসা। আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। আমি বিবাহিতা। আমার একটা ছেলে সন্তান আছে। আমি ফটোগ্রাফি, গান গাইতে,রান্না করতে ও বাইকে ঘুরতে অনেক পছন্দ করি। আমার জন্ম স্থান কালিগঞ্জ থানা ঝিনাইদহ জেলায়। আমি পেশায় এক গৃহিনী। পাশাপাশি আমি আমার পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। আমি আমার হাসবেন্ড এর চাকরির সূত্রে পাবনা চাটমোহর এ বসবাস করছি।


সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। স্পেশালি ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, এডমিন ও মডারেটরদের যারা আমাকে এত সুন্দর একটা কমিউনিটিতে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে এবং আমাকে প্রতিনিয়ত সাপোর্ট করছেন।


১০%প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।


Logo.png

New_Benner_ABB.png

6VvuHGsoU2QBt9MXeXNdDuyd4Bmd63j7zJymDTWgdcJjo14VRtrFGNGuScBaPWHFR95FMmxtaAQvZLdKKbw85hHmvHKVuG8nshgvcyhSXjbnmrykQUbSLSKCvvZEFx.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

1736949177830.png

আপনি আজকে চমৎকার কয়েকটি রেনডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।ফটোগ্ৰাফি করতে যেমন আমার ভালো লাগে ঠিক তেমনি ফটোগ্ৰাফি পোস্ট পড়তে ও অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে, বিশেষ করে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে চালতার আচার এর ফটোগ্ৰাফিটি।

আমার মত আপনার ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালো লেগে জেনে খুবই ভালো লাগলো ভাই।

image.png

লোভনীয় কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এত লোভনীয় জিনিস একত্রিতভাবে চোখের সামনে চলে আসলে কোন ভাবে লোভ সামলানো যায় না। বিশেষ করে চালতার আচার আমার কাছে খুবই লোভনীয় লেগেছে।

চালতার আচার আপনার অনেক প্রিয় খাবার জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার আজকের ফটোগ্রাফি পোস্ট এর সবই তো দেখছি লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি। মটর ভাজা এবং ঝাল মুড়ির ফটোগ্রাফি টা দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে। সবগুলো ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ আপু ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আমার ধারণ করা ফটোগ্রাফি আপনাদের কাছে ভালো লাগা মানে আমার সার্থকতা।

আপনাদের দেশে পিঠে পুলির প্রচলন অনেক বেশি। আমাদের এদিকে কেউ হয় তবে আপনাদের অধিকার মত অত রকমের হয় না। সবার পোস্টেই কমবেশি ভাপা পিঠের ছবি দেখছি। তবে অন্যান্য মুখরিত খাবার গুলোর ছবি দেখে বেশ লোভণীয় লাগলো। বাজারে বের হলেই বা মেলায় গেলে এই ধরনের খাবার খেতে খুব ভালো লাগে।

জ্বি আপু ঠিকই বলেছেন আমাদের দেশে পিঠাপুলির প্রচলন অনেক বেশি। আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

আপনি দেখতেছি বেশ মজার কিছু লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। তবে ধুপিপিঠা এর ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশি ভালো লাগলো। এই পিঠাগুলো আমার খুব প্রিয়। ধন্যবাদ বিভিন্ন ধরনের খাবারের ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধুপি পিঠার ফটোগ্রাফি আপনার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এলোমেলো ভাবে আপনি খুব চমৎকার দেখতে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। মজার মজার খাবার গুলো দেখে তো আমার অনেক লোভ লাগলো। এত মজাদার খাবার গুলোর ফটোগ্রাফি কেন যে শেয়ার করলেন। লোভ সামলাতে পারছিনা। মোটর ভাজা, আচার, ঝালমুড়ি এগুলো দেখে একটু বেশি লোভ লেগেছে।

আপু মোটর ভাজা, আচার ও ঝালমুড়ির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো অনেক ভালো লেগেছে দেখতে। কেন যে এত মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি সবার মাঝে শেয়ার করলেন। আমার কাছে তো এটা দেখেই লোভ লাগলো। প্রতিটা খাবার দেখে ইচ্ছে করছে খেয়ে ফেলতে। তবে ঝাল মুড়ি দেখে মনে হচ্ছে একটু বেশি মজাদার ছিল।

ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

চালতার আচার একসময় বেশ পছন্দ করতাম খেতে। যদিও অনেক দিন হলো চালতার আচার খাওয়া হয় না। কারণ মিষ্টি চালতার আচার খেলেও আমার দাঁত শিরশির করে। যাইহোক ভাপা পিঠা এবং চালতার আচারের ফটোগ্রাফি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।