হ্যালো বন্ধুরা,আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও মোটামুটি ভালো আছি।
আজ আবারও নতুন একটি গল্প নিয়ে চলে এসেছি। আজ যেই গল্প শেয়ার করবো তা আমার মনের কল্পনা থেকে লেখা। গল্প লিখতে ও পড়তে খুব ভালো লাগে। আমি বাস্তবের ঘটনা যেমন শেয়ার করার চেষ্টা করি তেমনি মনের কল্পনা দিয়ে লেখা গল্প ও শেয়ার করার চেষ্টা করি। আজকের গল্পের নাম মিষ্টি প্রেমের গল্প। এই গল্পের নায়ক সাগর আর নায়িকা সাগরিকা। দু'জনের নামের মিলকরণ পরবর্তীতে বুঝতে পারবেন। তারা দু'জন ছোটবেলায় একই স্কুলে পড়া লেখা করে। দু'জনের পারিবারিক অবস্থাই ভালো। কিন্তু কেউ কাউকে কখনও দেখেনি। একদিন স্কুলের এক অনুষ্ঠানে সাগর এবং সাগরিকার পরিবারের সবাই এসেছে।
সেখানেই তাদের দুই পরিবারের পরিচয় হয়। সেই সময় তারা দু'জন ক্লাস ফাইভে পড়ে। তাদের দু'জনের নাম প্রায় সেম দেখে দু'পরিবার ছোট বয়সেই তাদের বিয়ে ঠিক করে। তাদের দু'জনেকে বলা হয় আজ থেকে তোমরা মন দিয়ে পড়ালেখা শেষ করবে। যখন বড় হয়ে দু'জন নিজেরা প্রতিষ্ঠিত হবে তখন তোমাদের এই বিয়ে মর্যাদা পাবে। এর আগ পর্যন্ত তোমরা কোনো ধরনের যোগাযোগ কিংবা দেখা করতে পারবে না। তারপর থেকে তাদের মধ্যে কোনো ধরনের দেখা হয়নি।
ফাইভের রেজাল্টের পর সাগরিকা তার বাবার সাথে বিদেশে চলে যায়। এরপর তাদের দু'জনের মধ্যে আর কথা হয়নি। এভাবে প্রায় অনেক গুলো বছর কেটে যায়। একদিন সাগরিকা নিজে থেকেই অনেক খোঁজাখুঁজির পর সাগরের ঠিকানা বের করে। এরপর সাগরিকা একদিন সাগরের বাসায় চলে যায়। হঠাৎ করে সাগরিকাকে দেখে সাগর অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। কারণ বড় হওয়ার পর এই প্রথম সে সারিকাকে দেখেছে। সাগরিকা দেখতে যেমন সুন্দরী ছিল তেমনি সাগর ও কোনো অংশে কম নয়।
পরিবারের সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের এবার বড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ে দেওয়া হবে। এরপর ধুমধাম করে তাদের বিয়ে হলো। বিয়ের পর সাগরিকা বায়না ধরলো সে সাগর কে নিয়ে বিদেশ চলে যেতে চায়। কিন্তু এই প্রস্তাবে সাগরসহ পরিবারের কেউ রাজি নয়। সাগর বলছে আমি বিদেশে গিয়ে থাকতে পারবো না। কিন্তু সাগরিকা নাছোড়বান্দা সে কোনো ভাবেই দেশে থাকতে চাচ্ছে না। যেহেতু সাগর যেতে চাচ্ছে না তাই সাগরিকা একাই চলে যায়।
সাগরিকার এভাবে চলে যাওয়াতে সাগর খুব রাগ করে। তারপর সাগরিকার সাথে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। অন্যদিকে সাগরিকা বিদেশে গিয়ে এক মুহুর্তের জন্যও ভালো থাকতে পারেনি। কারণ সে যে সাগর কে খুব ভালোবাসে। এরপর সাগরিকা কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে কিন্তু যোগাযোগ করতে না পেরে আবারও সাগরের কাছে চলে আসে। এরপর থেকে তারা দু'জন সুখে শান্তিতে বসবাস করে। এভাবেই শেষ হলো দু'জনের মিষ্টি প্রেমের গল্প। আজ যাই,শুভ রাত্রি। আল্লাহ হাফেজ।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বেশ ভালো লাগলো গল্পটা পড়ে। আগে শুনতাম ছোটবেলায় নাকি ছেলে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে রাখতো। কিন্তু বড় হওয়ার পর অনুষ্ঠান করে বিয়ের কার্যক্রম শেষ করতো। যাইহোক সাগরিকা শেষ পর্যন্ত বিদেশ থেকে সাগরের কাছে ফিরে এসেছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। গল্পটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit