ফারিয়া বাসা থেকে বের হতেই তার কপালটা কুচকে গেলো। কারণ গলির সামনে তখন রিশাদকে দাঁড়ানো দেখতে পেলো রিশাদ এলাকার উঠতি মাস্তানদের ভেতর একজন। ছেলেটাকে দেখলেই ফারিয়ার মেজাজটা চরম খারাপ হয়ে যায়। আর তাকে এই ছেলেটাকেই সব সময় দেখতে হয়। প্রতিদিন বাসা থেকে বের হয়ে যখন সে কলেজে যায় তখন ছেলেটা হ্যাংলার মতো গলির মাথায় দাঁড়িয়ে থাকে। মাঝে মাঝে ফারিয়ার পিছু পিছু রিকশা নিয়ে কলেজ পর্যন্ত চলে যায়।
ফারিয়া একদিন বেশ ধমকে দেয় রিশাদকে। তারপর থেকে পিছু নেয়া বন্ধ করেছে। কিন্তু তাতে তার তাকিয়ে থাকা বন্ধ হয়নি। রিশাদ যে ফারিয়ার দিকে তাকিয়ে কিছু বলে তা নয়। শুধু ক্যাবলার মতো তাকিয়ে থাকে। আর ফারিয়ার তাতেই গা জ্বলে যায়। সকাল সকাল রিশাদের মুখ দেখে ফারিহার মেজাজ সপ্তমে উঠে গেলো। সে রিশাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বলতে লাগলো যত সব কুলাঙ্গার। সকালবেলা উঠে এদের মুখ দেখলে দিনটাই খারাপ যায়। তারপর ফারিয়া রিক্সা নিয়ে কলেজে চলে যায়।
কলেজে যেতেই তার ঘনিষ্ঠ দুই বান্ধবীর সাথে আড্ডায় মেতে উঠলো। ফারিয়ার বান্ধবী তাবিয়া ফারিয়াকে দেখে জিজ্ঞেস করলো কিরে তোর সেই ক্যাবলা আশিকের কি খবর? ফারিয়া তখন বলল আর ওর কথা বলিস না। ছেলেটার চেহারা দেখলেই আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। তুই শুধু শুধু ওর কথা মনে করিয়ে মেজাজটা খারাপ করে দিস না। ফারিয়ার কথা শুনে তার দুই বান্ধবী হাসতে থাকে। এর ভেতর ক্লাসের সময় হয়ে গেলে তারা ক্লাসে ঢুকে। সবগুলো ক্লাস শেষ হলে তিন বান্ধবী কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে তারপর বাড়ির দিকে রওনা দেয়। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।