তখন সাকিব তার পরিকল্পনার কথা সুজনকে খুলে বলে। তারপর সে বলে তোর কাছে যে স্পাই ক্যামেরা আছে সেগুলো আমার লাগবে। আর তোর সাহায্যও লাগবে। কারণ আমি একা সব কিছু সামলাতে পারবো না। শাকিবের পরিকল্পনা শুনে সুজন ও বেশ উত্তেজিত হয়ে পড়ে। সে বলে তুই দারুন একটা পরিকল্পনা করেছিস। যদি এই পরিকল্পনাটা আমরা সাকসেস করতে পারি। তাহলে ব্যাটাদের একটা চরম শিক্ষা হবে। সেই সাথে ঘুষ খোরেরা সাবধান হয়ে যাবে।
পরদিন সকালে সাকিব আর সুজন দুই বন্ধু মিলে যায় স্থানীয় র্যাব অফিসে। সেখানে গিয়ে তারা সবকিছু খুলে বলে র্যাব কে। জানায় তারা ঘুষখোর এই সরকারি কর্মকর্তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায়। র্যাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুজন যুবকের পরিকল্পনা শুনে দারুন প্রশংসা করে। তারা বলে সমাজের সবাই যদি আপনাদের মতো চিন্তা করতো। তাহলে এই দুর্নীতিবাজরা এতটা প্রশ্রয় পেতো না। তখন সে সুজন এবং সাকিবকে কিছু পরামর্শ দেয়।
সেই রাবের কর্মকর্তা তাদেরকে বলে যে শুধু আমরা যদি তাদেরকে এরেস্ট করি। তাহলে তারা একসময় হয়তো বের হয়ে আসবে। আপনার একটা কাজ করুন। আপনারা দুর্নীতি দমন কমিশনে একটা অভিযোগ জমা দিন। আমরা তাদেরকে ধরার সময় সাথে করে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটা টিমকে নিয়ে যাবো। তাতে করে পার্মানেন্টলি তারা তাদের চাকরি হারাবে। র্যাব অফিসারের পরামর্শ সাকিব সুজন দুজনেরই খুব পছন্দ হয়। তারপর তারা কর্মকর্তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায় দুর্নীতি দমন কমিশন অফিসে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
র্যাব কর্মকর্তা একেবারে ঠিক কথা বলেছে। সবাই যদি এভাবে প্রতিবাদ করতো তাহলে সবকিছু পরিবর্তন হয়ে যেতো। তাছাড়া র্যাব কর্মকর্তা একেবারে সঠিক পরামর্শ দিয়েছে। দেখা যাক সাকিব এবং তার বন্ধু শেষ পর্যন্ত কতটুকু করতে পারে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit