আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।আজ আমি আপনাদের কাছে একটি মুভি রিভিউ নিয়ে আসলাম। আমার মুভির নাম চাঁদের পাহাড়। চাঁদের পাহাড় চলচ্চিত্রটি অভিযান কাহিনী নিয়ে নির্মিত হয়। অসম্ভব সুন্দর একটি ছবি। । ছবিটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। এটি আমি অনেকবার দেখেছি। আমি দেখে অনেক মজা পেয়েছি। আশাকরি আপনারাও দেখে মজা পাবেন।
মুভির ট্রেইলার
চলচ্চিত্র | চাঁদের পাহাড় |
---|---|
পরিচালক | কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় |
প্রযোজক | মাহেন্দ্র সোনী,শ্রীকান্ত মোহতা |
রচয়িতা | বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় |
চিত্রনাট্যকার | কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় |
কাহিনিকার | বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় |
উৎস | বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কর্তৃক চাঁদের পাহাড় |
অভিনয়ে | (দেব, জেরার্ড রুডলফ, মার্টিন সিটো ওটো) |
সুরকার | ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত |
চিত্রগ্রাহক | সৌমিক হালদার |
সম্পাদক | রবিরঞ্জন মৈত্র |
পরিবেশক | শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস |
মুক্তি | ২০শে ডিসেম্বর, ২০১৩ |
সময় | ১৪৮ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
নির্মাণব্যয় | ₹১০ কোটি (US$১.৩৫ মিলিয়ন) |
আয় | ₹১৬ কোটি (US$২.১৬ |
পটভূমি
স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে
শঙ্কর রায় চৌধুরী গ্রাজ্যুয়েশন করার পর পাটকলে চাকরি পায়। কিন্তু সে রোমাঞ্চ খোঁজে। সে যেতে চায়। আফ্রিকার দুর্গম স্থানে । একদিন তার গ্রামের এক অধিবাসীর কাছ থেকে জানতে পারে, সে আফ্রিকায় কাজ করে। সে তার সাহায্যে আফ্রিকায় ক্লার্ক হিসেবে কাজ পায় এবং উগান্ডা রেলওয়েতে চাকরি পায়।
স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে
এক সন্ধ্যায় শঙ্করকে একটি মানবভোজী সিংহ তাড়া করতে থাকে এবং ভাগ্যক্রমে সে তার কেবিনে পৌঁছে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। পরের দিন তিনি হেড স্টেশনমাস্টারকে একটি স্প্রিংফিল্ড বোল্ট-অ্যাকশন রাইফেল এবং কার্বলিক অ্যাসিড সরবরাহ করতে বলেন।তারপর তিনি আফ্রিকায় বিষাক্ত কালো মাম্বা আরেকটি বিপদের মুখোমুখি হন। সে তার টর্চলাইট দিয়ে ব্ল্যাক মাম্বাকে শেষ করে দেয়। পরের দিন তিনি এই জিনিসগুলি পেয়েছেন আরেক সহকর্মী ভারতীয়, তিরুমাল আপার কাছ থেকে, যিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে কাজ করছিলেন।
স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে
তারা খুব দ্রুত সম্পর্ক স্থাপন করে ফেলে এবং তিরুমাল প্রায়ই তার সাথে দেখা করতে আসে । একদিন তিরুমাল একই মানব ভক্ষক সিংহের শিকার হয় যায়। এতে শঙ্কর রাগান্বিত হন এবং তিনি এই বিপদ শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। সে নিজের গায়ে রক্ত ঢেলে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে এবং মাংসের টুকরো ছিটিয়ে দেয়। সে তার গুহা থেকে সিংহকে প্রলুব্ধ করে এবং অবশেষে তাকে গুলি করে মেরে ফেলে।
স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে
আলভারেজের সব কথা শুনে শঙ্কর ক্লার্ক চাকরি ছেড়ে দেয়। এরপর আলভারেজের সাথে খনির অনুসন্ধানে বের হয়। তারা ঘন জঙ্গলে প্রবেশ করতে থাকে। পথে তাদের অবর্ণনীয় অসুবিধা হয়ে থাকে।প্রথমটি হল তারা একটি বিক্ষুব্ধ আগ্নেয়গিরি যা তাদের অভিযান থামাতে বাধ্য করে। এ সময় জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরি তাদের পথে বিরাট বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। এক পর্যায়ে এসে আলভারেজকেও মেরে ফেলে সেই বুনিপ । তখন শঙ্কর একা হয়ে পড়ে। তিনি তাকে সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান দিয়ে কবর দেন এবং চাঁদের পাহাড়ের দিকে রওনা দেন।
স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে
শঙ্কর তখন সভ্যতার খোঁজে বের হয়ে যায়। যেতে যেতে সে বুনিপের গুহা খুঁজে পায়। তারপর নিজের অজান্তেই সে হীরকের খনি খুঁজে পায়। গুহার ভিতরে ঢুকে সে পথ হারিয়ে ফেলে। এক পর্যায়ে কিছু পাথরের সাহায্যে সে গুহা থেকে বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়। তখন সে সাথে করে কিছু পাথর নিয়ে আসে। আসলে সেই পাথরগুলো আর কিছু ছিল না, কাঁচা হীরা ছিল । শঙ্কর ইতালীয় অভিযাত্রীক আত্তিলীয় গাত্তির বই থেকে জানতে পারে, সে যে গুহায় পৌছেছিল, সেই গুহায়ই বিখ্যাত হীরক খনি, যার জন্য জন ও আলভারেজ তাদের জীবন হারিয়ে ছিল।
স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে
যতক্ষনে সে এগুলো জানতে পারে ততক্ষণে কালাহারি মরুভূমিতে সে পথ হারিয়ে ফেলে। নিজের প্রাণ বাঁচানোই তখন কঠিন হয়ে পড়ে। মরুভূমিতে সে জলের অভাবে প্রায় মৃত্যুবরণ করেছিল। তার মাথার উপর শকুনেরা ঘোরাফেরা শুরু করে দিল। পথে সিংহের সাথে তার যুদ্ধ হয়েছিল। অবশেষে এক সার্ভে টিম তাকে খুঁজে পায় এবং মুমূর্ষু শঙ্করকে শৈলেশবাড়ি, রোডেশিয়ায় নিয়ে বাঁচায়।
স্ক্রীনশর্ট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে
যখন সে সুস্থ হয় যায় তখন সে তার চারটি হীরা বিক্রি করে দেয় এবং অনেক টাকার পায়। একটি হীরা তার পিতামাতার কাছে একটি নোটের সাথে পাঠিয়ে দেয়। যাতে এটি বিক্রি করে এবং গ্রামবাসীদের টাকা দিয়ে সাহায্য করতে পারে। এরপর, সে তার একমাত্র হীরা বিক্রি করে এবং তার অনুসন্ধান চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি স্টিমার বোট কিনে নেয়।।শঙ্কর শেষে বলে যায় যে সে আবার বড় দল নিয়ে এসে এই হীরক খনীর সন্ধান করবে, যার জন্য আলভারেজ, কার্টার ও আত্তিলীয় জীবন দিয়ে ছিল।
আমার মতামত
একটি অসাধারণ মুভি এটি। এই ছবিটি সব দিক থেকে দুর্দান্ত। অসাধারণ গল্প লিখেছেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। চাঁদের পাহাড়' টিম দারুণ কাজ করেছে। আমি এই মুভিটি পছন্দ করি। চমৎকার মুভি। এটি বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অ্যাডভেঞ্চার ফিল্মগুলির মধ্যে অন্যতম। প্রথম ভারতীয় চলচ্চিত্র যা খুবই সাহসী এবং রোমাঞ্চে পূর্ণ হয়েছে। এতে সুন্দর লোকেশন এবং অসাধারণ সিনেমাটোগ্রাফি ছিল । গল্পটা অবিশ্বাস্য এবং বিশ্বের মধুর ভাষা বাংলায় এক কিংবদন্তি চলচ্চিত্র। এটি "বাঙালিদের" জন্য একটি নৈতিকতা। এটা দেখে আমাদের জীবনের কোনো পর্যায়ে আশা হারানো উচিত নয়। আমরা সাফল্যের জন্য সংগ্রাম করব।