আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে সুন্দর একটি অনুভূতি শেয়ার করবো। সেদিন এডমিন মডারেটর ভাইয়াদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সবাইকে একসঙ্গে পেয়ে চমৎকার একটা সময় কেটেছে। হুট করে সেদিন সবার সঙ্গে দেখা করার প্লান করেছিলাম। যদিও অন্য একটা জরুরী কাজ ছিল কিন্তু সেই কাজটি বাদ দিয়ে ভাইয়াদের সঙ্গে দেখা করতে চলে গিয়েছিলাম। কারণ এক সঙ্গে সবাইকে দেখার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাচ্ছিলাম না। হয়তো পরে কারো কারো সঙ্গে দেখা হতো কিন্তু সবার সঙ্গে একবারে দেখা করার অন্যরকম একটা আনন্দ কাজ করছিলো।
আমাদের এডমিন সুমন ভাইয়ার সঙ্গে মাঝেমধ্যে কথা হয়। সেদিন সকালবেলায় হঠাৎ করে ভাইয়া ফোন দিয়েছে। জানালো সে যমুনা ফিউচার পার্কে এসেছে। তাকে বাসার এদিকে আসতে বললাম। কিন্তু সে বলল হাতে সময় নেই। তাছাড়া যমুনা ফিউচার পার্কে অল্প সময়ের জন্য এসেছে। তাই আর আমি যাওয়ার প্লান করলাম না। কারণ আমার গুছিয়ে যেতে যেতে তাদের যাওয়ার সময় হয়ে যাবে। তাছাড়া তাদের বিকালবেলা একটা মিটিংও ছিল। যখন জানতে পারলাম যে এডমিন মডারেটর ভাইয়েরা সবাই একসঙ্গে মিটিং করবে তখন হঠাৎ করে আমার মনে হল এই সুযোগে গিয়ে দেখা করে আসি। সুমন ভাইয়াকে বলার সঙ্গে সঙ্গে সেও যেতে বললো।
অন্য একটা কাজ থাকার জন্য সকালবেলায় বাসা থেকে বের হওয়ার কথা ছিল। তাছাড়া টুকটাক কাজের জন্য বসুন্ধরা শপিংমলেও যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ভাবলাম যে সকালবেলায় বের হলে আবার বিকাল বেলায় বের হওয়া হবে না। তাই সকালের প্রোগ্রাম ক্যান্সেল করলাম বিকেলবেলা ভাইয়াদের সঙ্গে দেখা করার জন্য। আমার রওনা দিতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল। এর মধ্যে সুমন ভাইয়া বেশ কয়েকবার ফোন দিয়েছেন। কতদূর জানার জন্য। তারপরও ভাগ্য ভালো রাস্তায় খুব একটা জ্যাম ছিল না। এজন্য খুব দ্রুতই পৌঁছে যেতে পেরেছি।
শুরুতে গিয়ে আরিফ ভাইয়া এবং hive এর মাহিন ভাইয়াকে দেখে আমি ভেবেছিলাম অন্য কোন জায়গায় চলে এসেছি। পাশে দেখলাম যে হাফিজ ভাইয়া। তখন বুঝতে পারলাম যে না ঠিক জায়গায় এসেছি। ওনারা জায়গাটাও সিলেক্ট করেছিল খুবই চমৎকার। একেবারে 17 তলার উপরে রুফটপ রেস্টুরেন্ট। অনেক সময় তাদের সঙ্গে আড্ডা দিলাম। আসলে মনে হচ্ছিলো না যে সবার সঙ্গে প্রথম দেখা করেছি। মনে হচ্ছিল যে সবাই অনেক দিনের পুরনো। তাছাড়া ভাইয়ারা ব্যাপক খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করেছিল। এত খাবার কি খাওয়া সম্ভব। খাবার গুলো বেশ মজাদার ছিল। খাবারের ছবিগুলো শেয়ার করলাম না কারণ হাফিজ ভাইয়া ইতিমধ্যে ছবিগুলো শেয়ার করে ফেলেছে। আপনারা হয়তো অনেকেই দেখেছেন কত মজাদার খাবার ছিল।
এক কথায় বলতে গেলে সেদিনকার সন্ধ্যাটা দারুন উপভোগ করেছি ভাইয়াদের সঙ্গে। কিছু কিছু সুযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গেই লুফে নিতে হয়। এই সুযোগটিও সেরকম ভাবেই লুফে নিয়েছিলাম। তার জন্য এত সুন্দর সময় কাটাতে পেরেছিলাম।অবশ্যই ভাইয়াদেরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
যাই হোক এই ছিল আমার আজকের আয়োজন। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।
ধন্যবাদ
@tania
Photographer | @tania |
---|---|
Phone | I phone 15 Pro Max |
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি। |
---|
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে এরকম সুযোগ হাতছাড়া না করলেই ভালো। আপনিও হাতছাড়া না করে সবার সাথে দেখা করে নিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। বুঝতে পারছি সবাই একসাথে দারুণ মুহূর্ত কাটিয়েছেন। ইনশাল্লাহ একদিন সবার সাথে দেখা হবে আমাদের সবার। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এই সুন্দর অনুভূতিটা শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এজন্যই তো সুযোগ হাতছাড়া করিনি। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আরে না ধুর, আপনিও শেয়ার করেন খাবারের ছবিগুলো। আবার দেখে আবার মজা পাবো হি হি হি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রেখে দিলাম। পরে কোন এক সময় ফুড ফোটোগ্রাফি হিসাবে চালিয়ে দিব। হা হা হা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ওরে বুদ্ধি রে!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হুম সেদিন হাফিজ ভাইয়ের একটি পোস্টে পড়েছিলাম আপনাদের মিটআপ আর ইটআপের কথা। আর সেই সুযোগে বেশ ভালোই যে সময় কাটিয়েছেন সেটা আপনাদের পোস্ট পড়েই বুঝতে পারলাম। বেশ ভালো লাগলো আপু আপনাদের এমন মিলন মেলার কথা গুলো জানতে পেরে। ধন্যবাদ সুন্দর এই পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি আপু আসলেই খুব চমৎকার সময় কাটিয়েছিলাম সবার সঙ্গে। মনেই হয়নি প্রথম দেখা। যাই হোক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit