হ্যালো বন্ধুরা,আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও মোটামুটি ভালো আছি।
আজ আবারও নতুন একটি গল্প নিয়ে চলে এসেছি। আজকের গল্পটা সম্পূর্ণ নিজের লেখা। নিজের লেখার মধ্যেও কিন্তু আলাদা একটা আনন্দ আছে। তখন যেনো নিজেকে একজন লেখিকা মনে হয়। যদিও আমি প্রফেশনাল লেখিকা নই তবে নিজেকে তেমন ভাবতেও পারি তাই না,আপনারা কি বলেন? আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হবার পর নিজকে অনেক কিছু ভেবে ফেলেছি। বাস্তবে রূপান্তরিত না হলেও আমার বাংলা ব্লগে তো হয়েছে সেটাই অনেক আর এতেই নিজেকে ধন্য মনে করি। যাই হোক কাজের কথায় আসি চলুন গল্পের মূল পর্বে চলে যাই----
গল্পের নায়ক আকাশ আর নায়িকা নীলিমা। আকাশ আর নীলিমা দু'জনেই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। আকাশটা দুই ভাই আর নীলিমা একাই। নীলিমার বাবার একটি বড় মুদির দোকান রয়েছে আর সেটা দিয়ে তাদের সংসার ভালোই চলে। অন্যদিকে আকাশের বাবা ছোট একটি কম্পানিতে চাকরি করে আর তা দিয়ে তাদের সংসার ও ভালোই চলে। তাদের কারো সাথেই কারোর কোনো পরিচয় নেই। আকাশের বড় ভাইয়ের নাম অসীম আর সে খুবই ভালো মনের মানুষ। আকাশের মা-বাবা তার বড় ভাইয়ার জন্য পাত্রী খুঁজে। এরপর হঠাৎ করে নীলিমা নামের মেয়ের সাথে রাস্তায় কাকতালীয় ভাবে আকাশের মায়ের দেখা হয়। আকাশের মা রাস্তায় একটি বিপদে পড়েছিল আর নীলিমা সেখানে উনাকে সাহায্য করে।
এরপর আকাশের মা কে বাসায় দিয়ে যায়। তখন বাসায় আকাশ ছাড়া কেউ ছিল না আর আকাশ নীলিমা কে প্রথম দেখেই তার রূপে মুগ্ধ হয়ে যায়। তার উপর নীলিমার ব্যবহার এতটাই সুন্দর যা দেখে যে কেউ মুগ্ধ হয়ে যাবে। শুধু আকাশ কেন, আকাশের মা ও নীলিমাকে দেখেও পছন্দ করে ফেলে। কিন্তু সেটা মনে মনে প্রকাশে কিছুই বলেনি। আকাশের মনের ভিতরে তখনই যেনো ভালোবাসার লাল গোলাপ ফুটে উঠেছে। অন্যদিকে নীলিমাও আকাশ কে দেখে একটু লজ্জা পাচ্ছে। কারণ নীলিমার আচরণে বুঝা যাচ্ছে সেও আকাশকে একটু পছন্দ করে ফেলেছে।
ঐদিন নীলিমা আকাশদের বাড়িতে বেশ কিছুক্ষণ ছিল। আকাশের মা নীলিমার বাড়ির ঠিকানা রেখে দেয়। মোবাইল নাম্বার চাইলে নীলিমা বলে আন্টি আমি মোবাইল নেই আর যদি একান্ত আমাকে কারো প্রয়োজন হয় তাহলে আমাদের বাসার লেন লাইন এ কল দিলে আমার সাথে কথা হয়। এরপর নীলিমা চলে যায়। এর মধ্যে প্রায় এক সপ্তাহ চলে যায়। আকাশ আর নীলিমার মধ্যে কোনো কথা কিংবা দেখা কিছুই হয়নি। একদিন হঠাৎ করে বিকাল বেলা আকাশের মা নীলিমাদের বাড়িতে যায়।
তখন নীলিমা আকাশের মা দেখে খুব খুশি হয় আর তার বাবা মায়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। এরপর নীলিমা বড়দের কথার মাঝখানে না থেকে তার রুমে চলে যায়। তারপর আকাশের মা তার বড় ছেলের জন্য নীলিমাকে বউ করে ঘরে তুলতে চায় এই আবদার করে। এই কথা শুনে নীলিমার বাবা মা খুব খুশি হয় আর তারা ছেলেকে দেখে খুব পছন্দ করে। এরপর নীলিমাকে ডাকা হয় আর তার বাবা মা বলে উনি তোমাকে তার ছেলের বউ হিসাবে পছন্দ করেছে। তোমার পছন্দ অপছন্দ থাকলে জানাতে পারো।
এরপর নীলিমা মাথা নেড়ে হ্যাঁ সম্মতি জানায় আর তখনই আকাশের মা আংটি বের করে নীলিমার হাতে পড়িয়ে দেয়। কিন্তু নীলিমা এটা জানেনা কারজন্য তাকে পছন্দ করা হয়েছে। কারণ নীলিমা ভেবেছিলো আকাশ একলা আর তারজন্যই হয়তো পছন্দ করেছে। এই কথা চিন্তা করতে করতে লজ্জা পেয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এরপর দুই পরিবার বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে। এরপর বাসায় এসে রাতের খাবার টেবিলে আকাশের মা বিয়ের কথা উঠায়। অসীম তা শুনে খুব খুশি হয় আর তার বাবাও খুব খুশি। কিন্তু আকাশের মুখ একদম মলিন হয়ে যায়। কিন্তু সেটা সে প্রকাশ করেনি বরং এমন ভাব দেখায় যে সে এই বিয়েতে খুব খুশি। এরপর কি হলো জানতে হলে পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকতে হবে। চলবে----
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
https://x.com/TanjimaAkter16/status/1858904255593410997?t=LveBFya_OHvTQzWbaMmKyA&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আকাশ এবং নীলিমা দেখছি এক অপরকে পছন্দ করেছি। কিন্তু নীলিমা তো জানেই না আকাশের মা আসলে কোন ছেলের জন্য তাকে পছন্দ করেছে। অন্যদিকে আবার সবকিছু জেনে আকাশের মন খারাপ হলেও সে খুশি থাকার ভাব করছে। এখন শেষ পর্যন্ত কি হবে এটা জানার জন্যই অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব টা শেয়ার করে নিবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আপু খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব শেয়ার করবো। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব সুন্দর একটা গল্প লিখেছেন আপনি। এই গল্পের প্রথম পর্ব আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তবে আকাশ আর নীলিমার মধ্যে দেখছি আকাশের বড় ভাই এসে গিয়েছে। ইনফ্যাক্ট নীলিমার সাথে আকাশের ভাইয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে। কিন্তু নীলিমা জানে আকাশের সাথে তার বিয়ে। গল্পের মোড় কোন দিকে ঘুরবে, এটাই দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া পরবর্তী পর্বে বাকিটুকু জানতে পারবেন। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনি তো চমৎকার একটি গল্প লিখেছেন প্রথম পর্বটি। আকাশ এবং নীলিমা তাদের গল্পটি পড়ে বেশ ভালই লাগলো। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে এইখানে আকাশের ভাইয়ের কারণে তাদের ভালোবাসার মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হবে। কারণ আকাশের মা তার ভাইয়ের জন্য নীলিমাকে পছন্দ করেছে। দেখি গল্পের পরের পর্বে কোনদিকে যায় সেটি জানতে পারবো। তবে পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit