ঝাল পিঠার রেসিপি

in hive-129948 •  2 months ago 

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।



আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে ঝাল পিঠার রেসিপি শেয়ার করবো। এই পিঠাটি আমাদের এলাকায় কখনো খাইনি। শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে প্রথম খেয়েছিলাম। খুবই মজা লেগেছিলো আমার কাছে। পিঠা বলতে সাধারণত মিষ্টি পিঠা বুঝি। মিষ্টি জাতীয় খাবার আমার তেমন একটা পছন্দ না। প্রথম যখন এরকম ঝাল পিঠা খেলাম তখন খুবই ভালো লেগেছিল। এই পিঠা আগে বানাতে পারতাম না। এরপর একদিন শ্বশুর বাড়ি গিয়ে এই পিঠা বানানো শিখে এসেছি। তারপর আমিও এভাবে বানিয়ে রেখেছি। এই পিঠা বানিয়ে ফ্রোজেন করে রেখে অনেকদিন পর্যন্ত খাওয়া যায়। শুধু বের করে ভাজলেই হয়ে যায়। যাই হোক আশা করি আজকের এই ঝাল পিঠার রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।



IMG20240802191932.jpg




চালের গুড়া
কাঁচামরিচ
হলুদের গুঁড়া
লবণ
কালিজিরা
তেল
আদা বাটা
রসুন বাটা


GridArt_20241120_225353404.jpg



প্রথমে কাঁচামরিচ গুলো ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিয়েছি।


IMG20240801103745.jpgIMG20240801103853.jpg

চুলায় পানি বসিয়ে কাঁচামরিচ বাটা দিয়ে দিয়েছি। তারপরে আদা বাটা রসুন বাটা দিয়েছি।


IMG20240801103911.jpgIMG20240801103934.jpg

তারপর হলুদের গুড়া এবং লবণ দিয়েছি।


IMG20240801104018.jpgIMG20240801104026.jpg

কিছুক্ষণ জ্বাল দেয়ার পর ফুটতে শুরু করলে আটাগুলো দিয়ে দিয়েছি।


IMG20240801104530.jpgIMG20240801104554.jpg

আটাগুলো পানির সঙ্গে ভালো মতো মিশিয়ে কালিজিরা দিয়েছি। তারপর সবকিছু আবারো ভালোমতো মিশিয়ে একটা ডো তৈরি করেছি।


IMG20240801104633.jpgIMG20240801104921.jpg

কিছুটা ডো নিয়ে ভালো মতো হাত দিয়ে সমান করে নিয়ে তারপর একটা গোল রুটির মতো তৈরি করেছি কিছুটা মোটা করে।


IMG20240801105749.jpgIMG20240801110004.jpg

তারপরে একটি বাটি নিয়ে গোল গোল করে কেটে নিয়েছি।


IMG20240801110251.jpg


এখন চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়েছি। তেল গরম হলে পিঠা দিয়ে ভেজে নিয়েছি। একই রকম ভাবে সবগুলো পিঠা ভেজে নিয়েছি।


IMG20240802191044.jpg


IMG20240802191930.jpg


এখন একটি প্লেটে পরিবেশন এর জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। এভাবে আমার পিঠা তৈরি হয়ে গেলো। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।



ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phoneoppo reno5
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

IMG_3443.png

IMG_3444.png

IMG_3445.png

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png

সত্যি বলতে এখন পর্যন্ত এই ধরনের পিঠা রেসিপি খাওয়া হয়নি। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে ঝাল পিঠার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা পিঠা রেসিপি টি অসাধারণ হয়েছে আপু। ধারাবাহিক ভাবে পিঠা তৈরির প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, নতুন একটি পিঠা তৈরির পদ্ধতি জানতে পারলাম।

এই পিঠা আমিও আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রথম খেয়েছিলাম। সময় পেলে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া। ভালো লাগবে আশা করি।

কি যে দেখালেন আপনি। দেখেই তো এখন আর লোভ সামলাতে পারছি না। এই ধরনের পিঠা গুলো খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ তো খুব কম রয়েছে বলে আমার মনে হয়। আপনি তো দেখছি অনেক বেশি করে তৈরি করেছেন। আমাকে বলতেন তাহলে আমিও যেতাম এটি খাওয়ার জন্য। আশা করছি পরবর্তীতে তৈরি করলে অবশ্যই আমাকে বলবেন 😇।

তাহলে আর দেরি কেন ভাইয়া এই রেসিপি ফলো করে বাসায় বানিয়ে খেয়ে ফেলুন। মজা লাগবে আশা করি। ধন্যবাদ আপনাকে।

ঝাল পিঠার রেসিপি শেয়ার করেছেন।আমি ঝাল পিঠা খেতে খুব পছন্দ করি। সেটা যে পিঠাই হোক না কেন একটু যদি ঝাল ঝাল করে তৈরি করা হয় তাহলে খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে আমার। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে, খেতে ও মনে হয় অনেক মজার হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি রেসিপি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য।

আপনি ঝাল পিঠা খেতে পছন্দ করেন জেনে খুশি হলাম ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

আরিব্বাস এটাতো একদম ইউনিক পিঠার রেসিপি। ঝাল পিঠাও আবার তৈরি করাও যায়, দারুন একটি পিঠার রেসিপি দেখতেছি। সাধারণত মিষ্টি পিঠাগুলোই আমরা খেয়ে থাকি কিন্তু এরকম ভাবে ঝাল করে পিঠা তৈরি করা যায় আসলেই তো অজানা ছিল। সেই সাথে পিঠাটি তৈরি করার প্রসেস গুলিও সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আশা করি কেউ চাইলে আপনার রন্ধন প্রণালী অনুসরণ করে নিজে বানিয়ে নিতে পারবেন। ডিজাইনটিও দারুন দিয়েছেন আপু। ধন্যবাদ এরকম অজানা পিঠার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

আমার পিঠার রেসিপি আপনার কাছে ইউনিক লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।

ঝাল পিঠা তো দেখছি দেখতে খুবই চমৎকার। এই পিঠা তো আগে কখনো খাওয়া হয়নি। এভাবে করে যে ঝাল পিঠা বানানো যায় সেটা আমারও জানা ছিল না। খুবই ইউনিক একটি রেসিপি আপনার থেকে শিখে নিলাম আপু। ঝাল ঝাল এরকম পিঠা বানিয়ে খেতে নিশ্চয়ই অনেক বেশি মজা লাগে। একদিন বানিয়ে খেতে হবে দেখছি। রেসিপিটি শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।

এই পিঠা যেহেতু আগে খাওয়া হয়নি তাহলে বাসায় বানিয়ে খেয়ে দেখবেন আপু। ভালো লাগবে আশা করি।

পিঠার কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে কতটা সুস্বাদু ছিল। আপনি ঠিক বলছেন পিঠা মানে মিষ্টি জাতীয় পিঠাগুলো বুঝে থাকি। তবে মাঝে মাঝে ঝাল বড়া তৈরি করি। আপনি আজকে বেশ মজার একটি পিঠার রেসিপি শেয়ার করলেন। যে পিঠা আপনি আপনার শ্বশুর বাড়ি থেকে দেখে শিখে আসলেন। ভালো লাগলো রেসিপি দেখে হয়তো একদিন তৈরি করতে পারি আপু।

আসলেই আপু খুবই মজা লাগে এ পিঠা খেতে। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।

সত্যি বলতে এখন পর্যন্ত এই ধরনের পিঠা রেসিপি খাওয়া হয়নি। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে ঝাল পিঠার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা পিঠা রেসিপি টি অসাধারণ হয়েছে আপু। ধারাবাহিক ভাবে পিঠা তৈরির প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, নতুন একটি পিঠা তৈরির পদ্ধতি জানতে পারলাম।

রেসিপিটি সুন্দর করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।

এভাবে কখনো ঝাল পিঠা তৈরি করা হয়নি আপু। শীতের বিকেলে ঝাল পিঠাগুলো ভালোই লাগে খেতে। তবে আজকে আপনার কাছে ভিন্ন একটা রেসিপি দেখলাম। আপনি শিখে আমাদের মাঝেও শেয়ার করেছেন। এই পিঠা ফ্রোজেন করা যায় এটা আরো ভালো একটা দিক। একদিন ট্রাই করে দেখব। ধন্যবাদ আপু মজার এই পিঠার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

পিঠাগুলো সাধারণত রংপুর এবং সিলেট এলাকার লোকজন বেশি খায়। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

অনেক লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে দেখিয়েছেন আপনি। আপনার আজকের চমৎকার এই লোভনীয় রেসিপি দেখে মুগ্ধ হলাম। মনে করি তেলে ভজার পর রেসিপি অনেক সুস্বাদু আর খাওয়ার উপযোগী হয়ে উঠেছে।

আমার রেসিপি দেখে আপনি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

এত মজাদার ঝাল পিঠা তৈরি করেছেন দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। পিঠার শেপটা অনেক সুন্দর ছিল। ঝাল ঝাল কোনো কিছু খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এই পিঠা যদিও কখনো তৈরি করা হয়নি, তবে আপনার কাছে দেখে ভালো লেগেছে। দেখে মনে হচ্ছে এই পিঠাটা খেতে দারুন লেগেছিল।

ডিজাইন করে কাটার কারণে এত ভালো লাগছিল দেখতে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

এরকম ধরনের ঝাল পিঠা কখনো খাওয়া হয়নি। আসলে আমাদের এদিকে পিঠা মানেই মিষ্টি হয়। তবে আপনার রেসিপিটি বেশ লোভণীয় না এগুলো দেখে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করে নেয়ার জন্য।

আমিও আগে পিঠা মানেই মিষ্টি জাতীয় কিছু মনে করতাম। তারপর এই পিঠা খাবার পর ধারণা চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

আমাদের দিকে এ পিঠাগুলোকে মশলা পিঠা বলে। গরম গরম এ জাতীয় পিঠা খেতে পারলে দারুণ লাগে। আপনি বানানোর প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে সুন্দর করে দেখিয়েছেন।

এই পিঠার নতুন নাম জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।

শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে তো ভালোই পিঠার রেসিপি শিখেছেন আপু। আজকে আপনি ঝাল পিঠার রেসিপি করেছেন। তবে মিষ্টি পিঠা থেকে ঝাল পিঠা খেতে বেশ মজাই লাগে। এবং আপনার পিঠার রেসিপি দেখে আমার নিজেরও খেতে মন চাইছে। ধন্যবাদ সুন্দর করে ঝাল পিঠার রেসিপি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

জি আপু বেশ মজার পিঠার রেসিপি শিখে এসেছি শশুর বাড়ী থেকে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

অসাধারণ সুন্দর ঝাল পিঠা বানিয়েছেন আপু। অসাধারণ সুন্দর ও লোভনীয় হয়েছে আপনার রেসিপিটি। এই পিঠা খেতে খুবই সুস্বাদু তা রেসিপিটি দেখেই বোঝা যায়।ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। খেতে নিশ্চিত অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো পিঠা গুলো।ধাপে ধাপে পিঠা তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ঠিক বলেছেন আপু এই পিঠা মিষ্টি না হওয়ার কারণে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

এই পিঠা আমার মায়ের হাতের একবার খেয়েছিলাম বেশ ভালো লাগে। আপনার তৈরি পিঠা গুলো দেখে খুব লোভ লেগে গেল। অনেক দিন খাওয়া হয়না। ধন্যবাদ আপু ঝাল পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।