প্রতিযোগিতা -৫১" শীতকালীন নয় রকম সবজির ভর্তা রেসিপি"

in hive-129948 •  10 months ago 

বন্ধুরা
আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। আজ আমি চলমান প্রতিযোগিতা শীতকালীন সবজির ভর্তা রেসিপি নিয়ে আসছি। আবার অনেক দিন পর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা। আপনারা জানেন বরাবরই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আমার বেশ ভালো লাগে। তবে সময়ের অভাবে সব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা হয় না। তবে এবারের প্রতিযোগিতার দেখার পর থেকেই ভেবেছি অংশগ্রহণ করবো। কিন্তু প্রথম সপ্তাহে সময়ের অভাবে সম্ভব হয়নি। তাই রেসিপি তৈরি করার আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। পড়ে আপনাদের দাদা বললো তুমি তৈরি করো আর এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে শীতকাল মানেই নানা রকম সবজির এলসী কান্ড। আর ভর্তা খেতে কম বেশি অনেকেই খুবই পছন্দ করেন। আমার নিজের ও খুবই পছন্দের ভর্তা। তাই তো মাঝে মধ্যে বাড়ীতে আমি অনেক রকমের ভর্তা তৈরি করে থাকি। বিশেষ করে প্রতি নববর্ষের দিন ২০-২৫ রকমের ভর্তা তৈরি করে থাকি।আর ভর্তা আপনাদের দাদা খেতে খুবই পছন্দ করে। তাই ভাবলাম একটু সময় করে তৈরি করা যাক।

যেহেতু প্রতিযোগিতার বিষয় শীতকালীন সবজি দিয়ে ভর্তার রেসিপি। এটা মাথায় রেখে তৈরি করেছি শীতকালে পাওয়া যায় এমন কিছু সবজি দিয়ে ভর্তা তৈরি করতে।তবে ভর্তা তৈরি করতে করতে কখন যে নয় রকম হয়ে গেল বুঝতে পারিনি। প্রথমে ভর্তা করেছি লাল শাখ ভর্তা করেছি। যদিও এখন লাল শাক বার মাস পাওয়া যায়। কিন্তু লাল শাক শীতকাল ছাড়া অন্য সময়ে খুব একটা স্বাদ লাগে না। এই লাল শাক ভর্তা প্রথম খেয়েছিলাম বাবারবাড়িতে গিয়ে মা তার জামাইকে তৈরি করে দিয়েছিলো। লাল শাক ভর্তা বেশ ভালো লাগে। এরপর তৈরি করেছি শুটকি চিংড়ি দিয়ে সরিষা পাতা ভর্তা, টক পালং শাক ভর্তা, চিংড়ি মাছ দিয়ে শালগম ভর্তা, ফুলকপি ভর্তা, চিংড়ি মাছ দিয়ে বিনস্ ভর্তা, চিংড়ি মাছ দিয়ে মটরশুঁটি ভর্তা, শুটকি চিংড়ি দিয়ে ব্রকলি ভর্তা ও কাঁচা টমেটো ভর্তা। এই সবগুলি ভর্তা খেতে বেশ মজার ছিলো। আপনাদের দাদা সারাদিনই ভর্তা খেয়েছিলো।এমনকি রাতে ও সে ওই ভর্তা দিয়ে ভাত খেয়েছিলো। কথা না বাড়িয়ে আমরা মূল পর্বে ফিরে যাই।

IMG_20240121_141435.jpg

IMG_20240121_141544.jpg

IMG_20240121_141258.jpg
উপকরণঃ
১. লাল শাক -১ মুঠো
২.সরিষা পাতা -১ মুঠো
৩. টক পালং শাক -১ মুঠো
৪. কাঁচা টমেটো - ৩ টি
৫. ফুল কফি -১ টির অর্ধেক
৬. ব্রকলি -১ টি
৭. শালগম - ছোট সাইজের তিনটি
৮. বিনস্ -৫০০ গ্রাম
৯. মটরশুঁটি -৫০০ গ্রাম
১০. পেঁয়াজ কুঁচি -৩ কাপ
১১.রসুন-হাপ্ কাপ
১২. ধনিয়া পাতা -১ মুঠো
১৩.কালো সরিষা - প্রতিটি ভর্তায় হাপ্ কাপ করে
১৪.কাঁচা মরিচ - প্রতিটি ভর্তায় ৪ টি করে
১৫. লবণ - পরিমান মতো
১৬. সরিষার তেল - পরিমান মতো
১৭. শুটকি চিংড়ি -১ কাপ
১৮.চিংড়ি মাছ - প্রতিটি ভর্তায় ২০০ গ্রাম
১৯.লেবুর রস - এক চামচ
২০. চিলি প্লেক্স - পরিমান মতো

IMG_20240121_075722.jpg
ফুলকপি,ব্রকলি ও শালগম

IMG_20240121_083941.jpg
টমেটো

IMG_20240121_090747.jpg
লাল শাক

IMG_20240121_090839.jpg
টক পালং

IMG_20240121_090939.jpg
বিনস্

IMG_20240121_091020.jpg
মটরশুঁটি

IMG_20240121_120456.jpg
চিংড়ি মাছ
IMG_20240121_121410.jpg
পেঁয়াজ কুঁচি,রসুন কাঁচা মরিচ

IMG_20240121_125133.jpg
ধনিয়া পাতা

IMG_20240120_104646.jpg
সরিষা পাতা

IMG_20240120_110351.jpg
শুটকি চিংড়ি

IMG_20240120_110403.jpg
কালো সরিষা, লবণ ও কাঁচা মরিচ

IMG_20240125_023259.jpg
সরিষার তেল
IMG_20240125_023323.jpg
চিলি প্লেক্স

IMG_20240125_023422.jpg
লেবু
প্রস্তুত প্রণালী:
১. প্রথমে শালগম, ফুলকপি ও ব্রকলি ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে। ভালো করে ধুয়ে সেদ্ধ করতে হবে।সবরকম কফি গুলো নরম হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।

IMG_20240121_081008.jpg

IMG_20240121_081029.jpg

IMG_20240121_081058.jpg

IMG_20240121_082125.jpg

IMG_20240121_084735.jpg

IMG_20240121_103449.jpg
২. এরপর লাল শাক ভালো করে দেখে কেটে নিতে হবে। ধীরে ধীরে টক পালং শাক গুলোর শুধু পাতা নিয়ে ডাটা গুলো ফেলে দিলাম। সরিষা পাতা গুলোও কেটে নিলাম। এবার সব শাক গুলো এক এক করে জল দিয়ে
ভালো করে ধুয়ে নিলাম।

IMG_20240121_104933.jpg

IMG_20240121_113507.jpg

IMG_20240120_104646.jpg
৩.কাঁচা টমেটো গুলো মাঝ বরাবর কেটে নিলাম। বিনস্ গুলো ছোট করে কেটে নিলাম। মটরশুঁটি গুলো দানা গুলো বেছে নিলাম। বিনস্ ও মটরশুঁটির দানা গুলো সেদ্ধ করে নিতে হবে।

IMG_20240121_114742.jpg

IMG_20240121_113851.jpg

IMG_20240121_113836.jpg

IMG_20240121_114837.jpg

IMG_20240121_121044.jpg
৪. চুলার উপর কড়াই বসিয়ে দিতে হবে।কড়াই গরম হয়ে গেলে সামান্য একটু সরিষার তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে লাল শাক গুলো দিয়ে দিতে হবে এক সাথে পাঁচ কোয়া রসুন দিয়ে নেড়ে চেড়ে নিতে হবে। শাক সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে। ঠিক একই পদ্ধটিতে টক পালং শাক ও সরিষা পাতা গুলো সেদ্ধ করে নিতে হবে।

IMG_20240121_105031.jpg

IMG_20240121_105256.jpg

IMG_20240121_113353.jpg

IMG_20240121_113544.jpg

IMG_20240121_113604.jpg

IMG_20240121_113921.jpg

IMG_20240121_114747.jpg

IMG_20240120_105555.jpg

IMG_20240120_105644.jpg

IMG_20240120_105658.jpg

IMG_20240120_105848.jpg

IMG_20240120_110338.jpg

IMG_20240120_110607.jpg
৫. এবার চুলার উপর ফ্রাই প্যান বসিয়ে দিলাম। ফ্রাই প্যানে সামান্য পরিমান সরিষার তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে কেটে রাখা টমেটো গুলো দিয়ে আঁচ কমিয়ে ভেজে নিতে হবে। টমেটো গুলো ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।

IMG_20240121_114802.jpg

IMG_20240121_114829.jpg

IMG_20240121_120413.jpg

IMG_20240121_120639.jpg
৬. চুলার উপর খালি কড়াই বসিয়ে দিয়ে শুটকি চিংড়ি গুলো ভালো করে ভেজে নিতে হবে। চিংড়ি গুলো ভালো ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে। এরপর একই কড়াইতে তেল দিয়ে দিতে হবে।তেল গরম হয়ে গেলে চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে দিতে হবে। এতে সামান্য লবণ ও হলুদ দিয়ে ভালো করে ভেজে নিতে হবে।

IMG_20240120_110538.jpg

IMG_20240120_110638.jpg

IMG_20240120_111500.jpg

IMG_20240121_120615.jpg
৭. এবার শীল পাটায় হাপ্ চামচ কালো সরিষা ও কাঁচা মরিচ বেটে নিতে হবে। লাল শাক ও রসুন ভালো করে পাটায় বেটে নিতে হবে। এরপর একটা পাত্রে তুলে নিতে হবে।ওই একই পদ্ধতিতে ফুলকপি বেটে নিতে হবে।

IMG_20240121_124306.jpg

IMG_20240121_124338.jpg

IMG_20240121_122433.jpg

IMG_20240121_122437.jpg

IMG_20240121_122556.jpg

IMG_20240121_133101.jpg

IMG_20240121_124715.jpg

IMG_20240121_133328.jpg
৮. এবার শীল পাটায় কালো সরিষা ও কাঁচা মরিচ বেটে নিয়ে।শুটকি চিংড়ি, সেদ্ধ করা সরিষা পাতা ও রসুন ভালো করে বেটে নিতে হবে।একই পদ্ধতিতে শুটকি চিংড়ি ও ব্রকলি বেটে নিতে হবে।

IMG_20240121_124306.jpg

IMG_20240120_113147.jpg

IMG_20240120_113220.jpg

IMG_20240120_113245.jpg

IMG_20240120_113330.jpg

IMG_20240120_113357.jpg

IMG_20240120_115820.jpg

IMG_20240120_120012.jpg

IMG_20240121_125730.jpg
শুটকি চিংড়ি ও ব্রকলি বাতা।
৯. এরপর শাল গম, চিংড়ি মাছ ও পাঁচ কোয়া রসুন এবং কাঁচা মরিচ ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিলাম। একই পদ্ধতিতে সেদ্ধ বিনস্ ,চিংড়ি মাছ, ও কাঁচা মরিচ ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এবার সেদ্ধ মটরশুঁটি ,চিংড়ি মাছ ও কাঁচা মরিচ এক সাথে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।

IMG_20240121_123748.jpg

IMG_20240121_131407.jpg

IMG_20240121_123756.jpg

IMG_20240121_131400.jpg
১০. এবার ভেজে নেওয়া কাঁচা টমেটো গুলোর খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। একসাথে পেঁয়াজ কুঁচি,কাঁচা মরিচ কুচি, সরিষার তেল ও ধনিয়া পাতা কুচি এবং পরিমান মতো লবণ দিয়ে কাঁচা টমেটো গুলো ভালো করে মেখে নিতে হবে।

IMG_20240121_121026.jpg

IMG_20240121_132120.jpg

IMG_20240121_132145.jpg

IMG_20240121_132238.jpg

IMG_20240121_132253.jpg
১১. পেঁয়াজ কুচি,ধনিয়া পাতা কুচি, সরিষার তেল ও পরিমান মতো লবণ দিয়ে ভালো করে মেখে নিয়ে ফুলকফির পেস্ট একসাথে মেখে নিতে হবে।এবার লাল শাকে পরিমান মতো লবণ ও সরিষার তেল দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে। এরপর সরিষার পাতা বাটায় সামান্য লবণ ও সরিষার তেল দিয়ে মেখে নিতে হবে। এবং কাঁচা মরিচ কুচি,পরিমান মতো লবণ ও সরিষার তেল দিয়ে সেদ্ধ করা পালং শাক মেখে নিতে হবে।

IMG_20240121_133328.jpg

IMG_20240121_133342.jpg

IMG_20240121_133416.jpg

IMG_20240121_133458.jpg

IMG_20240121_133114.jpg

IMG_20240121_135156.jpg

IMG_20240121_135223.jpg
১২.এবার চুলার উপর ফ্রাই প্যান বসিয়ে দিয়ে তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে গেলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভেজে নিতে হবে। পেঁয়াজ কুচি ভাজা হয়ে গেলে শালগম ও চিংড়ি পেস্ট দিতে হবে। খুন্তি দিয়ে নাড়তে থাকতে হবে। শালগম হালকা শুকিয়ে এলে হাপ্ চামচ চিলি প্লেক্স ও এক চামচ লেবুর রস দিয়ে আবারো নাড়তে থাকতে হবে। শালগম শুকিয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে।ঠিক একই ভাবে মটরশুঁটি পেস্ট ও শুকিয়ে নিতে হবে।এবং বিনস্ এর পেস্ট ও শুটকি চিংড়ি,ব্রকলি একসাথে বাটা শুকিয়ে নিতে হবে।শালগম শুকিয়ে গেলে পেঁয়াজ কুঁচি, ধনিয়া পাতা, লবণ ও সরিষার তেল দিয়ে একসাথে মেখে নিতে হবে।

IMG_20240121_114802.jpg

IMG_20240121_124221.jpg

IMG_20240121_124720.jpg

IMG_20240121_124844.jpg

IMG_20240121_125106.jpg

IMG_20240121_125307.jpg

IMG_20240121_132606.jpg

IMG_20240121_132708.jpg
১৩.ব্রকলি শুকিয়ে একসাথে মেখে নেওয়া

IMG_20240121_123953.jpg

IMG_20240121_130922.jpg

IMG_20240121_131015.jpg

IMG_20240121_132848.jpg

IMG_20240121_133005.jpg
মটরশুঁটি শুকিয়ে মেখে নেওয়া।

IMG_20240121_131652.jpg

IMG_20240121_134330.jpg

IMG_20240121_133005.jpg
বিনস্ মেখে নেওয়া।

IMG_20240121_131657.jpg

IMG_20240121_134340.jpg

IMG_20240121_132848.jpg
১৪.সব রকমের ভর্তা মেখে নিয়ে এক এক করে সাজিয়ে দিলাম।

IMG_20240121_141544.jpg
লাল শাক ভর্তা, সরিষার পাতা ভর্তা,কাঁচা টমেটো ভর্তা,শাল গম ভর্তা,ফুল কফি ভর্তা,ব্রকলি ভর্তা, বিনস্ ভর্তা, মটরশুঁটি ভর্তা ও টক পালং শাক ভর্তা।
সবশেষে একটা প্লেটে ভাতের পাশে সব রকমের ভর্তা দিয়ে সাজিয়ে দিলাম।

IMG_20240121_141245.jpg

IMG_20240121_141258.jpg

আজ এই পর্যন্তই। আমার রেসিপিটি আপনাদের কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না। ভর্তা তৈরি করতে গিয়ে বাবু ভীষণ বিরক্ত করছিলো। রান্নাই করতে দিচ্ছিলো না।আর এদিকে বাড়ীতে কেউ ছিলো না তাই নিজে হাতে সবকিছু করতে হয়েছে। তাই হয়তো ভুল হতে পারে। তার জন্য দুঃখিত ।

IMG_20240121_141430.jpg

IMG_20240121_140914.jpg

IMG_20240121_141416.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। যেকোনো ভর্তায় গরম গরম ভাতের সাথে খেতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। তবে আপনি এত রকম ভর্তা তৈরি করতে আপনার অনেক সময় লেগেছে তা দেখে বেশ বুঝতে পারছি। সবগুলো রেসিপি বেশ লোভনীয় লাগছে। তৈরি করার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝ শেয়ার করেছেন। এত মজাদার রেসিপি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

বৌদি আপনি তো দেখছি একেবারে আট ঘাট বেধেঁই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করেলেন। অবাক হয়ে গেলাম এত ব্যস্ততার মধ্যেও কি করে এত সব আয়োজন করলেন। কিন্তু ভাবছি আপনার ভর্তা গুলোর কোনটা রেখে কোনটার প্রশংসা করবো। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য বৌদি।

ওয়াও অসাধারণ।
এতগুলো ভর্তা বানিয়েছেন!! দেখে লোভ সামলানো দুষ্কর। ভীষণ লোভ লাগছে বৌদি আপনার ভর্তা গুলো দেখে। প্রত্যেকটা ভর্তাই একটু একটু করে টেস্ট করতে পারলে খুবই ভালো হতো।
লাল শাক ভর্তা আমি কখনো খাইনি। লাল শাকের ভাজি আমার ভীষণ প্রিয়। ভর্তা একদিন খেতেই হবে দেখছি।

এত্তো এত্তো ভর্তা দেখে তো আমার চোখ জুড়িয়ে গেলো সাথে লোভও লেগে গেলো।আমি ভীষণ ভর্তা পছন্দ করি।যদি ভর্তা থাকে খাবারের তালিকায় তবে অন্য কোন কিছু আর চাই না আমার। প্রায় গুলো ভর্তাতেই মাছের ব্যাবহারের ফলে স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।মাছ ছারা ভর্তা গুলোও চমৎকার লোভনীয় হয়েছে বৌদি সব গুলো ভর্তাই।দাদা সারাদিন ভর্তা খেয়েছে জেনে ভালো লাগলো।ধাপে ধাপে চমৎকার করে তৈরি পদ্ধতি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য শুভকামনা রইলো।

আরিব্বাস!! নয় রকমের ভর্তা!! এত গুলো ভর্তা করতে কত সময় লেগেছে সেটাই ভাবছি। আর সবগুলো এতো লোভনীয় 😋। স্বাভাবিকই যে দাদা সারাদিন ধরে ভর্তা খেয়েছিলো।

চিংড়ি দিয়ে বিনস্ ভর্তা এবং মটরশুঁটি ভর্তা এই দু ধরনের ভর্তা বাড়িতে বানাবো।

প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাতে চাই বৌদি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনি একই সাথে নয় রকমের ভর্তার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এত লোভনীয় সুন্দর সুন্দর রেসিপি গুলো একই সাথে দেখতে পেরে নিজেকেই সার্থক বলে মনে হচ্ছে।

আমাকে ছাড়া খেয়ে নিলে🥹🥹?

বৌদি আপনি আসলেই সবসময় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করেন। যাইহোক ব্যস্ততার জন্য এবারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে দেরি হয়ে গেলেও, শেষ পর্যন্ত অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন, সেজন্য ভীষণ ভালো লাগছে। শীতকালে বিভিন্ন ধরনের সবজি পাওয়া যায়। যদিও এখন বারো মাস শীতকালীন সবজি পাওয়া যায়, কিন্তু খেতে ততটা ভালো লাগে না। যাইহোক ভর্তা তৈরি করতে করতে একেবারে ৯ রকমের ভর্তা তৈরি করে ফেলেছেন দেখছি। আমাদের দাদা তো সারাক্ষণ ভর্তা ই খাচ্ছে। যাইহোক মটরশুঁটি এবং লাল শাকের ভর্তা বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখতে হবে। যাইহোক এতো মজার মজার ভর্তা রেসিপি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।

এত চমৎকার চমৎকার ভর্তা গুলো দেখে তো জিভে জল চলে আসলো বৌদি। নয় রকমের বাহারি পদের ভর্তা। সবগুলো দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে বৌদি। বিশেষ করে আমি নিজেই রান্না করে খাই, আপনার এই ভর্তাগুলো আমিও ট্রাই করার চেষ্টা করব।

আপনি এই পোস্টে যেটা করেছেন সেটাকে এলাহি কাণ্ড বললেও কম বলা হয় বৌদি। আমার তো মনে হয় আমার স্টিমিটের ইতিহাসে আমি এত বড় পোস্ট দেখিনি। আর এতো রকমের ভর্তাও কখনো সামনাসামনি দেখিনি। তবে আপনার এই কষ্ট সার্থক হয়েছে। কারণ দাদা আপনার ভর্তাগুলোর দারুন প্রশংসা করেছে। এতগুলো ভর্তা বানাতে কি পরিমাণ কষ্ট হয়েছে সেটা রেসিপি গুলো দেখেই বুঝতে পারছি। অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি আপনাকে এত চমৎকার সব ভর্তার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

বৌদি আপনি সব সময় প্রতিযোগিতা অংশগ্রহন
করার চেষ্টা করেন যা অনেক ভালো লাগে।এত ব্যস্ততার মাঝেও আপনি আমাদের মাঝে বেশ দারুন কিছু ভর্তা রেসিপি শেয়ার করেছেন যা দেখে লোভ লেগে গেল। আসলে এতগুলো ভর্তা একসঙ্গে দেখলে লোভ তো লাগারি কথা। লাল শাক আমার অনেক প্রিয় এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি তবে ইউনিক কিছু রেসিপি আপনার মাধ্যমে শিখে নিলাম। আপনার রেসিপি গুলো বরাবরই আমার ভালো লাগে। দারুন কিছু ভর্তার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।