আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম যে উত্তরাতে যাব টুকটাক কেনাকাটা করার জন্য। যমুনা ফিউচার পার্ক শপিং মলে যেতে যেতে এমন অবস্থা হয়েছে যে বাইরের কোন মার্কেটে যাওয়াই হয় না। আর যে পরিমাণ গরম পড়েছে কোথাও যেতে ইচ্ছা করে না। কিছু বিছানার চাদর কেনার ইচ্ছা ছিল। সেদিন যমুনা ফিউচার পার্কের হোম টেক্স এর শোরুম থেকে ঘুরে এসেছিলাম। এখানে দাম মনে হল আরো বাড়িয়েছে এরা। তাছাড়া একটি চাদরের দাম অনেক বেশি। ভ্যাট থাকার কারণে দাম আরো বেশি পরে। যেহেতু রেগুলার ইউজের জন্য কিনতে চাচ্ছিলাম তাই আর এত দাম দিয়ে নিলাম না। তাছাড়া খুব একটা পছন্দও হলো না। তাই উত্তরা গিয়েছিলাম কিছু চাদর কেনার জন্য।
আমরা তিনজন ভাবি মিলে গিয়েছিলাম। শনিবারে যাওয়ার কথা ছিল দুপুরের পর পরই। কিন্তু দুপুরে এত পরিমাণে রোদ উঠেছিল যে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছিলাম না। ভাবলাম যে কিছুটা রোদ কমলে তারপরে যাব। দেরি করতে করতে সাড়ে চারটার দিকে বের হলাম। তখনও রোদের তাপ কমলেও গরমের তাপ যেন কিছুতেই কমছিল না। সিএনজি নিয়ে সোজা চলে গিয়েছিলাম উত্তরা। খুব একটা সময় লেগেছিল না। ৩০ মিনিট সময় লেগেছিল মাত্র। প্রথমে গিয়ে তো দোকানগুলো খুজে পাচ্ছিলাম না। সিএনজি নিয়ে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর দোকান পেয়ে গেলাম।
সিএনজি থেকে নেমে দোকানগুলো খুজতে খুঁজতে দেখলাম যে রাস্তার সাইডে আনারস মাখানো বিক্রি করছে। এই খাবারগুলো আমার হাসবেন্ড সাথে থাকলে কখনোই খেতে দেয়না। এবার একা থাকার কারণে ভাবিদের সঙ্গে আনারস মাখা খেলাম। বেশ মজাই লেগেছিল। গরমের মধ্যে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল তাই আর ছবি তোলার কথা মনে ছিল না।
বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে একটি দোকানে বসলাম ধীরে সুস্থে দেখার জন্য। প্রথমে তেমন একটা পছন্দ হচ্ছিলো না। কিন্তু তারপর দেখতে দেখতে বেশ কয়েকটি পছন্দ হয়ে গেলো। এখানে চাদরের দাম তুলনামূলকভাবে কম। কোয়ালিটি বেশ ভালোই। কিন্তু সমস্যা হল চাদরগুলোর বালিশের কাভার বানানো থাকে না। বানানোর খরচ দিলে ওরা সঙ্গে সঙ্গে বানিয়ে দেয়। একটি চাদরের দাম পড়েছিলো ১২০০ টাকা করে। কিন্তু আমরা সবাই মিলে মোট নয়টি চাদর কিনেছিলাম। অনেকগুলো বালিশের কাভার বানাতে সময় লাগবে। তাই তারা দুই ঘন্টা সময় চাইলো। কিন্তু এই দুই ঘন্টা আমরা কি করবো তাই ভাবছিলাম। বালিশের কভারগুলো বানিয়ে না নিয়ে গেলে পরে আবার ঝামেলায় পড়তে হবে। তাই আমরা উত্তরা রাজলক্ষী কমপ্লেসে চলে গেলাম। সেখানে দুই ঘন্টা ঘুরাঘুরি করে কিছু খাওয়া-দাওয়া করলাম। সেগুলো পরবর্তীতে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।
আজ এ পর্যন্তই। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে। ধন্যবাদ সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | oppo reno5 |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit