আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? বর্তমানে আবহাওয়া একদমই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে হঠাৎ করেই শীত অনুভব হচ্ছে। যেখানে গতবছর এই সময়ে ঢাকা শহরে শীতের কোনো বালাই ছিল সেখানে এই বছর এখন থেকেই ঠান্ডা লাগা শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও এখন অগ্ৰহায়ণ মাস শুরু হয়েছে আর এই সময় গ্ৰামে ঠান্ডা পড়তে শুরু করে। কিন্তু ঢাকা শহর আবহাওয়া সবসময়ই গরম থাকে কারণ এখানে গ্ৰামের মতো তেমন কোনো প্রাকৃতিক বাতাস নেই। গাছপালা কম থাকার কারণে বাতাস সবসময় প্রচুর গরম থাকে। তবে এবার আগে আগে এমন ঠান্ডা অনুভব শুরু হওয়াতে খুব ভালো লাগছে।
একদিকে শীত চলে এসেছে বলে যেমন আনন্দ হচ্ছে তেমনি অন্যদিকে টেনশন হচ্ছে। হঠাৎ এমন আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য ছোট বড় সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই ছেলেকে নিয়ে খুব টেনশনে ছিলাম। কিন্তু সেই টেনশনি আমাকে পেয়েছে। দু'দিন ধরে আমার ছেলে খুব অসুস্থ। ঠান্ডা জ্বর আর তাকে নিয়ে টেনশনের শেষ নেই। ঔষধ খাওয়ানোর পর জ্বর একটু কমেছে কিন্তু ঠান্ডা এখনও রয়ে গিয়েছে। এরমধ্যে গতকাল রাতে হঠাৎ করে ছেলে আমার বমি করে অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাকে রাতে ভাত খাওয়াতে বসেছিলাম এমন সময় একটা প্রজাপতি উড়ে আসে আর সেটা দেখে ভয় পেয়ে এই অবস্থা হয়।
একদিকে ছেলের টেনশন অন্যদিকে আমার মা অসুস্থ। এরপর আবার বড় ভাবি অসুস্থ। কিছুদিন আগে আমার একটি পোস্টে শেয়ার করেছিলাম আমার মা ঢাকায় এসে ডাক্তার দেখিয়েছে। সেদিন ডাক্তার প্রায় ১০ টির মতো পরীক্ষা দেয় আর কিছু ঔষধ দেয়। এরপর আমার মা আবার গ্ৰামে চলে যায়। দু'দিন আগে আমি গিয়ে সেই রিপোর্ট এনে ডাক্তার দেখালাম। ডাক্তারের কথা শুনে মা কে নিয়ে টেনশনের শেষ নেই। মায়ের কোলেস্টেরল অতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছে,হার্টের একটু সমস্যা ধরা পড়েছে আবার ডায়াবেটিস দেখা দিয়েছে। এদিকে আবার কোমরে ব্যথা রয়েছে কিন্তু সেটা কিডনির ব্যথা নয়। সেটা হলো বাতের ব্যথা। যখন এই ব্যথা শুরু হয় তখন মা একদম পাগল পাগল হয়ে যায়। মা ব্যথার ঔষধ খেতে পারে না। ব্যথার ঔষধ খেলেই শরীরে পানি চলে আসে। এসব কিছু নিয়ে খুবই টেনশনে রয়েছি।
এর মধ্যে আবার বড় ভাবির ডেঙ্গু ধরা পড়েছে। তার দু'টো ছোট ছোট বাচ্চা রয়েছে। বাচ্চারা তো আর এগুলো বুঝে না। সবসময় মায়ের কাছে থাকতে চায়। রক্তের প্লাটিনাম অনেক কমে গিয়েছে। জ্বর একটু কমেছে কিন্তু মাথা নাকি প্রচুর খারাপ লাগে। একদিকে বাচ্চা সামলাতে হয় অন্যদিকে নিজের শরীরের এই অবস্থা। কয়েকদিন ধরে এসব বিষয় নিয়ে খুবই টেনশনের মধ্যে সময় পার করছি। আমার এমনেতেই প্রেশার একদম লো তার মধ্যে অতিরিক্ত টেনশন করতে করতে আমার অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তারজন্য খাবার খাচ্ছি ঠিকই কিন্তু কাজ হচ্ছে না।
প্রেশার লো এরজন্য ঘাড় একদমই নাড়াতে পারছি না। অতিরিক্ত টেনশন মানুষের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কিন্তু পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়ায় টেনশন যেনো অটোমেটিক চলে আসে। একটু টেনশন যেকোনো সুস্থ মানুষকে অসুস্থ করে তুলে। এই টেনশন কিন্তু মানুষের মৃত্যুর কারণও হতে পারে। সেটা হাই প্রেশারের মানুষ হোক কিংবা লো প্রেশারের মানুষ হোক। মাঝে মাঝে মনে হয় এত টেনশন নিতে গিয়ে হয়তো আমার কিছু একটা হয়ে যাবে। আমি আবার অতিরিক্ত টেনশন নিতে পারি না। এতে করে অনেক সমস্যা হয়ে যায়। যাই হোক আমার পরিবারের সবার জন্য দোয়া করবেন। সবাই যেন আগের মতো সুস্থ হয়ে উঠেন। আপনাদের পরিবারের সবার জন্য ও দোয়া রইল। সবাই ভালো থাকবেন, ধন্যবাদ।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
https://x.com/TanjimaAkter16/status/1858360333288792244?t=xCuiXCYTVpAuSAxDIDGxQQ&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমিও তাই বলি। যা হওয়ার তাই হবে। তাই বলে কি টেনশন করে মরে যেতে হবে। বেশী টেনশন করলেই খারাপ কিছু হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। তাই আমাদের উচিত জীবনে সব সময় সব পরিস্থিতিতে নিজেদের কে মানিয়ে নেওয়া। ধন্যবাদ সুন্দর এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আমিও টেনশন মুক্ত থাকতে চাই কিন্তু তা আর হয়ে উঠে না। এমনেতেই টেনশন শুরু হয়ে যায়। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার পরিবারে দেখছি অনেকেই বেশ অসুস্থ। মানুষ অসুস্থ হলে টেনশন নিয়ে কোন কাজ নেই জানেন তো, বরং তাদের পাশে কিভাবে থাকা যায় এবং তাদের কিভাবে সুস্থ করা যায় সেই দিকে লক্ষ্য নজর করতে হবে। আমার আবার ঠিক উল্টোটা হয় যখন সবকিছু ঠিক থাকে তখন সমস্ত অকাজ নিয়ে টেনশন করি। বিশেষ করে কেউ যদি অসুস্থ থাকে আমার একেবারেই টেনশন হয় না বরং আমি তাদের সুস্থ করার জন্য সঠিক পথ খুঁজি। আপনাকেও আমি সেই পরামর্শই দেবো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আপু টেনশন করে কি লাভ সবার সুস্থতার জন্য চেষ্টা করতে হবে। ধন্যবাদ সুন্দর পরামর্শ দেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ডেইলি টাস্ক রিপোর্ট
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু অতিরিক্ত টেনশন থাকলে আপনি যত ভাল খাবারই খান না কেন বা ঔষধ কিছুতেই কাজ হয় না। আপনার বড় ভাবি দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আল্লাহ যেন তাকে দ্রুত সুস্থ করে দেয় আর অবুঝ ছোট দুটো বাচ্চাকে যেন একটু বুঝ দেয়। পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে ভীষণ চিন্তা হয়। তবে এই সময় তাদের পাশে থেকে একটু উৎসাহ দেওয়া জরুরী। তাই আপনার টেনশন না করে তার পাশে থাকা খুবই জরুরী।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন। যত বেশি টেনশন করবে মানুষ তত বেশি সমস্যায় পড়বে। বেশিরভাগ মানুষ টেনশনের জন্য স্ট্রোক করে মারা যায়। তাই চেষ্টা করতে হবে আপনজনদের টেনশন না দিতে এবং টেনশন ফ্রি থাকতে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
টেনশন জিনিসটা খুবই খারাপ। একেবারে তিলেতিলে শেষ করে দেয় মানুষকে। তাই আমি টেনশন করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করি সবসময়। যদিও সবসময় সেটা সম্ভব হয় না। যাইহোক আপনার পরিবারের জন্য দোয়া রইলো আপু। আশা করি সবকিছু দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit