আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি । আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব হঠাৎ করে বাইরে ঘোরাঘুরি করতে যাওয়ার সুন্দর সময় ।ছেলেটার পরীক্ষা চলছে তাই ইদানিং বাইরে খুব একটা যাওয়া হচ্ছে না । আজকে দুপুরবেলা খাওয়া দাওয়া করে একটু রেস্ট নিচ্ছি হঠাৎ করে আমার হাজব্যান্ড বলল যে সাহিত্য সংস্কৃতিতে অনুষ্ঠান হচ্ছে তার বোন আমার মেসেজ দিয়ে জানিয়েছে সেখানে নাকি অনুষ্ঠান হচ্ছে তাই আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করেছে আমরা যাব কিনা । আমি জিজ্ঞাসা করলাম যাবা নাকি সে বলল যে যাব না । তখন আমি বললাম যে চলো যাই একটু ঘুরে আসি ভালো লাগবে । তখন সেও রাজি হল আমরা ফোন করে কনফার্ম হলাম কোথায় যেতে হবে ।
ওখানে সাধারণত মঞ্চ নাটক হয় দেখতে ভালো ভালোই লাগে । মঞ্চ নাটক গুলি আগে আমি দেখেছিলাম এজন্য আমার যাওয়ার প্রতি বেশি আগ্রহ । আমরা তাড়াতাড়ি করে রেডি হয়ে সেখানে চলে গেলাম ফোন দিয়ে জেনে নিলাম কোথায় যাব ।জানলাম যে বেইলি রোডে সাহিত্য সংস্কৃতি মঞ্চে সেখানে আইভি রহমান হল রয়েছে লিফটের চার তলায় সেখানে যেতে হবে । পরে আমরা সেখানে চলে গেলাম আইভি রহমান হলে আমরা ঢুকলাম । দেখলাম যে খুব ভালো আয়োজন করছে ইন্ডিয়া থেকে অনেক কবিরা এসেছে । এখানে দুই বাংলার কবিদের একসাথে সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে । এখানে সব কবিদের আড্ডা চলছে । এখানে এসেছে সব কবিরা আমার ননাস ছোটখাটো একজন কবি যার কারণে আমরা এখানে যেতে পারলাম । কলকাতা থেকে দেখলাম যে কয়েকজন কবি এসেছে তাদেরকে ফুল দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়েছে সাথে আরো কি কি যেন দিয়েছে আমরা গিয়ে দেখলাম ।
তারা একে একে সবার বক্তৃতা দিচ্ছে এবং কেউ কেউ সুন্দর কবিতা আবৃত্তি করছে আমরা বেশ খানিকটা সময় সেখানে বসলাম । তবে ছেলেটার অধৈর্য হয়ে যাওয়ার কারণে আমরা সেখান থেকে বের হয়ে আসলাম । তারপর বাইরে এসে পাপড় ঝাল মুড়ি চা এগুলো খেলাম এবং ছেলেটার বায়না রেস্টুরেন্টে যেতে হবে । তারপর আবার ওকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে ছুটলাম ।বেইলি রোডে যাব আর রেস্টুরেন্টে যাব না সেটা কি হয় নাকি । এজন্য আমাদের সেখানে যেতেই হয় । রেস্টুরেন্টে গিয়ে সে তার পছন্দের চিকেন খাওয়ার বায়না ধরল আমরাও সাথে একই খাবার অর্ডার করলাম ।
তারপর আবার সেখানে গিয়ে তো তাকে খেলতেও হবে দোলনায়ও চড়তে হবে । পরে ওখানে গিয়ে কিছু সময় খেলে নিলাম । খেলার জন্য অনেক সময় অপেক্ষা করতে হলো কারণ এখানেও অনেক সিরিয়াল ছিল ।এখানে ৩০ মিনিট খেলতে হলে ৫০০ টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হয় । আমরা অল্প সময়ের জন্য খেললাম কারণ ছেলেটা খুব ভালো খেলতে পারেনা । অযথা পয়সা নষ্ট করে কি লাভ ।
তারপরে আর বেশি সময় অপেক্ষা করলাম না । কারণ এমনিতে আজ রেস্টুরেন্টে গিয়ে আমাদের অনেক সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে । কারণ শুক্রবার হওয়াতে সব লোকজন যেন ঐখানেই খাওয়ার জন্য চলে গিয়েছে । এতটাই পরিমাণে ভিড় ছিল আমরা এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরে সিট পেয়েছি । আজকে গরম পড়েছে অতিরিক্ত বাইরে থেকে এসে এক ঘন্টা এসিতে বসে অপেক্ষা করতে খারাপ লাগেনি । প্রথমে একটা সিটে বসে ছিলাম ওখানে গরম থাকার কারণে অন্য সিটে বসার জন্য আরো একঘন্টা ওয়েট করতে হয়েছিল । শেষ পর্যন্ত সিট পেয়ে মজাদার খাবার খেয়ে খেলাধুলা করে তবেই আমরা বাড়িতে ফিরে এসেছি ।
![animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif]()
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বাহ আপনি তো সাহিত্য মঞ্চের অনুষ্ঠান খুবই সুন্দর ভাবে অনুভব করলেন আপু। অনুষ্ঠানের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝা যাচ্ছে দারুন একটি অনুষ্ঠান ছিল। এ ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা খুবই দরকার অনেক কিছু জানার সুযোগ থাকে। তাছাড়া খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে আপু। এত লোভনীয় খাবার খেলেন আপু আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। অসাধারণ একটি সময় কাটালেন ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মঞ্চ নাটক গুলো দেখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে সেই ছোটবেলায় মঞ্চ নাটক দেখেছিলাম স্কুলের মাঠে তারপর থেকে আর কখনো সেই রকম ভাবে দেখা হয়নি। প্রথমে যাওয়ার ইচ্ছে না থাকলেও পরবর্তীতে অবশ্য সেখানে গিয়ে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলেন বোঝাই যাচ্ছে এরপর রেস্টুরেন্টে গিয়ে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখে ভালো লাগলো। এই প্রচন্ড গরমের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকাটা অনেকটাই কষ্টসাধ্য অবশেষে এসির মধ্যে কিছুটা সময় স্বস্তি পেয়েছিলেন তবে এসি থেকে বের হওয়ার পরে আরো বেশি গরম লাগে। ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মুহূর্তটা দেখে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit