হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমি সব সময় চেষ্টা আমি কিছু বিষয়ে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার। তেমনি আজকেও আপনাদের সামনে অনেক সুন্দর একটি বিষয়ের উপস্থাপন করার চেষ্টা করব। আসলে এসব বিষয়গুলো থেকে আমরা অনেক কিছু জানতে পারি এবং শিখতে পারি। যেগুলা হয়তোবা বাস্তব জীবনে আমাদের কাজে লাগবে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে পোস্টটা পড়ে।
আমরা আমাদের চারপাশে তাকালে এখন বেশিরভাগ বিশ্বাসঘাতক মানুষকেই দেখতে পাই। হ্যাঁ মানুষ এখন বিশ্বাসের মূল্য দিতে জানে না। এখন আমাদের কাছের মানুষগুলো আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে থাকে। যা আমরা কখনো চিন্তাও করি না। দেখা যায় আমরা যাদেরকে অনেক বেশি ভালোবাসি এবং অনেক বেশি বিশ্বাস করি, তারা দিন শেষে আমাদেরকে ছেড়ে চলে যায় আর বিশ্বাসঘাতক হয়ে যায়। একজন বিশ্বাসঘাতক মানুষকে ক্ষমা করা অবশ্যই যায়। তবে এই মানুষকে দ্বিতীয় বার বিশ্বাস করা সবথেকে বড় বোকামির তালিকায় পড়ে। কারণ দ্বিতীয়বার বিশ্বাস করলে সেই মানুষটা আবারও বিশ্বাসঘাতকতা করবে না এটার কোন বিশ্বাস নেই।
একটা মানুষ যেহেতু একবার বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে, তাই সে মানুষটা বারবার ও পারে বিশ্বাসঘাতকতা করতে। এখন বলতে গেলে আমাদের চারপাশে বিশ্বাসঘাতক মানুষের অভাব নেই। এখন মানুষ নিজের স্বার্থ নিয়েই থাকে। নিজের স্বার্থের জন্য আসে আর স্বার্থ শেষ হলে চলে যায়। এটাই এখন বাস্তবতা। মানুষকে বিশ্বাস করা যায় না এখন। কারণ মানুষ বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে পারেনা। দিনশেষে নিজেদেরকেই বোকা হয়ে যেতে হয়। নিজেকেই ঠকে যেতে হয় এই বিশ্বাসঘাতক মানুষদের কাছে। যে মানুষ আমাদের সাথে একবার বিশ্বাসঘাতকতা করে, তাকে দ্বিতীয়বার বিশ্বাস না করা সব থেকে বেশি ভালো।
আমরা চাইলে দিনশেষে পারি সেই বিশ্বাসঘাতক মানুষটাকে ক্ষমা করে দিতে। কিন্তু সেই মানুষকে আবার বিশ্বাস করা উচিত হবে না। বিশ্বাস শব্দটা হয়তো অনেকটা ছোট। কিন্তু এটার গুরুত্ব অপরিসীম। যে মানুষ অন্যের বিশ্বাসের মর্যাদা সঠিকভাবে রাখতে পারে, সে মানুষ সবার আপনজন হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু যারা অন্যের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, তারা নিজেরাও কখনো ভালো থাকতে পারে না। একসময় তাদেরকেও আরেকজনের কাছেই ঠকে যেতে হয়। তাদেরকেও সেই একই কষ্টটা ভোগ করা লাগে। অনেক সময় তো এর থেকে বেশি কষ্ট হয় অনেকের।
একটা মানুষের বিশ্বাস অর্জন করা অনেক কঠিন। তবে বিশ্বাস ভেঙে ফেলাটা অনেক বেশি সহজ। কারণ বিশ্বাস অর্জন করতে অনেক বেশি সময় লাগে। আর বিশ্বাস ভেঙে ফেলতে একটা মানুষের দুই মিনিট ও সময়ের প্রয়োজন হয় না। নিমিষেই একটা মানুষের বিশ্বাস ভেঙ্গে চুরমার করে দিতে পারি আরেকজন মানুষ। বিশ্বাসঘাতক মানুষ কখনো কারো আপন হয় না আর হতেও পারে না। আপনি এখন যাকে অনেক বেশি ভালোবাসেন, যাকে সব থেকে বেশি বিশ্বাস করে থাকেন, এক সময় দেখবেন সেই মানুষটা আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে চলে গিয়েছে। সে ই আপনাকে ঠকিয়ে চলে যাবে।
সেই মানুষগুলো সব থেকে বড় বোকামি করে যারা কিনা বিশ্বাসঘাতক মানুষকে দ্বিতীয়বার আবার বিশ্বাস করে। যারা আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, তাদেরকে বিশ্বাস করা একেবারেই উচিত হয় না। কারণ বেশিরভাগ মানুষ আবারো বিশ্বাসঘাতকতা করে। আর তখন আমাদেরকে আবারো কষ্ট পেতে হয়। একটা মানুষ তখনই সবথেকে বেশি কষ্ট পায়, যখন তার সাথে কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করে। বিশেষ করে কাছের এবং প্রিয় মানুষগুলো হলে একটু বেশি কষ্ট পায়। তাই দ্বিতীয়বার বিশ্বাস করার ভুলটা কারোরই করা উচিত নয়। যতই সেই মানুষটা ভালো হয়ে যাক আর ক্ষমা চায় না কেন। সে মানুষটাকে ক্ষমা করে দিলেও পরবর্তীতে আবারো বিশ্বাস করা উচিত নয়।
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀 |
---|
https://x.com/TASonya5/status/1845141471722340506?t=IBumDKn-5QVf2ROKX0c6WQ&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি কিন্তু খুব সুন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ লেখা আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। এই পৃথিবীতে বিশ্বাসঘাতককে দ্বিতীয়বার বিশ্বাস করা হচ্ছে জঘন্যতম ভুল। কারণ তাদেরকে ক্ষমা করে দেওয়া যায় কিন্তু দ্বিতীয়বার বিশ্বাস করা যায় না। একবার বিশ্বাসঘাতকতা যারা করে দ্বিতীয়বার সুযোগ পেলে আবারও করার সুযোগ পাবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আপু এটা জঘন্যতম একটা ভুলের তালিকায় পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে। আসলে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করে তাদের যেনা করার প্রয়োজন নেই তবে তাদের থেকে দূরে থাকতে হবে পুনরায় যেন তাদের প্রতি আস্থা না রাখা যায়। কারণ তারা হবারও বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে। তাই তাদের থেকে দূরে থাকাটাই বেটার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আবারো বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে। তাই বিশ্বাস না করাই ভালো পরবর্তীতে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তোমার এই কথার সাথে আমি নিজেও একমত। বিশ্বাসঘাতককে ক্ষমা করা যেতে পারে, কিন্তু দ্বিতীয়বার বিশ্বাস করা ভুল হবে। তাই দ্বিতীয়বার বিশ্বাস করার ভুল কারোরই করা উচিত না। যে মানুষটা একবার বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে সে বারবার করতে পারে। এই ধরনের মানুষগুলো সব সময় নিজের স্বার্থ নিয়েই চিন্তা করে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তুমি আমার কথার সাথে একমত শুনে ভালো লাগলো। আমিও মনে করি এই ভুল কারো করা উচিত না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জী আপু খুবই সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করলেন। টাইটেল টা আমার কাছে দারুন লেগেছে। বিশ্বাসঘাতক কে ক্ষমা করো, কিন্তু দ্বিতীয় বার বিশ্বাস করো না। দ্বিতীয়বার বিশ্বাস করলে ক্ষতিটা আর পুষাতে পারবে না। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার টাইটেলটা আপনার কাছে দারুন লেগেছে শুনে ভালো লাগলো। ঠিক বলেছেন ক্ষতিটা আর পুষাতে পারবেনা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
কোন মানুষ একবার বিশ্বাস ভঙ্গ করার পরে দ্বিতীয় বার তার উপর বিশ্বাস করা সত্যি বেশ কঠিন কাজ। আমি আপনার সাথে একমত বিশ্বাসঘাতককে ক্ষমা করা উচিত কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বাস করা কখনোই উচিত না। তারা যে পূণরায় ঐটা করবে না এটার কোন নিশ্চয়তা নেই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলেই এটার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বলেছেন আপু বিশ্বাস ঘাতককে ক্ষমা করা যায়।কিন্তু দ্বিতীয় বার তাকে আবারও বিশ্বাস করে ভুল করার মত সিদ্ধান্ত নেওয়া কখনোই উচিত নয়। যে একবার আপনার বিশ্বাসকে ভাঙবে সে আবারো চেষ্টা করবে আপনার বিশ্বাসকে ভাঙ্গার জন্য। এজন্য বিশ্বাস ঘাতককে কখনোই একবারের বেশি দুইবার সুযোগ দেওয়া একেবারেই উচিত নয়। খুব সুন্দর কিছু কথা তুলে ধরেছেন আপু।পড়ে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ক্ষমা করলেও বিশ্বাস করা যায় না দ্বিতীয় বার। কারণ পরবর্তীতে আবারো বিশ্বাসঘাতকতা করবে না এটা ঠিক নেই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ আপু একটি মানুষ বিশ্বাস অর্জন করা খুব কঠিন। আর বিশ্বাস নষ্ট করা একদম সহজ। তবে এটি ঠিক বিশ্বাসঘাতক লোকে ক্ষমা করা দরকার। তবে এই লোকগুলোকে দ্বিতীয়বার বিশ্বাস করা ঠিক না। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমিও এটাই মনে করি মানুষের বিশ্বাস অর্জন করা অনেক কঠিন। কিন্তু কিছু মানুষ কিভাবে পারে বিশ্বাসঘাতকতা করতে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit