★ছেলের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা ও পছন্দের বার্গার খাওয়া★

in hive-129948 •  2 years ago 

আসসালামু আলাইকুম



আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।




আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। গতকালকে গিয়েছিলাম ছেলেটার স্কুলের জুতা কেনার জন্য। দেখতে দেখতে ছেলেটা আমার কখন যে বড় হয়ে গেল টেরই পেলাম না , স্কুলে দেওয়ার সময় হয়ে গেল। স্কুলে আরো দেরি করে দিতে পারলে যেন আমার কাছে ভালো লাগতো কারণ ছেলেটাকে কিছুতেই বাসার বাইরে দিতে মন চায় না। কিন্তু কি আর করার দিতেতো হবেই। এজন্য আমি যতটা পেরেছি একটু দেরি করেই দেওয়ার চেষ্টা করেছি। অনেকে বাচ্চাকে সাড়ে তিন বছরে স্কুলে দিয়ে দেয় কিন্তু আমি সেটা না করে বাচ্চাকে পাঁচ বছরে স্কুলে দেওয়ার চিন্তা করে ছিলাম। কারণ অত অল্প বয়সে ছেলেটা মা-বাবার সাথেই থাকবে এজন্য ছোটবেলায় স্কুলে দেওয়ার কথা চিন্তাই করিনি। এজন্য পারফেক্ট বয়সে এসে ছেলেটাকে স্কুলে ভর্তি করে দিলাম। স্কুলে ভর্তি করার জন্য স্কুলের ইউনিফর্ম জুতা এবং যাবতীয় জিনিস স্কুল থেকে একটা লিস্ট দিয়ে দিয়েছে এবং কোথা থেকে কিনতে হবে সেটাও তারা বলে দিয়েছে। কি আর করার তারা যেখান থেকে বলে ওখান থেকেই সবকিছু করতে হয় তা না হলে আবার স্কুলের নিয়ম ভঙ্গ করা হবে। ইউনিফর্ম কোথা থেকে বানাতে হবে সেটাও বলে দিয়েছিল পরে আমরা ইউনিফর্ম বানাতে দিয়ে এসেছি এবং পায়ের জুতাটা বাটা থেকে কিনতে হবে।

20221214_003148.jpg


যথারীতি ছেলেকে নিয়ে চলে গেলাম জুতা কেনার জন্য। আসলে বাইরে যেতে ইচ্ছা করছিল তাই বাইরে যাওয়া দিয়ে কথা। বাটার শোরুমে দেখলাম যে স্কুলের জুতা রয়েছে ছেলেদের। প্রথমে একটা জুতা দেখলাম সেটার দাম লেখা হয়েছে ১২৯৯ টাকা পাশে আরও একটি রয়েছে সেটার দাম দেখলাম ৫৯৯ টাকা। হাত দেয়ার পরে বুঝতে পারলাম জুতার পার্থক্যটা কোথায়। ১২৯৯ টাকার জুতাটা একেবারে হালকা এবং ৫৯৯ টাকার যতটা ছিল অনেকটাই ভারি। আমার কাছে মনে হল যে হালকা জুতা পরেই বাচ্চা বেশি কমফোর্ট ফিল করবে এজন্য ১২৯৯ টাকা দিয়েই জুতাটা নিলাম। প্রথমে একটা পায়ে ঢুকানো হলো সেটা ওর একটু টাইট হল কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছিল এটাই ওর পায়ে ঠিক লাগবে কিন্তু পরে দেখলাম যে এর থেকে বড় যেটা সেটা ঠিক হল। ছেলেটির পা এতটাই বড় হয়ে গেছে সেটা আগে বুঝতেই পারিনি। আজ স্কুলের জুতা কিনে বুঝলাম বাসায় সব সময় কেডস পরে সেগুলো অতটা বড় লাগে না তবে স্কুলের জুতাটা মনে হল একটু বড়। তারপর আমরা ওই জুতাটা নিয়ে কাউন্টারে জমা দিলাম।

20221214_003255.jpg


এই বাটার শোরুমটা আমাদের বেইলিরোডে রয়েছে। আমাদের বাসা থেকে খুব একটা দূরে যেতে হয় না শুধুমাত্র রাস্তার ওপারে গেলেই হয়ে যায়। এখানে আমাদের পায়েরও অনেক সুন্দর সুন্দর জুতা স্যান্ডেল রয়েছে। বুঝতেই পারছেন জুতার দোকানে গিয়েছি আর আমি জুতা দেখবো না এটা কি হয় নাকি। একটা খুবই পছন্দ হয়েছে আমার নিজের জন্য ।জুতোটা পায়ে দেওয়ার পর মনে হলো যে পায়ের চেহারাটাই চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে এতটা ভালো লেগেছিল। দাম ছিল ৩২০০ টাকা কিন্তু আজকে আমি ইচ্ছা করেই কিনিনি। ছেলের জুতা কিনতে গিয়েছি শুধু ওটাই নিয়ে নিলাম। তারপরে আরেকটি ব্যাগ দেখে এসেছি যেটার প্রাইস ছিল ৩৩০০ টাকা সেটাও আমার কাছে ভালো লেগেছে বড়সড়ো ছিল , এটা জার্নিপথে ব্যবহার করার জন্য পারফেক্ট। এ দুটো জিনিস দেখে রেখেছি যে কোন একদিন যেয়ে নিয়ে আসবো ইনশাআল্লাহ।

20221214_003309.jpg

20221214_003206.jpg


তারপর আমার হাসবেন্ড ওর পায়ের কিছু জুতা স্যান্ডেল দেখল। এখানের জুতাগুলো দেখলে ভালই লাগে পছন্দ হয় কেনার মত। কিন্তু আজকে আমরা ইচ্ছে করে কারো জন্য কিছু না নিয়ে শুধুমাত্র বাচ্চার জুতাটা নিয়েই বের হয়ে গেলাম। তারপর সেখান থেকে চলে গেলাম আমার আর আমার ছেলের পছন্দের খানাস রেস্টুরেন্টে। এখানের বার্গার এবং অন্যান্য খাবার এতটাই মজার ও লোভনীয় যে বারবার যেতে ইচ্ছা করে। আমরা এখানে কতবার যে গিয়েছি তার হিসাব নেই। এখানে বার্গারের লোভে বিশেষ করে এখানের লেমন সোডা ও আমার ছেলের পছন্দের কোল্ডকফি খাওয়ার জন্য আমরা বারবার যাই। অবশেষে রেস্টুরেন্টে গিয়ে বেশ খানিকটা সময় আড্ডা দিয়ে খাওয়া দাওয়া করে তবেই আমরা বাসায় ফিরে আসলাম।

20221214_003037.jpg

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার@tauhida
ডিভাইসsamsung Galaxy s8 plus

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

logo.gif

@tauhida

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

659E2F62-99CC-4668-99D7-AA65CA733F5A.jpeg break .png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

স্কুল থেকে যে নিয়মটা ধরে দেওয়া হয় তা আমার একদম ভালো লাগে না।ড্রেস বানাবো কোথায় থেকে বই কোথায় থেকে কিনব সবগুলো একটা লিস্ট আকারে বলে দেয়।আপনি বাচ্চার জন্য বাটা থেকে যে জুতা নিয়েছেন এটা অনেক সফট এবং অনেক আরাম হয় আমি মেয়ের জন্য সবসময় কিনে থাকি।দরকারি কিছু জিনিস কিনেছেন এবং বেশ মজার খাবার ও খেয়েছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

ঠিকই বলেছেন এই নিয়ম গুলো আসলেই ভালো লাগেনা নিজেদের ইচ্ছামত জিনিস কিনবো না তাদের কথামতোই কিনতে হতো না হলে তো আবার নিয়ম ভঙ্গ করা হয়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আপু হয়তো আমাদের জন্য স্কুলের নিয়মটা ভালো লাগেনা কিন্তু আমাদের ভালোর জন্যই তারা এই নিয়ম তৈরি করে। অনেক সময় দেখা যায় আলাদা জায়গা থেকে স্কুলের ইউনিফর্ম বানালে সবার ড্রেসের কালারের একটু পার্থক্য দেখা যায় সেজন্য এই নিয়ম তৈরি করা হয়। সত্যি আপু সন্তান কখন যে বড় হয়ে যায় মায়েরা টেরই পায়না। আপনার মতো আমারও একই অবস্থা আমার ছেলেটাও দেখতে দেখতে অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। আপনি খুব ভালো কাজ করেছেন পাঁচ বছরে ছেলেকে স্কুলে দিয়ে। আরও ছোট বয়সে দিলে দেখা যায় বাচ্চারা স্কুলের চাপ নিতে পারেনা। আপনার ছেলের জন্য খুব সুন্দর জুতা কিনেছেন। এই জুতাগুলো অনেক সফট্ হয় তারজন্য পরে আরাম পাওয়া যায়। কেনাকাটা ও খাওয়া দাওয়া করে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।

আসলেই সন্তান যে কখন চোখের সামনে দিয়ে বড় হয়ে যায় টেরই পাওয়া যায় না। ছোট থাকলেই মনে হয় ভালো লাগে বড় হলেই তো দূরে দূরে চলে যায়। ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

আসলে ঠিক বলেছেন আপু, একদম ছোটবেলায় বাচ্চাদের মা-বাবার সাথে কাটানোর সময়। তখন বাচ্চাদেরকে বাড়ি থেকে বের করতে ইচ্ছে করে না। ভালোই করেছেন আপনি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাঁচ বছরে ভর্তি করানোর। তবে স্কুল থেকে যে সবকিছু নির্ধারণ করে দেয় কোন দোকান থেকে কিনবে এই বিষয়টা আমার একদম ভালো লাগে না। তবে আপনার ছেলের জুতোটা ভীষণ ভালো লেগেছে। ছোটদের আসলে ভারী জুতা থেকে হালকা জুতা একটু কম্ফোর্টেবল। এজন্য বেশি দাম দিয়ে কিনেছেন ভালোই হলো। রেস্টুরেন্ট এর খাবার গুলো দেখছি সত্যিই ভীষণ অসাধারণ। এই জন্যই তো আপনারা বারবার এই রেস্টুরেন্টে যান।

ছোটবেলায় স্কুলে ভর্তি করা আমার একদমই পছন্দ না এজন্য আমি একটু বড় করে দিয়েছি। বাচ্চারা যেসব জিনিস পরে কমফোর্ট ফিল করবে সেগুলোই কেনা উচিত। ধন্যবাদ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

আপু ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। আসলে ছেলে মেয়েরা যে কখন বড় হয়ে টের ই পাওয়া যায় না। আপনি ছেলের জন্য জুতা কিনতে গিয়ে বুঝেছেন যে ছেলে অ
বড় হয়ে গেছে। তারপর আপনি জুতা কিনে এনেছেন। ছেলের ড্রেস বানানোর জন্য আপনাকে একটি নির্দিষ্ট টেইলার এর নাম দেওয়া হয়েছে এবং আপনি বাধ্য সেখানে ড্রেস বানাতে। আসলে এখন প্রতিটি ক্ষেত্রেই এমন হচ্ছে। জানিনা এখানে স্কুলের কি বেনিফিট আছে। যাই সেটা তাদের ব্যপার। আর আপু যার জন্যই কেনাকাটা করতে যাই না কেন, জিনিস দেখলে নিজের ও কিছু না কিছু পছন্দ হয়ে যায় কিন্তু চাইলেই কি আর কেনা যায়। আপনি যেটা পছন্দ করেছেন আশা করি কোন এক সময় পর্যন্ত সেটা আপনার জন্য স্টক থাকবে।

শুধু যে ট্রেইলারের নাম দেয়া থাকে তা নয় কত দাম নিবে সেটাও বলা থাকে। যাইহোক আমরা তো কিনতে এবং সেখানে যেতে বাধ্য কিছু করার নেই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

আসলে ছেলেমেয়ে যে কখন বড় হয়ে যায় সেটা হয়তো বাবা-মা বুঝতেই পারেনা। বর্তমান সময়ে লেখাপড়ার ব্যাপারে অনেক মা-বাবা খুবই সতর্ক থাকে। আমি মনে করি এটাই উচিত লেখাপড়ার ব্যাপারে খুবই সতর্ক থাকা উচিত এবং পর্যাপ্ত বয়স হবার সাথে সাথেই তাদেরকে কোন একটা স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া উচিত যাতে করে তারা লেখাপড়ার পাশাপাশি কিছু সামাজিক জ্ঞান অর্জন করতে পারে সেখান থেকে। যাই হোক ছেলের জন্য কেনাকাটা করেছেন এবং খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। এত সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

তা ঠিক বলেছেন পর্যাপ্ত বয়সকালে স্কুলে না দিলে বাচ্চারা সবার সাথে খাপ খাইয়ে চলতে পারেনা তখন পরবর্তীতে গিয়ে সমস্যা হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

ছোট ছোট পুচকি গুলা যে কেমনে কেমনে বড়ো হয়ে যায় এটা আসলে বোঝাই যায় না।ওদের বড়ো হওয়া দেখলে মাঝে মধ্যে মনে হয় আমার বয়সটা থমকে আছে।আর ব্যাগ জুতা না নিয়ে ভালই করেছেন,ওই দুটো জিনিস নেওয়ার অছিলায় অন্তত আরেকদিন ঘুরতে বের হতে পারবেন হাহা।😁

তা ঠিক বলেছেন একটা জিনিস কেনার থাকলে বাইরে যাওয়ার একটা ওসিলা হয়, আর আমার বাইরে ঘুরতে খুব ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য।