হ্যালো বন্ধুরা,আসসালামু আলাইকুম। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও মোটামুটি ভালো আছি।
এই গল্পের ২য় পর্ব বেশ কিছুদিন আগে শেয়ার করেছিলাম। আজ শেষ পর্ব শেয়ার করতে চলে এসেছি। ২য় পর্বে বলেছিলাম আকাশ আর নীলিমার কথা আড়ালে দাঁড়িয়ে অসীম সব শুনে ফেলেছে কিন্তু তারা দু'জন কিছুই বুঝতে পারেনি। এরপর থেকে শুরু করছি--অসীম তার মনের সব কথা সবসময় একটি ডায়রিতে লিখে রাখতো। তেমনি তার এই কষ্ট গুলো সেই ডায়রির পাতায় স্থান পায়। অসীম একটু চাপা স্বভাবের, সে সহজে কারো সাথে তার ভালো লাগা খারাপ লাগা শেয়ার করতে পারেনা। তারজন্য তার মনের সব কথা ডায়রিতে লিখে রাখে। নীলিমা আর আকাশের কথায় সে বুঝতে পারে কেন নীলিমা বিয়ের পর অসীম কে দেখে এভাবে অজ্ঞান হয়ে যায়।
কিন্তু অসীম কোনো ভাবেই নীলিমাকে তার মনের ভাষা বুঝতে দেয় না। এভাবেই বেশ কয়েকদিন চলে যায়। একদিন অসীম জরুরি কাজে দেশের বাহিরে যায় আর সেখান থেকে ফেরার সময় অ্যাকসিডেন্ট এ অসীম মারা যায়। এই খবরে তাদের বাড়ি যেনো নিস্তব্ধ হয়ে যায়। নীলিমা যতই অসীম কে পছন্দ করতো না তারপরও তো অসীম তার স্বামী। এই কয়দিনে অসীম যেনো নীলিমার খুব প্রিয় একজন মানুষ হয়ে উঠেছিল। নীলিমা মুখ ফুটে কিছু বলার আগেই অসীম বুঝে যেতো কিন্তু নীলিমা অসীমের মনের ভাষা বুঝতে পারেনি।
অসীম মারা যাওয়ার প্রায় একমাস হয়ে গেলো আর নীলিমার বাবা তাকে নিয়ে খুবই চিন্তিত। কারণ এখন তাদের মেয়ের কি হবে এই ভেবে খুবই চিন্তিত ছিল। কিন্তু আকাশের বাবা মা নীলিমা কে ছাড়তে রাজি নয়। তারা আকাশের সাথে নীলিমার বিয়ে দেবে বলে প্রস্তাব জানায়। এতে নীলিমা ও তার বাবা- মাসহ সবাই রাজি হয়। এরপর ঘরোয়া ভাবে আকাশ আর নীলিমার বিয়ে হয়। বাসর ঘরে যাবার আগে আকাশ আর নীলিমা অসীমের ঘরে যায়। অসীমের ছবিতে মালা পাড়াতে। মালা পড়িয়ে আসার সময় হঠাৎ করে নীলিমার চোখে একটা পুরোনো ডায়রি ভেসে উঠে।
নীলিমা হাতে নিতেই দেখে ধুলোয় ভরে রয়েছে ডায়রি। এরপর পরিষ্কার করে ডায়রি খুলতেই খুব সুন্দর একটি লাল গোলাপ দেখতে পায়। গোলাপের পাশে লেখা ভালোবাসার লাল গোলাপ নীলিমা তোমায় দিলাম। নীলিমার আর বুঝতে বাকি রইল না এই ডায়রি আর কারো নয় অসীমের। এরপর আকাশ আর নীলিমা বসে বসে ডায়রির প্রতিটা লেখা পড়ছে আর তাদের দু'জনের চোখ জলে ভিজে যাচ্ছে। ডায়রি পড়ে অসীমের মৃত্যুর জন্য নীলিমা আর আকাশ নিজেদের দায়ী করছে। ডায়রির সবশেষে লেখা ছিল আমি যদি কোনো দিন এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাই তাহলে তোমরা তোমাদের ভালোবাসার পূর্ণতা দিও।
কিন্তু নীলিমা আর আকাশ কিছুই জানতো না আর অজান্তেই আজ অসীমের সেই আশা পূর্ণ হলো। এটা ভেবে তাদের ভালোও লাগছে। এরপর থেকে নীলিমা আর আকাশ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে শুরু করে। এভাবেই শেষ হলো আমার গল্পের শেষ পর্ব। আজ যাই আবার দেখা হবে নতুন গল্পের মাধ্যমে। ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/TanjimaAkter16/status/1865741521255125341?t=07qCLr0x4poubnenW6kYpg&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই গল্পের আগের পর্ব পড়ে বেশ ভালো লেগেছিল এবং এই পর্ব পড়েও খুব ভালো লাগলো। অসীম অনেক বড় মনের একজন মানুষ। অসীমের মৃত্যুর কথা শুনে খুব খারাপ লাগলো। যাইহোক অসীম মারা গিয়েছে বলে শেষ পর্যন্ত আকাশ এবং নীলিমার মিলন হলো। এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আপনি এর আগের পর্বগুলো পড়েছেন জেনে খুশি হলাম। হ্যাঁ অসীম ভালো ছিল বলেই ডায়রির মধ্যে তার মনের কথা লিখে গিয়েছে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit