বর্তমানে শীতকাল চলে এসেছে এবং বিভিন্ন জায়গায় শীতের তীব্রতাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে চারিদিকে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই লেগে রয়েছে। তার মধ্যে ঠান্ডা জ্বর কাশি মাথা ব্যথা এগুলো একদম স্বাভাবিক একটি বিষয় হয়ে গেছে। আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব এই সাধারন যে ব্যাধিগুলো রয়েছে এসব থেকে নিজেকে কিভাবে আপনি সেভ রাখতে পারবেন। সেই বিষয়ে ছোটখাটো টিপস দেওয়ার চেষ্টা করব তবে চলুন শুরু করি।
শীতকালে 90% মানুষ যে ভুলটা করে সেটা হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পান করা। বর্তমানে যে শীতকাল চলছে সেখানে আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পানি পান করা থেকে বিরত থাকি এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না পান করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আপনার মাথা ব্যথা এবং অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। শীতকালে শীত লাগবে এটা অনেক স্বাভাবিক বিষয় কিন্তু আপনার শরীরে যেন শীত না লাগে সেটা আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে গরম কাপড় পরিধান করার মাধ্যমে। এছাড়াও আপনি চাইলে প্রতিনিয়ত সকালবেলা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন এবং যারা ব্যায়াম করেন তারা প্রতিনিয়ত নিজের ব্যায়াম কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারেন।
শীতকালের আরো একটি মেজর সমস্যা হচ্ছে প্রতিনিয়ত গোসল না করা। এতে করে আমাদের দেহের লোমকূপ গুলো বন্ধ হয়ে যায় এবং যার কারণে নিজের শরীর থেকে টক্সিক পদার্থ গুলো ঘামের মাধ্যমে বেরিয়ে যেতে পারে না। যার কারণে আমাদের শরীরে নানান ধরনের রোগ ব্যাধি দেখা যায়। এ থেকে বাঁচার জন্য প্রতিনিয়তই আমাদের পরিষ্কার পানি দিয়ে গোসল করা উচিত। শীতকালে আমাদের ত্বক সুস্থ থাকে। এমত অবস্থায় নিজের ত্বকের যত্ন নিতে হবে। আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। এ সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম দিতে হবে এছাড়াও ঠান্ডা কাশি জ্বর এড়াতে বিভিন্ন ধরনের ভিড়ভার এলাকা থেকে নিজেদেরকে সাবধানে রাখতে হবে। যদি খুব প্রয়োজনীয় কাজ না থাকে সেক্ষেত্রে ঘরের বাহিরে না বের হওয়াটাই উত্তম। এতে করে আপনার জীবাণু শরীরের মধ্যে প্রবেশ করবে না। শীতকালে আবহাওয়াও অনেক সুস্থ থাকে। এতে করে জীবাণুদের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং খুব সহজেই আপনি বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
শীতের সকালে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে আমাদের বেশ বিরক্তিকর লাগে। বিরক্তিকর লাগলেও সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে রোদের নিচে একটু দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন। কারণ সূর্যের রোদে ভিটামিন ডি রয়েছে। যেটা শীতকালে আমাদের সকলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে শীতকালে ঠান্ডা পানিতে এভয়েড করা এবং গরম পানি গ্রহণ করা এসব বিষয় যদি আপনি মেনে চলতে পারেন আশা করা যায় খুব সহজেই আপনি অসুস্থ হয়ে পরবেন না।
এসব কিছুর বাইরে ও একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেটা হচ্ছে সঠিক পুস্টি। যেটা আমাদের সকলের জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে শীতকালে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি দেখা যায় এবং বিভিন্ন ধরনের নতুন ফল ও মার্কেটে ওঠে। চেষ্টা করবেন প্রত্যেকটি শাকসবজি খাওয়ার জন্য। এতে করে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। ধন্যবাদ সবাইকে।
শীতের মৌসুমে শরীর সুস্থ রাখা অত্যন্ত জরুরী। শীতের মৌসুমে শরীর সুস্থ রাখার ক্ষেত্রে আপনার লেখাগুলো পড়ে আমি অনেক অজানা বিষয় জানতে পেরেছি। আমাদের সকলের উচিত এভাবেই নিয়ম মেনে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit