আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন। আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছে। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে আমি অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সামনে দিনাজপুরের পুরনো একটি পুকুরের বিষয় তুলে ধরবো। সেই পুকুরের নামটি হল রামসাগর। দেখতে বিশাল বলে এই পুকুরটিকে সাগর উপাধি দেওয়া হয়েছে।
https://what3words.com/upswept.darkens.canisters
দিনাজপুর অঞ্চলের পুরনো নিদর্শন গুলোর মধ্যে রামসাগর অন্যতম। এটি একটি বিশেষ কারণে তৈরি করা হয়েছিল। সম্পূর্ণ বাংলাদেশের মধ্যে দিনাজপুরে অঞ্চল সবথেকে উঁচু। দিনাজপুরে অঞ্চলে চৈত্র মাসে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। পানিশূন্যতা দূর করার জন্য এই পুকুরটি আদি যুগের খনন করা হয়েছিল। এই রামসাগর ঠিক কোন সময়ে তৈরি করা হয়েছিল আমার সঠিক জানা নেই। এই পুকুরটি কয়েক হাজার শ্রমিক দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। আদি যুগ থেকেই এই পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করে আশেপাশের কিছু জমি চাষাবাদ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন এই পুকুরের পানি দিয়ে কোন চাষাবাদ করা হয় না। এটি এখন পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রতিদিন প্রায় অনেক লোক এখানে ঘুরতে আসে।
https://what3words.com/upswept.darkens.canisters
রামসাগর দিনাজপুর সদর থেকে দক্ষিণ পাশে 9 থেকে 11 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বাংলা দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে এখানে যে কেউ ঘুরতে আসতে পারবে। ট্রেনে করে বা বাসে করে। বাস থেকে মহারাজার মোড়ে নেমে একটি অটো জনপ্রতি ভাড়া নিতে পারে 50 টাকা। আর যদি ট্রেন থেকে নেমে অটো নেওয়া হয় তাহলে জনপ্রতি ভাড়া 30 টাকা করে।
এটি দেখতে অনেক সুন্দর। চারপাশে সবুজের বিস্তার। বড় বড় গাছ, একটি পার্ক, পুকুরের চতুর্পাশে ফুচকা, চটপটি দোকান। পুকুরের ওপরে তিনটি নৌকা দেখা যায়। যারা নৌকায় ভ্রমণ করতে চায় বা কোনদিন নৌকায় ভ্রমণ করেনি তারা সেখানে নৌকা ভ্রমণের মজা নিতে পারবে। নৌকায় উঠে পুকুরের মাঝে গিয়ে ছবি তুললে মনে হয় বিশাল এক সাগরের মাঝে আমি তুচ্ছ একটি মানুষ। সেখানে নৌকার ভাড়া জনপ্রতি 50 টাকা করে। এই 50 টাকা দিয়ে সম্পূর্ণ পুকুরটি নৌকায় ঘোরা সম্ভব। রামসাগরে দুবার জন্য টিকিট কেটে ঢুকতে হবে। প্রতি পিস টিকিটের মূল্য 30 টাকা করে। এই পুকুরটিকে চতুর্পাশে দেয়াল এবং তারকাটা দিয়ে সংরক্ষিত করা হয়েছে। যেন কেউ বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে এবং পুকুরের চতুর্পাশের কোন গাছ কাটতে না পারে। পুকুরের পশ্চিম পাশে একটি মসজিদ এবং মাদ্রাসা রয়েছে। সামনে একটু হাটলেই পর্যটকদের রান্না করার জায়গা বসার জায়গা রয়েছে। পুকুরটির পূর্ব পাশে একটি মন্দির রয়েছে। আপনি চাইলে পুকুরটি হেঁটে উপভোগ করতে পারেন আবার অটোতে করে ও ভোগ করতে পারেন। সম্পূর্ণ পুকুরটি পায়ে হেঁটে ঘুরতে আপনার 1 ঘন্টার বেশি সময় লাগতে পারে।
https://what3words.com/upswept.darkens.canisters
https://what3words.com/upswept.darkens.canisters
https://what3words.com/upswept.darkens.canisters
আজ আমি আমার ছোট ভাইকে নিয়ে সেই রামসাগর পুরনো পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমার ছোট ভাই হঠাৎ করে একটি সিদ্ধান্ত নেয় ভাইয়া আজকে চলো ঘুরতে যাই। আমি বললাম কই, সে বলল চলো রামসাগর ঘুরে আসি। আমি তার কথা শুনে অনেক খুশি হলাম কারণ রামসাগর আমার অনেক প্রিয় একটি জায়গা। যেখানে মন খুলে বসে গল্প, আড্ডা করা যায়। প্রকৃতির উপর দিয়ে বাতাসের অনুভূতি গল্প এবং আড্ডাকে আরো সুন্দর করে তোলে। আমরা দুই ভাই প্রায় 11 টার দিক তোমার বাসা থেকে রামসাগরে উদ্দেশ্যে রওনা দেই। আমার বাসা থেকে রামসাগর দুই ভাইয়ের 90 টাকা ভাড়া ছিল। রামসাগর যাওয়ার আগে আমি এবং আমার ছোট ভাই দিনাজপুর বড় মাঠে কিছু সময় নেই চা আর কেক খাওয়ার জন্য।
https://what3words.com/says.chap.coins
https://what3words.com/upswept.darkens.canisters
https://what3words.com/upswept.darkens.canisters
https://what3words.com/says.chap.coins
https://what3words.com/upswept.darkens.canisters
https://what3words.com/upswept.darkens.canisters
নাস্তাটা শেষ করেই আমরা আবার একটা অটো ভাড়া করে রামসাগরে উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম সেখানে পৌছাইতে আমাদের 40 মিনিট সময় লেগেছে। সেখানে পৌঁছানোর পর গেটে গিয়ে গেটম্যান কে জিজ্ঞাসা করলাম ভাইয়া এখানে কি দুবার জন্য টিকিট কাটতে হবে। তিনি বললেন হ্যাঁ, তিনি আমাদের টিকিট কাউন্টার দেখিয়ে দিলেন। টিকিট কাউন্টার টা পাশেই ছিল। দুই ভাই মিলে দুটি টিকিট কাটলাম এবং 60 টাকা দিলাম।
এরপর আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম। ভিতরে প্রবেশ করা মাত্রই চারপাশ থেকে অটোচালক ভাইয়েরা ডাক দিচ্ছে আসেন সম্পূর্ণ পুকুরের চারপাশে ঘুরিয়ে দেখাবো। আমি বললাম ভাইয়া আমি একটু হেঁটে দেখি এর পরবর্তীতে যদি মনে হয় যে আমাদের অটো নেওয়া দরকার তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনাকে দেখে নিব। অটোচালক ভাইয়ের সঙ্গে আর কথা না বলে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য আমরা দুই ভাই পায়ে হাঁটা শুরু করলাম। চলতে চলতে দুই ভাই অনেক গল্প করতেছি, মানুষের চলাফেরা, আড্ডা দেয়া, নৌকায় ভ্রমণ, ফুচকার দোকানে ভিড়, শিশুপার্কের বাচ্চাদের খেলা অনেক কিছুই দেখলাম। সম্পূর্ণ পুকুরটি একবার ঘোরার পর আমাদের সময় লেগেছিল প্রায় আড়াই ঘন্টা। এই আড়াই ঘন্টা জীবনে প্রথমবার আমি হেঁটেছি। আসলে পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে গেলে এই দীর্ঘ সময় ধরে হাঁটাচলা করলে মনেই হয় না যে আমি এত সময় ধরে রাখলাম। মনের ভিতর আনন্দের বন্যা হয়ে যাওয়ার কারণে হয়তোবা সময়ের কথা ভুলে গিয়েছিলাম। তুমি এখান থেকে আমি একটা শিক্ষামূলক বিষয় খুজে পেয়েছি। পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে গেলে সব সময় পায়ে হেঁটেই ঘুরতে হয় তাহলে পর্যটন কেন্দ্রের সম্পূর্ণ সৌন্দর্য এবং সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করা সম্ভব। দুই ভাই অনেক হাপিয়ে গেছিলাম এরপর একটা ফুচকার দোকানে বসে। ফুচকা খেয়ে বসে একটু বিশ্রাম নিয়েছিলাম। সেখানে 30 মিনিটের মতো অপেক্ষা করে আমরা একটা অটো ভাড়া করি। সেখান থেকে সরাসরি আমার বাসায় চলে আসি। এইভাবে আমি আমার আজকের দিনটি সুন্দরভাবে একটি পর্যটন কেন্দ্রে কাটিয়েছি।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
রামসাগর না গিয়েও আপনার পোস্ট টি পড়ে।একটা ছোট মত ধারণা পেয়ে গেলাম।কিছুক্ষণের জন্য মনে হচ্ছিল যেনো আমি রাম সাগরেই আছি।বাট তারপরেও বাস্তবে আর কল্পনার মধ্যে তো একটা ফারাক আছেই।তবে ইচ্ছা আছে রাম সাগর যাওয়ার।আর আপনার জন্যে শুভকামনা রইলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া। ঠিক বলেছেন কল্পনার বাস্তবতার মধ্যে তো কিছুটা পার্থক্য আছে। আপনি গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন অনেক সুন্দর একটি জায়গা। আপনাকে ভালো লাগবে সেই সুন্দর পরিবেশটি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit