রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে আমার লেখা নতুন একটি কবিতা "প্রিয় রবি ঠাকুর"

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)

image.png
Pixabay

বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। প্রথমে সবাইকে রবীন্দ্রজয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। আজ ২৫ শে বৈশাখ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্মবার্ষিকী। কলকাতার বিখ্যাত জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সারদা দেবীর চতুর্দশ সন্তান ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার জয়ের মধ্য দিয়ে তার অতুলনীয় সৃজনী প্রতিভা বাংলা সাহিত্যকে বিশ্ব মর্যাদাপূর্ণ আসনে অধিষ্ঠিত করেন। আমাদের জাতীয় সংগীত রচনা করেন কবিগুরু। এত বছর পেরিয়ে গেলেও বাঙালির নিত্যদিনের জীবনযাত্রা ও সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপস্থিতি এখনো দীপ্যমান। শুধু বাংলা নয় সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা সমস্ত বাঙ্গালির কাছে এক আনন্দঘন দিন এই ২৫ শে বৈশাখ। এই দিনে অজস্র অনুষ্ঠান আয়োজন করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে প্রিয় কবি স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। তার একক প্রচেষ্টায় তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে আধুনিক করে তুলেছেন। তাই আমি এই রবীন্দ্রজয়ন্তী নিজের লেখা একটি কবিতা শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

প্রিয় রবি ঠাকুর

বইয়ের পাতায় গানের সুরে বাংলার মাটি জুড়ে,
তুমি মিশে আছো কনায় কনায় বাঙালির অন্তরে।
আজও কানে অহরহ বাজে সেই মিঠে রবীন্দ্র সুর,
তোমার পদধ্বনি মিশে শান্তিনিকেতনে ধন্য হয়েছে বোলপুর।
তোমার শব্দে আজও কথা বলে ফুল পাখি গাছ পাতা,
তুমি না শোনালে জানতাম না কভু ওদের আত্মকথা।
ভারতমাতাকে বিশ্বের দ্বারে চিনিয়ে ছিল সেদিন,
ভুলবোনাকো পর জনমে জনমে তোমার অবদানের ঋণ।
তোমার গুণ সাগর যায়না মাপা অক্ষয় তব সৃষ্টি।
জ্ঞান চেতনা বিবেক বুদ্ধি
আলোক বর্ষ দূর - দৃষ্টি।
তোমার কলমের কালিতে লেখা শত শত উপন্যাস গল্প,
পুরো সাহিত্য জুড়ে রয়েছো তুমি নয়তো তা অল্প।
তোমার পরশে বাংলা ভাষা আজও সম্মান,
মরমে মরমে লেখা বাঙালির অমর অমূল্য অবদান।
তোমাকে পেয়েছি পাঠশালায় পড়া সহজ পাঠের ছন্দে,
দুলে দুলে মোরা গাইতাম ছড়া শিশুপাঠ আনন্দে।
সেই থেকে আসো মোদের সঙ্গী গল্প-কবিতা-গানে,
তুমি শিখিয়েছো চলার পথে জীবনের আসল মানে।
বাংলার গর্ব বাঙালির গর্ব সবার বিশ্বকবি,
মোদের হৃদয় আকাশে রবে তুমি সদা একটাই উজ্জ্বল রবি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলেই বস্তব কথা বর্তমানে যত কবি ও সাহিত্যিক রয়েছেন, তারা রবি ঠাকুরকে স্পর্স না করে লেখায় যেন অসম্পূর্ণ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

তুমি মিশে আছো কনায় কনায় বাঙালির অন্তরে।

সত্যিই তিনি চিরদিন বেঁচে থাকবে বাঙালির অন্তরে, আপনি চমৎকারভাবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্দেশ্যে একটি কবিতা রচনা করেছেন। আমি আপনার কবিতা পড়ে মুগ্ধ। 🥀

তোমার গুণ সাগর যায়না মাপা অক্ষয় তব সৃষ্টি।
জ্ঞান চেতনা বিবেক বুদ্ধি
আলোক বর্ষ দূর - দৃষ্টি।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে আপনি চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন। কবিতার শব্দগুলো রবি ঠাকুরের কবিতার মত খুবই ছন্দ মুখর। প্রতিটি শব্দ যেন ঝংকার দিয়ে উঠে। আপনি খুব দারুণ ভাবে কবিতার মাধ্যমে কবিগুরুকে ফুটিয়ে তুলেছেন। বৌদি আসলেই আপনার কবিতাটি প্রশংসনীয়।

তোমার গুণ সাগর যায়না মাপা অক্ষয় তব সৃষ্টি।
জ্ঞান চেতনা বিবেক বুদ্ধি
আলোক বর্ষ দূর - দৃষ্টি।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে আপনি চমৎকার একটি কবিতা লিখেছেন। কবিতার শব্দগুলো রবি ঠাকুরের কবিতার মত খুবই ছন্দ মুখর। প্রতিটি শব্দ যেন ঝংকার দিয়ে উঠে। আপনি খুব দারুণ ভাবে কবিতার মাধ্যমে কবিগুরুকে ফুটিয়ে তুলেছেন। বৌদি আসলেই আপনার কবিতাটি প্রশংসনীয়।

বৌদি আজকের এই বিশেষ দিনে আপনার থেকে এমন একটা পোস্ট আশা করছিলাম সত্যিই। মন বলছিল বৌদি বিশেষ কিছু লিখে পোস্ট করবে। আর হলোও তাই। আসলে কবিগুরু ছাড়া আমরা অসম্পূর্ণ সত্যি। আমাদের শিরায় শিরায় মিশে আছেন উনি।

লেখাটা পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম, বৌদি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কতটা অনুভব করেন। প্রতিটা লাইনে তার চিহ্ন রেখেছেন। আর একদম শেষ দুইটা চরণে সবচেয়ে দামি আর মূল্যবান কথা বলে দিয়েছেন।

অনেক ভালোবাসা রইলো বৌদি ❤️❤️

সত্যি বৌদি রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে আপনার স্বরচিত কবিতা টি এককথায় অসাধারণ ছিল। যতই পড়ছিলাম কবিতাটি ততই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছিলাম। পুরো কবিতা জুড়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে যেভাবে তার প্রতিটা কাজকর্মকে এই কবিতার মাঝে তুলে ধরেছেন সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে দিদি আমি বলছি আপনার এ কবিতাটি অবশ্যই আমি আমার নিজের কন্ঠে আবৃতি আকারে প্রকাশ করব।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে আপনি খুবই সুন্দর একটি কবিতা রচনা করেছেন বৌদি।রবি ঠাকুরকে নিয়ে আপনার এই লেখা কবিতাটি পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো।

তুমি মিশে আছো কনায় কনায় বাঙালির অন্তরে।

যতদিন বাঙালি থাকবে ততদিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রত্যেকটা বাঙালির অন্তরে অন্তরে মিশে থাকবে।

সেই থেকে আসো মোদের সঙ্গী গল্প-কবিতা-গানে,
তুমি শিখিয়েছো চলার পথে জীবনের আসল মানে।
বাংলার গর্ব বাঙালির গর্ব সবার বিশ্বকবি,

কবিতাটি পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম, সত্যিই আপনি খুবই সুন্দর কবিতা লিখেছেন। আসলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের হৃদয়ে বেঁচে আছে সারা জীবন এবং বেঁচে থাকবে সারাজীবন, তার কর্মের মাধ্যমে।গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাই।

তোমার কলমের কালিতে লেখা শত শত উপন্যাস গল্প,
পুরো সাহিত্য জুড়ে রয়েছো তুমি নয়তো তা অল্প।
তোমার পরশে বাংলা ভাষা আজও সম্মান,
মরমে মরমে লেখা বাঙালির অমর অমূল্য অবদান।

রবীন্দ্রনাথের যতগুলো উপন্যাস গল্প পড়েছি যেগুলোর মধ্যে রোমান্টিকতার ছোঁয়া রয়েছে সেগুলো আসলেই আমাকে বাস্তবতার দিকে নিয়ে গিয়েছে। মনে হয় সেই জগতে যদি আমি যেতে পারতাম খুবই ভালো লাগতো ।অনেক সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন দিদি ভালো লাগলো।

সেই থেকে আসো মোদের সঙ্গী গল্প-কবিতা-গানে,
তুমি শিখিয়েছো চলার পথে জীবনের আসল মানে।
বাংলার গর্ব বাঙালির গর্ব সবার বিশ্বকবি,
মোদের হৃদয় আকাশে রবে তুমি সদা একটাই উজ্জ্বল রবি।

সত্যি রবীন্দ্রজয়ন্তীতে দারুণ একটা কবিতা আপনি প্রকাশ করেছেন, বিশেষ করে শেষের লাইনগুলো কথা না বলে থাকতে পারলাম না। বাংলার গর্ব, বাঙালির গর্ব এটা কোন বাঙালি অস্বীকার করতে পারবে না, সেই সুযোগ নেই। বাংলা এবং বাঙালিদের গর্বের উজ্জ্বল রবি একটাই। ধন্যবাদ

আমাদের বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে তুমি খুবই সুন্দর একটি কবিতা লিখেছ ,বৌদি । কবিতাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো । তিনি তাঁহার তৈরি করার সৃষ্টির মাধ্যমে সারা বিশ্বেই নাম উজ্জ্বল করে রেখেছেন। বিশ্ব যতদিন থাকবে ততদিন তিনি এবং তার সৃষ্টি বেঁচে থাকবে। বৌদি ,তোমার লেখা কবিতাটির শেষের এই দুই লাইন আমাদের সবারই মনের কথা ..

বাংলার গর্ব বাঙালির গর্ব সবার বিশ্বকবি,
মোদের হৃদয় আকাশে রবে তুমি সদা একটাই উজ্জ্বল রবি।

বাহ,খুব সুন্দর কবিতা লিখেছেন বৌদি।আসলে যতদিন বেঁচে থাকবো বাঙালির অন্তরের কবি মনের সঙ্গে মিশে থাকবেন।তার লেখা কবিতা,গান,ও গল্প আমাদের চলার প্রতিটি মুহূর্তে স্মরণ করিয়ে দেয় নতুন দিনের।ধন্যবাদ বৌদি।

ঠিক বলেছেন বৌদি রবীন্দ্রনাথ যেন বাঙালির অন্তরে মিশে আছে। তার গান কবিতা ছোট থেকে শুনে আসছি পড়ে আসছি। কী অসাধারণ এক সৃষ্টি।

বইয়ের পাতায় গানের সুরে বাংলার মাটি জুড়ে,
তুমি মিশে আছো কনায় কনায় বাঙালির অন্তরে

প্রথম লাইনটি তো অসাধারণ ছিল। দারুণ লিখেছেন কবিতা টা। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে রবীঠাকুর কে নিয়ে আপনার লেখা কবিতা টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।

তোমার কলমের কালিতে লেখা শত শত উপন্যাস গল্প,
পুরো সাহিত্য জুড়ে রয়েছো তুমি নয়তো তা অল্প।

সাহিত্যে তারঁ অসামান্য অবদান রয়েছে।। তাইতো তিনি পেয়েছন নোবেল পুরষ্কার। তারঁ অবদানের কথা বাঙালি তথা পুরো বিশ্ব আজীবন মনে রাখবে। খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখলেন দিদি।

বাংলার গর্ব বাঙালির গর্ব সবার বিশ্বকবি,

আমাদের বিশ্বকবি সত্যিই বাংলার গর্ব।দারুণ লিখেছেন বৌদি আপনি।

প্রথমেই শত সহস্র শতকোটি প্রনাম জানাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চরনে

বইয়ের পাতায় গানের সুরে বাংলার মাটি জুড়ে,
তুমি মিশে আছো কনায় কনায় বাঙালির অন্তরে।
আজও কানে অহরহ বাজে সেই মিঠে রবীন্দ্র সুর,
তোমার পদধ্বনি মিশে শান্তিনিকেতনে ধন্য হয়েছে বোলপুর।

কি লিখবো ভেবে পাচ্ছি না , হৃদয়ে দাগ কেটে গেল আপনার লেখা কবিতার চরণ গুলো।ভাল থাকবেন বৌদিভাই। শুভেচ্ছা রইল।

২৫ শে বৈশাখ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আপনি যে কবিতাটি রচনা করেছেন সেটি সত্যিই অসাধারণ হয়েছে ।এছাড়া রবি ঠাকুরের ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার বিষয়টিও আপনি উল্লেখ করেছেন। বৌদি নিচের লাইন টি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।

তোমার গুণ সাগর যায়না মাপা অক্ষয় তব সৃষ্টি।

স্বল্প কথায় অনেক কিছু বর্ণনা করে রবি ঠাকুরের কৃতিত্ব কে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করলেন। সবার স্মৃতিতে অটুট থাক কবিগুরুর সৃষ্টিময় কৃতিত্ব। সুন্দর লিখেছেন।

প্রিয় বৌদি, আশা করি ভাল আছেন, রবি ঠাকুর কে নিয়ে আপনি খুব সুন্দর কবিতা লিখেছেন। সত্যি কবিতাটি পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে ।এতো অসাধারণ কবিতা শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।