আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে ক্লান্তি সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
লিংক
আসলে মানুষ সব সময় বিভিন্ন কাজের পিছনে সব সময় ছুটে বেড়ে। আর কেউ আছে সব সময় ঘরে বসে বসে অলস হয়ে পড়ে যায়। আসলে এই জীবনে যাদের যত বেশি টাকা আছে তারা ততই আরাম আয়েশের দিন কাটাতে পারে। আসলে যাদের জীবনে টাকা পয়সা অনেক বেশি কম তাদের জীবনে তত বেশি করার পরিশ্রম করতে হয়। আসলে আমাদের এই পরিশ্রম যে কবে শেষ হয়ে আমাদের জীবনে একটু শান্তি চলে আসবে সেটি ভাবতে ভাবতে আমরা সবসময় ক্লান্ত হয়ে যাই। আসলে আমরা এই গরীব মানুষ হিসেবে যদি জন্মগ্রহণ করে থাকি তাহলে আমাদের জীবনে কখনো কোন ক্লান্তি থাকবে না।
আমাদেরকে প্রতিনিয়ত এই সমাজের বিভিন্ন কাজের সাথে সংগ্রাম করে বিভিন্ন জায়গায় ছুটে চলতে হবে। যদিও কখনো আমাদের শরীর ক্লান্ত হয়ে যায় তখন আমরা একটু বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু ততক্ষণে আবার কোন একটা কাজের কথা মনে পড়ে গিয়ে আবার আমরা পুনরায় ছুটে চলি সেই কাজের পিছনে। আসলে আমরা আমাদের জীবনে যদি কাজ না করি তাহলে এই দুর্মূল্যের বাজারে আমরা এক মুহূর্তেও সময় কাটাতে পারব না। কারণ বাইরের পণ্যের দাম যে এতটা বেশি এই পণ্যের দাম মেটানোর জন্য আমাদের অনেক বেশি কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।
কিন্তু মাঝে মাঝে কঠোর পরিশ্রম করেও কোন লাভ হয় না। কারণ আমরা যদি কঠোর পরিশ্রম করি তাহলে সেই কঠোর পরিশ্রমের সঠিক মূল্য আমরা কখনোই পাইনা। আসলে শরীরের ক্লান্তি কখনো আসার সুযোগ পায় না। কারণ শরীর এতটাই ব্যস্ত থাকে যে এই ব্যস্ততার মাঝে শরীর তার নিজের ক্লান্তিকে ভুলে যায়। তবুও এই যৌবন কালের আমাদের শারীরিক শক্তির যতটা বেশি থাকে কিন্তু বার্ধক্যের সময়ে এই শারীরিক শক্তি ততটা বেশি থাকে না।তাইতো আমরা মনে করি যে যৌবনকালটাকে আমরা পুরোটাই সঠিকভাবে ব্যবহার করে কঠোর পরিশ্রম করি এবং ভবিষ্যতের জন্য কিছু মূলধন জোগাড় করে রাখি।
আসলে যৌবনকালের পর যখন বার্ধক্য আসে তখন আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ি। কারণ একদিক থেকে যেমন আমাদের শরীর অনেকটা দুর্বল হয়ে যায় তেমনি অন্য দিক থেকে আমাদের মনও আমাদের সাথে কখনো চলে না। তখন এই ক্লান্ত জীবনে আমরা আর বেশি কোন কিছু করতে সক্ষম হই না। তখন আমরা অনেকটা পরনির্ভরশীল হয়ে পড়ি। আসলে একটা গরীব মানুষের শরীরের ক্লান্তি কখনো ক্লান্তি হিসেবে ধরা হয় না। কারণ আমরা বাইরে দেখি যে অনেক বয়স্ক মানুষ ভ্যান অথবা রিক্সা চালাচ্ছে। আসলে তাদের শরীরের ক্লান্তি আসলেও তাদের কিন্তু মনের ক্লান্তি কখনোই আসেনা।
তাইতো আমাদের এই ক্লান্ত শরীরকে যদি আমরা ক্লান্ত হিসেবে মনে করি তাহলে আমরা কখনোই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো না। তাইতো মনের উদ্দমকে বাড়িয়ে আমরা বিভিন্ন কঠিন কাজকে সহজ করে তুলব এবং কোন বাঁধাকে কে আর বাঁধা বলে মনে করব না। কারণ জীবনে আমাদের আরো অনেক সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আর এজন্য আমাদের এই ক্লান্ত শরীরকে নিয়ে সামনের দিকে এগোতে হবে। কারণ শরীর ক্লান্ত হলেও আমাদের মনকে কখনো ক্লান্ত করা যাবে না। আর এর ফলে আমরা জীবনে জয়ী লাভ করতে পারব।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আপনি সুন্দর একটি কন্টেন্ট লিখেছেন ।আসলেই কঠোর পরিশ্রম করলেও আমরা অনেক সময় সেটার মূল্য পাইনা।বর্তমান সময়ে সৎ পথের কোনো মূল্য নেই।সব জায়গায় দুর্নীতি সেটা শিক্ষা হোক কর্ম,অথবা চিকিৎসাক্ষেত্রে।যৌবনকালের পর আমাদের বার্ধক্য আসে তখন আমাদের মন,জীবন উভয়েই ক্লান্ত হয়ে পড়ে।বাস্তবমুখী একটি পোস্ট লিখেছেন,ধন্যবাদ ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit