আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।

---

---

আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।

---

আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আপনাদের সঙ্গে একটি রেসিপি শেয়ার করব। তা হল সিম,ফুলকপি,আলু দিয়ে কাতলা মাছের রেসিপি। এই রেসিপিটি অনেকদিন আগে রান্না করে রেখেছিলাম। শীতকাল আসলেই বিভিন্ন ধরনের সবজি পাওয়া যায়। আর এগুলো দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। তা না হলে তো এমনি সময় শুধু আলু, বেগুন ছাড়া অন্য কোনো তরকারি দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে ভালো লাগে না। আমি মাছে তরকারি খুব কম দিয়ে রান্না করি। কারণ খুঁজে পাই না কোন মাছের সঙ্গে কোন তরকারি দিব। শীতকালেই শুধু সিম, ফুলকপি আলু দিয়ে মাছ খাওয়া হয়। আর এগুলো মাছের সঙ্গে দিয়ে রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

---

কাতলা মাছ--৮ পিস
ফুলকপি-- ৭ টুকরা
সিম--৬টি
আলু-- ১ টি
পিঁয়াজ-- ২টি
কাঁচামরিচ--৪টি
পিঁয়াজ বাটা--৪ টেবিল চামচ
আদা বাটা--১.৫ চা চামচ
রসুন বাটা--১.৫ চা চামচ
হলুদের গুঁড়া-- ২চা চামচ
মরিচের গুঁড়া--১.৫চা চামচ
ধনে গুঁড়া--১.৫চা চামচ
জিরা গুড়া --১.৫ চা চামচ
সরিষার তেল--পরিমাণমতো
ধনিয়া পাতা--পরিমাণমতো
লবন-- পরিমাণমতো

---

---

---

প্রথমে চুলায় একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে দিয়ে তার মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হলে পিঁয়াজ এবং মরিচ কুচি দিয়ে দিয়েছি। পিঁয়াজ, মরিচ কুচি গুলো একটু ভেঁজে নিয়ে বাটা মশলাগুলো দিয়ে দিয়েছি।

---

---

বাটা মসলাগুলো একটু কষিয়ে নিয়ে গুড়া মশলাগুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর সব মসলা ভালোমতো কষিয়ে নিয়েছি সামান্য একটু পানি দিয়ে। তারপর মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি।

---

---

মাছগুলো মসলার সঙ্গে ভালোমতো মিশিয়ে একটু কষিয়ে নিয়েছি। তারপর সামান্য একটু পানি দিয়ে আরো বেশ কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়ে একটি পাত্রে উঠিয়ে রেখেছি।

---

---

---

এখন ওই মসলার মধ্যে প্রথমে আলু দিয়ে দিয়েছি। আলু কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নিয়ে তারপর ফুলকপি এবং সিম দিয়ে দিয়েছি।

---

---

ফুলকপি এবং সিম মসলার সঙ্গে ভালো মতো মিশিয়ে নিয়ে একটু পানি দিয়ে আবারো কষিয়ে নিব। সবজিগুলো প্রায় যখন সিদ্ধ হয়ে যাবে তখন মাছগুলো দিয়ে দিব।

---

---

মাছগুলো দিয়ে পরিমান মত পানি দিয়ে দিব পুরোপুরি রান্না হওয়ার জন্য। বেশ কিছুক্ষণ পর রান্না প্রায় হয়ে গিয়েছে। এ পর্যায়ে প্রথমে ধনিয়া পাতা এবং তারপর জিরা গুঁড়া দিয়ে দিব।

---

---

---

তারপর ঝোল একটু কমে আসলে চুলা বন্ধ করে দিব।

---

---

এখন একটি বাটিতে পরিবেশনের জন্য উঠিয়ে নিয়েছি। এভাবে আমার রেসিপিটি তৈরি হয়ে গেল। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।

---

ধন্যবাদ

@tania

Photographer	@tania
Phone	oppo reno5

আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

---

VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy