আসসালামু আলাইকুম
গত সপ্তাহে ঢাকা টু বাগেরহাটের ১ম পর্ব শেয়ার করেছিলাম আর আজ ২য় পর্ব নিয়ে এসেছি। তবে আজকেও পদ্মার এপারে দৃশ্য দেখাবো আর কিছু অনুভূতি শেয়ার করবো। গ্ৰামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবসময়ই আমাদের মুগ্ধ করে কিন্তু ঢাকার ভিতরেও কিন্তু তেমনি কিছু জায়গা রয়েছে যার সৌন্দর্য দেখে চোখ ফেরানো যায় না। যেমন ধরেন সদরঘাটের বুড়িগঙ্গা নদীর এত সুন্দর দৃশ্য যখন ব্রিজের উপর থেকে দেখা যায় তখন মনে হয় যেনো গ্ৰামে রয়েছি।
আমরা যখন সদরঘাট পার হচ্ছিলাম তখন একটি ব্রিজ পড়েছে যার অবস্থা আগে খুবই খারাপ ছিল কিন্তু বর্তমানে সেই ব্রিজ এতটাই সুন্দর হয়েছে সন্ধ্যার পর সেখানে অনেক মানুষ ঘোরাঘুরি করতে যায়। ব্রিজের উপরে গাড়িতে বসে নদীর পানি দেখতে খুব ভালো লাগে। তাছাড়া দূর থেকে লঞ্চ আর নৌকা গুলো দেখতে আরও বেশি ভালো লাগে। সেই নদীর পাশেই রয়েছে সুবিশাল এক টাওয়ার যার জন্য এর সৌন্দর্য আরও বেড়ে গিয়েছে।
আমার তো মনে হয় যেনো পদ্মার পাড়ের এপাড়ের সৌন্দর্যের বর্ণনাই তো দিয়ে শেষ করা যাবে না আর ওপারে যাবো কখন। আমি যখন প্রথম ২০১৯ সালে বাগেরহাট যাই তখন এসব রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল আর অনেক কষ্ট করে যেতে হতো। আমার মা আমার ছেলের যখন ৭ মাস চলে তখন গিয়েছিল বাগেরহাট আর সেই সময় পদ্মাসেতু ছিল না। তখন খুব কষ্ট করে গিয়েছে আর বলছে তিনি কখনো আর সেদিকে যাবে না। কারণ যাতায়াতের অবস্থা খুবই খারাপ বলে।
তবে যাই হোক সময়ের সাথে সাথে সব কিছুর পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। পদ্মাসেতুর জন্য এপার আর ওপারের সৌন্দর্য দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে। প্রতীনিয়ত সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেক মানুষ ছুটে যায়। এমন সুন্দর সৌন্দর্য দেখতে কার না ভালো লাগে। সদরঘাট পার হলে একটু দূর গেলে আরও কিছু ছোট ছোট নদী দেখা যায় আর এসব নদীর সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই। তাছাড়া রাস্তার সৌন্দর্য আমাকে আরও বেশি মুগ্ধ করে। আমি প্রতিবার বমি করি বলি ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। কিন্তু এবার ছবি তুলার জন্য নিজেকে শক্ত রেখেছি আর সেজন্য বরং কিছু ছবি তুলতে পেরেছি।
আমরা সবাই ঘোরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ঘোরাঘুরি করলে মন ফ্রেশ থাকে। সপ্তাহে একদিন হলেও পরিবারের সবাই কে ঘোরাঘুরি করা উচিত। এতে নিজের কাছে যেমন ভালো লাগবে তেমনি তাদের কাছেও ভালো লাগবে। যাই হোক অনেক কথা বলেছি আজ আর নয়। আজকের এই ব্লগটি আপনাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। আজ এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন,সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।
শ্রেণী | ট্রাভেল |
---|---|
ডিভাইস | Vivo Y16 |
ফটোগ্রাফার | @tanjima |
লোকেশন | ঢাকা |
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।






Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

ভ্রমণ করতে খুব ভালো লাগে আপু। বাচ্চারা ছোট থাকতে যদি ভ্রমণ করা যায় তাহলে ভালো। কারণ বড় হয়ে যখন স্কুলে দেওয়া হয় তখন আর বেশি ভ্রমণ করা যায় না। বিশেষ করে নভেম্বর ডিসেম্বর মাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। আপনি ঢাকা টু বাগেরহাট ভ্রমণ করলেন দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করলেন। আপনার লেখাগুলো পড়ে এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আপু বাচ্চারা ছোট থাকা অবস্থায় ঘোরাঘুরি করাই ভালো। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit