বড় ছেলের তৈরি ক্লে দিয়ে রংধনু

in hive-129948 •  14 days ago 

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।



আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।



আজকে আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে অবশ্য আমি কিছু বানায়নি আমার বড় ছেলে তৈরি করেছে। সব সময় আমি বিভিন্ন জিনিস বানিয়ে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি। তাই আমার ছেলের ইচ্ছা হয়েছে সেও কিছু একটা বানিয়ে শেয়ার করবে। এর আগে ক্লে নিয়ে বসেছিলাম তখন সে এই রংধনুটা তৈরি করেছে। কিছুদিন আগে ইউটিউবে এই রংধনুটা বানানো দেখেছিল। সেখান থেকেই তৈরি করেছে। তার কথা হল তার এই রংধনু আমার শেয়ার করতে হবে। কারণ সে খুব কষ্ট করে তৈরি করেছে। এখন কি আর করবো বাচ্চার আবদার ফেলে দেওয়াতো যায় না। তাই তার রংধনু বানানোর সময় প্রতিটি ধাপের ছবি তুলে রেখেছি। আমিও মাঝেমধ্যে একটু হেল্প করেছি। তা না হলে তো পুরোপুরি বানাতে পারেনা। যাইহোক বানানোর পর কিন্তু খুব সুন্দর লাগছিল দেখতে। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে। কেমন লেগেছে অবশ্যই জানাবেন। কারণ আমাকে পরে জিজ্ঞাসা করবে যে সবাই কি কমেন্ট করেছে।



IMG20241029210915.jpg



প্রয়োজনীয় উপকরণ:

ক্লে
কাববোর্ড
জলরং
আঠা



প্রথমে একটি কাববোর্ড নিয়ে তার উপরে বৃত্ত এঁকে কাঁচি দিয়ে কেটে নিয়েছে।


IMG20241029204547.jpgIMG20241029204732.jpg

বৃত্তটি কে জল রং দিয়ে ভালোমতো রং করে নিয়েছে। যাতে নিচের কালার দেখানো যায়।


IMG20241029205001.jpg


এখন লাল কালারের ক্লে নিয়ে লম্বা করে তৈরি করেছে। বেশ কতগুলো ক্লে নিয়ে একই রকম ভাবে তৈরি করেছে।


IMG20241029205126.jpgIMG20241029205204.jpg

IMG20241029205416.jpgIMG20241029205453.jpg

একটির নিচে আরেকটি ক্লে গোল করে মুড়িয়ে লাগিয়ে দিয়েছে। তারপর সাইড থেকে বাড়তি অংশ কেটে ফেলেছে।


IMG20241029205635.jpgIMG20241029210144.jpg

এখন কাববোর্ডটির উপরে লাগিয়ে সাইডের অংশগুলো আরেকটু কেটে ঠিক করেছে।


IMG20241029210301.jpg


সাদা একটু ক্লে নিয়ে গোল করে বল তৈরি করেছে।


IMG20241029210412.jpgIMG20241029210430.jpg

গোল করে বেশ কতগুলো বল তৈরি করে রংধনুর নিচে লাগিয়ে দিয়েছে।


IMG20241029210434.jpgIMG20241029210621.jpg

IMG20241029210913.jpg


এভাবে রংধনু তৈরি হয়ে গেল। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।



ধন্যবাদ

@tania

Photographer@tania
Phoneoppo reno5
আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

IMG_20220106_113311.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png


VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপু আমার মেয়েও ঠিক এই রকমই করে। কোন কিছু নিজে বানালেই আমায় বলে যে ওটা নিয়েই যেন ব্লগ করি। আপনার ছেলে youtube দেখে বেশ সুন্দর রামধনু বানাতে শিখেছে। ওর জন্য অনেক শুভকামনা রইল।

বাচ্চারা যা দেখে তাই শিখে। আমাদের পোস্ট করা দেখে ওদের আগ্রহ হয়। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।

