আসসালামুআলাইকুম সবাইকে।

---

---

আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।

---

---

আজকে আমিও হাজির হয়ে গেলাম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আমার বাংলা ব্লগে প্রতিনিয়ত খুব সুন্দর সুন্দর প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এর জন্য শুরুতে এডমিন,মডারেটর ভাইয়া আপু এবং দাদাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু সিলেক্ট করার জন্য। বিশেষ করে আমার কাছে সবথেকে বেশি ভালো লাগে রেসিপি প্রতিযোগিতাগুলো। কারণ এখান থেকে অনেক ধরনের রেসিপি শেখা যায়। বেশ কিছু রেসিপি শিখে আমি বাসায় বানিয়েছি। খুব মজা হয়। এবারের প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিলো। কারণ আমরা ফ্রুটস সবাই খেতে পছন্দ করি। এখন যে গরম পড়েছে গরমের মধ্যে ঠান্ডা ঠান্ডা যে কোন ফ্রুটস ডেজার্ট খেতে খুব ভালো লাগে। তাছাড়া আমাদের শরীরের পানি শূন্যতা দূর করে বিভিন্ন ধরণের ফ্রুটস। আজকে আমি বিভিন্ন ধরনের ফ্রুটস দিয়ে রেইনবো ফ্রুটস ডেজার্ট তৈরি করেছি। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে তৈরি করার পরে। আশা করি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে।

---

---

---

এখন বেশিরভাগ সময় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা হয় না সময়ের অভাবে। বিশেষ করে ছোট ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করার পরে তাকে নিয়ে স্কুলে বসে থাকতে হয়। পুরো সকাল সময়টা ওখানেই চলে যায়। তারপরে বাসায় এসে অন্যান্য কাজ করে একদমই সময় করে উঠতে পারি না। এজন্য ইচ্ছা থাকা শর্তেও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা হয়ে ওঠেনা। এবারও ঠিক এমনই হয়েছিল। কিন্তু আজকে বিকেলবেলা হঠাৎ করে হাতে সময় পেয়ে গেলাম। তাই ভাবলাম যে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি। কিন্তু সমস্যা হলো যে বাসায় খুব বেশি ফ্রুটস নেই। বাচ্চাদেরকে রেখে ফ্রুটস আনতে যাওয়াও সম্ভব নয়। হাসবেন্ডকে ফোন দিলাম কিন্তু তার আসতে রাত দশটা বাজবে। তারপরও সে বলল আসার সময় নিয়ে আসবে। তাই সন্ধ্যার দিকে কিছু কাজ এগিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু হাসবেন্ড অফিস থেকে বের হতে দেরি হওয়ায় ভিতরের সব দোকান বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। তখন খুব মন খারাপ হয়েছিলো যে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারলাম না। পরে হঠাৎ খেয়াল করলাম যে আমি ডেট ভুল দেখেছি। আরো একদিন সময় আছে। তারপর পরের দিন বাকি ফ্রুটসগুলো এনে রেসিপিটি তৈরি করলাম।

---

আজকের রেসিপিটি তৈরি করতে কি কি উপকরণ লেগেছে এক নজরে দেখে নেই।

---

তরমুজ--২ টুকরা
আম--১ টি
মাল্টা-- ২ টি
আঙ্গুর--৭টি
আনার--১/৩ টি
আপেল--১টি
কলা--১টি
কমলা-- অর্ধেক
দুধ-- ১/২ কেজি
আগার আগার পাউডার-- ২ চা চামচ
কাস্টার্ড পাউডার-- ২ টেবিল চামচ
চিনি-- পরিমাণমতো

---

---

ডেজার্ট কিভাবে তৈরি করেছি পর্যায়ক্রমে শেয়ার করছি।

---

প্রথমে আম গুলোকে টুকরো টুকরো করে কেটে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিয়েছি।

---

---

একটি বাটিতে সামান্য একটু আমের পিউরি নিয়ে তার মধ্যে এক চামচ আগার আগার পাউডার দিয়ে ভালোমতো মিশিয়ে নিয়েছি।

---

---

চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে তার মধ্যে আমের পিউরি দিয়ে দিয়েছি। কিছুক্ষণ নেড়ে তার মধ্যে আগার আগার পাউডার মেশানো পিউরি দিয়ে দিয়েছি।

---

---

আরো বেশ কিছুক্ষণ নেড়ে ঘন হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।

---

---

এখন দুটি গ্লাস নিয়ে আমি পিউরিগুলো গ্লাসে ঢেলে ফ্রিজে রেখে দিয়েছি।

---

---

তরমুজ গুলোকে টুকরো করে কেটে নিয়ে বিচি ছাড়িয়ে নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করেছি।

---

---

একটি বাটিতে কিছুটা তরমুজের জুস নিয়ে তার মধ্যে এক চামচ আগার আগার পাউডার দিয়ে ভালোমতো মিশিয়ে নিয়েছি।

---

---

চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে তার মধ্যে তরমুজের জুস দিয়ে দিয়েছি। একটু নেড়েচেড়ে আগার আগার পাউডার মেশানো জুস দিয়েছি।

---

---

বেশ কিছুক্ষণ নেড়ে ঘন হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।

---

---

আমের জুস যেই গ্লাসে রেখেছিলাম সেই গ্লাসের ভিতর তরমুজের পিউরি দিয়ে আবারো ফ্রিজে রেখে দিয়েছি ঠান্ডা হওয়ার জন্য। এই সময়ের মধ্যে আমের পিউরি জমে গিয়েছে।

---

---

এখন একটি বাটিতে দুধ নিয়েছি। তার ভিতরে কাস্টার্ড পাউডার দিয়ে ভালোমতো মিশিয়ে নিয়েছি। তারপর চুলায় কড়াই বসিয়ে তার মধ্যে দুধ দিয়ে চিনি দিয়েছি।

---

---

চিনি গুলো মিশে গেলে তার ভেতরে কাস্টার্ড পাউডার মেশানো দুধ দিয়ে ভালোমতো নেড়ে নিয়েছি।

---

---

বেশ কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে ঘন হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।

---

---

গ্লাসটি ফ্রিজ থেকে বের করে নিয়ে এসেছি। আমের পিউরি এবং তরমুজের পিউরি জমে গিয়েছে।

---

---

গ্লাসের ভিতরে কাস্টার্ড দিয়ে আবারো ফ্রিজে রেখে দিয়েছি।

---

---

এখন সব ফলগুলো ছোট ছোট করে কেটে নিয়েছি।

---

---

গ্লাসটি ফ্রিজ থেকে বের করে তার উপরে প্রথমে আনার তারপর কলা দিয়েছি।

---

---

তারউপরে দুই রকমের আপেল, কমলা এবং আঙ্গুর দিয়েছি।

---

---

মালটা দুটি কেটে রস করে নিয়ে ছাকনি দিয়ে ছেঁকে নিয়েছি।

---

---

চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে তার মধ্যে মালটার রস দিয়ে পরিমাণ মতো চিনি দিয়েছি।

---

---

বেশ কিছুক্ষণ জ্বাল দেওয়ার পর চিনি গলে গিয়ে ঘন হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।

---

---

এখন এই ঘন মালটার রস ডেজার্ট এর উপরে দিয়েছি।

---

---

---

---

এভাবেই আমার ফ্রুটস ডেজার্ট তৈরি হয়ে গেলো। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে। সময় নিয়ে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে দেখা হবে আবার নতুন কিছু নিয়ে।

---

ধন্যবাদ

@tania

Photographer	@tania
Phone	oppo reno5

আমি তানিয়া তমা। আমি বাংলাদেশে থাকি। ঢাকায় বসবাস করি। আমি অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। আমি বিবাহিত। আমার দুটি ছেলে আছে। আমার শখ রান্না করা, শপিং করা,আর্ট করা, ঘুরে বেড়ানো। আমি বাংলায় কথা বলতে এবং ব্লগিং করতে ভালোবাসি। আমি আমার বাংলাদেশকে ভালবাসি।

---

VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy