বাইম মাছের চচ্চড়ির রেসিপি। (১০% বেনিফিশিয়ারী shy fox এর জন্য)

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)

আসসালামুআলাইকুম সবাইকে । আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।

বাইম মাছ এমন একটি মাছ যা ছোট খাওয়া যায়, আবার বড়ও খাওয়া যায় । আমাদের বাসায় ছোট বাইম বেশি খাওয়া হয়। কারণ আমার হাজবেন্ড বড় বাইম মাছটি পছন্দ করেনা। এইজন্য আমাদের বাসায় বড় বাইম মাছ একদমই কম খাওয়া হয় । এই ছোট বাইম মাছটিকে আমার শ্বশুর বাড়ির এলাকায় গতা মাছ বলে থাকে। আজ আমি সেই বাইম মাছের চচ্চড়ি রান্না করে দেখাবো। আশা করি আপনাদের সকলের ভাল লাগবে আমার আজকে রেসিপিটি। তাহলে আজকের রেসিপিটি তৈরি করতে আমার কি কি উপকরণ লাগল এবং কিভাবে আমি তৈরি করেছি সেটি নিচে পর্যায়ক্রমিকভাবে দেখিয়ে দিচ্ছি। তাহলে শুরু করি।



IMG20211021123119.jpg

প্রস্তুত প্রণালীঃ

বাইম মাছ৬ টি
বেগুন২টি
আলু১টি
পেঁয়াজ৩টি
কাঁচা মরিচ৭টি
লবনপরিমাণমত
হলুদের গুঁড়া১ চা চামচ
জিরা গুঁড়া১চা চামচ
তেলপরিমাণমত
ধনিয়া পাতাপরিমাণমত

IMG_20211106_124423.jpg

১ম ধাপ

IMG20211021103336.jpg

প্রথমে একটি কড়াই নিয়ে এর মধ্যে পরিমাণমতো তেল দিয়ে দিয়েছি। তারপর তেল একটু গরম হওয়ার পর তার মধ্যে পেঁয়াজ এবং মরিচ কুচি এবং মসলাগুলো সব দিয়ে দিয়েছি।( আমি এখানে রান্নায় বেশি মনোযোগ দেওয়ার প্রথমের তেল এবং পেঁয়াজ দেয়ার ছবিটি তুলতে ভুলে গিয়েছিলাম)

২য় ধাপ

IMG20211021103349.jpg

এখানে মসলাগুলো একটু কষিয়ে নিয়েছি।

৩য় ধাপ

IMG20211021103409.jpg

তারপর মসলার মধ্যে আলু বেগুন কুচিগুলো দিয়ে দিয়েছি।

৪র্থ ধাপ

IMG20211021103434.jpg

আলু বেগুন কুচিগুলো মসলা সঙ্গে ভালো মতো মিশিয়ে নিয়েছি।

৫ম ধাপ

IMG20211021103520.jpg

IMG20211021103534.jpg

এবার আলু বেগুন গুলো একটু কষানো হয়ে গেলে তার মধ্যে মাছ গুলো দিয়ে দিয়েছি এবং ভালোমতো আবার কষিয়ে নিয়েছি।

৬ষ্ঠ ধাপ

IMG20211021103716.jpg

IMG20211021103743.jpg

মাছগুলো কষানো হয়ে গেলে তার মধ্যে পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিয়েছি।

৭ম ধাপ

IMG20211021103932.jpg

মাছগুলো একটু রান্নার পর তার ভিতরে কিছু টমেটো কুচি দিয়ে দিয়েছি।

৮ম ধাপ

IMG20211021104646.jpg

এবার পানি একটু শুকিয়ে আসলে তারমধ্যে ধনিয়া পাতা দিয়ে দিয়েছি।

৯ম ধাপ

IMG20211021105635.jpg

এবার পুরোপুরি পানি শুকিয়ে যাওয়ার পর আর একটু ভাজা ভাজা করে নিয়েছি।

১০ম ধাপ

IMG20211021123119.jpg

এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার ছোট বাইম মাছ/ গতা মাছের চচ্চড়ি। আশা করি আপনাদের কাছে আজকের রেসিপি ভালো লেগেছে। আজকের রেসিপি গরম ভাতের সঙ্গে খেতে খুবই মজা। মাঝেমধ্যে গরম ভাতের সঙ্গে এটি খেয়ে থাকি। ধন্যবাদ সবাইকে মনোযোগ সহকারে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ধন্যবাদ

@tania

Photography@tania
Phoneoppo reno5

আমি তানিয়া।। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি বিবাহিত । আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ শপিং করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার বাইম মাছের রেসিপিটা। আমার কাছে দেখে খুবই ভাল লেগেছে। কারণ বাইম মাছ আমার খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার রেসিপি টা দেখে অনেকটাই খিদে পেয়ে গেল। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য

ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

image.png

বাম মাছ আমার খুব পছন্দের একটি মা। আপনি খুব সুন্দর একটা মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। প্রতিটা ধাপ সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

আপনার জন্য ও শুভকামনা রইলো।

  ·  3 years ago (edited)

বাম স্বভাবতই নদীতে বেশি পাওয়া যায় সেই জন্য স্বাদটা একটু বেশি। বাম চচ্চড়ি রেসিপি রান্না অনেক সুন্দর হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে রান্না করেছেন দেখছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

আসলেই আমরা মাছে ভাতে বাঙালি।মাছ ছাড়া কি বাঙালিকে কল্পনা করা যায়। আরও যদি হয় দেশি মাছ লোভ সামলানো যায় কি। অসম্ভব সুন্দর করে বাইম মাছের রেসিপিটি তৈরি করেছেন এ জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

চমৎকার একটি রেসিপি আপু।বাম মাছ আমার কাছে খুব প্রিয়।আপনি আপনি রেসিপি তৈরির প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

আপনার জন্য ও শুভকামনা রইলো।

মাছের অন্যান্য সকল তরকারির মধ্যে মাছের চচ্চড়ি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয়।বাম মাছটাও আমার কাছে খুব পছন্দের। রেসিপি টা অনেক সুন্দর তৈরি করেছেন। সেই সাথে আপনার উপস্থাপনা টাও খুব সুন্দর ছিল আপু।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

বাইম মাছের চচ্চড়ি রেসিপি দারুন হয়েছে আপু। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। প্রতিটি ধাপ দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

আপনার জন্য ও শুভকামনা রইলো আপু।

বাইমা তোমার খুবই প্রিয় আপনার রেসিপিটি বর্ণনা পড়ে জিভে জল চলে আসলো। আপনি খুব সুন্দর করে রেসিপিটি প্রস্তুত করেছেন। মনে হচ্ছে অনেক
টেষ্ট হবে

হ্যাঁ ভাইয়া এভাবে রান্না করলে খুবই মজা লাগে গরম ভাতের সঙ্গে খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপু দেখতে অসাধারণ লাগছে বাইম মাছের চচ্চড়ির রেসিপি। আর অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন যার মাধ্যমে খুব সহজেই যে কেউ বাসায় এই বাইম মাছের চচ্চড়ি বানাতে পারবে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এবং শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

আপনার জন্য শুভকামনা রইল এবং ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

ওয়াও আপু মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।বাইম মাছ অত্যান্ত সুস্বাদু একটি মাছ আর আপনি আলু দিয়ে এটির খুব সুন্দর একটি রেসিপি করেছেন।আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

বাইম মাছের চচ্চড়ির রেসিপি অত্যন্ত সুন্দর রান্না করেছেন এবং প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার রান্না করার ধরণটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু। অনেক ভালো ছিল এবং কালার কম্বিনেশন খুব ভালোভাবে ফুটে উঠেছে।

আপনার জন্যও শুভকামনা রইল ভাইয়া। ধন্যবাদ।

আপনার বাইম মাছের চচ্চড়ির রেসিপি অসাধারণ হয়েছে। খুব সুন্দর ভাবে আপনি রেসিপিটা উপস্থাপন করেছেন। প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। যে কেউ চাইলে আপনার রেসিপি দেখে নিজে বাসায় তৈরি করতে পারবে। এত সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপু,আপনার রান্না করা বাইম মাছের চচ্চড়ি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে।বাইম মাছ আমার খুবই পছন্দের।তবে আলু,বেগুন দিয়ে ভাজা মাছের চচ্চড়ি কখনো খাওয়া হয়নি।আপনার এই রেসিপিটি দেখে শিখে নিলাম কিভাবে আলু,বেগুন দিয়ে বাইম মাছের চচ্চড়ি রান্না করতে হয়।ধন্যবাদ আপু,এত সুস্বাদু একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

এই বাইম মাছের নাম সবার মুখে মুখে শুনেছি। তবে কখনো খাওয়াই হয়নি। আমাদের এদিকে পাওয়া যায়না এটাই মূল কারণ । আপনার বাইম মাছ দিয়ে চচ্চড়ি বানানোটি দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে। দেখেই মনে হচ্ছে যে অনেক স্বাদের হয়েছে।

আপু একবার খেয়ে দেখবেন আসলেই মজা লাগে। আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

বাইম মাছের চচ্চরি অনেক সুন্দর হয়েছে রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। দেখেই জিভে পানি চলে আসলো।

আমার হাজবেন্ড বড় বাইম মাছটি পছন্দ করেনা।

আমার কাছেও বড় বাইম মাছ ভালো লাগে না, ছোট গুলো খুবই ভালো লাগে। যদিও চচ্চড়ি আমি খাইতে পারি না। তবে আপনার রান্না দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। শুভকামনা রইলো

ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

বাইম মাছ যদিও আমার খুব পছন্দের, আজকের রেসিপিও খুব কমন, একটু আলাদা হইলে খারাপ লাগতো না। আশা করি পরবর্তীতে আর ও ভালো কিছু নিয়ে আসবেন। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।

সব সময় কি আর ইউনিক রেসিপি দেয়া যায়। মাঝে মাঝে কমন রেসিপি ও দিতে হয়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

তাও ঠিক।

আপনার বাইম মাছের চর্চরী দেখে মনে হচ্ছে এত মজা হয়েছে যে এই চর্চরী দিয়ে অনেকগুলো গরম ভাত খেয়ে ফেলা যাবে। বাইম মাছ আমার অনেক পছন্দের একটি মাছ তবে তেমন একটা খাওয়া হয়না আর খেলেও এভাবে চচরি করে খাইনা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মজার একটি খাবারের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু।

আপু ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

আপনার রেসিপি টা সত‍্যই মজাদার একটি রেসিপি।ধাপ গুলো অনেক সন্দুর করে সাজিয়েছেন।এটা আমার অনেক পছন্দের রেসিপি।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপনার বাইম মাছের রেসিপি টি খুব সুন্দর হয়েছে আপু। অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি বেশ সুন্দর ভাবে গুছিয়ে শেয়ার করেছেন আপনি আমাদের সাথে। রেসিপির উপস্থাপনা বেশ ভাল হয় আপনার প্রতিবারই। অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

ধন্যবাদ ভাইয়া।