IMG_3465.png

IMG_3463.png

IMG_3464.png

image.png

এখনতো যুগের পরিবর্তন হয়েছে ইউটিউব থেকে যে কোন কিছু দেখে আপনি ঘরে বসে সেটা তৈরি করতে পারবেন। আপনার বড় ছেলে youtube দেখে ক্লে দিয়ে চমৎকার রংধনু তৈরি করেছে বেশ সুন্দর লাগছে। আসলেই আজকের পোস্ট যেন একটু স্পেশাল এতদিন আপনার কাজের একটিভিটি দেখেছি আর আজকে আপনার বড় ছেলের কাজের একটিভিটি দেখলাম।

ঠিক বলেছেন ভাইয়া এখন ইউটিউব দেখে যে কোন কিছুই শিখে নেয়া যায়। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।

প্রত্যেকটা মানুষের শিশুকাল টা এমন একটি সময়, যে সময়ে সে যেটাই দেখবে সেটাই শেখার চেষ্টা করবে। আর এই শেখার ইচ্ছাটাকে বাধা দেওয়া যাবে না আপু। আপনার ছেলের মধ্যে দেখতেছি চমৎকার একটি প্রতিভার রয়েছে। সে ইউটিউব দেখে দৃষ্টিনন্দন রংধনু তৈরি করেছে। দেখতে আসলেই চমৎকার দেখাচ্ছে। আপনার সহযোগিতায় আপনার ছেলের তৈরি করা রংধনু টি দারুন লেগেছে আমার কাছে। রংধনু তৈরির পুরো প্রসেসটি ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

বাচ্চারা যা দেখে তাই করতে চায়। উৎসাহ দেয়ার জন্য করতে দিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

বাচ্চাদের উৎসাহ দিলে তারা যেকোনো কাজ খুব সুন্দর ভাবে করতে পারে। আপনার ছেলে তো দারুন করে রংধনুর এই ডিজাইনটা তৈরি করেছে। আসলে বাচ্চাদেরকে এভাবে বিভিন্ন কাজ দেয়া উচিত যাতে করে তাদের প্রতিভা বের করতে পারে। খুব ভালো লাগলো আপনার ছেলের তৈরি করা এই রংধনু টা দেখে।

ঠিক বলেছেন আপু বাচ্চাদেরকে বিভিন্ন কাজে উৎসাহ দিলে তারা আরো সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরি করতে পারে। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপু বড় ছেলে তো দেখছি তার মায়ের মত একজন দক্ষ কারীগর হয়ে উঠছে। আপনি কিন্তু বেশ দারুন একটি পোস্ট দেখালেন। আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো বাবুর এমন দক্ষতা দেখে। সব মিলিয়ে আমার কাছে আপনার আজকের পোস্ট টি বেম দারুন লেগেছে।

আমি যখনই বানাতে বসি তখনই সেও এগুলো নিয়ে বসে। মাঝে মাঝে বিরক্ত লাগে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।

খুব সুন্দর বানিয়ে বাবুকে বলে দিয়েন আমি পছন্দ করেছি ওর বানানো রংধনু। আমার মেয়েও এরকম বায়না ধরে মাঝে মাঝে কিছু বানালে বলে মা পোস্ট করে দাও।আসলে আমাদের ব্লগের কাজটা বাচ্চাদের অনেক পছন্দ হয়।ক্লে দিয়ে সত্যি সুন্দর করেই রংধনু বানিয়ে। ধাপে ধাপে বানানো পদ্ধতি সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে বাবুর কথা মতো ওর বানানো ক্লে দিয়ে রংধনু বানানো পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।

আপু ছেলেকে বলে দেব যে আপনি অনেক পছন্দ করেছেন। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

ক্লে দিয়ে দারুন সুন্দর রংধনু তৈরি করলেন। এমন রংধনু দেখে মনে হচ্ছে সত্যিই যেন আকাশ এটা ফুটে উঠেছে। কৃত্রিম মাটি দিয়ে এই ধরনের কাজগুলি আমার খুব ভালো লাগে। তবে আপনার ছেলে এটি বানিয়েছে শুনে আরো বেশি ভালো লাগলো। সব মিলিয়ে দারুন হস্তশিল্পটি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলে।

আমার ছেলেও আমারগুলো দেখে দেখে বানানোর উৎসাহ পেয়েছে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আমি মনে করি বাচ্চাদেরকে এরকম কাজের প্রতি মনোযোগী করা উচিত। কারণ এখন কার বাচ্চারা শুধুমাত্র মোবাইল কম্পিউটার এগুলো নিয়েই ব্যস্ত থাকে। আমাদেরও উচিত বাচ্চাদেরকে এরকম সময় দেওয়া। আপনার বড় ছেলের তৈরি করা রংধনু অনেক সুন্দর হয়েছে। তার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো।

আপু এরকম কাজ করলে কম্পিউটার, মোবাইলের প্রতি নেশা কম হবে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

অনেক বেশি ভালো লাগলো আমার কাছে আপনার ছেলের তৈরি করা এই রংধনু দেখে। রংধনু টা দেখতে খুব ভালো লাগছে। বাচ্চাদেরকে ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন কাজ শেখানোর চেষ্টা করলে ভালো। তাহলে তারা অনেক মেধাবী হতে পারবে। সারাক্ষণ মোবাইলের কাছে না রেখে এভাবে সময় দিলে অনেক বেশি ভালো হয়। সত্যি এটা অনেক বেশি ভালো ছিল।

এখনকার বাচ্চারা এগুলার কই বানাতে চায় তারপরও মাঝে মধ্যে শখ করে বানাতে বসে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।

গুড ট্রাই! এখন থেকেই সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানো ভালো। ক্লে দিয়ে বানানো রঙধনুটা দেখতেও সুন্দর লাগছে আপু।

রংধনুটা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

বাচ্চাদের পড়াশোনার পাশাপাশি এই ধরনের হাতের কাজগুলো জানা খুবই জরুরী।অনেক সুন্দর একটি রংধনু তৈরি করেছে ক্লে দিয়ে। খুবই ভালো লাগলো দেখে।আপনার ছেলের জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।

স্কুলে এ ধরনের জিনিস গুলো দিয়ে বিভিন্ন প্রজেক্ট তৈরি করা হয়। সেখান থেকে উৎসাহ পায়। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

ক্লে দিয়ে রংধনু এককথায় দারুণ। খুবই সুন্দর লাগছে। আপনার বড় ছেলে এটা বেশ দারুণ করেছে আপু। ইউটিউব তো ইদানিং আমাদের কাছে একটা শিক্ষাকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। অনেক কিছুই ওখান থেকে জানা যায় শেখা যায়।।

ঠিক বলেছেন ভাইয়া ইউটিউব আসলে একটি শিক্ষনীয় জায়গা যদি ভালো কিছু খুঁজে বের করা যায়। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার বড় ছেলের ক্রিয়েটিভিটি দেখে সত্যি আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। ক্লে দিয়ে রংধনু তৈরি করার প্রক্রিয়াটি খুবই চমৎকার ছিল। বিশেষ করে লম্বা গোল আকৃতির ভিন্ন ভিন্ন রঙের ক্লে পর্যায়ক্রমে সাজানোটি দেখতে সত্যি অনেক বেশি আকর্ষণের লাগছে।

ধন্যবাদ আমার ছেলের তৈরি রংধনু দেখার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আপনার বড় ছেলের তৈরি ক্লে দিয়ে রংধনু চমৎকার হয়েছে। রংধনুর সাত রং খুবই সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে। দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ।

সে খুব ভালো করেই জানে যে রংধনুর কোন রঙের পরে কোন রং আসে। সে নিজেই এগুলো সাজিয়েছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

রংধনু অনেক সুন্দর হয়ে থাকে৷ আর এই রংধনুর সৌন্দর্যে আমরা সব সময় মুগ্ধ হয়ে থাকি৷ আজকেও যেভাবে আপনি সুন্দর রংধনু এখানে
আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা একেবারে অসাধারণ হয়েছে৷ এখানে আপনি যেভাবে এই ক্লে দিয়ে সুন্দর রংধনু তৈরি করেছেন তা দেখে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম৷ এখানে আপনি এই রংধনু তৈরি করার ধাপগুলো একেবারে খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন৷

অনেকদিন হলো রংধনু দেখা হয় না। খুব ভালো লাগে আকাশে রংধনু উঠলে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।

একেবারে ঠিক বলেছেন৷ এত সুন্দর কিছু দেখলে তো সবারই ভালো লাগে।