ঈদের দিন কাটানোর মুহূর্ত।

in hive-129948 •  2 years ago 

হ্যালো বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকেও অনেকটা ঈদের ভাব লাগছে। তাই চলে আসলাম ঈদের দিনের মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

গতকাল আমাদের একটি খুশির দিন ছিল। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে এদিন খুশির দিন পালন করা হয়ে থাকে। খুশি মানেই তো ঈদ, সকল ধর্মের মানুষ এই দিন আনন্দ উদযাপন করে । সেই দিনটা কিভাবে কাটিয়েছে সে নিয়েই আজকের এই পোস্ট লিখতে বসলাম। সবাই এই দিনটাকে নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্প না থাকে। অনেকের আগে থেকেই পরিকল্পনা থাকে কি কি করবে। কিন্তু আমার তেমন কোন পরিকল্পনাই ছিল না। আসলে ৩০ টা রোজা খুবই তাড়াতাড়ি চলে গেল। যেন কয়েকদিন আগেই এসেছিল। আজ দেখি ঈদের দিনটাও শেষ হয়ে দ্বিতীয় দিনে পা দিলাম।

1682227050800.jpg

1682227015304.jpg

রমজানের ঈদ খুশির ঈদ তাতে কোন সন্দেহ নাই। গরিব কিংবা ধনী সবার মাঝেই এই দিনটা খুশিতে ভরে ওঠে। আমার কাছে এই দিনটা খুবই ভালো কাটে। কারণ এই দিনটাতে প্রত্যেক বছর এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াতে পারি। ঘুরাঘুরি কার না ভালো লাগে। সব ধরনের মানুষের কাছেই ঘুরাঘুরি করতে ভীষণ ভালো লাগে। তেমনি ঈদের দিনটা আমি খুব সুন্দরভাবে কাটাতে পারি। আগ থেকে সুন্দর ভাবে কিছু পরিকল্পনা করে থাকি। কিন্তু এ বছর আসলে অনেক কিছুই করা হয় নাই তারপরও সুন্দর কেটেছে ঈদের দিন।

1682227687068.jpg

1682227037426.jpg

সকালে ঘুম থেকে উঠেই মেয়েটাকে ঘুম থেকে তুলে ফেলেছি। তাকে গোসল করিয়ে নিলাম শুরুতে। তাকে নতুন জামা পরিয়ে যখন দিতেছিলাম তখনই মেয়েটা নানার বাড়িতে যাওয়ার কথা বলতেছিল। আসলে এটি প্রতিদিনের অভ্যাস। প্রতিদিন যখন তাকে গোসল করিয়ে ঘরে আনি তখনই নানার বাড়িতে যাওয়ার কথা এবং মামার বাড়িতে যাওয়ার কথা বলবেই এ বিষয়টা নিয়ে আরেক ঝামেলায় থাকি। কারণ কিছুক্ষণ কান্নাকাটি করবে। যাইহোক এরপর ঈদের জামা কাপড় গায়ে দিয়ে দিলাম। এর ভিতরে তার বাবা ঘুম থেকে উঠে মসজিদে চলে যাচ্ছিল।

1682227653664.jpg

1682227639543.jpg

হঠাৎ করে ই , ঘরের সবাই নাশিয়ার বাবাকে সালাম করতে শুরু করলো। সবার দেখাদেখি মেয়েটাও সালাম করলো। সবাইকে সালাম দিতে দিতে তার পকেট নাকি ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। এরপর খুব তাড়াতাড়ি মসজিদে চলে গেল। কারণ অনেক লেটে ঘুম থেকে উঠেছিল। এরপর আমি ফ্রেশ হওয়ার পর রেডি হয়ে থাকলাম। মেয়েটার বাবা যখন নামাজ পড়ে আসলো তখন এই ঘরের মধ্যে সালাম কর নিলাম। প্রত্যেক বছর সালাম এ নিয়ে অনেক দুষ্টামি হয় আমাদের মধ্যে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও একই অবস্থা। সালামের নেওয়ার জন্য বায়না, আর কম সালামি দেওয়া শুরু করলো। প্রত্যেক বছর আমাকে ২ টাকা থেকে শুরু করে সালাম দেওয়া। আস্তে আস্তে আস্তে আস্তে আস্তে সালামে এমাউন্ট উপরের দিকে উঠে। কিন্তু এ বছর আসলে তা খুব কম হয়েছে। এ বছর বেশি টাকা দিয়ে শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তটাও খুব মজার একটি মুহূর্ত।

এর কিছুক্ষণ পর আমার বাবা আসলো আমাদের দেখার জন্য। কিছুক্ষণ বাসায় ছিল। মেয়েটা নানার সাথে অনেকক্ষণ দুষ্টামি করেছিল। এর কিছুক্ষণ পর মেয়েটা শুরু করলো নানার সাথে যাওয়ার জন্য। কারণ আমার বাবা এবং মেয়ের বাবা সহ তারা মুনিয়ার শ্বশুর বাড়িতে যাবে। মুনিয়ার শুশুর দীর্ঘদিন অসুস্থ তাকে দেখার জন্য। তারা ওদিকে চলে গেল। এর কিছুক্ষণ পর আমাদের ঘরের সবাই মিলে আমাদের ঘরের আশেপাশে কয়েকটি বাড়িতে গিয়েছে। সবার সাথে অনেক দুষ্টামি করেছিলাম।

1682227002561.jpg

1682227050800.jpg

এরপর আমি এবং নাশিয়ার বাবা নিবলু ভাইয়াদের বাড়িতে গেলাম। সেখানে সবার সাথে দেখা করে আমি আমার বাবার বাড়িতে চলে গেলাম। কারণ এবছর সবাই সেখানে রয়েছে। মুনিয়া বড় আপু ভাগিনা ভাগ্নি ভাইয়া সহ সবাই তাদের বাড়িতে ঈদ করেছিল। এজন্য খুব তাড়াতাড়ি চলে গেলাম। সেখানে গিয়েও সবার সাথে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম। বিশেষ করে মাইসুন আছে এজন্য সবাই অনেক আনন্দে দিনটা কাটিয়েছিলাম দিয়েছিলাম। এরপর রাতে বাড়িতে আবার চলে আসলাম। এভাবে দিনটা কাটিয়েছিলাম। এভাবে পুরো ঈদের দিন খুবই আনন্দে কাটিয়েছিলাম।

আমার পরিচয়

1635518106012.jpg

আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের একজন ছাত্রী। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।

🎀 ধন্যবাদ সবাইকে 🎀

আসুন সবাই মন খুলে বাংলায় ব্লগিং করি

IMG-20220501-WA0005.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

রমজান মাসের ৩০ রোজা খুব তাড়াতাড়ি চোখের পলকেই চলে গেল । ঈদের দিন আমাদের অনেক খুশির একটা দিন । ছোট-বড় ধনী গরিব সবার জন্যই এদিন অনেক আনন্দের একটি দিন । নাশিয়ার জামাটি অনেক সুন্দর এবং নাশিয়াকে জামাটিকে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে । নাশিয়া তার বাবাকে সালাম করার পর সালামি কত পেল তা জানা হলো না । ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর ভাবে ঈদ উদযাপন করেছেন ।

কত আর পাবে ১০০ টাকা পেয়েছে।

ঈদের দিনটা খুবি আনন্দের সাথে পালন করেছেন।নাসিয়াকে খুবি সুন্দর লাগছে। জামাটাতে আরও বেশি ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল।

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

বাসার সবাই মিলে দারুন সময় কাটিয়েছেন আপু। মামনিকে দেখতে খুবই মিষ্টি লাগছে। ঈদের আনন্দ বাড়িয়ে তুলতে সবাই মিলে একসাথে দারুন সময় কাটিয়েছেন। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপু।

আসলেই সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছি।

আসলেই আপু, রোজার দিনগুলো যে কিভাবে এত তাড়াতাড়ি গেলো বুঝতেই পারলাম না। ঈদের দিন খুব সুন্দর ভাবে কাটিয়েছেন। নাশিয়া কে মাশাল্লাহ খুব সুন্দর লাগছে দেখতে। আপনারা নিভলু ভাইয়াদের বাসায় গিয়েছিলেন এটা কালকেই জানতে পেরেছিলাম। গতকালকের পোস্টে মাইসুনকেও দেখেছিলাম। আসলে পরিবার একজন নতুন সদস্য থাকলে সবাই তাকে নিয়ে খুব আনন্দ থাকে। মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

ঠিক বলেছেন পরিবারের নতুন সদস্য আসলে তাকে নিয়ে খুব আনন্দ হয়।

আপু ঈদের দিন সকালটা আপনার মেয়েকে নিয়েই কাটালেন। মেয়েকে সাজিয়ে গুছিয়ে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি করেছেন। বাচ্ছারা যখন ছোট থাকে তখন নানা বাড়িতেই বেশি থাকে। নানা বাড়ির জন্য তাদের আলাদা একটি টান থাকে। ধন্যবাদ আপু।

ঠিক বলেছেন নানুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য অনেক কান্নাকাটি করতেছিল।

আমার ভাগ্য ভালো যে আমি এই ব্লগের সদস্য। আরে ব্লগের সদস্য হতে পারায় অনেক কিছু জানতে এবং দেখতে পাচ্ছি। এই কমিউনিটির বিভিন্নজনার ঈদ উদযাপন গুলো বিভিন্ন রকম আর যা দেখে আমি যেন অনেক মুগ্ধ হয়েছি। ঠিক তেমনি আপনার বাচ্চার সাথে সুন্দর আনন্দ ঘণ দেখে খুশি হলাম।

আপনার এত সুন্দর কথা শুনে সত্যি ভালো লাগলো।