কখনো রোদ, কখনো বৃষ্টি। কখনো পাওয়ার আনন্দ কখনো না পাওয়ার বেদনা ।কখনো জয় কখনো পরাজয় ।কখনো হাসি কখনো বা কাঁদি ।কখনোবা যাস খ্যাতিতে ভেসে বেড়ায় অনন্ত আকাশে।
হ্যালো বন্ধুরা আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যকে জানাচ্ছি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা। অনেকদিন পর আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আশা করি সবাই অনেক অনেক ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। নিজে সুস্থ থাকুন এবং পরিবারকে সুস্থ রাখুন এই কামনা করছি।
আজকে আমি রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারে কিছু সময় কাটানোর মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করব যা আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
প্রথম যেদিন এই রাজবন বিহারে আসি সেদিন থেকে মনে হয়েছে যেন আমি কোন স্বর্গপুরীতে অবস্থান করছি আজ অনেক বছর পেরিয়ে গেল যখন প্রয়াত সাধনান্দ মহাস্থবির(বনভান্তে) যখন বেঁচে ছিলেন তখন প্রায় আসা হতো এই স্থানে। স্থানে আসার পর কি যে এক মনের মধ্যে অনাবিল আনন্দের জোয়ার বয়ে যায় সেটা কল্পনা করা যায় না। যদি কেউ এই স্থানে না আসে তাহলে সে এইটা উপলব্ধি করতে পারবে না।
চারিপাশে গাছপালা নদী পাহাড় সবমিলিয়ে যেন এক স্বর্গ পুরী তৈরি হয়েছে এই রাজবন বিহারে
বাংলাদেশের বৌদ্ধদের জন্য এটি একটি তীর্থস্থানও বলা চলে। পর্যটন নগরী রাঙ্গামাটি মধ্যে এই বিহারটিও একটি দেখার মতন পর্যটকদের জন্য। শত শত পূণ্যার্থী মানুষ এই বিহারে আগমন করে এবং পূর্ণ সঞ্চয় করে এ স্থানে এসে ।বিশেষ করে বৌদ্ধ ধর্ম র্রীতি ও বনভান্তের দিকনির্দেশনা অনুসারে বিহারটি পরিচালনা করা হয়।
১৯৭৪ সালে বনভান্তে রাঙ্গামাটিতে আগমন করেন।
অন্ধকারে আলো জ্বালাও বুকে অসীম সাহস নিয়ে এগিয়ে চলো আপদ বিপদ নানাবিধ ভয়ে আসুক তবুও সামনের দিকে এগিয়ে যাও তোমাদের দুর্বলতা দূরে ফেলে দাও।
পথ চলতে সুখ অনুভব করলে আনন্দে ডুবে যেও না দুঃখে পড়লে গর্তে পতিত হয়েছে মনে করোনা নিন্দাতে ফিরে তাকাবে না প্রশংসাই স্ফীত হবে না জসে আকাশে উঠো না অবশেষে পাতালে পড়ো না লাভে নাচেও না।
বৌদ্ধদের মূল লক্ষ্য হলো নির্বাণ। লোভ, হিংসা, অজ্ঞান এর তিনটি বন্ধন হতে মুক্ত হওয়া ।এটাই হচ্ছে মূল বুদ্ধ ধর্ম।
কথাগুলো বনভান্তের বলেছিলেন । যা অমিত্তময় উপদেশ বাণী থেকে সংগ্রহীত।
বনভান্তের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি স্তম্ভ গুলো তৈরি করা হয়েছে এই বনবিহারে।
এই রুমের মধ্যে বনভান্তের একটি মোমের মুক্তি এবং উনার মৃতদেহ পেটিক্কাবদ্ধ অবস্থায় এখনো সংগ্রহীত করা আছে।
প্রতিটা স্তম্ভ বা রুমগুলো এত সুন্দর ভাবে তৈরি করা হয়েছে যা সত্যি মনমুগ্ধকর এবং পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানো যা দূর থেকে অসম্ভব সুন্দর দেখায়।
বনভান্তের দিকনির্দেশনা অনুযায়ীই তাবতীংস স্বর্গ তৈরি করা হয়েছিল। তিনি এটি তৈরি করার কারণ যে মনুষ্য লোক থেকে সাতটি স্বর্গ অনুধাবন করতে যেন মানুষরা পারে তার উদ্দেশ্যে এটি নির্মিত করা হয়েছে।
এই তীর্থস্থান এসে নিজের খুব ভালো অনুভূতি হচ্ছে এবং তার সাথে তাল মিলিয়ে নিজের একটা ছবি না তুলে কেমন দেখায় সেজন্য একটা ছবি তুললাম।
এখানে বেশিরভাগ সময় পর্যটকদের পরিদর্শন করতে দেখা যায় এবং বিভিন্ন দেশ থেকে এখানে এই বিহার পরিদর্শনে আসে।
আমার যখন মন খারাপ থাকে তখন বুদ্ধের অগ্রস্রাবক বনভান্তের এই রাজবন বিহারটিতে প্রায় সময় যাওয়া হয় কারণ এই বিহারটিতে প্রবেশ করলে মনে হয় যেন অন্য এক জায়গায় আমি নতুন ভাবে অবস্থান গ্রহণ করছি যা কিনা মানুষের মন এবং মনোবলের যে শক্তি এটা আরো বৃদ্ধি পেতে থাকে।
দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এই বনবিহারে দেখানো চিত্র অনুসারে নৌকা দিয়ে এই বিহারে আসে বা যাতায়াত করে
রাজবন বিহারে কয়েকটি বুদ্ধের মুক্তির ছবি
রাজবন বিহার এর প্রবেশ গেট।
ক্যামেরা | OPPO F9, iPhone 7 |
---|---|
ক্যাটাগরি | ফোটোগ্রাফি |
লোকেশন | রাঙ্গামাটি রাজবন বিহার, রাঙ্গামাটি |
তারিখ | 12.10.2022 |
রাঙ্গামাটি রাজবন বিহারের আপনি অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করছেন আর সেই সাথে অনেক ভালো ভাবে ছবি গুলো বণর্না করছেন। আসলে রাজ বন বিহারে গেলে মনের মধ্যে আলাদা একটা প্রশান্তি আছে।অশান্ত মন শান্ত হয়ে যায়।মনোমুগ্ধকর পরিবেশ আর দেখা মত অনেক কিছু আছে। এটা ঠিক বলছেন দাদা বাংলাদেশ বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের তীর্থস্তান।অনেক ধন্যবাদ দাদা রাজবন বিহারে রাঙ্গামাটি কিছু সময়ের মুহূর্ত শেয়ার করাব জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার পোস্টটি আপনি দেখে এবং পড়ে বিস্তারিতভাবে এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রাঙ্গামাটির রাজবন বিহারে দুই বছর আগে আমি গিয়েছিলাম। জায়গাটির সৌন্দর্য মনোরম পরিবেশ দুটোই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলোর মাধ্যমে জায়গাটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়েছে সেই বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছি। অনেক ভালো লাগলো আসলে পাহাড়ি অঞ্চলের এসব দৃশ্য দেখতে খুবই ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আমার পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমার ভালো লাগলো এবং আপনি আমার পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়া এবং দেখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রাঙ্গামাটিতে অবস্থিত এই রাজবন বিহারের নাম খুব একটা শুনিনি। কখনো যাওয়াও হয়নি। তবে আপনার আজকের পোস্টের মাধ্যমে জায়গাটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়ে গেলাম। জায়গাটা আসলেই খুব সুন্দর। আপনি ফটোগ্রাফি করে খুব চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এখানকার প্রত্যেকটি স্তম্ভ আসলেই খুব সুন্দর। মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার পোস্টটি আপনি ধৈর্য সহকারে দেখে এবং পড়ে আমাকে একটি সুন্দর কমেন্ট করার জন্য আর যদি ভবিষ্যতে কোনদিন রাঙ্গামাটির দিকে আসা হয় তাহলে অবশ্যই ঘুরে যাবেন এই জায়গাটি আশা করি ভাল লাগবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রাজবন বিহারের সৌন্দর্য খুবই অসাধারণ। আমি যাবো যাবো ভাবছি কিন্তু সময়ের কারণে যাওয়া হচ্ছে না। আপনার পোস্টের মাধ্যমে যাও আরও ইচ্ছা প্রবণ হলো আপনি বেশ কিছু চমৎকার ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে রাজবন বিহারে চারদিকের পরিবেশ খুবই চমৎকার অনেক পর্যটক আসে দেখার জন্য। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাকে গুছিয়ে এবং সুন্দর করে একটি কমেন্ট করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit