"নিজস্ব কিছু অনুভূতি"

বন্ধুরা
আপনারা সবাই ভালো আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির পরিবারের সবাইকে আমার অন্তরের অন্তর স্থল থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। সেই সাথে ধন্যবাদ ধন্যবাদ জানাই আমার প্রিয় কিছু মানুষ গুলোকে। সত্যি এই মানুষ গুলো পাশে না থাকলে আমার কোন অস্তিত্ব থাকতো না। কি বলতে চাইছি তা হয়তো আপনারা বুঝতে পারছেন! আজ আমাদের ভালবাসার আমার বাংলা ব্লগ ক্ষুদ্র পরিবার থেকে বৃহৎ একটা পরিবারে পরিণত হয়েছে তা শুধু আপনাদের সবার ভালোবাসার জন্য। আপনারা সকলে না থাকলে হয়তো এত সুন্দর একটি পরিবার পেতাম না। আর আপনারা যে ভাবে আমার জন্মদিন মনে রেখেছেন তার জন্য সত্যি আমি কৃতজ্ঞ।আমি এখানে আসার আগে কোনদিন ভাবিনি যে কেউ আমার জন্মদিন এভাবে মনে রাখবে। কখনো এভাবে কেউ
এই দিনটি সেলিব্রেট করবে, সবার এত এত ভালোবাসা পাবো। আজ নিজেকে একজন লাকি ম্যান ভাবতে ইচ্ছা করছে।
ওই দিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই চোখে পড়লো আমাদের সবার প্রিয় হাফিজ ভাইয়ার পোস্ট জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি পোস্ট। হাফিজ ভাইয়ার পোস্ট টি পড়ে দিন শুরু হয়েছিলো।আমি তো
ভাবতেই পারিনি এভাবে আপনারা সকলে দিনটি
মনে রেখেছেন। ভাইয়া অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোর জন্য।তারপর থেকে ধীরে ধীরে দেখলাম অনেকে অনেক সুন্দর সুন্দর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আমি সবার মন থেকে সবার শুভেচ্ছা বার্তা গ্রহন করেছি। আবার আপনাদের দাদার মাধ্যমে পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছিলাম।তার ভিতর বৃষ্টি আপুর পাঠানো সুন্দর একটি শুভেচ্ছা বার্তা। আপু আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বিশেষ হ্যাং আউটের আপনাদের সাথে থেকে পুরো অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেছি। কিন্তু আপনাদের সাথে কথা বলতে পারিনি। এর জন্য ভীষণ খারাপ লাগছিলো।আসলে ওইদিন সন্ধ্যা থেকে বাবু ভীষণ বিরক্ত করছিলো। আর আর খুব কান্নাকাটি করছিলো। তার কারনেই কথা বলতে পারিনি। তার জন্য দুঃখিত।আর এখন সেভাবে আপনাদের মাঝে থাকতে ও পারিনা। আসলে বাবু এখন বড় হচ্ছে তাই তার দুষ্টুমী টা অনেক বেড়ে গেছে।আবার তার পড়াশুনা আর সবকিছু মিলিয়ে সময় করে পারিনা। তবুও চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে থাকার।

জন্মদিন প্রতিটা মানুষের স্পেশাল একটি দিন। আর যদি এই দিনে প্রিয় মানুষ গুলোকে পাশে পাওয়া যায়।একজনের না বললেই নয় সে হলো আমার প্রিয় একজন মানুষ স্বাগতা।ও যখনই কমিউনিটিতে প্রথম জয়েন করেছিলো সেই থেকে ওকে আমার মনে মনে ভালো লাগতো। তবে তখন আমাদের পোস্টের কমেন্টের মাধ্যমে কথা হতো।ওর সাথে কথা বলতাম আর ওকে মনে মনে ভাবতাম আমাদের কি কোনদিন দেখা হবে না। ওকে আমার খুব ভালো বন্ধু বা বোন মনে হতো। তবে একদিন আমাদের দেখা করার সেই সুযোগ চলে সেটা ও আবার দেবরের মাধ্যমে।কলকাতা বই মেলাতে আমাদের দুজনের প্রথম দেখা হয়েছিলো।সেই থেকে আমাদের দুজনের কথা বলা শুরু হয়। তবে তখন কি জানতাম ওই আমাদের পরিবারের একজন হবে। তবে আমার আশা ছিলো ওকে যদি সারাজীবনের জন্য আমাদের বাড়িতে আনতে পারতাম। স্বাগতা খুব ভালো মনের একজন মানুষ। ও প্রথম থেকে আমার সব ভালো লাগার দিকে লক্ষ্য রাখে। আমার স্পেশাল দিন গুলো ও খুব সুন্দর ভাবে আয়োজন করে। এমন একটি মিষ্টি বোন পেয়ে খুব খুশি।
ঠিক তেমনি স্বাগতার মা আমি তাকে প্রথম থেকেই আন্টি বলি। আন্টি সাথে পরিচয় হওয়ার পর থেকে আমার মায়ের দায়িত্ব পালন করে। আমার জন্য নিজের হাতে পায়েস রান্না পাঠিয়ে দেয়।আমাকে ফোন করে খোঁজ নেয়। যেটা আমার মা করতো প্রতি জন্মদিনে পায়েস রান্না খাইয়ে দিত।এখন মা দূরে থাকার জন্য করতে পারে না। সেই অভাব গুলো আন্টি পূরণ করছে।আন্টির কাছে থাকলে কখনও আমার কথা মনে পড়ে না। এরকম মায়ের মত আন্টি পেয়ে আমি ধন্য। আন্টি কখনো স্বাগতা আর আমাকে আলাদা চোখে দেখে না। এবারও আন্টি একা একা কত কষ্ট করে অনেক রকমের পিঠা ও জন্মদিনের পায়েস রান্না করে পাঠিয়ে দিয়েছে। আবার আমাকে আশীর্বাদ করতে ভোলেনি। তবে সে শরীর খারাপের জন্য নিজে আসতে পারেনি। এতটা ভালো মনের একজন মানুষ আন্টি ও আঙ্কেল।
আর একজন আমার প্রিয় মানুষটি আমার সুখে দুঃখে পথ চলার সঙ্গী। ওই মানুষটি শত ব্যস্ততার মাঝে থেকেও কোনকিছু ভুলে যায় না। আমার সবকিছুর দিকে সে লক্ষ্য রাখে। বিয়ের পর থেকেই ওই মানুষটি আর আমার দেবর জন্মদিন পালন করে আসছে। হাজার কাজের ভিতর থাকলেও ওই দিন টি সে ভুলে যায় না। প্রতিবার ওই মানুষটি আমাকে প্রথম জন্মদিনের উইশ করে। আর আমিও ওর মুখ থেকে শোনার জন্য অপেক্ষা করি। বিয়ের পর থেকে থেকেই খুবই সুন্দর ভাবে আমার জন্মদিন পালন করে আসছে। ও আমার জিবনে শ্রেষ্ঠ একজন মানুষ।যাকে এক জনমে না সাথ জনমে আমি এই মানুষটিকে পাশে পেতে চাই। এই মানুষটিকে না পেলে বুঝতাম ভালোবাসা কাকে বলে। এই মানুষটি আমাকে না নিয়ে আনন্দ উপভোগ করে না। এমনকি রাতে আমি না ঘুমালে সে ঘুমায় না। ও কখনো আমাকে ওর চোখের আড়াল করতে চায় না। ও খুবই কেয়ারিং একজন মানুষ। সবশেষে বলতে চাই আমি শুধু তোমাকেই ভালবাসি প্রিয় মানুষটি।।