অকুতোভয় সৈনিক (পঞ্চম পর্ব

in hive-129948 •  2 months ago 

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


তার খেলাধুলার দক্ষতা আর শারীরিক ফিটনেস দেখে তার ট্রেনাররাও তাকে বেশ পছন্দ করে। সবকিছু মিলিয়ে রিসাদ অল্প সময়ের ভেতরে তাদের ব্যাচের ভেতরে সবার ইর্ষার কারণ হয়ে ওঠে। কারণ ব্যাচের ভেতরে রিসাদকে সবাই অন্যরকম গুরুত্ব দিতো। দেখতে দেখতে ট্রেনিং পিরিয়ড শেষ হয়ে যায়। প্রথমে রিশাদের একটা ক্যান্টনমেন্টে পোস্টিং হয়। ক্যান্টনমেন্টের পরিবেশ রিশাদের কাছে খুবই পছন্দ হয়। জীবনের প্রথম চাকরিতে রিশাদ বেশ খুশি ছিলো। ছুটিতে যখন সে বাড়িতে যেতো তখন তার সেই খুশি কয়েকগুণ বেড়ে যেতো। আর্মি অফিসার হিসেবে চাকরি পাওয়ার কারণে এলাকায় রিশাদের সম্মান অনেক বেড়ে গিয়েছিলো।

Copy of What kinds of change steemit can bring in our society_20240814_234136_0000.png

সবাই তাকে সমীহ করে কথা বলতো। তবে রিশাদ কিন্তু সেই আগের মতই ছিলো। এলাকায় গেলেই সে বন্ধু-বান্ধবদেরকে তাদের বাড়িতে গিয়ে ডেকে বের করতো। রিশাদ চাকরি পাওয়ার পরে গ্রামে গেলে তার বন্ধু-বান্ধবরা প্রথমে তার সাথে মিশতে কিছুটা ইতস্তত বোধ করতো। পরবর্তীতে রিশাদের আন্তরিকতা দেখে তাদের মনের সমস্ত দ্বিধাদ্বন্দ দূর হয়ে যায়। তারা আবার তাদের বাল্যবন্ধু রিশাদকে ফিরে পায়। এদিকে রিশাদের পারফরমেন্সের খুশি হয়ে তার সিনিয়র অফিসাররা তাকে সব সময় উৎসাহ জোগাতে থাকে।

সমস্ত পজেটিভ কর্মকান্ডের জন্য রিশাদের দ্রুত প্রমোশন হয়ে যায়। এদিকে তার বাবা-মা তার বিয়ের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে রিশাদ তাদেরকে বলে আমি এখন বিয়ে করবো না। আর কিছুদিন যাক তারপর বিয়ে করবো। তখন তার বাবা-মা তাকে জিজ্ঞেস করে তোমার পছন্দের কেউ থাকলে আমাদেরকে বলতে পারো। রিশাদ জানায় তার তেমন কেউই নেই। তখন তার বাবা মা বলে তাহলে আর তোমার কোনো কথা শুনছি না।(চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বাহ্! আর্মি তে জয়েন করার পর রিশাদের জীবনটা তো পুরোপুরি পাল্টে গিয়েছে। এলাকার সবাই তাকে সমীহ করে, তাছাড়া কর্মক্ষেত্রেও তার প্রচুর সুনাম রয়েছে। আশা করি রিশাদ অনেক দূর যাবে। রিশাদের মতো সন্তান ঘরে ঘরে হোক সেই কামনা করছি। গল্পটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।